নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দল থেকে সদ্য বহিস্কৃত বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম । এবার চাঁদার টাকা না দেওয়ায় প্রাকশ্যে ব্যসায়ীকে মারধর করেছে।
মসজিদের ফান্ডের ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার সদর রোডে জন সম্মুখে মোশারেফ বিশ্বাস নামক একজনকে মারধরের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতেকরে পুরো বাকেরগঞ্জ উপজেলায় আতংক বিরাজ করেছ।
সূত্রে জানাযায় ২০২৩ সাথের ৬ জানুয়ারী উপজেলার উত্তর-পূর্ব কৃষ্ণ কাটি জামে মসজিদের ফান্ডের ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করায় মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ মোশারফ বিশ্বাস থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
সেই অভিযোগর ভিত্তিতে এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিদের মদ্ধস্ততায় আপষ মিমাংশা হয় তখন জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়। বাকি টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য সময় নেয়।
কিন্তু গত ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট মোশারফ বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার দলবল মসজিদে দেয়া জাহাঙ্গীরের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জনসম্মুখে ফেরৎ দেয়ার জন্য মোশারফ বিশ্বাসকে দায়ী করে তার কাছে ২,৫০,০০০ টাকার দ্বিগুণ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই সূত্র ধরে গতকাল ২৭ নভেম্বর দুপুরে বাকেরগঞ্জ সদর রোডস্থ একটি দোকানের ভিতরে জাহাঙ্গীর আলম, শাফায়েত খা সহ অন্যান্যরা লুকিয়ে থাকে। যখন মোশারফ বিশ্বাস সেই পথ ধরে যাচ্ছিলেন তখনই তাকে ধরে জনসম্মুখে চাঁদার টাকার জন্য মারধর শুরু করে জাহাঙ্গীর সহ তার সঙ্গীয়রা। এসময় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মোশারফ বিশ্বাস জানান, বেপরোয়া চাঁদাবাজ জাহাঙ্গীর আলমের ভয়ে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে তার। পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যদি টাকা না দেয়া হয় গুম করে ফেলার নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অপর দিকে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য : গত ২৩ নভেম্বর (২০২৫) বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসকে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কৃষকদলের কেন্দ্রীয় দফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য এবং নীতিভ্রষ্ট কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে তাকে অব্যাহতি দেয়।




