নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করা সহ দেশব্যাপি শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সকল সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তার জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের কঠোর দায়ীত্ব পালনের আহবান জানিয়ে ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হওয়ায় মসজিদে মসজিদে দোয়া মোনাজাতের অয়োজন করেছে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দ।

আজ শুক্রবার (৯) আগস্ট জুম্মাবাদ বরিশাল মহানগর বিএনপির আয়োজনে নগরীর পোর্টরোড জামে মসজিদে দোয়া মোনাজাতের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের সঞ্চলনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মহানগর বিএনপি আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুক।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকলকে সকল প্রতিহিংসা ভুলে শান্তিতে থেকে সকলের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করার জন্য দলের নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল সম্প্রদায়ের সম্পত্তি,জানমান রক্ষা করা সহ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

তাই আমরা মহানগর বিএনপি সকল দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলছি এখন থেকে প্রতি মুহুর্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল কিছুর নিরাপত্তার জন্য কঠোরভাবে দায়ীত্ব পালন করে তারেক রহমানের সম্মান অক্ষুন্ন রাখবেন।

এছাড়া দলের মধ্যে কেহ চাঁদাবাজী,লুঠপাটের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন এমন কোন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তাদের দায় দায়ীত্ব বিএনপি বহন করবে না।

দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, মহানগর বিএনপি শ্রমিকদল সভাপাতি ফয়েজ আহমেদ খান, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদল সভাপতি আব্দুল হক ফরাজি, ও শ্রমিকদল সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সহ সাবেক মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বৃন্দ ও বিভিন্ন বিএনপি ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশত নেতৃবৃন্দ দোয়া মোনাজাতে অংশ গ্রহন করে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নগরীর বিভিন্ন কয়েক শত মসজিদে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকের পর এ দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।

এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন- ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয় ৭. গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৮. ভূমি মন্ত্রণালয় ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ১০. কৃষি মন্ত্রণালয় ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়; ১৬. পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ১৭. মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২৩. সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ২৫. মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খান শিল্প মন্ত্রণালয়; হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শারমীন এস মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্য উপদেষ্টারা শপথ নেন।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড, বিলকিস আক্তার শিরিন বলেছেন প্রতিশোধ, হিংসা,লুঠতরাজ ভাংচুরের মত কাজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়েক তারেক রহমানের দল বিএনপি এসব নোংরা কাজ বিশ^াস করে না।

আর তাই যারা এ দলকে ভালবেশে নির্যাতন,হয়রানি সহ বহু মামলার শিকার হয়েছেন তারপরেও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্য না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে কাজ করবেন। কেহ বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করবেন না।

আপনারা ইতিমধ্যে শুনেছেন অঅমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাশির উর্দেশ্যে সকলকে শান্ত থেকে এলাকা ভিত্তিক সাধারন মানুষের জানমাল নিরাপত্তার ও রক্ষা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

এসময় শিরিন অরো বলেন আজ বরিশাল শাষন, শোষন থেকে মুক্তি পেয়েছে। কোথায় গেল সেই জুলুমের শাষক শোষক সাদেক আব্দুল্লাহর রামদা বাহিনী।

এসময় তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের বলেন আপনরা এই আগস্ট মাসে নতুন করে আবার স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধিন হয়েছে। আপনারা ধয্য ধরেন আমরা দেশনায়েকের নেতৃত্বে এই বরিশালকে একটি সুন্দর শান্ত প্রিয় শহর উপহার দেব।

আজ মঙ্গলবার (৬) আগস্ট বেলা ১১টায় সদররোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপি পুড়ে দেওয়া দলীয় কার্যলয়ের সম্মুখে দূযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া বৃস্টির মধ্যে শত শত দলীয় কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি একথা বলেন

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে এখানে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজবা উদ্দিন ফরহাদ,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বরিশাল জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ¦ এবায়েদুল হক চাঁন,বরিশাল মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব কারামুক্ত জিয়া উদ্দিন সিকদার,বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড, আবুল কালাম শাহিন,মহানগর এক নং যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন, জেলা বিএনপি সদস্য এ্যাড, নাজিম উদ্দিন আহমেদ পান্না,মহানগর মহিলা দল নেত্রী অধ্যাপিকা ফারহানা,কেন্দ্রীয় যুবদল সহ সাধারন সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন।

এর পূর্বে কয়েকশত নেতা কর্মী মোটর বাইক মহড়া দিয়ে দলীয় কার্যলয় সম্মুখে আসেন সাবেক মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড,মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ,কেন্দ্রীয় যুবদল সহ সভাপতি এ্যাড,এ্যাড,তছলিম উদিন সহ জেলা যুবদল নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সকাল থেকে বিএনপি,শ্রমিকদল,যুবদল,ছাত্রদল সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় পতাকা বহন করে ও লাল নিশানা কপাল মুড়িয়ে শান্তি সমাবেশে অংশ গ্রহন করে।

পরে সদ্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বাহিনী হাতে নিহত সকল ছাত্র-ছাত্রী নেতৃবৃন্দ,সাধারন মানুষ ও শিশুদের রুহের মাগফেরাত সহ বাংলাদেশের শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

অপরদিকে বেলা দেড়টার দিকে কারামুক্ত হয়ে বারশাল মহানগর বিএনপি আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক দলীয় ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যলয় আসেন।
এসময় তিনি বৃষ্টির মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যতে দলীয় নেতা কর্মীদের বলেন আমরা আওয়ামী লীগ না। আমরা শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী দল। আমাদের দলের নেতা কর্মীরা আজ থেকে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় দৃষ্টি রাখবেন কেহ যেন শান্তি বিনষ্ট করে বিএনপির সম্মান ক্ষুন্য করার সুযোগ না পায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আজ শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারনে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশালে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। তবে বিকেলের পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়।

বরিশালের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকা ও মেঘমালা সৃষ্ট হওয়ার কাররনেই বৃষ্টি পাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এবৃষ্টি আরো দুই একদিন থাকতে পারে বলে ধারনা করছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে বৃষ্টির কারনে সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল কমেছে। জরূরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর ধেকে বের হচ্ছেনা। যানবাহনেরও সংকট দেখা দিয়েছে।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদের বর্বরতা প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না। জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।

গতকাল সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেওয়া মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ এর আয়োজন করে।

সম্প্রতি কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নেওয়া হয়েছে, সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে। এর পেছনে কী ছিল? কোটা আন্দোলনে জঙ্গি ঢুকে হত্যাকান্ড চালাল, প্রাণহানি ঘটল। এ দেশের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। এর বিচার আমি জনগণের কাছে দিলাম।

সহিংসতায় নিহতদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস গেলে তা ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু জীবন গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। আর যারা আপনজন হারিয়েছে, যে মা তার সন্তান হারিয়েছে, যে সন্তান তার বাবা হারিয়েছে তার কষ্ট আর কেউ না বুঝুক, আমি বুঝি। তিনি বলেন, এই আগস্ট মাস… বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে সেই কষ্ট নিয়ে এই বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। নিজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে এ দেশের মানুষের জন্য ফিরে আসি। তিনি বলেন, আমাদের চলার পথ এত সহজ ছিল না। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে গিয়েছি বাধা পেয়েছি। কখনো সরাসরি গুলি, আক্রমণ, জনসভায় বড় বোমা পুঁতে রাখা-প্রতিনিয়ত এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের সময় চরম মিথ্যাচার করা হলো। সন্ত্রাসীরা বিটিভি ভবনের মধ্যে যখন আগুন দিয়েছে, তখন হেলিকপ্টার থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করল। অনেক জায়গায় পুলিশ আটকা পড়েছে। বাসার নিচে আগুন দিয়েছে। মানুষ আটকা পড়েছে। বিটিভি ভবনে আগুন দিয়ে সন্ত্রাসীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেয়নি। সব থেকে আধুনিক ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি যেতে পারল না। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ১০ তলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। মালিকসহ আটকে পড়া লোকজন যখন ফোন করল, আমরা হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করেছি। গাজীপুরের জাহাঙ্গীর (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম) মিছিল নিয়ে আসছিল, তার সহকর্মীকে গুলি করে মেরে উল্টো করে রাখল। জাহাঙ্গীরকেও এমনভাবে মারা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আমাকে ফোন করে বলল, আপা আমাকে মেরেছে, আমি বাঁচব না, আমাকে বাঁচান। হেলিকপ্টার দিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই দেশবাসীকে সাবধান করেছিলাম, আন্দোলন কেন্দ্র করে যারা জিঘাংসা চরিতার্থ করতে চায়, তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গি; তাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, র‌্যাব, পুলিশ, সাধারণ মানুষ, শিশু কেউ রেহাই পায়নি। আমরা যখন বিভিন্ন হাসপাতাল দেখতে গেলাম, তখন কয়েকজন ছাত্র ছিল। বাকি সাধারণ মানুষ, পথচারী, কিছু শিশু ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটাপ্রথা বাতিল করেছিল সরকার এবং এখন চাওয়ার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে, এর পরও তাদের দাবি থামে না। এর পেছনে কী ছিল? কোটা আন্দোলনে জঙ্গি ঢুকে একদিকে হত্যাকান্ড চালাল, অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান মানুষকে সেবা দেয়… দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন তো মানুষকে বাঁচানোর জন্য, সেবা দেওয়ার জন্য, সেখানে অগ্নিসংযোগ; বিটিভিতে অগ্নিসংযোগ। সারা দেশকে একটা নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছি, সেই সেতু ভবনে অগ্নিসংযোগ। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ডাটা সেন্টার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাল। সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার যে আধুনিক গাড়ি, সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হলো। ঢাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আগে ছিলই না, সেটি আমি করেছি, সেখানে আগুন। জনগণ একটু ভালো থাকবে, সুস্থভাবে চলবে, সেসবের সবকিছুতেই আগুন দিয়ে পোড়াল। এটা কোন ধরনের আন্দোলন?

সরকারপ্রধান বলেন, আজকে যে প্রাণহানিগুলো ঘটল, যেখানে দাবি শতভাগ মেনে নেওয়া হয়ে গেছে; সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে, কার স্বার্থে, কেন? পুলিশ হত্যা করা হয়েছে। শুধু হত্যা না, কি বীভৎস দৃশ্য দেখেন। তাকে হত্যা করে পা ওপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হলো। গাজীপুরে দলের কর্মীদের তো মেরেছেই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে, সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসে পা গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তাকে গুলি করা হয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ! পুলিশ, র‌্যাবের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, চারজন শিশু মারা গেছে। অনেকগুলোর মৃত্যুর খবর আপনারা পেয়েছেন। পঁচাত্তরের পর থেকে আমরা তো শুধু লাশের মিছিলই দেখছি। এবার দু’শর ওপর মানুষ মারা গেল। যে স্থাপনাগুলো ভেঙেছে, মানুষ সাময়িক কষ্ট পাচ্ছে। একটু দেরি হলেও সেসব গড়ে তোলা যাবে, কিন্তু যে জীবনগুলো ঝরে গেল, এটা কীভাবে পাব?

কিছুটা সময় নীরব থেকে তিনি বলেন, ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা গুলিবিদ্ধ, এ গুলিগুলো কীভাবে লাগল? তারপর মিথ্যাচার। দোতলা বাড়ির মধ্যে জানালার কাছে ছেলেটা, তার গুলি লেগেছে। আপনারা বলেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ঘরের মধ্যে ঢুকবে কীভাবে? তিনি বলেন, আমাদের জ্ঞানী-গুণীরা এ আন্দোলন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কীসের সমর্থন দিচ্ছে? দাবি যেটা ছিল, সেটা তো পূরণ হয়ে গেছে। তারপর আবার এভাবে নেমে… আসলে আঘাত পেয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী। কিন্তু, যারা এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি কর্মকান্ড চালায়, তাতে ভুক্তভোগী হয় সাধারণ মানুষ। আহতদের যে দেখতে গেলাম, তার প্রায় সবই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের জীবনজীবিকা কীভাবে চলবে। এভাবে একটা নাশকতা করা, এটা তো জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড।

আওয়ামী লীগের নেওয়া নানান উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে উঠবে এবং যে জাতি হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত জাতি। আমরা যখন সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি, পাশাপাশি আমরা কী দেখলাম? ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, ওগুলো এখনো ছাড়েনি। সেখানে ধর্মান্ধতা এবং কূপমন্ডূকতা দিয়ে একটা শ্রেণি কিন্তু ধীরে ধীরে সবার অজান্তেই গড়ে উঠেছে। যারা ওই যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ছিল। দেশে গণহত্যা, লুটপাট, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে দোসর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, আর সে আঘাতটা আপনারা দেখলেন। কোটা আন্দোলনের নামে যখন সব রাস্তায় বেরিয়ে এলো, আমরা তাদের বললাম, কোটা আন্দোলন হয়েছিল ২০১৮ সালে। আমরা এটা মেনে নিয়ে বাতিল করে দিয়েছিলাম কোটা পদ্ধতি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মামলা করল, সেখানে আমার করা প্রজ্ঞাপনটা বাতিল করে দিলেন হাই কোর্ট। আবার কোটা ফিরে এলো। সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাপিলেট ডিভিশনে আপিল করা হলো। আপিল করা হলে হাই কোর্টের রায়টা সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো। কাজেই আবার সেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল হয়ে গেল এবং পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখও দেওয়া হলো। ৫ জুন এ রায় হয়েছিল। পুরো জুন মাস চলে গেল। জুলাই মাসের ৭ তারিখ থেকে হঠাৎ দেখি, আবার কোটার জন্য আন্দোলন-যখন কোটা পদ্ধতি নাই।

জামায়াত-শিবিরকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে : নিষিদ্ধের পর জামায়াত-শিবিরকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা তো জঙ্গিবাদী হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। সে কারণে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদের মোকাবিলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে। কারণ বাংলার মাটিতে জঙ্গির ঠাঁই হবে না। সেভাবে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই এবং দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি বারবার আঘাত আসবে, আমি পরোয়া করি না। আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, একদিন নিয়েও যাবেন। কিন্তু যেখানে মানুষের জন্য কল্যাণের জন্য কাজ আমরা করেই যাব। তিনি বলেন, ১ আগস্ট রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যম আমরা শোকের মাস শুরু করেছি। সব সংগঠনের নেতাদের এ শোকের মাসে শুধু শোক পালন নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির পিতা তো এ জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। কাফনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে যাননি। শুধু দিয়েই গেছেন। তাঁর সে আদর্শ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জামায়াত-শিবির : কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জামায়াত-শিবির তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তেনিও অ্যালেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা (জামায়াত-শিবির) ছাত্রদের শিল্ড (ঢাল) হিসেবে ব্যবহার করেছে। জামায়াত-শিবির, বিএনপি আগুন দিয়ে পোড়ানো ও গণহত্যায় অভ্যস্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি ভবন ধ্বংসসহ সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন ইতালির রাষ্ট্রদূত তার প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক এ ঘটনার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ইতালি বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে চায়। পুলিশের প্রশিক্ষণ বিষয়ে ইতালির প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান উপ-প্রেস সচিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরিশালের খবর ডেস্ক :
নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিটি সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বাড়লেও দেশি মুরগির দাম কমেছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা ও শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আনাজি কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও কাঁচামরিচ একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা কমে ৫৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের পাঙাস মাছ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র : বাংলানিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা আন্দোলনকারীদের সমর্থনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। অগ্মিসংযোগ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবীতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালনকালে বিজিবি,র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিজিবি, পুলিশ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড টিয়ারসল ও সাউন্ড নিক্ষেপ সহ রাবার বুলেট ছোড়ে।

অন্যদিকে বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি সড়কে মহানগর বিএনপি আহবায়ক মিনরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার ও ১নং যুগ্ম আহবায়ক আফেরাজা খানম নাসিরেনর নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমর্থনে সড়কে লাইটপোস্ট ফেলে ও আগুন জালিয়ে সড়ক অবরোধের পক্ষে শ্লোগান দেয়।

এছাড়া শহরের জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮) জুলাই বেলা ১১টায় বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বরিশাল কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে।

পরবর্তীতে সেখানে বিজিবি,র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনী সমন্বয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে বাধা প্রদান করে বেলা সোয়া ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে একাধিক টিয়ারসেল,রাবার বুলেট ছোড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভংগ করে দেয়। পরবর্তীতে পুনরায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বলে বিশেষ এক গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর সিএন্ডবি সড়কের টিটিসির সম্মুখে লাইটপোস্ট ফেলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক,সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড,আবুল কালাম শাহিন,মহানগর বিএনপি ১ নং যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সহ যুবদল,ছাত্রদল ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা।

বেলা ১টার দিকে বরিশাল সাবেক সিটি মেয়র ও বরিশাল বরিশাল মহানগর অঅওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী ও মহানগর শ্রমিক লীগের সম্পাদক রইস আহমেদ মান্নার সমর্থক সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ও বিভিন্ন লাঠিসোঠা নিয়ে সড়ক অবরোধকারীদের ধাওয়া করে সড়িয়ে দেয়।

এছাড়া বিকালে নগরীর সদররোডে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বরিশাল কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

বরিশালের খবর বিনোদন ডেস্ক :
অভিনয়ে ব্যস্ততার বাইরে নিজেকে সময় দিতে ভীষণ পছন্দ করেন মেহজাবীন চৌধুরী। ফুরসত পেলেই দেশ-বিদেশে ঘুরতে ভালোবাসেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এই অভিনেত্রী।

মেহজাবীনের স্বপ্ন ছিল নায়াগ্রা জলপ্রপাতে ঘুরতে যাওয়ার। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। নায়াগ্রা জলপ্রপাতে তোলা কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে এ কথা জানান মেহজাবীন চৌধুরী।

ছবিতে তাকে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেছে। অভিনেত্রীর পরনে ছিল সাদা প্যান্ট। নীল লুরেক্স স্লিম নিট শার্টে পরিপাটি লাগছিল অভিনেত্রীকে। খোলা চুলে চোখে রোদচশমায় অভিনেত্রীর মিষ্টি হাসি দেখে অভিভূত তার ভক্ত-অনুরাগীরাও।

সর্বশেষ ‘তিথিডোর’ নাটকে দেখা গেছে মেহজাবীন চৌধুরীকে। এতে একজন অবিবাহিত মেয়ের জীবনের সংগ্রাম ও হতাশা যে কতখানি গভীর হতে পারে, সেটি পর্দায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তার অনবদ্য অভিনয় দিয়ে আবারও দর্শকহৃদয়ে নাড়া দিয়েছে।