মাঠে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ২২ গজে বড্ড অচেনা রূপে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুপারস্টার। ব্যাটে রান নেই। বলে নেই উইকেট। ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে এমন সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরল!

 

 

মাঠের সেই দ্যুতিহীন পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়েও। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন। অথচ এক সপ্তাহে সাকিব পিছিয়ে গেছেন চারধাপ। একেবারে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছেন। বাংলাদেশের তারকা বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারে এটি এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন র‍্যাঙ্কিং।

আজ বুধবার (১২ জুন, ২০২৪) আইসিসি পুরুষ ক্রিকেটারদের র‌্যাংকিংয়ে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের মধ্যে চারধাপ পিছিয়ে গেছেন সাকিব। তার বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ২০৮। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ রান করে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে সাকিবের। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন মাত্র ৩ রান। দুই ম্যাচেই শর্ট বলে শেষ তার ইনিংস।  ৪৭ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করা সাকিব এখনও পাননি কোনো উইকেট। প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স না করায় তার সমালোচনা হচ্ছে প্রবল।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নেদারর‌্যান্ডসের বিপক্ষে। কিন্তু ডাচদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সাকিব পেলেন দুঃসংবাদ। অবশ্য র‌্যাংকিং নিয়ে এখন তার চিন্তা করার সময় কই। সামনে দলকে সুপার এইটে তোলার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জিতে গেলে আপনা-আপনি আবার র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

বড় লাফ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস। টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে নবীর অবস্থান এক নম্বরে। ২৩১ রেটিং পয়েন্টে তার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ২২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেমেছেন তিন নম্বরে। তার রেটিং পয়েন্ট ২১৬। ২১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো চার নম্বরে আছেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।

 

এদিকে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাওহীদ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ বলে ৪০ ও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন। ৩২ ধাপ এগিয়ে তাওহীদের অবস্থান ২৭ নম্বরে। এছাড়া ছন্দে ফেরা মোস্তাফিজ এগিয়েছেন ১০ ধাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে ১৩ নম্বরে অবস্থান করছেন।

এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ১৯ নম্বরে এবং রিশাদ হোসেন ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে উঠে এসেছেন।

১০ রানে বিদায় নেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। আনপ্রেডিক্টেবল নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবশ্য এই দুজনের উইকেট দ্রুত নেওয়া ছাড়া আর কোনো চমক দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ভারত।

 

 

তাতে অবশ্য কিছুটা সুবিধা হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের। ভারতের বড় জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট কমে পাকিস্তানের নিচে এসেছে। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান যদি জেতে আর যুক্তরাষ্ট্র যদি হারে তাহলে রানরেটের হিসেবেই যে দুই দলের সুপার এইটের অবস্থান পোক্ত করবে।

৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের রানরেট ১.১৩৭। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট ০.১২৭ আর ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের রানরেট ০.১৯১। শেষ ম্যাচে দুই দলের প্রতিপক্ষই আয়ারল্যান্ড।

 

নিউ ইয়র্কে প্রথম বল থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১১০ রান করে। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নীতিশ। ২৪ রান আসে টেলরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ১৫ ও জোন্স ১১ রান করেন। শ্যালকউইক ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরশদীপ সিং। বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় বোলারের এটি সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে অশ্বিন ১১ রানে ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া হার্দিক ২ ও অক্ষর প্যাটেল ১ উইকেট নেন।

তাড়া করতে নেমে ভারতও সুবিধা করতে পারেনি। ১০ রানে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। বিরাট কোহলি ০ রোহিত শর্মা ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর হাল ধরা ঋষভ পান্ত আউট হলেও আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত।

 

সুরিয়া কুমার যাদব ও শিবাম দুবের ৬৫ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। সুরিয়া ৫০ ও দুবে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের জুটি ভাঙতে পারছিল না সঙ্গে জরিমানা গুণতে হয় ৫ রান। ওভার শুরু করতে ৩ বার নির্ধারিত ৬০ সেকেন্ডের বেশি পার করায় ভারতের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হয়।  যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ২ উইকেট নেন সৌরভ নেত্রাভালকার। ম্যাচ সেরা হন আরশদীপ।

যারা পার্কে হাঁটেন অথবা দলবেঁধে রাস্তায় হাঁটতে বের হন, তারা অনেকেই হাঁটার সময় একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন। আবার একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে একজনের সঙ্গে অন্যজনের অনেক সময় খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এদের ক্ষেত্রে দেখা যায় হাঁটার পরে গল্প করতে করতে অনেক রকম খাবার খেয়ে ফেলেন। দলগতভাবে যাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় তারা মাঝে মধ্যে হাঁটার পরে ওয়ান ডিস পার্টিতে অংশ নেন। এসব অভ্যাস থাকলে হেঁটে কাঙিক্ষত ক্যালরি কমাতে ব্যর্থ হতে পারেন।

 

 

এভারকেয়ার হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ— যারা দলগতভাবে হাঁটেন এবং হাঁটার সময় কথা বলেন তাদের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিত। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আপনি পরিমাণ মতো হাঁটলে কোলেস্টরেল কমে আসবে। কেননা নির্দিষ্ট রিদমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা অতিক্রম করতে পারলেই কিন্তু আপনি আপনার ক্যালরি বার্ন করতে পারবেন। অনেকে আছে হাঁটার সময় একটু স্লো হচ্ছেন, গতি একবার বাড়ছে, একবার কমছে; এগুলো আসলে সঠিক ব্যায়ামের মধ্যে পড়বে না।

একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে হাঁটতে বের হলে চুপচাপ হাঁটা শেষ করুন। এরপর একসঙ্গে বসে কিছু সময় গল্প করতে পারেন। হাঁটার উপকারিতা পেতে টানা ৩০ মিনিট হাঁটা শেষ হলে বসে পানি পান করতে পারেন। ডাবের পানিও খেতে পারেন। এ ছাড়াও খেতে পারেন বাদাম অথবা ঘরে তৈরি লাচ্ছি।

 

হাঁটতে যাওয়ার আগে মানসিকভাবে এসব প্রস্তুতি রাখা দরকার। সঙ্গে পানি রাখতে পারেন। তবে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। একটু কোথাও বসে পানি পান করবেন। সঙ্গে একটি সুতির টাওয়াল রাখতে পারেন। যেটা দিয়ে ঘাম মুছে ফেলতে পারেন। যাদের অ্যাজমা আছে বা ডাস্ট অ্যালার্জি আছে তারা অবশ্যই মাস্ক মুখে রাখবেন। হাঁটার মাঝে মাঝে একটু জগিং করলে অনেক বেশি ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব। হাঁটার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে হাত নাড়াবেন। এতে হাতেরও ব্যায়াম হবে।

মনে রাখতে হবে হাঁটার পরে ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো।

একজন খারাপ বস কর্মীর কাজের উৎসাহ নষ্ট করে দিতে পারেন। কিন্তু একজন ভালো বস  কর্মীর কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফার্স্ট কোম্পানির প্রতিবেদনে ভালো বসের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।

 

 

১. খারাপ বসদের সম্পর্কে একটি অভিযোগ পাওয়া যায় যে, তারা কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না। ভালো বসরা বিশ্বাস করেন। তারা কর্মী কেমন— সেই চিন্তায় সময় নষ্ট না করে তাদের কাজের ফলাফলের ওপর দৃষ্টি রাখেন।

২. ভালো বস কখনো একনায়ক হয়ে ওঠেন না। তারা কর্মীকে যুক্তিসঙ্গত কাজের চাপ দেন। প্রয়োজনের সময় সাহায্য করেন। একজন কর্মীকে দলের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন করেন।

 

৩. একজন ভালো বস কর্মীর অগ্রগতি উদযাপন করেন। প্রয়োজনে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দেন। একজন খারাপ বস কখনও কাজের স্বীকৃতি দেন না। তখন একজন কর্মীর মনে হয় যে প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার কোনো মানে নেই।

৪. একজন ভালো বসের কাছে একজন কর্মচারী প্রথমত একজন মানুষ। একজন ভালো বস একজন কর্মীকে সম্মান দিতে জানেন। প্রয়োজনে দয়া এবং নমনীয়তা দেখান। প্রয়োজনের সময় একজন কর্মীর ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।

 

৫. একজন ভালো বস তার কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন। তিনি কখনো অস্পষ্ট নির্দেশনা দেন না। কোনো বিষয়ে তার অজানা থাকলে স্বীকার করে নেন।

স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। দিনে দুই তিন বারও ব্যাটারি চার্জ দিতে হয়। ঘরের বাইরে গেলে মনে হয়— এই বুঝি চার্জ শেষ হয়ে গেল। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকে ঘরে একটি চার্জার আর অফিসে আরেকটি চার্জার রেখে দেন।ছয় উপায়ে স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

 

 

প্রয়োজন ছাড়াও অনেক সময় ওয়াই-ফাই ও মোবাইল ডেটা খোলা রাখা হয়। এতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। প্রয়োজনের সময় ওয়াই ফাই বা মোবাইল ডেটা খোলা রেখে কাজ শেষ করতে পারেন। বাকিটা সময় ওয়াই ফাই বন্ধ রাখুন। এভাবে ব্যাটারির চার্জ বাঁচানো সম্ভব।

অনেকেই ফোনে লোকেশন দিয়ে রাখেন। ফোনে এই সার্ভিস চালু থাকলে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রেখে স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানো সম্ভব। প্রয়োজন না থাকলে এই সার্ভিসটি বন্ধ রাখতে পারেন।

 

পর্দার বা স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে রাখলে ব্যাটারির চার্জ অল্প সময়ে অনেক বেশি খরচ হতে পারে। এজন্য ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সরিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য ফোনের সেটিংস অপশনে ক্লিক করে ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার অপশনে যেতে হবে। এখান থেকে দেখতে পারবেন কোন কোন অ্যাপ অধিক পরিমাণে ব্যাটারির চার্জ খরচ করছে। বেশি চার্জ খরচ করে এমন অ্যাপগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে পারেন।

 

গান শুনতে শুনতে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে এই অভ্যাস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন বন্ধ রাখতে পারেন।

অনেকে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। নিজে সচেতন ভাবে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করতে পারেন।  এতে আপনার দেহঘড়ি ভালো কাজ করবে। অন্যদিকে ফোনের অ্যালার্ম  সার্ভিস বন্ধ থাকলে চার্জও বাঁচবে।

এবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের প্রার্থীতা বাতিল করলো ইরান। রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও বাদ দেওয়া হয় মাহমুদের নাম।

 

 

১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নিহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্তভাবে ছয় প্রার্থী হচ্ছেন-মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, আলি রেজা যাকানি, আমির হোসেন কাজিজাদেহ হাশেমি ও মোহাম্মদ বাকের কলিবাফ।

 

এদের মধ্যে  মাসুদ পেজেশকিয়ান বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্য। তিনি মোহাম্মদ খাতামির শাসনামলের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মন্ত্রী। মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকারের বিচারমন্ত্রী ছিলেন।
ড. সাঈদ জালিলি ইরানের সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক এবং দেশের নীতি নির্ধারণী পরিষদ সদস্য। তিনি ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইব্রাহিম রাইসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আলি রেজা যাকানি তেহরানের মেয়র ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনিও  ইব্রাহিম রাইসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আরেক প্রার্থী আমির হোসেন কাজিজাদে হাশেমি একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মোহাম্মদ বাকের কলিবাফ হচ্ছেন তেহরানের সাবেক মেয়র ও ইরানের পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ৮০ জন রাজনীতিবিদ ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল বা অভিভাবক পরিষদে নাম নিবন্ধন করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে।

 

সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয় গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এর পরপরই তিনি দেশের পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার কঠোর সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি তিনি প্রকাশ্যে শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিরও সমালোচনা করেন। ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও বাধা দেয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এবারও তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেবে না দেশের শক্তিশালী গার্ডিয়ান কাউন্সিল। শেষ পর্যন্ত সেই ধারণাই সত্যে পরিণত হলো।

টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি শপথ পড়েন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

 

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান মোদি। সেখানে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে টানা তিনবার দায়িত্ব পালন করেছিলেন জহরলাল নেহরু। এই তালিকায় এবার যুক্ত হলো মোদির নাম।

 

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ  প্রমুখ। বলিউড তারকাদের মধ্যে শাখরুখ খান, অক্ষয় কুমার, চলচ্চিত্র পরিচালক রাজকুমার হিরানি প্রমুখ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলীলা। ২০১৯ সালে ‘কিস’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। তবে ২০২১ সালে ‘পেলি সানড়া ডি’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন রোশান মেকা।

 

৮ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ২০ কোটি রুপি। সিনেমাটির জন্য ৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন শ্রীলীলা। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে বেড়ে গেছে তার চাহিদা, বেড়েছে তার পারিশ্রমিকও। শ্রীলীলা এখন ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এবার বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। ‘ডিলার’ সিনেমায় সাইফ আলী খানের পুত্র ইব্রাহিমের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে তাকে।

 

 

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ইব্রাহিম আলী খানের পরবর্তী সিনেমা ‘ডিলার’। সিনেমাটিতে তারকা সন্তান ইব্রাহিমের বিপরীতে রোমান্স করবেন শ্রীলীলা। এ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটবে তার। ইব্রাহিমের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য সম্মতি দিয়েছেন শ্রীলীলা।

‘ডিলার’ সিনেমা পরিচালনা করবেন কুনাল দেশমুখ। প্রেমের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমাটির কাহিনি। আগামী আগস্টে দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। খুব শিগগির এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নির্মাতারা।

 

শ্রীলীলা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন মহেশ বাবু। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। ২০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা আয় করে ১৭১ কোটি রুপি। বর্তমানে তেলেগু ভাষার ‘উস্তাদ ভগত সিং’ সিনেমার কাজ রয়েছে শ্রীলীলার হাতে। হরিশ শঙ্কর পরিচালিত এ সিনেমায় তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন পবন কল্যাণ।

 

২০০১ সালের ১৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীলীলা। সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরবর্তীতে ভারতে ফিরে বড় পর্দায় নাম লেখান শ্রীলীলা।

 

 

রেস্তোরাঁর মালিককে বেধড়ক মারধর করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়ক, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। শুক্রবার (৭ জুন) কলকাতার নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের অভিযোগ সোহম নিজেই স্বীকার করেছেন।

 

 

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিউটাউন সাপুরজি এলাকায় সোহমের শুটিং চলছিল। সেই সময়ে রেস্তোরাঁর বাইরে শুটিংয়ের অনেক গাড়ি রাখা ছিল। হোটেল মালিকের দাবি, তিনি হোটেলের সামনে থেকে অন্তত একটি গাড়ি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। তখন সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, বিধায়কের শুটিং চলছে, তাই আপাতত এখান থেকে কোনো গাড়ি সরবে না। তখনই কড়া ভাষায় গাড়ি সরানোর বিষয়ে রেস্তোরাঁর মালিক বলেন, ‘বিধায়ক বা যেই হোক না কেন, গেট থেকে গাড়ি সরাতে হবে। কারণ আমার গেস্ট আসবে।’ এই নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রথমে তর্ক শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

মারধর করার কারণ ব্যাখ্যা করে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘হোটেলের মালিক ঔদ্ধত্য দেখাতে শুরু করেন। আমি শুনতে পাই উনি বলেছেন, কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই। সবচেয়ে বড় কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাজে কথা বলেছেন। তখন আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়।’

 

ভুল স্বীকার করে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালিগালাজ করায় আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আমাকে এবং আমার দেহরক্ষীকেও কটূক্তি করা হয়। তবে জনপ্রিতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা আমার ঠিক হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।’

সোহম চক্রবর্তী প্রথমে ভুল স্বীকার করেন। কিন্তু পরে শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় নিউটাউন থানায় রেস্তোরাঁর মালিক এবং ম্যানেজারের নামে মামলা দায়ের করেন সোহম। কিন্তু সোহম কেন মামলা দায়ের করলেন?

 

এ বিষয়ে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি তো আর পাগল নই যে, এমনি এমনি মেরে দেব। উনি অর্ধেক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখাচ্ছেন। যেখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত, সেই বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ কেন প্রকাশ্যে আনছেন না?’

অন্যদিকে টেকনো সিটি থানায় রেস্তোরাঁ মালিকও সোহমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।

 

 

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির প্রয়োজন এবং আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভুটানি সমকক্ষকে বলেন, ভুটান থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

 

তিনি বলেন, উভয় দেশ বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কেননা, ভুটান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়।

 

তিনি বলেন, আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং আশা করেন ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

ভুটানের পক্ষে অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি. নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন উপস্থিত ছিলেন।