নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল জেলা দক্ষিন কৃষকদলের এক জরুরী সাংগঠনিক সভায় ইউনিট সমূহের সাংগঠনিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত সভায় উজিরপুর উপজেলার সাংগঠনিক অবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী করা লক্ষ্যে ৩ (তিন) জন যুগ্ম-আহ্বাবায়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় মোঃ রুবেল সরদার, মোঃ কাওসার খান, আবু বকর অপু কে যুগ্ম-আহ্বাবায়ক করা হয়।

উক্ত সভায় রুবেল সরদারকে কে স্বাক্ষর প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

বরিশাল জেলার দক্ষিন কৃষকদলের আহ্ববায়ক এইচ.এম মোহসীন আলম এবং জেলা দক্ষিন কৃষকদলের সদস্য সচিব সফিউল আলম সফরুল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জেলা দক্ষিন কৃষকদলের সদস্য সচিব সফিউল আলম সফরুল জানায়, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে নতুন করে তিন জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। এতে করে কৃষক দলের কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে।

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ওটরা চেরাগ আলী মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলটি ওটরা রাস্তার মাথায় শেষ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা”মাদক মুক্ত সমাজ করি,আগামীর দেশ গড়ি”এ শ্লোগান দেন। পুড়ো ওটরা ইউনিয়ন জুড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদক বিরোধী শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ছিলো। ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাকির খান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ মোল্লার নের্তৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ শামিম আহমেদ, উজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ কাইয়ুম খান,উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ সোলায়মান হোসেন,যুব নেতা মাইনুল মৃধা। ওটরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ মিজান ফকির,ওটরা ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি মোঃ রিয়াজ খান,২নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন মল্লিক, শ্রমিক দল নেতা হাজী মো: দেলোয়ার হোসেন, হাজী তাহের উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো: সানি আহমেদ, ওটরা ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান,তিতুমীর কলেজ শাখার ছাত্র দলের সহ-সভাপতি মোঃ কাওছার মাহমুদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা। পরিশেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মা ও ছেলের উপর মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি।

উল্টো আহতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। ওই মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন নেতাকর্মীরা। তা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যার সঙ্গে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দুইটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছয় সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর।

এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এরমধ্যে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইসরাত জাহান (২০)। বরগুনা হাসাতালে চিকিৎসাধীন চাঁন মিয়া (৭৫) ও গোশাই দাস (৮৫) নামের দুজন মারা গেছেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য মতে- চলতি মাসের শুরু থেকে বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪৮৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এরমধ্যে বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বরগুনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৪ জন। আর মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনই বরগুনার।

এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বৃষ্টি বাড়লেই আতংকিত হয়ে পড়ি। কারণ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়। তখন মশার বিস্তার বেড়ে যায়। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এবার বিষয়টি ভিন্ন। কারন বৃষ্টি ছাড়াও ডেঙ্গু তার প্রভাব বিস্তার করছে। এর বড় কারন আমাদের অসচেতনতা।

তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে যত রোগী ভর্তি হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে ভর্তি হওয়াসহ অনেক রোগী বাসা বাড়িতেও চিকিৎসা নেয়। সেই সংখ্যা আমাদের কাছে নেই। সেই সংখ্যা থাকলে সবাই বুঝতো ডেঙ্গু কত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমাদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে। সবাই মিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে সকলের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। সেই সাথে মশা জন্ম নিতে পারে এমন সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে সচেতনতার আহবান জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালে যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছের মুসুল্লীরা।

 

আজ সকাল সাড়ে ৭ টায় নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 

সকাল থেকেই ঈদ জামাতে অংশ গ্রহন করতে দলে দলে ঈদগা ময়দানে প্রবেশ করতে শুরু করেন মুসুল্লিরা।

 

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন সহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মুসুল্লীরা প্রধান জামাতে অংশগ্রহন করেন। পরে মোনাজাতে দেশ ও জতীর মঙ্গল কামনা করা হয়।

 

নামাজ শেষে পরস্পরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসুল্লীরা।

 

প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও নগরী ৫০০ মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

 

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় জিয়াউর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বরিশাল জেলা কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক ও উজিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, গন মানুষের নেতা এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক,বহু দলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা,আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-বীর উত্তম এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে উজিরপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২ জুন সোমবার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সরদার সিদ্দিকুর রহমান সরদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এস এম আলাউদ্দিন,এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাদশা,পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ রোকনুজ্জামান টুলু, মালয়শিয়া বিএনপির সহ- সভাপতি মো: সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আ ফ ম সামসুদ্দোহা আজাদ, পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ শাহাবুদ্দিন আকন সাবু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ মাহাবুবুর রহমান গোমস্তা, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ মিলন হাওলাদার, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ ফায়জুল হক রাড়ী,পৌর কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ মাছুম বিল্লাহ, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি মোসাঃ পারুল বেগম, পৌর মহিলা দলের সভাপতি মোসাঃ মাকসুদা আক্তার শিল্পী,উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মোঃ মনির সরদার, পৌর ছাত্র দলের আহবায়ক মোঃ আলাউদ্দিন বেপারী,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আয়নাল হক, এম জাকারিয়া, মো: মোতালেব হাওলাদার,আঃ মন্নান হাওলাদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।

এদিকে এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলের সামনে জড়ো হতে থাকে একপর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিনত হয়। পরিশেষে উপস্থিত সকলের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু বক্তৃতাকালে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এবং বিএনপির হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন তিনি।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের চেয়ারম্যান এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে, দ্বিতীয় দফার আলোচনার জন্য বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রবেশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এখন পর্যন্ত যেসব রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রবেশ করেছেন তারা হলেন-

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ইসমাইল জবিউল্লাহ ও অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার ও শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, এনসিপির নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, সারোয়ার তুষার, এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, জেএসডির শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাজেদুল হক রুবেল, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ জাসদের ডা. মুশতাক, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, এলডিপির লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী ও ড. নেয়ামুল বশির, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল ইসলাম নুর, আমজনতা পার্টির মিয়া মশিউজ্জামান।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেম এর উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় বরিশাল ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় হল রুমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট) পরিচালক হাসান মোঃ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিএআরসি ক্রপ জোনিং প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আবিদ হোসেন চৌধুরী, জিআইএস এনালস্টি আবিদ কামাল, সয়েল এক্সপার্ট মোঃ ছাব্বির হোসেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর রঞ্জন ও বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলার উপ পরিচালক, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এই অ্যাপ ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে সার সাশ্রয় ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে পারবে বলে ধারণা দেন ভক্তরা ।

যা গত ২০২৩ সালে আমন ধানের ৩৪টি প্রদর্শনী ট্রায়ালের গড় ফলাফলে সারের খরচ ৩৩.৯৯% কম ও ৬.৮৩% ফলন বৃদ্ধি হয়েছে। খামারি অ্যাপের সুপারিশ দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা হলে আমন মৌসুমে প্রায় ৮৯৬৫ কোটি টাকা আর্থিক লাভ অর্জন করা সম্ভব ।

এদিকে ২০২৩-২৪ সালের রবি মৌসুমে বোরো ধানের ৬০টি প্রদর্শনী ট্রায়ালে ১৮.২১% কম সার খরচ ও ৫.৫৯% ফলন বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের ৫০.৫৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ প্রদত্ত সার সুপারিশ ব্যবহার করা হলে দেশব্যাপী প্রায় ৮২০৫ কোটি টাকা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভবনা রয়েছে।#

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের খামারিরা। অনেক খামারির পশু এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। আবার অনেকে হাট শুরুর অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো সংকট ছাড়াই স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।

 

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন হয়। তবে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানি ঈদ ঘিরে। তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশি গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিয়াল জাতের গরু রয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় বলছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ছোট-বড় ২৭ হাজারের মতো খামারি কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ পশু লালন পালন করেছেন। আর বিভাগে এবারের কোরবানিতে মোট পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি।

 

বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভি মিলিয়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ টি রয়েছে। আর এরমধ্যে ষাঁড় গরুই রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯৬১টি।এছাড়া ৯ হাজার ৪০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৭৪ টি কোরবানিযোগ্য ভেড়া রয়েছে।

 

ফলে সবমিলিয়ে চাহিদা পরেও উদ্বৃত্ত পশু থাকবে ৬৫ হাজার ২৯৬ টি।

 

এদিকে কোরবানির আগে যাতে হরমোন, অ্যান্টিবায়োটিক বা কৃত্রিম কোন উপায়ে পশুকে মোটা তাজা করা না হয় সেজন্য খামারে নিয়মিত নজরদারি করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খামারে একসাথে অনেক পশু পালনের পাশাপাশি বাড়িতে ছোট আকারে একটি দুটি গরু কিংবা ছাগল পালন করেন অনেকে। ফলে এ অঞ্চলে হিসেবের থেকেও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু থাকতে পারে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে না, যাতে বিদেশি গরুর প্রয়োজন হবে। এবারে এ অঞ্চলে স্থানীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

 

তিনি বলেন, এখন আর কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজা করা হয় না। তারপরও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার খামারগুলোতে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন, যাতে কেউ অনৈতিক কাজে না জড়িয়ে পরে।

 

তিনি বলেন, এর বাহিরে প্রতিটি পশুর হাটে পশু চিকিৎসকসহ মনিটরিং টিমও কাজ করবে।

 

এদিকে খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে কোরবানির পশুর দামে। তবে ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির বাজার স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে।

 

উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ শত টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড়শত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষনার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের করা মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যনালে মামলার আবেদন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম।

২০২৩ সালের জুনের সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে তিনি দলটির প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন।

আজ সোমবার (৫মে) নির্ধারিত দিনে শুনানী শেষে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসিবুল হাসান এই আদেশ দেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আইনজীবী শেখ নাসির উদ্দিন ও মোহাম্মদ হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর বহুদিন অতিবাহিত হওয়ায় মামালাটি গ্রহণের পর্যায়ে না থাকাসহ বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আদালত আবেদনটি খারিজ করেছেন। তবে এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এরআগে গত ২৪ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানির তারিখ ৫ মে নির্ধারণ করেন বিচারক।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশাল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের সাথে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন ‍এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০.০০ টায় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা‍য় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম ।

বক্তাদের আলোচনায় বিচারবিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

এ সময় বক্তারা বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জন আশা-আকাঙ্ক্ষা, কাঙিক্ষত স্বপ্নপূরণ ও বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে কতিপয় কমিশন গঠন করেন। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনসহ প্রতিটি কমিশন ইতোমধ্যে নিজ নিজ সংস্কার ভাবনাসহ বিস্তারিত রিপোর্ট ও সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

বক্তারা ‍আরও বলেন, প্রতিটি সভ্য রাষ্ট্রে সরকারের তিনটি প্রধান অঙ্গ- আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ রয়েছে। প্রত্যেক অঙ্গের ভূমিকা ও কাজ আলাদা আলাদা হিসেবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। বিচার বিভাগ পৃথককরণ বিষয়টি ব্রিটিশ আমল থেকে আলোচিত ইস্যু হলেও পাকিস্তান ও পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশেও তা কার্যকর করার জন্য তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

অতি সম্প্রতি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলো প্রাপ্তির পর তা পর্যালোচনাপূর্বক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ থাকলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে যেসব সংস্কার প্রস্তাব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার তালিকা করেছেন তার মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার বিভাগ নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। বিগত সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকারও দায় এড়িয়ে যাবে না মর্মে এসোসিয়েশন দৃঢ় বিশ্বাস করে। এজন্য বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনকাল এক সুবর্ণ সুযোগ বলে বিচারকগণ মনে করেন।

বক্তারা বলেন, বিগত দিনে বিচার বিভাগকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যা অনভিপ্রেত এবং মোটেই কাম্য নয়। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম এবং প্রধান অনুষঙ্গ হলো স্বাধীন বিচার বিভাগ। নির্বাহী বলয় থেকে বের হতে না পারলে সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষা করা সুদূর পরাহত। সেক্ষেত্রে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। এজন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। জেলা আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও বাজেট সংক্রান্ত বিষয়গুলো একান্তই আলাদা সচিবালয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা গেলে বিচার বিভাগের পৃথককরণ সফলতার মুখ দেখবে উপস্থিত সকলে আশা প্রকাশ করেন। এতে করে জনগণের ক্ষমতায়ন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তি অনেকটা সহজতর হবে।

বক্তারা ‍আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি বিচার বিভাগের যথাযথ অবস্থান সমুন্নত করতে না পারে তাহলে অদূর ভবিষ্যতেও হীন স্বার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহারের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংস্কারও অত্যাধিক গুরুত্ব বহন করে। তাই স্বাধীন ও নির্বাহী হস্তক্ষেপমুক্ত বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এসোসিয়েশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানায়।

‍এদিকে সভায় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন ‍এর কাছে বিভিন্ন দাবিতে স্বারকলিপি দেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী ‍এসোসিয়েশন। সভায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার জেলা ও দায়রা জজ ‍আদালতের বিচারক সহ বিভিন্ন ‍আদালতের বিচারক ও বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন ‍এর নেতারা ‍উপস্থিত ছিলেন।