নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালের গৌরনদী-মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম নির্ধারণ নিয়ে জটিলতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দিয়েছে উত্তেজিত একদল জনতা।

শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কাচিরচরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ব্রিজটি উদ্বোধনের কথা ছিল।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনলাইনে যুক্ত হয়ে ব্রিজটি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উদ্বোধন করার কথা ছিলো। তবে তিনি অনলাইনে যুক্ত হওয়ার আগেই প্রশাসনের সামনে উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাহেবের চর ও মুলাদী উপজেলার নাজিরপুরের মধ্যবর্তী আড়িয়াল নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৬১৯ মিটার দীর্ঘ ‘সৌহার্দ্য সেতু’ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার পরও স্থানীয়দের অন্ধকারে রেখে ‘সৌহার্দ্য সেতু’র নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামকরণ করে শনিবার সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালিয়ে প্যান্ডেল ভাংচুর করেন।

স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, ব্রীজটি নির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এমদাদুল হক মজনু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। যে কারণে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার কারণে অনুষ্ঠান করতে পারেনি আয়োজকরা। বর্তমানে ঘটনাস্থলের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম সরওয়ার জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামে উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেতুটির নাম নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি জানিয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। শনিবার স্থানীয়দের হামলায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল নগরীর দপ্তরখানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে চারটি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তেই তা দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে টিনশেড চারটি দোকানের সব মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসও প্রাথমিকভাবে মনে করছে—বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটই অগ্নিকাণ্ডের কারণ। সৌভাগ্যক্রমে এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে দোকান মালিকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বলে জানা গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সদরে দরিদ্র ও ঝরে পড়া-ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় টিউশন ফি ও সবজি বীজ বিতরণ করেছে ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ ও এফডিসিএস (Family Development for Children with Sponsorship) প্রকল্প। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বরিশাল সিটি করপোরেশনের ডাবলিউসিবি (WCB) এরিয়া অফিসে এ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মানজুরা মুশাররফ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা ধরে রাখতে আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বনির্ভরতার জন্য সবজি বীজ বিতরণ কার্যক্রম প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এফডিসিএস স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিউশন ফি প্রদান ও তাদের পরিবারকে সহায়তার অংশ হিসেবে সবজি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় লাঘবের পাশাপাশি পরিবারের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।

ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ ও এফডিসিএস-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির অর্থায়ন করেছে ইন্টারঅ্যাক্ট সুইডেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকর্তা, উপকারভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আযাদ আলাউদ্দীন। সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হীরার সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল পূর্বআলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবির, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম মোফাজ্জেল ও সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট শাহে আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মামুন-অর-রশিদ।

এতে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সহ অর্ধশতাধি সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা, দীর্ঘায়ু এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালে মাথাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বরিশাল নগরীর  অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মাথাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

মিছিলটি অশ্বিনী কুমার হল চত্বর হয়ে, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজার,  লাইন রোড হয়ে পুনরায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন(জিএসএ) বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ও বরিশাল ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হোসেন মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক  সাকিবুল ইসলাম সাফিন ও রুবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

 

সভাপতির বক্তব্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বলে আসছেন বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই দেশের জন্য একটি নতুন ‘জাতীয় সনদ’ ও একটি প্রকৃত ‘গণতান্ত্রিক ক্ষমতা-কাঠামো’ প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে, এবং ছাত্র ফেডারেশনের শাকিলসহ বহু আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ এর প্রমাণ।

 

তিনি জানান, গত এক বছরে আমাদের দল ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি’ নিয়ে কাজ করছে, যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সংসদকে সংবিধান সংশোধনের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করা জরুরি। সামনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন হওয়া উচিত ‘সংবিধান সভার নির্বাচন’ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন—উভয়ই একসাথে।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শ্রমিক, কৃষক ও খেটে–খাওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানুষের সঠিক হিস্যা নিশ্চিত করতে হলে এমন প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাতে হবে, যারা সত্যিকারের জনগণের দাবি তুলে ধরবে। আমরা সবসময় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতি করি, দলীয় স্বার্থকে নয়।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ম, জাতীয়তা বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের মর্যাদা হানি করা যাবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমান মর্যাদা দিতে হবে। আগামী দিনের সরকার হতে হবে “জনমানুষের সরকার”।

 

‘বিগত শাসনামলগুলোর বঞ্চনা, বৈষম্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি আর দলবাজির অভিশাপ আমরা অনেক দেখেছি। এই দেশের মানুষ পরিশ্রম করে, ঘাম ঝরিয়ে সম্পদ সৃষ্টি করে, কিন্তু সেই সম্পদের মালিকানা, ন্যায্য অংশীদারিত্ব, নাগরিক অধিকার—এসব কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছায় না। জনগণ শুধু ভোট দেয়, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পায় না। আমরা এই কাঠামো ভাঙা রাষ্ট্রেকে জনগণের ক্ষমতার উৎসে পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আজ পর্যন্ত আমরা এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেখেছি যেখানে দল ক্ষমতায় এলে জনগণ দূরে সরে যায়, আর দলগুলো রাষ্ট্রকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। এই রাজনীতি আমরা ভাঙতে চাই। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধির জবাবদিহির কাঠামোর মধ্যে থাকবে এবং প্রতিনিধিরাও জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। গণতন্ত্র মানে শাসকের ইচ্ছা নয়—গণতন্ত্র মানে মানুষের মুক্ত সিদ্ধান্ত।’

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১৫টি অসহায় পরিবারের জন্য নতুন ঘর ও ছাগল উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল জেলা আমীর এবং বরিশাল–৪ (মেহেন্দিগঞ্জ–হিজলা–কাজীরহাট) আসনে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।

উত্তর ও দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের ৪টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিল। বিষয়টি জানার পর তাদের বসবাসের উপযোগী ঘর নির্মাণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইকরা ফাউন্ডেশনকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানান মাওলানা জব্বার। পরে সংস্থাটি নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে এসব ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন তিনি।

এছাড়া আত্মকর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বীকরণের লক্ষ্যে উলানিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ১১টি অসহায় পরিবারের হাতে ইকরা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২২টি ছাগল তুলে দেন তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, “মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই আমাদের এসব উদ্যোগ। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় অসহায় পরিবারকে ঘর এবং দরিদ্র ভাই–বোনদের ছাগল উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। যাদের ঘর দিয়েছি, তাদের মধ্যে একটি হিন্দু পরিবারও রয়েছে—মানবসেবা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও আগামী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. সাইফুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম, ঢাকাস্থ উলানিয়া আদর্শ সমাজ পরিষদের সভাপতি ও দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক তালুকদার, উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার আমজাদ হোসেন, ইউনিয়ন আমীরগণসহ ইকরা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উপহার বিতরণ শেষে উপকারভোগী পরিবারগুলো মাওলানা আবদুল জব্বারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা :
১০ বছরের বায়েজিদ হঠাৎ নিজ বাড়িতে বাম পায়ে আঘাত লেগে গোড়ালি ভেঙ্গে অসুস্থ হয়ে পরে। দিনমজুর বাবা কোনোমতে চিকিৎসা করালেও পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে উল্টো ইনফেকশন হয়ে হাঁটা বন্ধ হয়ে যায় বায়েজিদের।

বায়েজিদ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা চানমিয়া-শিরিন দম্পতির সন্তান।

ছেলের চিকিৎসার জন্য নিজেদের সবটুকু সম্বল শেষ করে চিকিৎসা করালেও সুস্থ হয়না বায়েজিদ। পরে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, তাদের মা এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাজ আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা গুড নেইবারস বাংলাদেশের সহায়তায় চিকিৎসা পেতে শুরু করে বায়েজিদ।

বায়েজিদকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে তাঁর চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহে কনসার্টের আয়োজন করে সংস্থাটি। শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা সৈকতের পর্যটন পার্ক মাঠে কনসার্টে স্থানীয়, পর্যটক এবং সংস্থাটির প্রতিনিধিরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

সকলের সহযোগিতায় প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা অনুদান পায় বায়েজিদ। পরে আরো বিশ হাজার টাকা যোগ করে সংস্থাটি পঞ্চাশ হাজার টাকার তুলে বায়েজিদের মায়ের হাতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ।

বায়েজিদ মা শিরিন আক্তার জানায়, আমার ছেলে অসুস্থ। সন্তানের অসুস্থতার চেয়ে মায়ের কাছ আর কিছু কষ্টের থাকতে পারে না। তাই আজকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। গুড নেইবারসকে ধন্যবাদ দিয়ে সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চান তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন, সমাজের এমন অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য গুড নেইবারসকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সবাই যদি এরকম অসহায়, দুস্তদের পাশে দাঁড়াই তাহলে সকল বায়েজিদরা সুস্থ হয়ে একসময় এদেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলবে।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা:

প্রত্যেকটি অবদানই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে পরিস্কা পরিচ্ছন্নতা অভিযান আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গুড নেইবারস বাংলাদেশ,কলাপাড়া ও তালতলী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিপি) যৌথভাবে দিবসটি পালন করেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা করা হয়। এতে অংশ নেন প্রায় ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ উপজেলা প্রশাসন, কুয়াকাটা পৌরসভা, বীচ ব্যবস্থাপনা কমিটি, পর্যটন ও পরিবেশকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গুড নেইবারস বাংলাদেশ কলাপাড়া সিডিপির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পঙ্কজ বিশ্বাস ও প্রোগ্রাম অফিসার দিনা রিসিলা।

সভাপতিত্ব করেন গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বার্টিন গমেজ।

 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাউছার হামিদ।

 

বিশেষ অতিথি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান।

 

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল আলম, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান, কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

 স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটা সৈকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফিশ ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় একটি স্থায়ী ডাস্টবিন এবং ৫টি অপসারণযোগ্য অস্থায়ী ডাস্টবিন উদ্বোধন করা হয়। পরে ডাস্টবিনগুলো কুয়াকাটা পৌরসভা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

 

এ ছাড়া তরুণ-তরুণীদের সম্মিলিত উদ্যোগে বিভিন্ন স্থান থেকে দান সংগ্রহ করে একজন অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভা, জারিগান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল জারিগান, নৃত্য এবং স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাউছার হামিদ বলেন,কুয়াকাটার পর্যটন সম্ভাবনা রক্ষা করতে হলে সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক, পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয় জনগণ একসাথে কাজ করলে টেকসই পরিবর্তন সম্ভব। আজকের তরুণদের অংশগ্রহণ সত্যিই প্রশংসনীয়।

 

কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন,সৈকতের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ডাস্টবিন স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। জনসচেতনতা তৈরি হলে পরিবেশ রক্ষা আরও সহজ হবে।

গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান বার্টিন গমেজ বলেন,স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণই শিশু অধিকার সুরক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের মূল শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি তরুণদের হাত ধরেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

 

গুড নেইবারস বাংলাদেশের কার্যক্রম

১৯৯৬ সাল থেকে সংস্থাটি শিশু অধিকার সুরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও যুব উন্নয়ন নিয়ে কর্মসূচি পরিচালনা করছে। বর্তমানে তারা দেশের ১৩টি জেলায় ১৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জনতম উপেক্ষা করে চট্রগ্রাম বন্দর বিদেশী কোম্পানীকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বরিশাল জেলা ও মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ঐক্য পরিষদ (স্কোপ)।

 

মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলার আহবায়ক একে আজাদ, জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডাক্তার মনিষা চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দুই বছরের অন্তবর্তীকালীন সরকার ৪৮ বছরের জন্য বন্দরের চুক্তি করছে। এটা কোন শুভ লক্ষন না। এই চুক্তি জনসমাগমে প্রকাশ করা হয়নি, জনগনের মতামত নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এসময় অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিলেরও দাবি জানান তারা।

 

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।#

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আতঙ্ক নদীভাঙন আবারও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনার চরাঞ্চলে নতুন করে বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় তিন ইউনিয়নের মানুষ ও অবকাঠামো চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। সরকারি বরাদ্দে নির্মিত প্রায় ৪২৪ কোটি টাকার রক্ষা বাঁধও হুমকির মুখে।
নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ হলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে হিজলার গৌরবদী ইউনিয়ন এবং মেহেন্দীগঞ্জের গবিন্দপুর ও উলানিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে থাকায় আগামী বর্ষা মৌসুমেই এসব এলাকার বড় অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

বেআইনিভাবে ইজারার অভিযোগ
বরিশালের সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন ও বিভাগের সাবেক কমিশনার মো. রায়হান কাওছারের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৭টি বালুমহাল ঘোষণা ও ইজারার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও লিখিত অভিযোগের পরও ইজারা বাতিল হয়নি। অভিযোগ রয়েছে ইজারাকৃত এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের অঞ্চল থেকেও ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।

স্থানীয়দের ক্ষোভ
স্থানীয় সমাজসেবক সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী, যিনি রিটকারী বলেন “হাইকোর্টে রিট থাকা অবস্থায় বালুমহাল ইজারা দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল। প্রশাসনের দায়িত্ব জনগণকে রক্ষা করা, কিন্তু এখানে উল্টোটা হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, দুই শতাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ বদলে বিপর্যয় নেমে আসছে।

জরিপ ছাড়াই ইজারা
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এবং বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১, এছাড়া বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর বিধিমালা অনুযায়ী-অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ জরিপ করে নিশ্চিত করার পরই জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন জমা দেবেন বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব বিবেচনাপূর্বক বিভাগীয় কমিশনার বালুমহাল ঘোষণা করতে পারেন।

বরিশাল জেলায় ১৪৩২ বাংলা সনের মোট ৮টি এলাকায় বালুমল হিসেবে ইজারা দেন জেলা প্রশাসক। সূত্র অনুযায়ী দেখা যায়-২০২৩ সালে একটি মাত্র এলাকার জরিপ করা হয়েছে। বাকি ৭টি এলাকা এখনো জরিপ করা হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশও মানা হয়নি
গত ১২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট সৈয়দখালী সাওড়া মৌজার বালুমহাল ইজারা স্থগিত করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয়। রুল পাঠানো হয় বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে এখনো বালু উত্তোলন অব্যাহত আছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালুমহাল ইজারা দিয়েছেন সাবেক বরিশাল জেলা প্রশাসক এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার।

বরিশালের মেঘনা নদীর ৩৫ নং সৈয়দ খালী সাওড়া মৌজার ৩৮-৭৮-৩৮৮১ দাগের ১০০ (একশত) একরসহ ৭টি বালুমহাল ঘোষণা দিয়ে ১৪৩২ বাংলা ১৩ই চৈত্র ইজারা প্রদান করেছেন।

বরিশাল কািশপুর গনপাড়া এলাকার আর বি এন্টারপ্রাইজের প্রাে: মো: আবুল বাছেদ সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দরদাতা হিসেবে ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসক।

কিন্তু হিজলা উপজেলাধীন মেঘনা নদীর ৩৫ নং সৈয়দ খালী সাওড়া মৌজার ৩৮৭৮-৩৮৮১ দাগের ১০০ (একশত) একর এলাকা নিয়ে হাইকোর্টে দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক রিট মামলা চলমান। মামলার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। যে কারণে তৎকালীন জেলা প্রশাসকরাও ইজারা দেননি এই এলাকার বালু মহাল।

ঠিকাদার আবুল বাছেদর মুঠোফোনে বুধবার ৩টা ১১ মিনিটে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনী।

এ বিষয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন বলেন “আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড গত ১০ ও ১১ মে অভিযানে ৫৩টি ড্রেজার, ৩৬টি বাল্কহেড, ১ কোটি ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বরিশাল বিভাগের সমন্বয়কারী ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য মো: রফিকুল আলম বলেন, জরিপ না করে বালুমহাল ঘোষণা দেওয়া বড় ধরনের অন্যায়। জরিপ ছাড়া বালুমহাল ইজারা দিলে একদিকে সরকারি আইন অমান্য করা হয়, অন্যদিকে পরিবেশ ও জলাশয় নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ইজারাকৃত এলাকার আশপাশ নদীতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু এটি বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে কিন্তু সেদিকে প্রশাসন নজর দিচ্ছেনা তাহলে তো হাইকোর্টে কেও তারা অবমাননা করছে। এটা বড় ধরনের অন্যায় ।

সচেতন মহল বলছে, আইন লঙ্ঘন ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় সংশ্লিষ্ট দুই সাবেক প্রশাসককে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।