নিজস্ব প্রতিবেদক :
অগ্রহায়নের শুরুর দাপটেই কেঁপে উঠেছে বরিশাল। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম তাপমাত্রা ও হালকা মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্য লুকোচুরি খেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষরা।
এর আগে ৩০ নভেম্বর বরিশালের তাপমাত্রা নেমেছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ছিল স্বাভাবিক তাপমাত্রার প্রায় ৫ ডিগ্রি নিচে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে নভেম্বরে বরিশালের স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হওয়া উচিত ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তুলনায় বরিশালে শীত অনেকটা আগেভাগেই জেঁকে বসেছে।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে—ডিসেম্বরজুড়ে রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ মাসে ১–২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তার একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মাসের মধ্যভাগের পর বরিশালসংলগ্ন পশ্চিম অঞ্চলে ৬–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে বরিশালে স্বাভাবিকের তুলনায় ৭৩ শতাংশ কম মাত্র ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও স্বাভাবিক হিসেবে এ মাসে ৬ মিলিমিটারের পরিবর্তে ৫–১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ।
শীতের কামড় বাড়লেও কৃষকের মাঠে এখন ব্যস্ততা, অগ্রহায়নের ভোরেই চলছে আমন ধান কর্তনের উৎসব। দক্ষিণাঞ্চলের খরিপ–২ মৌসুমে আবাদ হওয়া প্রায় ৯ লাখ হেক্টর জমি থেকে ২৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠে দিনরাত কাজ করছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা।
একই সঙ্গে রবি মৌসুমকে সামনে রেখে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১৭ লাখ টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা সর্বোচ্চ ব্যস্ত দিন পার করছেন।
শীতের তীব্রতা জনস্বাস্থ্য ও ফসলের মাঠে কোনো প্রভাব ফেলে কি না—সে দিকেও এখন সবার নজর।





