রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দ্রুত বাড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রাণিজ প্রোটিন। সকল ধরনের লাল মাংস; যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা আয়রণের সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর একটি। আয়রণ হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য জরুরি। মুরগির মাংস লাল মাংস না হলেও তাও দেহকে বিশাল পরিমাণে আয়রণ সরবরাহ করতে পারে।

হিমোগ্লোবিন হচ্ছে শরীরে অক্সিজেনবাহী লৌহসমৃদ্ধ মেটালোপ্রোটিন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেলেই পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন পাওয়া যায়। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, এমন ধারনা ঠিক নয়।

 

 

ডায়েটিশিয়ান ফারাহ্ দীবার পরামর্শ—

রক্তে হিমোগ্লোবিন অনেক কারণেই কমে যেতে পারে। এর মধ্যে খাবারের ম্যাল নিউট্রেশন বা অপুষ্টি অন্যতম একটি কারণ। খাবারের অনেকগুলো উপাদান আছে যেগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। এর মধ্যে ভিটামিন সি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শুধু আয়রন খেলেই হিমোগ্লোবিন বাড়বে এমন কোনো কথা নেই। অ্যানিমেল সোর্স বা প্রাণীজ উৎস থেকে খাবার খেলে হিমোগ্লোবিন দ্রুত বাড়ে। যেমন— গরু, খাসির মাংস। গরুর কলিজা, মুরগির কলিজা। এগুলো খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দ্রুত বাড়ে।

 

উদ্ভিজ উৎস থেকেও রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপাদান পেতে পারেন। যেমন— কচুর শাক, কচুর লতি, কলমি শাক; এগুলোর সঙ্গে অবশ্যই ভিটামিন সি হিসেবে একটি লেবু বা একটি কাঁচামরিচ খেতে হবে।

ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতা পাটায় পিষে এর সঙ্গে ভিটামিন সি হিসেবে কাঁচামরিচ, তেঁতুল, একটু রসুন এবং আদা যদি যুক্ত করেন তাহলে এটা আপনার খাবারের রুচিও বাড়াবে এবং খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করবে।
আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সামগ্রিক উন্নয়ন, বিশেষায়িত জ্ঞানের চর্চা এবং অর্থ উপার্জন এই লক্ষে আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো কর্মক্ষেত্রে যুক্ত থাকি। আমাদের পেশা আমাদের প্যাশন হোক বা না হোক কর্মক্ষেত্রে আমরা আমাদের পুরোপুরি সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমাদের দক্ষতা দেখাতে চাই এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত এবং মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দনি বাদে প্রতিদিন আটঘণ্টা সময় অফিসে কাজ করি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে কর্মে এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার যখন আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ থাকি বা কোনো মানসিক বিষয় নিয়ে খুব স্ট্রাগল করি তখন এর নেতিবাচক প্রভাব আমাদের কাজের ওপর পড়ে, একইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও পড়ে।

 

 

সাইকোলজিস্ট মিথিলা খন্দকার বলেন, ধরা যাক একজন মানুষ অফিসে ঠিকঠাক কাজ করার জন্য ভেতর থেকে কোনো উৎসাহ বা আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। বা কাজ করতে গেলেই তার মনে হতে পারে আরেকটু পরে করবো। তিনি হয়তো অল্পতেই খুব ক্লান্তি অনুভব করছেন। যে কারণে তিনি সময় মতো কাজ শেষ করতে পারছেন না। আবার ছোট ছোট বিষয়ে তিনি রাগ প্রকাশ করছেন। এর অর্থ হলো তিনি মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। এবং ধীরে ধীরে মানসিক শক্তি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

মিথিলা খন্দকারের পরামর্শ—

 

আপনি যে স্ট্রাগলগুলো ফেস করছেন সেটা আপনার সুপারভাইজার বা আপনার বসকে বলুন। তিনি অবশ্যই আপনার পাশে থাকবেন এবং কোনো না কোনো উপায় বের হয়ে আসবে।

যে বিষয়গুলো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আঘার করছে সেগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। সমস্যাগুলো কখন, কোন কারণে হচ্ছে; সে সব ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতেও মানসিক সমস্যার মোকাবিলার শক্তি খুঁজে পাবেন।

 

অনেক সময় আমরা আন-হেলদি কিছু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলি। যেমন—সিগারেট খাওয়া, মাদক সেবন করা বা অধিক পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাওয়া; এসব অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যকে আলটিমেটলি লং টার্ম হ্যাজার্ডের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

স্ট্রেচ ম্যানেজমেন্ট করার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে পনেরো মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। ইয়োগা করতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখতে পারেন। গান শুনতে পারেন।

এরকম একটা টাইমলাইন সেট করে নিতে পারেন যেমন— অফিস থেকে ফেরার পরে অফিসের কোনো ই-মেইল চেক করবেন না।

 

ডিনার করার সময় কারও ফোন রিসিভ করবেন না। এটা আমাদের যেকোন একটি কাজে ফোকাস করতে সহায়তা করবে।

আমরা এখন অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করে থাকি। একটি একটি করে কাজ শেষ করুন। এতে মাল্টি টাস্কিংয়ের যে স্ট্রেচ এটা আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। নিজেকে একটু রিচার্জ করার জন্য ওয়ার্ক রিলেটেড কাজগুলো সপ্তাহের একদিন পুরোপুরি বাদ দিতে পারেন। একটা হেলদি আবহাওয়ায় দিনটা কাটানোর চেষ্টা করুন। এরপরে দ্বিগুণ পরিমাণ শক্তি নিয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন।