মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের সরদার বাড়ির সামনে বরযাত্রীর মাইক্রোবাস ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে বরযাত্রী কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী নিহত ও ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে ২ ঘন্টা ছিল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ।
উজিরপুর নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন ও উজিপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাফর আহম্মেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করেন ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। ১৯ জুন বুধবার দুপুর ২ টার সময় সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
নিহত ও আহতর পরিবার সূত্রে জানা যায় ঝালকাঠী জেলার কৃষ্ণ কাঠি গ্রামের মো: নুরুল হক হাওলাদারের পূত্র বর মো: রাসেল হাওলাদার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামে মো: লিটন ফকিরের বাড়ির উদ্দেশ্যে বরযাত্রী বহনকারী ১ টি প্রাইভেট ও ২ টি মাইক্রোবাস গাড়িবহর উজিরপুর থানাধীন আটিপাড়া সাকিনস্থ সরদার বাড়ির সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপর পৌছালে বৃষ্টি ও বাতাসের কারনে একটি রেইনট্রি গাছ ভেঙে পড়ে। গাড়িবহরে থাকা টয়োটা নোহা ঢাকা মেট্রো -চ- ১৩- ৩১০১ মাইক্রোবাস পাশ কাটিয়ে উঠতে গেলে ঢাকা থেকে বরিশালগামী গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহনের একটি বাস ( ঢাকা মেট্রো-ব, ১১-৭৯৬৭) তার নির্বাধিত সাইড থেকে ডানে সরে গিয়ে মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মাইক্রোবাসে বরযাত্রী কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ঝালকাঠি জেলার কৃষ্ণ কাঠি গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা বৃষ্টি আক্তার ( ১৭) সহ ১০/১২ জন আহত হয়। মাইক্রোবাসটি ধুমরে মুছরে যায় এবং বরযাত্রীরা মাইক্রো বাসের মধ্যে আটকা পড়ে যায়।
মাইক্রো ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও উজিরপুর ও গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত হয়ে ধুমরে মুচরে যাওয়া মাইক্রো বাসের মধ্যে আটকে পড়া বরযাত্রী আহতদের উদ্ধার করেন।
মাইক্রোবাসের বরযাত্রী গুরুতর আহত বৃষ্টি আক্তার সহ আহত অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃষ্টিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এছাড়াও গুরুতর আহত হন বরযাত্রী জুয়েল (১৯), মাইক্রোবাস ড্রাইভার মো: আলিফ , বরযাত্রী নাদিম হাওলাদার (৩৫), নাজমুল হাওলাদার(২১), সাকিব (১৯), বাসের ড্রাইভার এরশাদ গুরুতর আহাত হন। আহতদের উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করেন। সামান্য আহত স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত বৃষ্টি বরের সম্পর্কে ভাগ্নি হয়। উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন ও উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদ বলেন দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। মাইক্রোবাস ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক ।
মহাসড়কে দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল আমরা তাৎক্ষণিক যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। দুর্ঘটনা ঘটনায় পরিবহনের ড্রাইভারকে আসামি করে নিহতের পরিবারের ভাই বাদী হয় উজিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং নিহতের মরাদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাইওয়ে পুলিশ।