নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কর্তৃক জাতির সামনে উত্থাপিত ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।

 

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের বাংলাবাজার এলাকায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বরিশাল সদর উপজেলা-বিএনপির ১নং সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর নেতৃত্বে লিফলেট বিতরনে উপস্থিত ছিলেন নেতা-কর্মীরা।

 

এসময় তারা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই জাতীর প্রয়োজনে একত্রিশ দফা উত্থাপন করেছিলেন। যেখানে নাগরিকদের অধিকার থেকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনার কথা উল্লেখ রয়েছে। এগুলো আমরা সাধারণ জনতার মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করছি। যাতে করে মানুষ বুঝতে পারে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ধামসর গ্রামে অশ্লিল মেলা বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন এর নেতাকর্মীরা।

 

গত ১২ জানুয়ারি রবিবার বিকেল ৪ টায় উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও উপজেলা শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা’র কাছে অশ্লীল মেলা বন্ধের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা মোঃ আঃ খালেক,পৌর জামায়াত ইসলামীর আমির মোঃ আল-আমিন সরদার, সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা বাকী বিল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উজিরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহে আলম, উপজেলা মুসলেহীন এর সভাপতি মাওলানা মোঃ সফিকুল ইসলাম, উজিরপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নুরুল হক আজহারী, বরিশাল জেলা যুব আন্দোলনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ডিএম আল-আমিনসহ শত শত নেতাকর্মী।

 

অভিযোগকারীরা বলেন,বামরাইল ইউনিয়নের দামসর গ্রামে অসাধু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে মেলার নামে অশ্লীলতা,জুয়া,মাদকের আসর,অশালীন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ২০০৮ সালে ধর্মপরায়ণ স্থানীয় মুসল্লীরা উক্ত মেলার মাঠে ৭দিন ব্যাপী ওয়াজ মাহফিল এর আয়োজন করে। এরপর ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা মশায়েখদের সমন্বয়ে মাহফিল পরিচালিত হয়।

 

এছাড়াও উক্ত স্থানে একটি নুরানী ও হাফেজী মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠাতা করা হয়। চলমান পরিস্থিতি মেলার কারনে কোমলতি শিক্ষার্থীদের কোরআন তেলোয়াতসহ লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটে। এ বছর পুনরায় মেলা চালু করার পায়তারা চালায় অসাধুরা।

 

এ নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ মেলা বন্ধের দাবিতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা’র সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা জানান সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
দুদিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া বয়ে চলায় বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বন্ধের দিন হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। তবে শীতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পেশাজীবী মানুষ।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে গত দুদিন ধরে বরিশালে সূর্যের দেখা নেই। ফলে মেঘলা আকাশ ও ঘন কুয়াশায় শীতের তাপমাত্রাও বেড়েছে। আগামী ২-৩ দিনে বরিশাল অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত। ছবিটি তুলেছেন এন আমিন রাসেল

গত বুধবার দুপুরের পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, গত দুদিন ধরেই বরিশালে সূর্যের দেখা নেই। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ রয়েছে। এ কারণে আকাশ মেঘলা। তার ওপর এখন শীতকাল হওয়ায় ঘন কুয়াশা রয়েছে। এসব কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি মৌসুমে এখনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়নি বরিশালে। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রাকে শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তবে সূর্যের আলো না থাকায় দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

অপরদিকে বরিশাল নদীবন্দরে দেখা যায়, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ে নৌযান ছেড়ে গেলেও ঘন কুয়াশার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে এক থেকে দুই ঘণ্টা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথেও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

এদিকে শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শীতে মানুষ অ্যালার্জি ও সর্দি-কাশিসহ নানা ধরনের রোগাক্রান্ত হতে পারে। এজন্য সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মোটা পোশাক পড়তে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের যত্নের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুদের ভেজা জায়গায় যেমন রাখা যাবে না, তেমনি সব সময় মোটা কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে একই দৃষ্টি রাখা জরুরি। প্রয়োজনে তাদের ফুটানো পানি পান করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সূত্র :বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বন্দর এলাকা থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ৯ হাজার ৯ সত ৩ পিচ ইয়াবাসহ এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।

সুত্রে জানা যায় ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই কাজী ওবায়দুল কবীর, এএসআই রাজিব চন্দ্র পাল, মোঃ ইখতিয়ার খান,মোঃ জিয়াউল,মোঃ রিয়াজ,ইমরানুল হক ও মোসাঃ ফারজানা আক্তার নিশি মিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বন্দরের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় নারী মাদক কারবারি শান্তনা আক্তার(২৫)কে তল্লাশি চালিয়ে প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ির ভিতর থেকে ৯ হাজার ৯সত ৩ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে ।

গ্রেফতারকৃত ইয়াবা কারবারি শান্তনা আক্তার বরিশাল জেলার কাউনিয়া উপজেলার কাকাশুরা গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মোঃ সুরুজ হাওলাদারের স্ত্রী ও মৃত হাচান সরদারের মেয়ে।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই কাজী ওবায়দুল কবির বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযুক্ত নারী মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং মাদক কারবারিকে বরিশাল ডিবি কার্যালয় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার লাখো শহীদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো। ’

নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে তিনি বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফরের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন ও ডাক্তরাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফর ৷

পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, কমর্কতা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। উক্ত সভায় মহাপরিচালক সকল পক্ষের কথা শোনেন এবং সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন সহ শিশু সার্জারী ও শিশু বিভাগ পরিদর্শন করেন। নির্মানাধীন ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফর।

এদিকে দুপুরে পরিচালক স্বাস্থ্যের কার্যালয়ে বরিশাল বিভাগের সকল জেলার সিভিল সার্জনদের সাথে মত বিনিময় করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এই স্লোগান নিয়ে আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর আয়োজনে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও তারুণ্যের উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল লুসিকান্ত হাজং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল মোঃ আলাউল হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরাসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুধিজন প্রমূখ।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত উৎসব চলবে। শুভ উদ্বোধন শেষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বেলস পার্কে গিয়ে শেষ হয় পরে সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং মশক নিধন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

 

বিনোদন ডেস্ক :
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

একের পর এক সিনেমায় কাজ করে চলেছেন।
ঢালিউডের পর টলিউডে পা দিয়েও সুপারহিট ইধিকা। দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘খাদান’ সিনেমাও ব্লকবাস্টার এই নায়িকার।

ছোট পর্দা থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল ইধিকার। এরপর শাকিবের ‘প্রিয়তমা’, সবশেষ দেবের ‘কিশোরী’। দুই পরিচয়েই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জনপ্রিয়তা পেতেই তাকে নিয়েও ভক্তমহলে তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল।

শোনা যাচ্ছে, টলিপাড়ার খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষের সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছেন ইধিকা। সম্প্রতি তারা হিমাচলের ছিটকুলে একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিলেন। তবে একা নয়, তাদের সঙ্গী ছিলেন কিছু বন্ধু-বান্ধবও।

তাদের দু’জনের পাহাড়ের ওপর কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিগুলো দেখেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অধিকাংশ নেটিজেনেরই প্রশ্ন, কার সঙ্গে প্রেম করছেন ইধিকা?

এর আগে তথাগত ঘোষের সঙ্গে একাধিক অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। এবার নাম জড়ালো ইধিকার সঙ্গে। যদিও নিজের প্রেম নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশালের খবর অনলাইন ডেস্ক :আগামীকাল সোমবার থেকে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। ‘নতুন বিপিএল’, কথাটা গত কয়েকদিনে ঘুরেফিরে অনেকবারই শোনা গেছে বিসিবি কর্মকর্তাদের মুখে।

বিপিএলের গ্রাফিতি ও নতুন করে করা হয়েছে থিম সং। বিসিবির সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল তিন শহরে কনসার্ট করা। বিপিএলের তিন ভেন্যু- ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে হয়েছে কনসার্ট। ঢাকায় গেয়েছেন পাকিস্তানের তারকা শিল্পী রাহাত ফতেহ আলি খান।

বিপিএলের এসব নতুনত্ব নিয়ে কথা বলেছেন তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন করা ফরচুন বরিশালে এবারও আছেন তিনি। বিপিএলে নতুন কী দেখতে পান? টুর্নামেন্টের আগের দিন তার কাছে প্রশ্ন ছিল এমন।

উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমি সত্যি কথা বলতে অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের টুর্নামেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে, কনসার্ট বা অন্য কিছুতে না।’

‘ক্রিকেটে যদি বিনিয়োগ করি, টুর্নামেন্টে যদি বিনিয়োগ করি; তখন আমরা বলতে পারবো যে এটা নতুন করে বিপিএল। কনসার্ট আগেও হয়েছে, এখনও হয়েছে; দারুণ একটা অনুষ্ঠান হয়েছে যা দেখেছি, আমি ছিলাম না দেশে।’

বিপিএলে প্রতিবারই উইকেট নিয়ে প্রশ্ন থাকে। সম্প্রচারের মান নিয়েও সমালোচনা হয় প্রতিনিয়ত। এসব সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে মাঠে ক্রিকেটাররা ভালো খেলতে পারলেই টুর্নামেন্ট সফল হবে বলে মনে করেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘এখনও এটা কিছুটা দ্রুত হয়ে যায় মন্তব্য করা, কারণ আমি জানি না কালকে কী আছে আমাদের জন্য। এটাও ফেয়ার হবে না আমি একটা কমেন্ট করে দিলাম যেটা খারাপভাবে গেল। আমি এতটুকু বলতে পারি, কেউ যদি আমার কাছে পরামর্শ চায়, আমি এতটুকু বলবো যে যদি আপনি বিপিএল পরিবর্তন করতে চান; টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেটে বিনিয়োগ করুন।’

‘ক্রিকেটটা কেমন হবে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়রা কেমন খেলছে। এটা তো আসলে যারা আয়োজক তাদের হাতে কিছু থাকে না। তাদের হাতে কী থাকে, সেরা ফ্যাসিলিটিজ দেওয়া, সেরা উইকেট দেওয়া, নিশ্চিত করা সেরা ধারাভাষ্যকার, ক্যামেরা ও টেকনোলজি যেটা এভেইলেবল, তা পাওয়া। এটা হলো যারা দায়িত্বে বসে আছেন তাদের কাজ।’

‘কিন্তু উনারা কোনোদিন এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না আসলে। খেলা দুইশ রানের হবে নাকি ৬০ রান-৬০ রানের হবে, ওটার দায়িত্ব দল ও খেলোয়াড়দের নিতে হবে। এটার বাইরে যেগুলো, এগুলো উনাদের দায়িত্ব। উনারা যদি উনাদের কাজটা ভালো মতো করেন, আমরাও যদি আমাদের কাজ ভালো মতো করি তাহলে সফল টুর্নামেন্ট হবে।’
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরগুনা প্রতিনিধি :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে প্রেম হয় বরগুনা থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নিলয় এবং আনিকার।

এ যেন মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমানের ‘প্রেম ও বিদ্রোহের মিছিল’ কবিতার প্রথম দুই লাইনের মতো – ‘মিছিলেও প্রেম হোক, ভেঙে যাক মোহ।

তুমি সাজো ব্যারিকেড, আমি বিদ্রোহ’। কবিতার এই পংক্তির বাস্তব রূপটাই দিলেন নিলয়-আনিকা।

বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় (২২)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের বরগুনার সমন্বয়কারী। বরগুনা সদরের হাইস্কুল সড়কের মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তিনি। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন নিলয়।

অন্যদিকে, বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা (২০)। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগে পড়ছেন তিনি।

৫ মাসের প্রেম শেষে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এ প্রেমযুগল। এদিন আসর নামাজ শেষে দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদে কাবিন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বিপ্লবী দুই যোদ্ধার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফুল, স্নিগ্ধতা এবং গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান’। সেই আয়োজনটা অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশের মতো উত্তাল ছিল বরগুনাও। জেলার সব স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সে সময় আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে নিলয় অন্যতম।

জুলাই মাসের শেষের দিকের কথা, আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। ঠিক সে সময় একে অপরের প্রেমে পরে যান নিলয় ও আনিকা। কিন্তু এই ক্রান্তিলগ্নে সবার আগে দেশ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর দেখা যাবে – এই ভেবে দুজনের কেউ কাউকে মনে কথা জানায়নি।

কিন্তু মনের গহীনে জন্ম নেওয়া ভালোবাসা তো সব যুক্তি মানতে নারাজ। একে অপরের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার কথা প্রকাশ পেয়েই যায় এক সময়।

তবে বিয়েটা সেরেছেন কথামতোই। ফ্যাসিস্ট পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন গত ৫ মাস ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এলো তখনই বিয়ের আয়োজন করলেন এ তরুণ জুটি।

তাদের এই বন্ধনে খুশি স্থানীয়রাও। তারা বলছেন, আজকার এই ছাড়াছাড়ির যুগে বছরের পর বছর সম্পর্কে থাকার পরেও মানুষ একজন আরেকজনকে ছেড়ে যায়। সেখানে মাত্র পাঁচ মাসের সম্পর্কে একে অপরকে চিনেছেন, জেনেছেন, বুঝেছেন, ভালোবেসেছেন নিলয়-আনিকা।

এদিকে জীবনের নতুন অধ্যায়ে যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এ নবদম্পতি।

ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের পরিচয় হয়েছিল এবং আমরা দুজন দুজনকে পেয়ে সত্যি খুব খুশি, আলহামদুলিল্লাহ। এই পূর্ণতার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ পেয়েছি যে নিলয় কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।

মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এই প্রেম জীবনে এসেছিল বলেই আজ আমি সত্যি আনন্দিত এবং এই পূর্ণতা আমাদের ভালোবাসার সত্যতার এবং পবিত্রতার প্রমাণ।