নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্র সংসদের নাম ‘বাকসু’ বহাল রাখা ও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন গোলচত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

তবে তাদের দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কামরুল হাসান জানান, ‘বাকসু’ বিএম কলেজের ৭২ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। বরিশালের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস ‘বাকসু’। হুট করে কেউ এসে ‘বাকসু’ নাম দাবি করবে- তা আমাদের জীবন থাকতে হবে না। এই নাম নিয়ে তারা যদি টানাটানি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বরিশালে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষার্থী সুমি হক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা ‘বাকসু’ নিয়ে আন্দোলন করছি। আজকে বাধ্য হয়ে ২ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব।”

শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে নথুল্লাবাদ এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। এতে যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেয় বলে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুনুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সৈয়দখালী সাওড়া মৌজার বালুমহাল বন্ধে এবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেছে। হাইকোর্টের রুলের পেক্ষিতে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বালু উত্তলন বন্ধে নোটিশ দিয়েছে হিজলা উপজেলা প্রশাসন।

হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ অঞ্চলের সৈয়দখালী সাওড়া মৌজার বালুমহাল ইজারা স্থগিত করে বালু উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের রুলের পেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। নোটিশটি বরিশাল পুলিশ সুপার , উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিজলা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিজলা কে ব্যবস্থাগ্রহনে বলা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ্য করা হয়েছে উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রস্থ স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের এর রীট পিটিশন নম্বর ১৮৪৪৮/২০২৫ এর আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস সিকদার জানিয়েছে, জেলা প্রশাসন থেকে নোটিশ পাওয়ার পরপরই হিজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ব্যবস্থা গ্রহনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বরিশাল কািশপুর গনপাড়া এলাকার আর বি এন্টারপ্রাইজের প্রাে: মো: আবুল বাছেদকে বালু উত্তলন বন্ধে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর পরও যদি বালু উত্তলন করা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই অবৈধ্য বালুমহাল বন্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় সেখানে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আতঙ্ক নদীভাঙন আবারও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনার চরাঞ্চলে নতুন করে বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় তিন ইউনিয়নের মানুষ ও অবকাঠামো চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। সরকারি বরাদ্দে নির্মিত প্রায় ৪২৪ কোটি টাকার রক্ষা বাঁধও হুমকির মুখে।

নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ হলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে হিজলার গৌরবদী ইউনিয়ন এবং মেহেন্দীগঞ্জের গবিন্দপুর ও উলানিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।

তবে এই আদেশ বাস্তবায়নে গত ২৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ প্রদান করা হলেও আজও বন্ধ হয়নী বালু উত্তলন কাজ।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা :
কোরআন অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) আসর নামাজের পর কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্স এর ব্যানারে তৌহীদি জনতা এ কর্মসূচি আয়োজন করে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে বক্তারা বলেন, কোরআন অবমাননার অভিযোগে জড়িত বাউল আবুল সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এ সময় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেমসহ শতাধিক মুসল্লি কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মহিপুর থানা ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান,কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মোস্তফা কামাল, কুয়াকাটা বাইতুল আরোজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম কারী মো. নজরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, হাফেজ মো. হুমায়ুন কবির, কুয়াকাটা ঘটলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোবাশ্বের হোসেন, হাফেজ মশিউর রহমান, স্টুডেন্ট এলায়েন্স সদস্য মুজাহিদ সিফাত ও আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী মন্তব্যের মতো ঘটনাগুলোতে দেশের আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ হওয়া প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, কোরআন অবমাননার মতো সংবেদনশীল ঘটনাগুলোর বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা হলে সমাজে ইতিবাচক বার্তা যাবে।
বক্তারা সরকারের কাছে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বহুল প্রত্যাশিত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর–বাবুগঞ্জ–মুলাদী–হিজলা মহাসড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১১টায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
এবং
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

সেতুটি নির্মাণ হলে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাবুগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাবাসীর যাতায়াত হবে আরও সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ।

এটি নির্মাণ হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে, নদী পারাপারের দুর্ভোগ দূর হবে এবং দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে।

স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি চালু হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিপণ্য পরিবহনসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিপ্লব ঘটবে।

বরিশাল নগরীর সঙ্গেও চার উপজেলার যোগাযোগ হবে আরও সহজ, স্বল্পসময়ের ও নিরাপদ।

সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীসহ জনসাধারণের তোপের মুখে পড়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ব্যারিস্টার ফুয়াদ।

এ সময় তাকে ঘিরে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয় জনতা। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যান ব্যারিস্টার ফুয়াদ।

এ সময় তিনি বলেন, স্থানীয়রা চাঁদা চাওয়ার কারণে সেতুর কাজ স্থগিত ছিল। এর পরপরই স্থানীয় জনতাকে তাকে ঘিরে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তিনি দ্রুত গাড়িতে উঠে এলাকা ত্যাগ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালের গৌরনদী-মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম নির্ধারণ নিয়ে জটিলতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দিয়েছে উত্তেজিত একদল জনতা।

শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কাচিরচরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ব্রিজটি উদ্বোধনের কথা ছিল।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনলাইনে যুক্ত হয়ে ব্রিজটি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উদ্বোধন করার কথা ছিলো। তবে তিনি অনলাইনে যুক্ত হওয়ার আগেই প্রশাসনের সামনে উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাহেবের চর ও মুলাদী উপজেলার নাজিরপুরের মধ্যবর্তী আড়িয়াল নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৬১৯ মিটার দীর্ঘ ‘সৌহার্দ্য সেতু’ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার পরও স্থানীয়দের অন্ধকারে রেখে ‘সৌহার্দ্য সেতু’র নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামকরণ করে শনিবার সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালিয়ে প্যান্ডেল ভাংচুর করেন।

স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, ব্রীজটি নির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এমদাদুল হক মজনু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। যে কারণে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার কারণে অনুষ্ঠান করতে পারেনি আয়োজকরা। বর্তমানে ঘটনাস্থলের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম সরওয়ার জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামে উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেতুটির নাম নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি জানিয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। শনিবার স্থানীয়দের হামলায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল নগরীর দপ্তরখানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে চারটি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তেই তা দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে টিনশেড চারটি দোকানের সব মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসও প্রাথমিকভাবে মনে করছে—বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটই অগ্নিকাণ্ডের কারণ। সৌভাগ্যক্রমে এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে দোকান মালিকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বলে জানা গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সদরে দরিদ্র ও ঝরে পড়া-ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় টিউশন ফি ও সবজি বীজ বিতরণ করেছে ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ ও এফডিসিএস (Family Development for Children with Sponsorship) প্রকল্প। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বরিশাল সিটি করপোরেশনের ডাবলিউসিবি (WCB) এরিয়া অফিসে এ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মানজুরা মুশাররফ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা ধরে রাখতে আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বনির্ভরতার জন্য সবজি বীজ বিতরণ কার্যক্রম প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এফডিসিএস স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিউশন ফি প্রদান ও তাদের পরিবারকে সহায়তার অংশ হিসেবে সবজি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় লাঘবের পাশাপাশি পরিবারের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।

ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ ও এফডিসিএস-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির অর্থায়ন করেছে ইন্টারঅ্যাক্ট সুইডেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকর্তা, উপকারভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আযাদ আলাউদ্দীন। সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হীরার সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল পূর্বআলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবির, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম মোফাজ্জেল ও সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট শাহে আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মামুন-অর-রশিদ।

এতে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সহ অর্ধশতাধি সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা, দীর্ঘায়ু এবং দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালে মাথাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বরিশাল নগরীর  অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মাথাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

মিছিলটি অশ্বিনী কুমার হল চত্বর হয়ে, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজার,  লাইন রোড হয়ে পুনরায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন(জিএসএ) বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ও বরিশাল ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হোসেন মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক  সাকিবুল ইসলাম সাফিন ও রুবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

 

সভাপতির বক্তব্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বলে আসছেন বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই দেশের জন্য একটি নতুন ‘জাতীয় সনদ’ ও একটি প্রকৃত ‘গণতান্ত্রিক ক্ষমতা-কাঠামো’ প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে, এবং ছাত্র ফেডারেশনের শাকিলসহ বহু আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ এর প্রমাণ।

 

তিনি জানান, গত এক বছরে আমাদের দল ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি’ নিয়ে কাজ করছে, যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সংসদকে সংবিধান সংশোধনের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করা জরুরি। সামনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন হওয়া উচিত ‘সংবিধান সভার নির্বাচন’ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন—উভয়ই একসাথে।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শ্রমিক, কৃষক ও খেটে–খাওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানুষের সঠিক হিস্যা নিশ্চিত করতে হলে এমন প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাতে হবে, যারা সত্যিকারের জনগণের দাবি তুলে ধরবে। আমরা সবসময় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতি করি, দলীয় স্বার্থকে নয়।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ম, জাতীয়তা বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের মর্যাদা হানি করা যাবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমান মর্যাদা দিতে হবে। আগামী দিনের সরকার হতে হবে “জনমানুষের সরকার”।

 

‘বিগত শাসনামলগুলোর বঞ্চনা, বৈষম্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি আর দলবাজির অভিশাপ আমরা অনেক দেখেছি। এই দেশের মানুষ পরিশ্রম করে, ঘাম ঝরিয়ে সম্পদ সৃষ্টি করে, কিন্তু সেই সম্পদের মালিকানা, ন্যায্য অংশীদারিত্ব, নাগরিক অধিকার—এসব কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছায় না। জনগণ শুধু ভোট দেয়, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পায় না। আমরা এই কাঠামো ভাঙা রাষ্ট্রেকে জনগণের ক্ষমতার উৎসে পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আজ পর্যন্ত আমরা এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেখেছি যেখানে দল ক্ষমতায় এলে জনগণ দূরে সরে যায়, আর দলগুলো রাষ্ট্রকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। এই রাজনীতি আমরা ভাঙতে চাই। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধির জবাবদিহির কাঠামোর মধ্যে থাকবে এবং প্রতিনিধিরাও জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। গণতন্ত্র মানে শাসকের ইচ্ছা নয়—গণতন্ত্র মানে মানুষের মুক্ত সিদ্ধান্ত।’