নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ। তিনি বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি’র ১ নং সদস্যও।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বরিশাল নগরীর ১ নং সিএন্ডবি পুল সংলগ্ন দারুননাজাত নেছারিয়া আইডিয়াল মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় আবু নাসের বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সময়ে ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষার তেমন কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। বরং সেখানে জাতিকে ধ্বংস করার একটি নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষা বিবর্জিত এ শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক তৈরি করতে না পারার কারণেই দেশের সব সেক্টরে অযোগ্য ব্যক্তিকে বসানো হয়েছিল। আর এতে দুর্নীতি লুটপাটের দেশে পরিণত হয় দেশ। আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে ইসলাম নিরাপদ থাকে। ইসলামের প্রসার ঘটে। ধর্মীয় শিক্ষাকে উন্নত ব্যবস্থাপনার উন্নীত করাহ হয়।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ ছিল নেতিবাচক ও নিন্দনীয়। দেশের বিভিন্নস্থানের মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল তারা। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধংস করে দেয়া হয়েছিল।

নাসের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। যারাই ইসলামী রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিল তাদেরকেই মামলা-হামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হয়েছে। অনেক আলেমদের মিথ্যা মামলায় কারাবরণ ও ফাঁসিও দিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে শান্তি ও সম্প্রিতির উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। এমন স্বপ্ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ উন্নত দেশে রুপান্তরিত হবে। এজন্য তার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা নুরুল হকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ নং যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন টিটু নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ নং যুগ্ন আহবায়ক তারিক সুলায়মান, ও যুগ্ন আহবায়ক মিলন চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরামের নগর সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আসিফ আল মামুন৷ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক তাজ ইসলাম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, প্রধান পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাচিপ নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট এর ডা. আশরাফুল কে বরিশালে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে সাধারন ছাত্র ও চিকিৎসকরা।

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদায়িত হয়েছেন স্বাচিপ নেতা ডা. আশরাফুল।

আর এ কারেন আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় শেবাচিম হাসপাতালের পেছনের গেটে প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে সাধারন ছাত্র ও চিকিৎসকরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যক্ষ বিরোধীতাকারী ও স্বৈরাচারী সরকার এর দোসর ডা আশরাফুল এর পদায়ন এই বরিশালের ঐতির্যবাহি মেডিকেলে করতে দেয়া যাবেনা। কর্তপক্ষ এই দোসরের পদায়ন বাতিল না করলে বড় আন্দোলনে যাবে সাধারন ছাত্র ও চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে ডা. আশরাফুল জানান, আমাকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বদলি করা হয়েছে বরিশাল মেডিকেল আগামি বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী আমার যোগদান করার কথা রয়েছে। সাধারন ছাত্র ও চিকিৎসকরা আমাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে তা জানাছিলোনা। বিষয়টি কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করে দেখব। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই হবে।

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
নাশকতা কারীরা দুটি ককটেল বিষ্ফোরন ঘটিয়েছে বরিশালের উজিরপুরে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ২টি জলন্ত পেট্রোল বোমা ও ৩ টি ককটেল উদ্ধার করেছে। এদিকে পুরো ঘটনা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের পূর্ব ধামসর সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোল্লা বাড়ির বাগানের ভিতরে প্রেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হঠাৎ প্রেট্রোল বোমার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হলে ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বাগানের ভিতরে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে বামরাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি প্রথমে বোমার বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ডাক চিৎকার করলে লোকজন জড়ো হয়। পরে বিষয়টি উজিরপুর ফায়ার সার্ভিস ও উজিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার ও ২টি জ্বলন্ত পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে।

এদিকে এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. খোকন ডাকুয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মুরাদ রনি,উপজেলা যুবদল নেতা মো. শাহাদুজ্জামান কমরেড,উজিরপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মেহেদি হাসান,পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কালাম ফরাজি,পৌর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. আকাশ বালীসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করেছে।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান,খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে,তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে ফ্যাসিস্ট বলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর নিকট তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেছেন শিক্ষক সমাজ।

 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলা হয়।

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাবলি বিষয়ে শিক্ষক সমাজের প্রেসব্রিফিং লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, আমরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গত কয়েকদিন ধরে অনাকাঙ্ক্ষিত কতিপয় ঘটনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ঘটনাগুলোর বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ নিম্নে তুলে ধরছি।

 

এসময় তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীকে ফ্যাসিস্ট বলে গালি দিয়েছেন। অথচ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যেখানে বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পুলিশের গুলির সামনে বুক

পেতে দিয়ে পেটোয়া পুলিশ বাহিনীকে প্রতিহত করে প্রথম বিজয় অর্জন করেছিল। সেই অকুতোভয় শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকল রকম হয়রানি ও নির্যাতনের ভয় উপেক্ষা করে প্রেস রিলিজ রূপে বিবৃতি প্রদান করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

 

অপরদিকে আমরা প্রমাণ সহকারে জানি উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন নিজে ছিলেন ফ্যাসিস্ট শক্তির একজন চিহ্নিত দোসর। ২০২৪ সালের আমি-ডামির নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক ও পেশাজীবীরা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তাঁদের সেই বিবৃতিপত্রে ১০৮ নং স্বাক্ষরকারী ছিলেন আজকের এই উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন। এমন চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে ফ্যাসিস্ট বলেছেন- এর চেয়ে লজ্জার ও ঘৃণার কিছু হতে পারে না। আমরা তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই

এবং আমরা দাবি জানাচ্ছি এই বক্তব্যের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর নিকট তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

 

তিনি বলেন, এছাড়াও তিনি উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এযাব ৎকালের সকল নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এই কথা দ্বারা তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে আহত করেছেন। আমরা তাঁর এই বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই কথার জন্যও তাকে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে।

 

তিনি বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বিগত পাঁচ মাসেও তিনি একটি সিন্ডিকেট সভা ডাকতে পারেননি, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৮(২) ধারামতে প্রতি ৩ মাসে একটি সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ মর্মে পত্র দেয়া হয় যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩টায় ভিসির বাসভবনে একটি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন আমাদের জানিয়েছেন যে, উক্ত আহ্বানপত্রের সাথে কোনো আলোচ্যসূচি দেয়া হয়নি।  ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনুমিত হয় যে, এটি ছিল একটি গোপন এজেন্ডার দুরভিসন্ধিমূলক সিন্ডিকেট সভা। শিক্ষার্থীরা এই সিন্ডিকেট সভা না হতে দেয়ার লক্ষ্যে ভিসির বাসভবনের মূল গেটের সামনে জড়ো হয়ে সদস্যদেরকে ঢুকতে বাধা দেয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য উপ-উপাচার্য মহোদয়, ট্রেজারার মহোদয় ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন গেটে অপেক্ষা করতে থাকেন যাতে প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় হলেও তাঁরা সভায় ঢুকতে পারেন। কিন্তু আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাঁরা ঢুকতে পারেননি। তখন রেজিস্ট্রার তাদের একজনকে জানান যে, সভাটি একমাত্র আলোচ্য বিষয়ের বিশেষ সভায় রূপান্তর

করা হয়েছে এবং তাঁরা যেন অনলাইনে সভায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তখন রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে অনলাইনে আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগই ছিল না।

 

কার্যদৃষ্টে মনে হয় কর্তৃপক্ষের ইচ্ছেই ছিল এই সদস্যগণ যাতে আলোচনায় কার্যকর অংশগ্রহণ করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা করা। এছাড়াও সদস্যগণের বিবেচনা অনুযায়ী সেই একমাত্র আলোচ্যবিষয়টি আইনিভাবে বৈধ আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠার যোগ্য ছিল না। আলোচ্যবিষয়টি ছিল- “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শৃঙ্খলা বোর্ড বা সংবিধি না হওয়া পর্যন্ত সরকারী কর্মচারী আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা আইন প্রযোজ্য হবে মর্মে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ’। খুবই অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর এক আলোচ্য বিষয়। শৃঙ্খলা বোর্ড কীভাবে সংবিধির বিকল্প হতে পারে আল্লাহ মালুম! শৃঙ্খলা আইন নামে বাংলাদেশে কোন আইন আছে বলে আমরা শুনিনি। এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ ধারায় সংবিধি ও বিধি প্রণয়নের যে বিধান রয়েছে তদনুযায়ী সরকারি কোনো বিধি এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তার ওপর চাপিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি আলোচ্যবিষয়টি যেভাবে লেখা হয়েছে তাতে দেখা যায় উক্ত সরকারি আইন বা বিধি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে- এমন সিদ্ধান্ত আগে নিয়ে তারপরে আলোচনার কথা বলা হচ্ছে, যা কার্যত আর আলোচনার সুযোগই রাখে না। এই সব বিবেচনায় নিয়ে উক্ত তিনজন সদস্য সভাটি বয়কট করেন।

 

কিন্তু জানা যাচ্ছে, স্বেচ্ছাচারী উপাচার্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সদস্যের অংশগ্রহণ ব্যতীতই উক্ত সভা অনলাইনে সম্পন্ন করেছেন এবং সেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ ধারার নির্দেশনা অমান্য করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য তৈরিকৃত আইন বা বিধি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের

জন্য প্রযোজ্য হবে। এরূপ সিদ্ধান্ত অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ এবং ইহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইন্টেলেকচুয়াল ও একাডেমিক স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে হরণ করবে বলে আমরা মনে করি। তাই এই অবৈধ সিদ্ধান্তের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

 

তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রবিক্ষোভ বিষয়ে উপাচার্যের নির্দেশে মামলা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি এবং সেই মামলার এজাহারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মহোদয়, ট্রেজারার মহোদয় ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের বিরুদ্ধে এমন মামলার এজাহারে অভিযোগের ঘটনা অত্যন্ত নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক। আমরা এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

 

একইসাথে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সকল মামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও উক্ত মামলা অতিদ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের সকল ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবির প্রতিও আমরা সুদৃঢ় সহমত পোষণ করছি। আমাদের এই প্রতিবাদ বিবেচনায় নিয়ে সকল দাবি অবিলম্বে পূরণপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি উপেক্ষা করা হলে শিক্ষক সমাজ কঠিনতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেট সদস্য ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীনসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কলেজ শাটডাউন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রশাসন ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয়ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

বিশেষ করে মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি, ফিজিওলজি, সিসিইউ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডিপার্টমেন্টসহ ডেন্টাল ইউনিটেরও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এতে করে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যা ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি তুলে ধরে অনতিবিলম্বে মেডিক্যাল কলেজের সকল ডিপার্টমেন্টে শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক পদায়ন করার দাবি করা হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বদলিকৃত শিক্ষকদের তাদের স্ব-পদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক সংঘটিত কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকসমাজ প্রতিবাদলিপি দিয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য- এর সমীপে শিক্ষকদের দেয়া এ প্রতিবাদ লিপিতে ৫০ জনের সাক্ষর রয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে শিক্ষক সমাজ বলেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ হিসেবে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয় কতিপয় ঘটনার উদ্ভব হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা মনে করি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু- স্বাভাবিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে এমন কার্যক্রম বন্ধ হওয়া জরুরি।

ঘটনাসমূহের কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য আইন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যাবলির প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান করবেন মর্মে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও কোনো একাডেমিক নথিতে তাঁর মতামত বা অবজারভেশন গ্রহণ না করেই সকল একাডেমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, যা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। উপ-উপাচার্যকে পাশ কাটিয়ে গৃহীত এই সকল একাডেমিক সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ভবিষ্যতে কঠিন আইনি প্রশ্ন উত্থাপিত হবে এবং এই সকল অবৈধ সিদ্ধান্তের স্টেকহোল্ডার হিসেবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ মারাত্মকভাবে বিপদগ্রস্ত হবে বিধায় এই বে-আইনি চর্চা অনতিবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন ।

২। গত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে উপ-উপাচার্যের কার্যালয় থেকে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একাডেমিক অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি সভা আহ্বান করে চিঠি প্রদান করা হয়। উপ-উপাচার্যের এই পত্রকে বিধিবর্হিভূত বলে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি পাল্টা পত্র দেয়া হয়। যে বিধি ও যুক্তিতে এই চিঠিকে বিধিবহির্ভূত বলা হয়েছে তা এতই ঠুনকো এবং আইনের অপব্যাখ্যাপ্রসূত যে, উক্ত যুক্তি ও অপব্যাখ্যা অনুযায়ী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাবৎকালে অনুষ্ঠিত বিভাগসমূহের একাডেমিক কমিটির সভা, পরীক্ষা কমিটির সভা ও প্রাধ্যক্ষের হল প্রশাসনিক সভা ইত্যাদি অনেক কিছু অবৈধ হয়ে যায়। ফলে উক্ত পত্রের বলে বিশেষ করে পরীক্ষা কমিটির এযাবৎকালের সভাসমূহের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলি অবৈধ হয়ে যাওয়ায়রেজিস্ট্রারের উক্ত পত্র পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডের জন্য এক মহা বিপর্যয় হিসেবে আপতিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে উক্ত পত্রটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি।

৩। উপ-উপাচার্যের আহুত সভায় চেয়ারম্যানবৃন্দকে কেবল সভায় অংশগ্রহণ না করার অনুরোধেই কর্তৃপক্ষ ক্ষান্ত থাকেনি বরং উপ-উপাচার্যের সভায় অংশগ্রহণ চাকুরি-সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরিপন্থি বলে পুনরায় একটি চিঠি উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্ট্রার ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইস্যু করেন। উপ-উপাচার্যের আহুত সভায় চেয়ারম্যানদের যোগদানকে চাকুরি-সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরিপন্থি বলে অভিহিত করার ঘটনা এবং চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে উক্ত চিঠির ভীতিকর ও অপ/মানকর ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজকে অত্যন্ত ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে।

প্রতিবাদ লিপিতে শিক্ষকবৃন্দ উপরে বিবৃত এ জাতীয় সকল ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। যেখানে শিক্ষকরা বলেন- আমরা মনে করি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংকটের পরও শিক্ষকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এখন পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, মনন ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশে-বিদেশে সাফল্যের সাথে কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হতে পারছে। এ অবস্থায় আমরা প্রত্যাশা করি সকল রকম স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি পরিত্যাগ করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতির জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবেন।

এই প্রত্যাশায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজের পক্ষে নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ পত্রটি জমা দেন বলেও প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গৌরনদীর নাঠৈ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক বিএনপি নেতার ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, রোববার সকালে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত ৫ আগস্টের পর গৌরনদীর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপন করলেও সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী নাঠৈ গ্রামের নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

 

বরিশালের খবর ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ক্রমে জোরালো হচ্ছে। দলটি নিষিদ্ধে বর্তমানে জোরালো দাবি তুলছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সুর গণঅধিকার পরিষদ ও হেফাজতে ইসলামের মুখেও। কেউ কেউ নিবন্ধন বাতিলের দাবিও করছেন। দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশ পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা যদি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে এ নির্বাচনের আগেই সচেষ্ট না হই, তাহলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে। নিষিদ্ধ না করলে বাংলাদেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।’

ঢাবিতে কফিনমিছিলে ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’ স্লোগান : গতকাল বাদ জুমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত মো. হাসানের (১৯) লাশ নিয়ে কফিন মিছিল বের হয়। দীর্ঘ সাত মাস পর তার লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় তারা- ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। হাসানের বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে গত ৫ আগস্ট হারিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতাল, ক্লিনিক, কবরস্থান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামসহ সব জায়গায় খুঁজি, কিন্তু কোথাও পাই না। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যাই। কাপড়চোপড় দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করি।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘এখনো বিপ্লবীদের রক্ত ঝরছে, অনেকে শহীদ হচ্ছেন। আমরা চাই, আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ যদি অন্য কিছুর দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে তবে প্রয়োজনে আরও ২ হাজার জীবন দেব। তবুও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার লড়াই চালিয়ে যাব।’

গাজীপুরে কফিন মিছিল থেকে নিষিদ্ধের দাবি

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নিহত আবুল কাশেম হত্যার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে কফিন মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা। গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এর আগে শহীদ মিনার চত্বরে নিহত কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ৫ তারিখে আওয়ামী লীগ পালানোর পর থেকে আমার ভাইদের গুপ্তহত্যা চালানো হচ্ছে। আমরা এখনো ঘরে ফিরে যাইনি। স্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।

গণঅধিকার পরিষদের হুঁশিয়ারি

দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। গতকাল গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে অংশ নিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ছয় মাস হয়ে গেল এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

নিষিদ্ধ চায় হেফাজতে ইসলাম

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা। গতকাল বিকালে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম-খুনে ও নির্যাতনে নৃশংসতার সব সীমা ছাড়িয়েছে। তারা আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকা-, গুম-খুন, ৫ মে ও চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদারের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনিয়নবাসী।

১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৫ টায় হারতা বন্দরে হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে হারতা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীরা।

এসময় বক্তৃতা করেন হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফিরোজ হোসেন হাওলাদার,সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম তালুকদার,হারতা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শিরাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সিএনজি গাড়ি যোগে হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার ও হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার উজিরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে ওটরা ইউনিয়নের হাবিবপুর কালি মন্দিরের সামনে পৌঁছলে পরিকল্পিত তাদেরকে পথরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাঃ আহত তরিকুল ইসলাম তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত মহিউদ্দিন তালুকদারকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় আহত মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান মধ্য কেশবকাঠী গ্রামের মোঃ রফিক মল্লিক,মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ লিটন মৃধা,মোঃ পলাশ মৃধা,খোকন মৃধা,মেহেদী মৃধা,পনির মল্লিক,খলিল মল্লিক,জুয়েল মৃধা,সোহাগ মৃধাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়িপেটা করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয় এবং সিএনজি গাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে ওই সন্ত্রাসীরা।

হামলার ঘটনায় আহত মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফিরোজ হাওলাদার বলেন প্রথমে ওই সন্ত্রাসীরা হারতা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম তালুকদারের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এর কিছুক্ষন পরেই হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদারকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালায়।

এছাড়া মারধর ফিরাতে গিয়ে হামলার শিকার হন হারতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শিরাজুল ইসলাম ফরাজি।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন হারতা ইউনিয়ন বাসী।

এছাড়াও হামলাকারীদের বিচার না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর:

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল এর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল এর স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উজিরপুর মেজর এম এ জলিল নূরানি ও হাফেজি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এসময় সাবেক সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বরিশাল ও মেজর এম এ জলিল এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডাঃ আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে ও মোঃ আলী হোসেন সিকদার রুপকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল এর সুযোগ্য জেষ্ঠ্য কন্যা ব্যারিস্টার সারাহ জলিল।

 

উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাজেদ তালুকদার (মান্নান মাষ্টার), উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান,পৌর বিএনপির আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম খান, সদস্য সচিব মোঃ রোকনুজ্জামান টুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন আকন,মোঃ হেমায়েত উদ্দিন খলিফা,সাবেক কাউন্সিলর আঃ হাকিম সিকদার,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম জাকারিয়া মাষ্টার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, মো: আয়নাল হক, মোঃ হাবিবুর রহমান, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিন জহির,বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা মোঃ মামুন সিকদার,উজিরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ সোহাগ হাওলাদার, মোঃ খলিলুর রহমান, মেজর এম এ জলিল মাদ্রাসার শিক্ষক আঃ হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

 

এসময় প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার সারাহ জলিল তার পিতার স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশদ আলোচনা কালীন সময়ে তিনি আবেগে আপ্লূত হয়ে পরেন।