চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে পৌছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউ জিল্যান্ডকে ১৩ রানের ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে দেশটির কিংবদন্তি ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে গেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার নিকোলাস পুরান।

 

 

ম্যাচে ১৭ রান করে আউট হয়েছেন পুরান। এই রান করার মধ্যে দিয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পুরান। তার রান এখন ১৪১৯। এতোদিন ১৮৯৯ রান নিয়ে শীর্ষে ছিলেন গেইল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ ম্যাচ খেলেছেন গেইল। ২৭.৯২ গড় এবং ১৩৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ১৮৯৯ রান করেছেন এই তারকা। ১৪টি হাফসেঞ্চুরি ও দুইটি সেঞ্চুরি করা এই তারকা এবারের বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং ও উসাইন বোল্টের সাথে পালন করছেন অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব।

 

অন্যদিকে গেইলকে টপকাতে ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে পুরানের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পুরান খেলেছেন ৯১ ম্যাচ। তাতে ২৫.৫২ গড় এবং ১৩৪.০৩ স্ট্রাইক রেটে এই বাঁহাতির রান এখন ১৯১৪। সেঞ্চুরি না থাকলেও ১১টি হাফসেঞ্চুরি আছে তার।

ম্যাচে শেরফান রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩৯ বলে ছয়টি ছক্কা ও দুইটি চারে অপরাজিত ৬৮ রান করেন রাদারফোর্ড। ম্যাচসেরাও হয়েছেন এই ব্যাটার। এই জয়ে সুপার এইটে উঠলো ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে টানা দুই হারে বিদায়ের পথে নিউ জিল্যান্ড।

বিনোদন ডেস্ক :
আমি অনুভব করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ কাজটি করানোর জন্য ঐশ্বর আমাকে নির্বাচন করেছেন। সংগীতের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজও করছেন ভারতের শ্রোতাপ্রিয় গায়িকা পলক মুচ্ছাল। তার উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৩ হাজার শিশুর হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন।

কয়েক দিন আগে ভারতের ইন্দোরের বাসিন্দা অলোক সাহুর হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এটি ছিল ৩০০০ তম অস্ত্রোপচার। ৮ বছর বয়সি শিশুটির অস্ত্রোপচারের সময়ে অপারেশন থিয়েটারেও উপস্থিত ছিলেন পলক। তারই একটি ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এই সংগীতশিল্পী।

ভিডিওর ক্যাপশনে পলক লেখেন, ৩ হাজার জীবন রক্ষা পেয়েছে। অলোকের সুস্থতায় দোয়া করার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। তার অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে।

অনেক আগে থেকে পলক এই উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে পলক বলেন, আমি যখন এই মিশন শুরু করি, তখন এটি একটি ছোট উদ্যোগ ছিল। প্রথমবার ৭ বছরের একটি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছিলাম। এখন এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মিশনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ৪১৩ জন শিশু অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে।

পলক বলেন, যেসব শিশুর হার্টে সমস্যা। কিন্তু হার্ট সার্জারি করার মতো অর্থ তাদের বাবা-মায়ের নেই, আমি তাদের জন্য কনসার্ট করি। আমি অনুভব করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ কাজটি করানোর জন্য ঐশ্বর আমাকে নির্বাচন করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে হয়েছে এক বোনের সঙ্গে আর কাগজে কলমে তালাক দিলেন আরেক বোন। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের সিন্নিরচর গ্রামের জয়নাল খানের ছেলে শাকিল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কালাম ফরাজীর মেয়ে আয়েশা বেগমের বিয়ে হয় ১০ মাস আগে। কিন্তু বিয়ের ১১ মাস পর একটি তালাকের সংবাদ সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সুখের সংসারে হঠাৎ স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকনামা পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শাকিলের। আরও বড়সড় ধাক্কা খান যখন দেখেন তালাক স্ত্রী আয়েশা দেননি, দিয়েছেন তার বড় বোন সুরাইয়া।

তালাকনামায় আয়েশার জায়গায় কেন তার বোন সুরাইয়ার নাম? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, কাগজেকলমে সুরাইয়ার সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে শাকিলের। আর তার বোন তথা শ্যালিকাকে স্ত্রী ভেবে করেছেন ১১ মাস সংসার!

এ নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছেন শাকিল ও তার পরিবার। কারণ, আয়েশার বড় বোন সুরাইয়ার স্বামী ও ২ সন্তান রয়েছে। তাই ভুল শুধরে তাকেও ঘরে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। ওদিকে, সংসার করলেও আয়েশার সঙ্গে তো বিয়েই হয়নি শাকিলের। কাগজেকলমে শ্যালিকার সঙ্গে এতোদিন সংসার করেছেন তিনি।

এমন গোলমেলে পরিস্থিতিতে তালাকের কাগজ গ্রহণ করতে রাজি হননি শাকিল।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ শাকিল বলেন, বাস্তবে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে কাবিননামায় লেখা রয়েছে আয়েশা নয়; আমার বিয়ে হয়েছে সুরাইয়ার সঙ্গে। তিনি সম্পর্কে আমরা স্ত্রীর (আয়েশার) বড় বোন। বিয়ের পর আয়েশার সঙ্গে ঘর সংসারও করি। তবে দীর্ঘদিন পর আয়েশা আমার সংসার ছেড়ে চলে গেছে। আর সুরাইয়া আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতি করেছে। পরিবারসহ আমার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

শাকিলের বাবা জয়নাল খান বলেন, বিয়ের সময় কাজীকে যে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, উনি তা দেখেই লিখেছেন, আমরা তো আর বিষয়টি খতিয়ে দেখিনি। বউ ফিরতিতে বাবার বাড়ি নেওয়ার পর আর তারা দিতে চায়নি। আমি ছেলের বউকে তাদের বাড়ি থেকে কয়েকবার আনতে গেলেও তারা দেয়নি। পরে কাবিননামা তুলে দেখি ছেলের বউয়ের নাম সুরাইয়া লেখা। আর বিয়ের সময় শুনছি বউয়ের নাম আয়েশা।

এদিকে কনের মা বিবি হাজেরা বলেন, আয়েশার বিয়ের কাবিনের কাগজ ওঠানোর পর দেখি সেখানে সুরাইয়ার নাম লেখা। এ ঝামেলা যে কাবিননামা তৈরি করেছে তার কারণে হয়েছে।

আয়েশার বড় বোন সুরাইয়া বলেন, আমার সংসারে দুই সন্তান আছে। কাবিন আয়েশার নামে করার কথা থাকলেও তা আমার নামে করা হয়েছে। কাবিন ওঠানোর পর বিষয়টি আমরা দেখতে পাই। আর এ কাজ কাজী করেছে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ না হওয়ায় বড় মেয়ে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন দিয়ে ছোট মেয়ের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। আর বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানতো। এখন জানাজানি হওয়ায় তার নানান জনের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

এদিকে বিয়ে ও তালাকের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজী এ কে এম সিরাজুল ইসলাম।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফরাজী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার কাছে কিংবা গ্রাম আদালতে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ জানালে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রেন টিউমারের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ হতে পারে। অনেক সময় সাধারণ লক্ষণগুলো সহজে চেনা যায় না। ফলে চিকিৎসা নিতে দেরি হয়ে যায়। তাই সাধারণ লক্ষন দেখা দিলেও অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। কারণ দেরি করলে তখন অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই আগেভাগে লক্ষণ জেনে নেওয়া জরুরি। এতে লক্ষণ চেনা এবং চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেন টিউমারের লক্ষণ-

অনবরত মাথাব্যথা

আপনার কি মাথাব্যথা লেগেই থাকে? তাহলে এটি সাধারণ সমস্যা মনে করে এড়িয়ে যাবেন না। বরং মারাত্মক কোনো সমস্যার কারণ হতে পারে এটি। তাই একটানা মাথাব্যথা থাকলে বিশেষ করে যা কাশির সঙ্গে কিংবা সকালে বাড়ে এমন মাথাব্যথা হলে হতে পারে তা টিউমারের লক্ষণ। তাই এ ধরনের সমস্যায় সতর্ক হোন।

ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন

আপনি হয়তো আগে অনেক হাসিখুশি ছিলেন কিন্তু ইদানিং অনেকটাই চুপচাপ হয়ে যাচ্ছেন। বিরক্তি, উদাসীনতা বা অনুপযুক্ত আচরণ, মানসিক নিয়ন্ত্রণ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী নির্দিষ্ট মস্তিষ্কের টিউমার হতে পারে। তাই আচরণে বড় ধরনের পরিবর্তন এলে সতর্ক হোন।

দৃষ্টিতে সমস্যা

ব্রেন টিউমারের কারণে দৃষ্টিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অপটিক স্নায়ু, পিটুইটারি গ্রন্থি বা ওসিপিটাল লোবকে প্রভাবিত করে এমন টিউমার ডাবল ভিশন, ঝাপসা দৃষ্টি অথবা এক বা উভয় চোখে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ দৃষ্টি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনার যদি দৃষ্টিতে সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

দুর্বলতা

দুর্বলতা নানা কারণেই হতে পারে। এই সমস্যা মানেই ব্রেন টিউমার নয়। তবে ব্রেন টিউমারের অন্যতম লক্ষণ হলো দুর্বলতা। তাই কোনো কারণ ছাড়াই দুর্বলতা লেগে থাকলে কিংবা শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসাড়তা অনুভব করলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। হতে পারে এটি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

পিটুইটারি বা হাইপোথ্যালামিক টিউমার হরমোনের সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে, যে কারণে অকারণেই অনেকটা ওজন বেড়ে কিংবা কমে যায়। সেইসঙ্গে তৃষ্ণা বা প্রস্রাবের ধরনেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন এবং দ্রুত চিকিৎসা নিন।

আদা একটি উপকারী ভেষজ একথা সবারই জানা। কিন্তু এটি খালি পেটে খাওয়া কতটা উপকারী তা কি জানেন? জন্স হপকিন্স মেডিসিন অনুসারে, আদার উপকারিতা পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায় হলো আদার রস বা চা তৈরি করে খাওয়া। আদার রস একটি উপকারী পানীয়। এই পানীয় নিয়মিত পান করলে তা ভালো হজমে সহায়তা করে। আদার রসের সঙ্গে লেবু এবং মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে বেশি সুস্বাদু লাগবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে আদার রস খাওয়ার উপকারিতা-

হজম শক্তি বাড়ায়

আদা তার হজম উপকারিতার জন্য বিখ্যাত। খালি পেটে আদার রস পান করলে তা হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে, এটি হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এটি পেট ফাঁপা, বদহজম এবং অন্যান্য অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগে ভরপুর যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি আমাদের শরীরকে অসুস্থতার সাথে লড়াই করতে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

 

মর্নিং মেলোনেস

বমি বমি ভাব? আদার সুপরিচিত অ্যান্টি-বমিভাব বিরোধী বৈশিষ্ট্য সকালে বিশেষত সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি মোশন সিকনেস বা অস্থিরতা অনুভব করেন।

এন্টি-ইনফ্লেমেটরি অ্যাডভান্টেজ

বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয়ে থাকে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ প্রতিরোধ করতে কাজ করে এটি।

সার্কুলেশন বুস্টার

আদা রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে পারে। এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে উপকৃত করে এবং ভাস্কুলার জটিলতার ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত সকালে খালি পেটে আদার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।

প্রাকৃতিক ব্যথা উপশম

আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাসিকের ক্র্যাম্প এবং পেশী ব্যথা সহ ব্যথা উপশমেও সাহায্য করতে পারে। তাই আদাকে প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকেরই। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরপরই। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অনেকে ওষুধের দ্বারস্থ হন। তাতে সাময়িক আরাম মেলে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। এর বদলে খাবারের তালিকার দিকে খেয়াল রাখলে খুব সহজেই বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. চর্বিহীন প্রোটিন

মুরগির মাংস, মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো চর্বিযুক্ত প্রোটিন উচ্চ চর্বিযুক্ত মাংসের তুলনায় অ্যাসিডিটি বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। রান্নার কিছু পদ্ধতি যেমন গ্রিলিং, বেকিং বা স্টিমিং চর্বি কমাতে পারে, যা হজম সহজতর করে তোলে।

২. দানা শস্য

দানা শস্য যেমন বাদামি চাল, গমের রুটি এবং কুইনোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যকর হজম বাড়িয়ে দেয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলো রক্তে শর্করার বৃদ্ধি না করেই শক্তির একটি স্থির উৎস সরবরাহ করে।

৩. মাটির নিচের সবজি

মিষ্টি আলু, গাজর এবং বীটের মতো সবজি ক্ষারীয় এবং কম চর্বিযুক্ত, যা বুক জ্বালাপোড়ায় আক্রান্তদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে। এছাড়াও এ ধরনের সবজিতে থাকে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি। যেগুলো আপনার শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করবে।

৪. ভেষজ চা

কিছু ভেষজ চা বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ভেষজ চা প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং খাদ্যনালীর আস্তরণ রক্ষা করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে পেপারমিন্ট চা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মাঠে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ২২ গজে বড্ড অচেনা রূপে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুপারস্টার। ব্যাটে রান নেই। বলে নেই উইকেট। ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে এমন সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরল!

 

 

মাঠের সেই দ্যুতিহীন পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়েও। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন। অথচ এক সপ্তাহে সাকিব পিছিয়ে গেছেন চারধাপ। একেবারে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছেন। বাংলাদেশের তারকা বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারে এটি এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন র‍্যাঙ্কিং।

আজ বুধবার (১২ জুন, ২০২৪) আইসিসি পুরুষ ক্রিকেটারদের র‌্যাংকিংয়ে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের মধ্যে চারধাপ পিছিয়ে গেছেন সাকিব। তার বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ২০৮। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ রান করে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে সাকিবের। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন মাত্র ৩ রান। দুই ম্যাচেই শর্ট বলে শেষ তার ইনিংস।  ৪৭ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করা সাকিব এখনও পাননি কোনো উইকেট। প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স না করায় তার সমালোচনা হচ্ছে প্রবল।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নেদারর‌্যান্ডসের বিপক্ষে। কিন্তু ডাচদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সাকিব পেলেন দুঃসংবাদ। অবশ্য র‌্যাংকিং নিয়ে এখন তার চিন্তা করার সময় কই। সামনে দলকে সুপার এইটে তোলার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জিতে গেলে আপনা-আপনি আবার র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

বড় লাফ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস। টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে নবীর অবস্থান এক নম্বরে। ২৩১ রেটিং পয়েন্টে তার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ২২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেমেছেন তিন নম্বরে। তার রেটিং পয়েন্ট ২১৬। ২১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো চার নম্বরে আছেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।

 

এদিকে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাওহীদ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ বলে ৪০ ও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন। ৩২ ধাপ এগিয়ে তাওহীদের অবস্থান ২৭ নম্বরে। এছাড়া ছন্দে ফেরা মোস্তাফিজ এগিয়েছেন ১০ ধাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে ১৩ নম্বরে অবস্থান করছেন।

এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ১৯ নম্বরে এবং রিশাদ হোসেন ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে উঠে এসেছেন।

১০ রানে বিদায় নেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। আনপ্রেডিক্টেবল নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবশ্য এই দুজনের উইকেট দ্রুত নেওয়া ছাড়া আর কোনো চমক দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ভারত।

 

 

তাতে অবশ্য কিছুটা সুবিধা হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের। ভারতের বড় জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট কমে পাকিস্তানের নিচে এসেছে। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান যদি জেতে আর যুক্তরাষ্ট্র যদি হারে তাহলে রানরেটের হিসেবেই যে দুই দলের সুপার এইটের অবস্থান পোক্ত করবে।

৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের রানরেট ১.১৩৭। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট ০.১২৭ আর ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের রানরেট ০.১৯১। শেষ ম্যাচে দুই দলের প্রতিপক্ষই আয়ারল্যান্ড।

 

নিউ ইয়র্কে প্রথম বল থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১১০ রান করে। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নীতিশ। ২৪ রান আসে টেলরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ১৫ ও জোন্স ১১ রান করেন। শ্যালকউইক ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরশদীপ সিং। বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় বোলারের এটি সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে অশ্বিন ১১ রানে ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া হার্দিক ২ ও অক্ষর প্যাটেল ১ উইকেট নেন।

তাড়া করতে নেমে ভারতও সুবিধা করতে পারেনি। ১০ রানে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। বিরাট কোহলি ০ রোহিত শর্মা ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর হাল ধরা ঋষভ পান্ত আউট হলেও আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত।

 

সুরিয়া কুমার যাদব ও শিবাম দুবের ৬৫ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। সুরিয়া ৫০ ও দুবে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের জুটি ভাঙতে পারছিল না সঙ্গে জরিমানা গুণতে হয় ৫ রান। ওভার শুরু করতে ৩ বার নির্ধারিত ৬০ সেকেন্ডের বেশি পার করায় ভারতের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হয়।  যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ২ উইকেট নেন সৌরভ নেত্রাভালকার। ম্যাচ সেরা হন আরশদীপ।

যারা পার্কে হাঁটেন অথবা দলবেঁধে রাস্তায় হাঁটতে বের হন, তারা অনেকেই হাঁটার সময় একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন। আবার একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে একজনের সঙ্গে অন্যজনের অনেক সময় খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এদের ক্ষেত্রে দেখা যায় হাঁটার পরে গল্প করতে করতে অনেক রকম খাবার খেয়ে ফেলেন। দলগতভাবে যাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় তারা মাঝে মধ্যে হাঁটার পরে ওয়ান ডিস পার্টিতে অংশ নেন। এসব অভ্যাস থাকলে হেঁটে কাঙিক্ষত ক্যালরি কমাতে ব্যর্থ হতে পারেন।

 

 

এভারকেয়ার হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ— যারা দলগতভাবে হাঁটেন এবং হাঁটার সময় কথা বলেন তাদের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিত। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আপনি পরিমাণ মতো হাঁটলে কোলেস্টরেল কমে আসবে। কেননা নির্দিষ্ট রিদমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা অতিক্রম করতে পারলেই কিন্তু আপনি আপনার ক্যালরি বার্ন করতে পারবেন। অনেকে আছে হাঁটার সময় একটু স্লো হচ্ছেন, গতি একবার বাড়ছে, একবার কমছে; এগুলো আসলে সঠিক ব্যায়ামের মধ্যে পড়বে না।

একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে হাঁটতে বের হলে চুপচাপ হাঁটা শেষ করুন। এরপর একসঙ্গে বসে কিছু সময় গল্প করতে পারেন। হাঁটার উপকারিতা পেতে টানা ৩০ মিনিট হাঁটা শেষ হলে বসে পানি পান করতে পারেন। ডাবের পানিও খেতে পারেন। এ ছাড়াও খেতে পারেন বাদাম অথবা ঘরে তৈরি লাচ্ছি।

 

হাঁটতে যাওয়ার আগে মানসিকভাবে এসব প্রস্তুতি রাখা দরকার। সঙ্গে পানি রাখতে পারেন। তবে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। একটু কোথাও বসে পানি পান করবেন। সঙ্গে একটি সুতির টাওয়াল রাখতে পারেন। যেটা দিয়ে ঘাম মুছে ফেলতে পারেন। যাদের অ্যাজমা আছে বা ডাস্ট অ্যালার্জি আছে তারা অবশ্যই মাস্ক মুখে রাখবেন। হাঁটার মাঝে মাঝে একটু জগিং করলে অনেক বেশি ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব। হাঁটার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে হাত নাড়াবেন। এতে হাতেরও ব্যায়াম হবে।

মনে রাখতে হবে হাঁটার পরে ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো।

একজন খারাপ বস কর্মীর কাজের উৎসাহ নষ্ট করে দিতে পারেন। কিন্তু একজন ভালো বস  কর্মীর কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফার্স্ট কোম্পানির প্রতিবেদনে ভালো বসের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।

 

 

১. খারাপ বসদের সম্পর্কে একটি অভিযোগ পাওয়া যায় যে, তারা কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না। ভালো বসরা বিশ্বাস করেন। তারা কর্মী কেমন— সেই চিন্তায় সময় নষ্ট না করে তাদের কাজের ফলাফলের ওপর দৃষ্টি রাখেন।

২. ভালো বস কখনো একনায়ক হয়ে ওঠেন না। তারা কর্মীকে যুক্তিসঙ্গত কাজের চাপ দেন। প্রয়োজনের সময় সাহায্য করেন। একজন কর্মীকে দলের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন করেন।

 

৩. একজন ভালো বস কর্মীর অগ্রগতি উদযাপন করেন। প্রয়োজনে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দেন। একজন খারাপ বস কখনও কাজের স্বীকৃতি দেন না। তখন একজন কর্মীর মনে হয় যে প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার কোনো মানে নেই।

৪. একজন ভালো বসের কাছে একজন কর্মচারী প্রথমত একজন মানুষ। একজন ভালো বস একজন কর্মীকে সম্মান দিতে জানেন। প্রয়োজনে দয়া এবং নমনীয়তা দেখান। প্রয়োজনের সময় একজন কর্মীর ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।

 

৫. একজন ভালো বস তার কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন। তিনি কখনো অস্পষ্ট নির্দেশনা দেন না। কোনো বিষয়ে তার অজানা থাকলে স্বীকার করে নেন।