১০ রানে বিদায় নেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। আনপ্রেডিক্টেবল নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবশ্য এই দুজনের উইকেট দ্রুত নেওয়া ছাড়া আর কোনো চমক দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ভারত।
তাতে অবশ্য কিছুটা সুবিধা হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের। ভারতের বড় জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট কমে পাকিস্তানের নিচে এসেছে। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান যদি জেতে আর যুক্তরাষ্ট্র যদি হারে তাহলে রানরেটের হিসেবেই যে দুই দলের সুপার এইটের অবস্থান পোক্ত করবে।
৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের রানরেট ১.১৩৭। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট ০.১২৭ আর ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের রানরেট ০.১৯১। শেষ ম্যাচে দুই দলের প্রতিপক্ষই আয়ারল্যান্ড।
নিউ ইয়র্কে প্রথম বল থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১১০ রান করে। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নীতিশ। ২৪ রান আসে টেলরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ১৫ ও জোন্স ১১ রান করেন। শ্যালকউইক ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরশদীপ সিং। বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় বোলারের এটি সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে অশ্বিন ১১ রানে ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া হার্দিক ২ ও অক্ষর প্যাটেল ১ উইকেট নেন।
তাড়া করতে নেমে ভারতও সুবিধা করতে পারেনি। ১০ রানে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। বিরাট কোহলি ০ রোহিত শর্মা ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর হাল ধরা ঋষভ পান্ত আউট হলেও আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত।
সুরিয়া কুমার যাদব ও শিবাম দুবের ৬৫ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। সুরিয়া ৫০ ও দুবে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের জুটি ভাঙতে পারছিল না সঙ্গে জরিমানা গুণতে হয় ৫ রান। ওভার শুরু করতে ৩ বার নির্ধারিত ৬০ সেকেন্ডের বেশি পার করায় ভারতের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ২ উইকেট নেন সৌরভ নেত্রাভালকার। ম্যাচ সেরা হন আরশদীপ।