নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. রায়হান কাওছার বলেছেন, দেশে খাবারের কোনো অভাব নেই। আছে খাদ্যজ্ঞানের অপ্রতুলতা। আমরা অনেক খাবার নষ্ট করছি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় নগরীর মহাবাজে ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) হলরুমে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা কলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোনটি কম পুষ্টি আর কোনটি অধিক পুষ্টি সে বিষয়ে অনেকেই ভাবছি না। আর এ জন্য দায়ী অসচেতনতা। পুষ্টি সম্পর্কে আজ আমরা যা জানলাম, তা যদি সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে জাতি আরো বেশি উপকৃত হবে।

বারটান আয়োজিত বরিশালে সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি শীর্ষক সেমিনারে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক রেহেনা আক্তারের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুর রব্বানী এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এফ আর খান।

অনুষ্ঠানের অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. বাবুল কুমার দাস, বারটানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মাৎ মরিয়ম, ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক মুসা ইবনে সাঈদ, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বারটানের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারজানা ছিমি, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা গোলাম রব্বানি, বাবুগঞ্জের কৃষক আবু বকর সুমন প্রমুখ।

সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এর অভ্যন্তরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহষ্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ.টি.এম. রফিকুল ইসলাম একটি নোটিশ জারি করেছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে- সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার অন্তরায়।

এমতাবস্থায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ওই নোটিশে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুস্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে ৫ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে সন্ত্রাসের দ্বায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আর নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ছাত্রদের আবাসিক হল ও ভোলা রোড প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাকিব আহমেদ বলেন, বাংলার জমিনে ছাত্রলীগের মত সন্ত্রাসী সংগঠনের আর কোনো জায়গা হবে না। আবারও যদি আওয়ামী লীগ আর ছাত্রলীগ বাংলার জমিনে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আবু সাঈদের এক ফোটা রক্তের বিনিময় হলেও তাদের ফাসির মঞ্চে ঝোলানো হবে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আশিক আহমেদ বলেন, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আর কোনো ঠাই হবে না। এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে রুখে দিতে প্রয়োজনে বাংলার ছাত্রসমাজ বারবার ঐক্যবদ্ধ হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কূলখা‌নির বাজার করতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে দুলাভাই-শ্যালককে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে।

 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। টনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত কুড়িরচর গ্রামের।

 

আহতরা হলেন কুড়িরচর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে কামরুল হাসান ও তার শ্যালক মিয়াদ হাওলাদার।

 

আহত কামরুল হাসান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নানুর কূলখানির বাজার করার জন্য শ্যালক মিয়াদকে নিয়ে সরিকল বাজারে রওয়ানা দেই। পথিমধ্যে কুড়িরচর-ইসলামপুর ব্রীজের কাছে পৌঁছলে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মান্নান হাওলাদারের ছেলে জসিম হাওলাদার, শামিম হাওলাদার ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মোকসেদ মৃধা সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী তাদের পথরোধ করে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।

 

এসময় হামলাকারীরা কূলখানির এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ মান্নান হাওলাদারের সাথে জমি নিয়ে তার বিরোধ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ওই বিরোধের জেরধরে মান্নানের ছেলেরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত জসিমের পিতা মান্নান হাওলাদার বলেন, হামলার ঘটনায় তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

 

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের ৮ লাখ টাকা জ‌রিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহষ্প‌তিবার (৩০ জানুয়া‌রি) সকালে বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফারুক আহমেদ।

তি‌নি জানান, আট লাখ টাকা জ‌রিমানা করা হয়েছে, তবে জ‌রিমানার অর্থ প‌রিশোধ না করলে আটক দুজনকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

জানাগেছে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের টেংরাখালী এলাকা থেকে এক‌টি বড় ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ড্রেজার মালিককে আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফারুক আহমেদ।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
বরিশালে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না আমিনসহ ৩০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন মো. সুলতান খান নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার প্রায় সাত মাসের মাথায় মামলাটি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে সুলতান হোসেন খান নিজেকে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা, সিঅ্যান্ডবি রোডের নম্বর পুল এলাকার বাসিন্দা ইসকান্দার আলী খানের ছেলে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

মামলায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম, বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, বরিশাল-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না আমিন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সাবেক মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলরাম পোদ্দার, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) মাহমুদুল হক খান মামুন, সাবেক মেয়রপত্নী লুনা আবদুল্লাহসহ ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা গত বছরের ১৭ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ জিয়া সড়ক ব্রিজের ঢালে রাস্তার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা, চাপাতি, লোহার রড, হকিস্টিক, পাইপগান, পিস্তল, শটগান, বন্দুক, রাইফেল, ককটেল, হাতবোমাসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র ও জনতার ওপর আক্রমণ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩০০-৪০০ জন আহত হন। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বোতল থেকে পেট্রোল ঢেলে বিভিন্ন দোকান ও অন্যান্য স্থানে আগুন দেয় এবং ছাত্র-জনতার ওপর ইটপাটকেল, ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। তাদের নিক্ষিপ্ত একটি বোমা বাদীর সামনে বিস্ফোরিত হলে তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

আসামিদের ভয়ে আহতরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ফার্মেসি ও পল্লি চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করান। মামলার ১ নম্বর সাক্ষী বাদীর ভাগনে রাকিবুল্লাহ আহসান গুরুতর হওয়ায় প্রথমে তাকে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইস্পাহানী ইসলামি আই ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। আহত রাকিবুল্লাহ আহসান চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বাদীর এজাহারটি রেকর্ড করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ হত্যাচেষ্টার ও জনমনে ভিতি সঞ্চয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে, ২৭ জানুয়ারি রোজ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় সরকারি উজিরপুর বারপাইকা (ডব্লিউ. বি.)ইউনিয়ন মডেল ইনস্টিটিউশন এর বার্ষিক ক্রীয়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি, উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলী সুজা।

সভাপতিত্ব করেন, ডব্লিউ বি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন এর প্রধান শিক্ষক, মোঃ শাহ আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উজিরপুর উপজেলা বিএনপির, সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, উজিরপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মাওঃ আব্দুল খালেক, পৌর জামায়াতে ইসলামী আমির মোঃ আল-আমিন সরদার, শোলক ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি প্রভাষক আঃ আজিজ, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মোঃ হাইউম খান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ভূঁইয়া, সমন্বয়ক রিয়াজ রাড়ীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রী।

দিনভর নানাবিধ ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন অত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ ও অভিভাবক বৃন্দের জন্য ছিল বিনোদনমূলক ক্রিয়ার আয়োজন, উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্র-ছাত্রী ও উপস্থিত ক্রীড়া মোদী দর্শকদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেনকে যোগদান করতে দেননি শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) শিক্ষা বোর্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করায় সচিব ড. ফাতেমা হেরেন যোগদান করতে পারেননি। পরে বিকেলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ড. ফাতেমা হেরেন বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের চেষ্টা করলেও ছাত্রদের বাধায় তা বাতিল হয়ে যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিএম কলেজ শাখার সমন্বয়ক দাবি করে আকবর মুবিন সাংবা‌দিকদের বলেন, ড. ফাতেমা হেরেন ইসলামবিদ্বেষী এবং আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবেও যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। তখন আমরা তাকে প্রতিহত করেছি। বোর্ডে আবার সচিব হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বোর্ড চেয়ারম্যানকে বলেছি, ড. হেরেনের আদেশ বাতিল করতে হবে।

তিনি জানান, বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের সামনে ফোন কল করে ড. হেরেনকে বলেছেন, তার নির্দেশনা ছাড়া যেন তিনি বোর্ডে না আসেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনারকেও জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, ছাত্র সমন্বয়করা তার কার্যালয়ে এসেছিলেন। তারা সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব ড. ফাতেমা হেরেনের আদেশ বাতিলের দাবি তুলেছেন। তিনি ছাত্রদের এ দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ড. ফাতেমা এখন পর্যন্ত যোগদান করতে আসেননি। তবে তাকে ফোন কল করেছিলেন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই হামলা-মামলায় জর্জরিত হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট-স্বজনরা। এরা গত সাড়ে ১৫ বছরে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র হওয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্যসহ সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছিলেন। এর মধ্যে মন্ত্রী ও সমপদমর্যাদায় ছিলেন চারজন। এমপি হয়েছেন অন্তত ১০ জন। দুই সিটিতে মেয়র হয়েছেন তিনজন। সহযোগী সংগঠনের প্রধান হয়েছেন একজন। বৈধ ও অবৈধভাবে সর্বোচ্চ সুবিধায় ছিলেন তারা। অথচ পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। একমাত্র শেখ পরিবারের সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ খোকা গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের অবস্থান কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না। ৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তারের চিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের তালিকা দিয়েছিলেন। তাঁর বোন ও তাঁদের ছেলেমেয়ে ছাড়া কোনো আত্মীয় নেই বলে দাবি করেছিলেন। পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাঁর নিকটাত্মীয় রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেছেন। শাসন ও শোষণ করেছেন। নিয়ন্ত্রণ করেছেন রাষ্ট্রক্ষমতার সবকিছু।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার কিছু আত্মীয়-স্বজন ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান। তখন তারা দেশ ছাড়েন। আবার সুসময় হলেই দেশে ফিরে এসে হাজির হন’। ওই বৈঠকে পাবর্ত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের (মন্ত্রীর পদমর্যাদায়) দায়িত্ব পাওয়া আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ শেখ হাসিনার ডান পাশে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকালে আবদুল্লাহকে চোখ-মুখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায় বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক এক মন্ত্রী।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম। শেখ পরিবারের প্রভাব খাটিয়ে শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে শেখ সেলিমের পরিবার আত্মগোপনে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার পতনের আগেই তারা দেশ ছাড়েন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুল হক মণির দুই সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস। শেখ পরশও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা যায়। এখন বিদেশে নিরাপদ জীবন-যাপন করছেন। শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ ক্যাসিনো বিতর্কের সময় আলোচনায় এসেছিলেন। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ভগনিপতি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীও আত্মগোপনে আছেন। শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ আসনের এমপি ছিলেন। তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় এই পরিবার ছিল বরিশাল অঞ্চলের হর্তাকর্তা। ৫ আগস্টের পরে হাসানাত আবদুল্লাহ ও ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তবে সাদিক আবদুল্লাহ কোথায় আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তিনি কোথায় আছেন জানা যাচ্ছে না। জানা গেছে, হাসানাত আবদুল্লাহ ভারতে আছেন তার মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহর কাছে। কান্তা একজন ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করেন।

শেখ হাসিনার ফুফাতো বোন শেখ ফাতেমা বেগমের এক ছেলে নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন। আরেক ছেলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসন থেকে টানা তিনবারের স্বতন্ত্র এমপি ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে এই দুই ভাইও আত্মগোপনে। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে। তবে সর্বশেষ তার অবস্থান নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা, তিনি কি দেশেই আছেন না বিদেশে গেছেন।

আওয়ামী সরকারের অন্যতম সুবিধাভোগীদের একজন ঢাকা ওয়াসার সাবেক বিতর্কিত এমডি তাকসিম এ খান। তিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর ভগনিপতি। সেদিক থেকে তিনি শেখ হাসিনার ফুপা হন। তিনি ৫ আগস্টের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে আলোচনা আছে। শেখ পরিবারের আরেক প্রভাবশালী সদস্য বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি ও বাংলাদেশ বিমা সমিতির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা কেউই বলতে পারছেন না। আরেক চাচাতো ভাই শেখ হাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব। ৫ আগস্টের পর তাদের কোথাও দেখা যায়নি। এ ছাড়া শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। গত চার মেয়াদে আওয়ামী লীগের অন্যতম ক্ষমতার বলয় গড়ে উঠেছিল তাকে কেন্দ্র করে। তিনি সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন ব্যবহার করে দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তারিক আহমেদ আত্মগোপনে আছেন।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর:

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা।

 

২২ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের নরসিংহা গ্রামের আদম আলী ফকিরের বাড়ী ও সোহেল বয়াতীর বাড়ীর সকলকে খাবারের সাথে নেশা জাতক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে চুরির চেষ্টা করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে।

 

এসময় গাজীরপাড় গ্রামের মৃত মতলেব বেপারীর ছেলে বড়াকোঠা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ আক্তার হোসেন বেপারী(৪৫)কে আটক করে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।চোরচক্রের বাকি ২ সদস্য পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মৃত আদম আলী ফকিরে স্ত্রী, নাতিসহ ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

 

এছাড়া সোহেল বয়াতীর পরিবারের ৭জনকে অচেতন করেছে চোরচক্ররা। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভেকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে। আগে নির্বাচন দিয়ে পরে সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। এসকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় বরিশাল নগরের সদর রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এতে বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মোনাজাতের পূর্বে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার আরও বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারেনি কিন্তু এখন মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী হয়ে আছে। আমরা চাই সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সুন্দর একটি নির্বাচন। বিএনপির মধ্যে যারা বিরোধ সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধ সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এসময় তিনি বিএনপিতে যারা চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অন্যায় করছে তাদের ছাড় দেয় হবেনা বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম আমাদের মনে রাখেতে হবে। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে খুব দ্রুত ফিরে আসেন সেজন্য সবাই দোআ করবেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে ৩১ দফা ঘোষনা দিয়েছে। এটা সময় উপযোগি। এখানে সবকিছুর কথাই বলা হয়েছে।

এসময় তিনি দলের মধ্যে বিভেদ না করে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

পরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

ওসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুর হক তারিন, সৈয়দ আকবর সহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।