নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোক্তার হোসেন পিস্তলের গুলিতে আহত হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন।
রোববার (২৩ জুন) রাতে আহত পুলিশ সদস্যকে দেখতে গিয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানকালে এ কথা জানান তিনি।
অপরদিকে হাসপাতালে অবস্থানকালে পুলিশ সদস্যের গুলিবিদ্ধের ঘটনায় বিষয়ে পূর্ব ইলিশা নৌ থানার পরিদর্শক (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলবেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি সাংবাদিকদের দেখে সার্জারি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার রেখে গাইনি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা গিয়ে তার কাছে বক্তব্য চাইলে তিনি এসপি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ দিকে ঘটনার বিবরণে বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ থানার এএসআই মোক্তার হোসেন ও একজন ফোর্স ডিউটিতে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ওই ঘটনা ঘটে। ওইসময় থানার একটি টেবিলের ওপর চারটি পিস্তল রাখা ছিল, যেখান থেকে এএসআই মোক্তার হোসেন একটি পিস্তল পছন্দমতো নিয়ে যাবেন। পিস্তলটি নেয়ার সময় ট্রিগারে হাত পড়ে যায় এবং মিস ফায়ার হয়ে যায়। আর এতেই গুলিটি তার গায়ে লাগে।
তিনি বলেন, গুলিটি পেটের ডান পাশ থেকে লেগে কোমরের কাছাকাছি বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এখন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার অপারেশন করছে। দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ হয়ে যায়।
ডিউটি সংক্রান্ত বিষয়ে অসন্তোষ নিয়ে থানার পরিদর্শক বা অন্য কারও সাথে মনোমালিন্যের জেরে এ ঘটনা কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। সে স্বাভাবিকভাবে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে, আমি নৌ পুলিশের সুপার হিসেব সঠিক তথ্যই উপস্থাপন করছি।
তিনি বলেন, আহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি চট্টগ্রামে আর কাপ্তাই লেকে তার ডিউটি পরেছিল। আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা দায়িত্ব পরে যেটা স্বাভাবিক বিষয়। আর কাপ্তাই লেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, সেখানে আমাদের অনেক সদস্যের প্রতিবছর দায়িত্ব পরে। আজ কাপ্তাই লেকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে বলেও সে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর এটি কোন বদলি নয়, সে ওই জায়গায় দায়িত্ব পালন করে আবার এখানেই ফিরে আসতো।
এদিকে যে অস্ত্রটি থেকে গুলি বের হয়েছে সেটি লোড করা কেন ছিল, আর কে করলো জানতে চাইলে এসপি বলেন, পিস্তলটি লোড কীভাবে কেন হয়েছে সেটি তদন্তের বিষয়টি আর সে (পুলিশ সদস্য) কেন অসতর্কতা অবস্থায় এটি ধরলো সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। অন্য কোন ঘটনা নয়, কেন মিস ফায়ার হলো সেটি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।
আর সেফটি লক করা থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেফটি লক করা থাকলে তো গুলি বের হয়ে আসতো না।
আপাতত পুলিশ সদস্য মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন দোয়া করুন সে জন্য সুস্থ হয়, তারপর আমরা সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখবো।
উল্লেখ্য রোববার বিকেলে ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ থানার ভেতরে পিস্তলের গুলিতে আহত হয়েছেন ভোলা নৌ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোক্তার হোসেন।
সূত্র : বাংলানিউজ