TT Ads

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের খামারিরা। অনেক খামারির পশু এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। আবার অনেকে হাট শুরুর অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো সংকট ছাড়াই স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।

 

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন হয়। তবে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানি ঈদ ঘিরে। তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশি গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিয়াল জাতের গরু রয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় বলছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ছোট-বড় ২৭ হাজারের মতো খামারি কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ পশু লালন পালন করেছেন। আর বিভাগে এবারের কোরবানিতে মোট পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি।

 

বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভি মিলিয়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ টি রয়েছে। আর এরমধ্যে ষাঁড় গরুই রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯৬১টি।এছাড়া ৯ হাজার ৪০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৭৪ টি কোরবানিযোগ্য ভেড়া রয়েছে।

 

ফলে সবমিলিয়ে চাহিদা পরেও উদ্বৃত্ত পশু থাকবে ৬৫ হাজার ২৯৬ টি।

 

এদিকে কোরবানির আগে যাতে হরমোন, অ্যান্টিবায়োটিক বা কৃত্রিম কোন উপায়ে পশুকে মোটা তাজা করা না হয় সেজন্য খামারে নিয়মিত নজরদারি করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খামারে একসাথে অনেক পশু পালনের পাশাপাশি বাড়িতে ছোট আকারে একটি দুটি গরু কিংবা ছাগল পালন করেন অনেকে। ফলে এ অঞ্চলে হিসেবের থেকেও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু থাকতে পারে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে না, যাতে বিদেশি গরুর প্রয়োজন হবে। এবারে এ অঞ্চলে স্থানীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

 

তিনি বলেন, এখন আর কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজা করা হয় না। তারপরও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার খামারগুলোতে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন, যাতে কেউ অনৈতিক কাজে না জড়িয়ে পরে।

 

তিনি বলেন, এর বাহিরে প্রতিটি পশুর হাটে পশু চিকিৎসকসহ মনিটরিং টিমও কাজ করবে।

 

এদিকে খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে কোরবানির পশুর দামে। তবে ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির বাজার স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে।

 

উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ শত টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড়শত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *