নিজস্ব প্রতিবেদক :
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠি গ্রামে একসঙ্গে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার তাদের বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুদের মা লামিয়া আক্তার জানান, তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনজন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এবং বাকি দুইজনের রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, “এক সন্তানের খরচ জোগানোই কঠিন, সেখানে পাঁচ সন্তানের চিকিৎসা ও লালন-পালনে পাঁচগুণ ব্যয়। স্বামী ছোট ব্যবসা করে, তাই সহযোগিতা পেলে উপকার হবে।”
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. মারুফ বলেন, জন্মের সময় পাঁচ শিশু কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেও তাদের বয়স কম হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখনও দুর্বল। তিনি জানান, শিশুদের বয়স এক মাসের একটু বেশি হওয়ায় তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ছয় মাস বয়স হলে সামগ্রিক ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
তিনি আরও জানান, দরিদ্র পরিবারের এই পাঁচ নবজাতকের পরিচর্যার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরাও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক একেএম আখতারুজ্জামান তালুকদার এবং সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ হাসপাতালে এসে শিশুদের জন্য চিকিৎসার ওষুধ, দুধ, প্যাম্পার্সসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ তুলে দেন।
সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, “শিশুদের পাশে আমরা সবসময় আছি। ‘৮৪ ইভেন্ট’-এর পক্ষ থেকেও একটি গরু উপহার দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে আবার সহায়তা নিয়ে এসেছি। তারা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে—এ ব্যাপারে আমাদের নজর থাকবে।”
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর বাউফলের চাঁদকাঠি গ্রামের মুদিদোকানি সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী লামিয়া আক্তার স্বাভাবিকভাবে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর বরিশালের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর শিশুদের শেবাচিম হাসপাতালে আনা হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।




