উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া :
ঈদের পঞ্চম দিনে পর্যটকদের পদারচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত। হাজার হাজার পর্যটকের উন্মদনায় প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে।
ঈদের প্রথম দিনে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটক কম থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সাথে নেচে গেয়ে হইহুল্লোয় মেতেছেন তারা।
অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ প্রিয়জনদের সাথে সেলফি তুলছেন। পর্যটকদের ভীড়ে বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
আগতদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের প্রথম দিনে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটক কম ছিল। ঈদের পঞ্চম দিন শুক্রবার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে পুরো সৈকতজুড়ে পর্যটকদের পদচারণা। আগত এসব পর্যটকরা আনন্দ উল্লাস ও সমুদ্রস্নানে মেতেছেন। তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকত সহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। একই সাথে পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বেচাকেনার ধুম পরে গেছে।
পর্যটক মৌসুমী আক্তার বলেন, ঢাকা থেকে অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এটা মনে হয় কল্পনা। এর আগে কুয়াকাটায় আসেছি, অনেক সময় লেগেছে। সাকাল থেকেই এখানকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছি। খুব ভালই লেগেছে। পর্যটক তরুনী সাবরিনা সাথী বলেন, সবুজ অরণ্য এবং সমুদ্র এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাকে বিমোহিত করেছে। একই সাথে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে সাঁতার কাটা আসলেই অন্যরকম এক অনুভূতি। সব মিলিয়ে দারুণ এক পরিবেশ।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন কুয়াকাটার এ সৈকতে আসতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের চেয়ে কম সময় লাগে। তাই ভ্রমণপিপাসুরা কুয়াকাটা সৈকত বেছে নিচ্ছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশা করছি পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবে।