TT Ads

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র ও বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব কামাল দুর্নীতির মামলায় অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত। তবে আহসান হাবীব কামাল জীবিত থাকাকালীন মামলার এই রায় দেখে যেতে পারলেন না। ১৫ বছর আগে দুদকের করা মামলায় মৃত্যুর চার বছর পরে উচ্চাদালতের রায়ে দুর্নীতির মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হন তিনি।

 

বুধবার (২৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর একক বেঞ্চে দেওয়া এই সংক্রান্ত রায়ে কামালসহ পাঁচ আসামিকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই মামলায় কামালের জামিন বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া ৫০ লাখ টাকা তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট।

 

২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে ৮ মাস কারাগারেও ছিলেন তিনি।

 

বিসিসির মেয়র থাকাকালে ১৯৯৫ সালের একটি ঘটনায় ২০০৯ সালে আহসান হাবিব কামালসহ ৭ জনের রিরুদ্ধে ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই মামলায় ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেওয়া রায়ে কামালসহ ৫ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা করেন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তখন এই রায়ে মামলার সাত আসামির মধ্যে ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছিলেন আদালত।

 

রায় ঘোষণার পর তাঁর পুত্র রুপম জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সময়  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাকে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানো হয়েছে।  “আমার বাবা একজন সৎ, দেশপ্রেমিক এবং জনবান্ধব মানুষ ছিলেন। এই মিথ্যা মামলায় তাঁকে জড়িয়ে অপমান করা হয়েছিল। আজ আদালত প্রমাণ করেছে, সত্য কখনো চাপা থাকে না। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে এই রায়ের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা এবং বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম শানজিদ সিদ্দিক স্বাক্ষরিত একটি সনদে বলা হয়, এই খালাসপ্রাপ্তির রায় বাংলাদেশ ল রিপোর্ট (DLR)-এর ৪৪তম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা এই মামলার গুরুত্ব ও আইনি ভিত্তিকে স্পষ্ট করে।

 

এই রায় শুধুমাত্র একজন নির্দোষ নাগরিকের মুক্তির পথ খুলে দেয়নি, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত আইন ব্যবস্থার অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে একটি শক্ত বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন বরিশালের সচেতন মহল।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *