বরিশালের খবর ডেস্ক :
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনীতিবিদরা একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবে।

দেশ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এখন যতখানি প্রয়োজন ততখানি সংস্কার তারা করবে, আর যদি বাকি থাকে, তাহলে সেগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। ফলে স্বচ্ছ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও বরিশাল সিটি মেয়র সরোয়ার বলেন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক হাত-ধরাধরি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের যেকোনো বড় ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে ঐক্য থাকার বিকল্প নেই। আর গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ মনে করে তাদের এগিয়ে নিয়ে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যম ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিগত দিনে গণমাধ্যমে বিভাজন দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছে।

বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহসহ গণমাধ্যমকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে সাবেক এমপি বলেন, বিগত তিনবারে দেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি, এবার তারা ভোট দিতে চায়। আর এজন্য মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চায়। এখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় তাই এই সরকারকে করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে মানুষ একজন ভালো ব্যক্তিতে তাদের সেবার জন্য নিয়োজিত করতে পারে।

তিনি বলেন, সেই ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে দেশে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হয়েছে। তবে দেশ স্বাধীনের পর ছাত্র জনতার এ আন্দোলন আমাদের অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে। ছাত্ররা অনেক মেধাবী তাই আমি বিশ্বাস করি কোন কাজটি আগে করতে হবে তারা সেটি ভালোভাবে বুঝে। আর শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদসহ সবাই মিলেই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সবার ভেতরে মানবিকতার বিষয়টি ফিরিয়ে আনতে হবে, বিশেষ করে পুলিশের ভেতরে। আমার যেটা মনে হয় বিগত দিনে তাদের মানবিকতার বিষয়গুলো নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই করা হয়নি। গুলির প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আর বলা হয়েছে জনতাবদ্ধ হলেই গুলি করে দিতে। নইলে পরীক্ষা দিতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপরও গুলি চালাবে কেন? কিন্তু বিগত দিনে তো দেখেছি পুলিশ মানুষকে বোঝায় তারপরও না হলে হাটুর নিচে গুলি করে। এটার পরিবর্তন প্রয়োজন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
প্রজনন নিরাপদ করতে ইলিশ আহরণ, কেনাবেচা ও পরিবহনের ওপর টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান থাকায় ইতোমধ্যে বরিশাল নগরসহ বিভিন্ন বাজারে ইলিশ বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ডের সদস্যদের নিয়ে নৌ-মহড়া দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তর।

বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের টাস্কফোর্স উপজেলা প্রশাসনসহ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ সময় আইন ভেঙে ইলিশ শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে, যাতে নদীতে কেউ জাল না ফেলে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রকৃত জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। সেইসাথে বরিশাল জেলায় জেলেদের সংখ্যা বেশি থাকায় যারা এই প্রণোদনা কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল কুমার দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে, আবার মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ৫৬ হাজার ৭০০ জেলেকে চাল দেওয়া হবে ২৫ কেজি করে মোট ১৪১৭.৫ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ১৬ হাজার ৫৭৪ জনকে ৪১৪.৩৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই চারদিনের মধ্যে বাকিদের দেওয়া হবে।

তিনি জানান, জেলায় ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অভিযানে মৎস্য, নৌ-পুলিশ নদী ও খালে প্রশাসনের ৪৮টি টিম ও ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে, বরিশাল নগরের পোর্ট রোডস্থ একমাত্র মৎস্য পাইকারি বাজারে রোববার সকালে প্রকাশ্যে ইলিশের দেখা মেলেনি বা বিকিকিনি হয়নি। অন্যান্য মাছের সংখ্যাও কম ছিল বাজারে। তবে গত মধ্যরাত পর্যন্ত বাজারটিতে ইলিশের বিকিকিনি হয়েছে।

জানা গেছে, শেষ মুহূর্তে সস্তায় ইলিশ পাওয়ার আসায় পোর্ট রোড বাজারে রাতে ক্রেতা সমাগম থাকলেও শেষ দিনেও দাম ছিল আগের মতোই। ক্রেতারা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে বাজারে অন্যান্য ধরনের মাছের বিকিকিনি চললেও ইলিশের দেখা নেই বাজারে। তবে আগের দিন শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ বাজারেও ইলিশ বিক্রির ধুম পড়েছিল। যদিও দাম আগের মতোই চড়া ছিল।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার জন্য সাগর থেকে আসা ট্রলারগুলো বাজার সংলগ্ন খালের ঘাটে বাধা রয়েছে। আবার বাজারের শ্রমিকদেরও অনেকেই অলস সময় কাটাচ্ছেন। তারা জানান, এই বাজারের শ্রমিকদের নিষেধাজ্ঞার এই বাইশ দিন অনেকটাই বেকার বসে থাকতে হবে।

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
তপ্ত রোদ, উত্তপ্ত সৈকত। আবহাওয়া অনেকটা গরম। শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে ওঠে। ঠিক সেই মুহুর্তে সুপেয় পানি নিয়ে পর্যটকদের পাশে দাড়িয়েছেন স্থানীয় পৌর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। রবিবার সকাল ১০ টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স সংলগ্ন সৈকতে ৫’শতাধিক পর্যটকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরন করেন তারা। একই সাথে ছোট ছোট শিশুদের হাতে তুলে দেয় চকলেট। তাদের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পর্যটকরা।

এ সময় কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজোন’র পুলিশ সুপার মো.আনছার উদ্দিন, ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন ইনচার্জ আব্দুল খালেক, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আ.আজিজ মুসুল্লি, সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন বাবুল ভুইয়া, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘড়ামী, পৌর যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, পৌর যুবদল সাধরন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন সহ স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কুয়াকাটা পৌর যুবদল সাধরন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, আগত পর্যটকদের জন্য সামান্য উপহার হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে পানি ও চকলেট বিতরণ করা হয়েছে। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের দিক নির্দেশনায় কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এ সেবা মুলক কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচতলা বিশিষ্ট মেডিসিন ভবনটিতে রোগীদের পুনর্বাসন করতে সময় লাগবে। অন্তত তিনদিন সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।

আগুনের ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালের ভবন পরিদর্শন শেষে রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তার সঙ্গে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজাউল আলম রায়হান, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, আনসারসহ হাসপাতালের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সবার সহযোগিতায় ভবনে থাকা রোগী, তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। পুরো ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর আমাদের কাছে নেই। বর্তমানে ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার কাজটি পরিচালনা করার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, আগুন লাগার উৎপত্তি স্থান ভবনটির নিচতলা। সেখানে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ স্টোরে থাকা ম্যাট্রেস, মশারি, চাঁদরসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের আগুন নেভানোর কাজের জন্য সেখানে এখনও পানি জমে আছে। ফলে সবকিছু সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পুরো ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিরূপণ করতে সময় লাগবে।

এছাড়া ভবনের বাকি চারটি ফ্লোরে শুধু ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। আশা করি দ্রুত সময়ে মধ্যে ভবনটিতে রোগীদের স্থানান্তর করার কার্যক্রম শুরু হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আরও বলেন, মেডিসিন ভবনটিতে রোগীদের পুনর্বাসন করতে সময় লাগবে। অন্তত তিনদিন সময় প্রয়োজন। এর মধ্যে ভবনের নিচতলা ছাড়া বাকি ফ্লোরগুলো রোগীদের সেবার জন্য চালু করা সম্ভব হবে। নিচতলায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে আরও সময় লাগবে।

রোববার সকাল ৯টার দিকে শেবাচিমের পাঁচতলা নতুন মেডিসিন ভবনের নিচতলার লেলিন স্টোর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্টোরটি পুরুষ মেডিসিন ইউনিটের পাশে। ধোঁয়া দেখে পুরো হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ধোঁয়া খুব বেশি হওয়ায় অভিযান শেষ করতে তিন ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হয়।

হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচতলা ভবনটিতে মেডিসিন বিভাগের পাঁচটি ওয়ার্ডের ১০টি ইউনিট ও ডেঙ্গু ওয়ার্ড রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৭০ জন ডেঙ্গু রোগীসহ ৫৪৩ জন রোগী ছিল ভবনটিতে। এছাড়া রোগীদের স্বজন, নার্স, চিকিৎসক, স্টাফরাও সেখানে ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো কোনো কিছু চাপিয়ে দিলে আপনারাও গদিতে থাকতে পারবেন না।

তিনি বলেন, যেহেতু আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, রক্ত দিয়েছি, জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি এখানে লালনের আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য নয়, আমেরিকা-ভারতের অপসংস্কৃতি বাস্তবায়নের জন্য নয়।

এসব চাপিয়ে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তা মানবে না। এই দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত আছে এই মাটি। শিক্ষা ও সংবিধান সংস্কারে যারা এসব চিন্তা লালন করে না, এর বাইরে বিচ্ছিন্ন কোনো চিহ্নিত ব্যক্তিদের আপনি শিক্ষা ও সংবিধান সংস্কারের এর জন্য যদি গ্রহণ করেন তা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ব‌রিশ‌ালের গৌরনদীতে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে তি‌নি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, প্রত্যেকটি সংস্কারে বাংলাদেশের আলেম সমাজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যোগ্য আলেম ছাড়া আপনারা কোনো কিছু সংস্কার করতে পারবেন না। যদি আপনি আমাদের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চান তাহলে মনে করবেন ক্ষতি এই দেশের হবে, ক্ষতি এই জাতির হবে, মানবতার হবে। তাহলে আপনারাও সরকারের গদিতে থাকতে পারবেন না। তাই আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশটাকে গড়ি।

গৌরনদী সরকারি কলেজ মসজিদ সংলগ্ন ঈদগা মাঠ ময়দানে সংগঠনের গৌরনদী উপজেলা শাখা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহর সঞ্চালনায় আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুফতি নেছার উদ্দিন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুল রহমান, জেলা আন্দোলনের সদস্য মাস্টার মাহাবুল হক মানিক আগৈলঝাড়া সভাপতি রাসেল সরদার মেহেদী প্রমুখ।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর:

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শাতলা ইউনিয়নে  ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মাজার ভাঙা বন্ধ করলো স্থানীয় মুসল্লীরা।

 

সুত্রে জানা যায়,১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার  উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অশ্লীলতা ও বিভিন্ন কূ-কর্মের  অভিযোগ তুলে গদাই মাজারটি ভাঙার পরিকল্পনা করে কতিপয় স্থানীয়রা।

 

 এ ঘটনা এলাকায় চাউর হলে সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন।

 

 এরপর তাৎক্ষণিকভাবে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা  হাসনাত জাহান খান, উজিরপুর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এর মেধা ও দুরদর্শিতায় উত্তেজিত জনতার পরিবেশ শান্ত হয়। এমনকি মাজার ভাঙা বন্ধ হয়ে যায়।

 

এ ব্যপারে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে মাজার ভাঙা বন্ধ হয়। উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

 

এছাড়া মাজারটি ভাঙা বন্ধ করে স্থানীয় মুসল্লীরা। এমনকি  মাজারটি অক্ষত রয়েছে। তবে অভিযোগকারীরা ৪৫৭ জনের সাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দেন এবং সে অনুযায়ী পবিত্রতা রক্ষায় মাজার পরিচালনাকারীদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালে সদ্য যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে বরিশাল জেলার সুধীজনদের মতবিনিময় সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক উপস্থিত সুধীজনদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।

 

আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল মনদীপ ঘরাইসহ সর্বস্তরের সুধীজন।

 

শুরুতে সুধীজনদের সাথে পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে উন্মুক্ত আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বিস্তারিত আলোচনা করেন।

 

 নবাগত জেলা প্রশাসক বরিশাল গত ১২ সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বরিশালে যোগদানের পর থেকে বরিশালের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি ইতোমধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তার নিজ দপ্তরে প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে গ্লাস ব্যবহারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সবাইকে প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত বস্তু ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার ব্রত নিয়ে বরিশালে যোগদান করেছেন, তাই তিনি ফুল নেয়া নয়, দেয়ায় সংস্কৃতি চালু করেছেন। তাকে স্বাগত জানাতে আসা শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিজেই ফুল দিয়ে বরণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের শাসন ও শোষণে যোগ্য চিকিৎসকদের বদলি নামের হয়রানি করেছে। এতে জনগণ, রোগী ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদ রাকিব হেসেন ও শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর শেবাচিম শাখার সভাপতি ডা. মো. নজরুল ইসলাম সেলিম।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে। প্রজেস্ট চালু করার আগেই টাকা পাচার করা হয়েছে। তাই এই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ হটানোর জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবদান আমাদের মনে রাখতে হবে সারা জীবন।

বেলা ১২ টায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বক্তব্যে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর বরিশাল জেলা সভাপতি ডা. মো. কবিরুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসন ও শোষণে চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতন আর হয়রানির শিকার হয়েছে। ড্যাব’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এমন চিকিৎসকদের পদোন্নতি বঞ্চিত করাসহ একাধিকবার বদলি ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর চিকিৎসকবৃন্দ। আগামীতে নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে থাকবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ইতোমধ্যে স্বৈরাচারী আওয়ামী, স্বাচিপ ও তাদের সমর্থনকারী সহ বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনকে দেশ জুড়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগামী দিনের জন্য বরিশাল তথা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এই স্বাচিপ ও তাদের সমর্থনকারীদের এড়িয়ে চলতে হবে।

এর আগে সভা শুরুর প্রথমেই দুই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো: কবিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ডা. নজরুল ইসলাম, ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, শেবাচিম শাখার ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ ডা. এস আবদুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. ফয়সাল আহম্মেদ, ডা. আবদুল মোনায়েম সাদ, ডা. রেজা, ডা. রুশো, ডা. মেহেদি, ডা. মনির, ডা. ফয়সাল, এনডিএফএ এর সহ-সভাপতি ডা. মহাসিন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদ রাকিব হোসেন’র পিতা মো. আলমগির হোসেন ও শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র পিতা মো. জাকির হোসেন। মতবিনিময় সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পিতার হাতে দুই লাখ টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সভা শেষে পরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহিদের স্মরণে এনেসথেসিওলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ডা. ডা. শাফিকুল ইসলাম’র পরিচালনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের, সাতলা গ্রামে, মাছের ঘের কে কেন্দ্র করে  সাতলা বাজারের ফিট ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো: ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

 

 এলাকার মাছের ঘের, অধিপাত্য ও পূর্বের শত্রুতার জেড় ধরে হত্যাকান্ড ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধরনা করা হচ্ছে ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: শাহিন হাওলাদার ,ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার ও  চাচাতো ভাই  ইউনিয়ন বিএনপির  সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদারসহ একাধিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মাছের ঘের দখল, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে  একাধিক মামলার বাদী ছিলেন ইদ্রিস হাওলাদার।

 

সাতলায় মৎস্য ঘেরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে কোটি টাকার ক্ষতি করার মামলায়  প্রায় ৪মাস আগে বিএনপি নেতা ইলিয়াস হাওলাদার, তার ভাই  ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও আসাদ হাওলাদার জেল হাজতে ছিলেন। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ মামলার আসামীরাই দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৪ আগষ্ট শনিবার দিবাগত রাত  ১০ টার দিকে পশ্চিম সাতলা গ্রামের মো:সোহরাব হাওলাদারের পুত্র ২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি,  ব্যাবসায়ী  ইদ্রিস হাওলাদার তার চাচাতো  ভাই মো: সাগর হাওলাদার (২২) কে নিয়ে মটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে পশ্চিম সাতলা ব্রীজের পশ্চিম পাড় অতিক্রম কালে সন্ত্রাসীরা মটর সাইকেল গতিরোধ করে ইদ্রিস ও  তার চাচাতো ভাই সাগরকে এলোপাথরি ভাবে কুপিয় জখম করে । দূবৃর্ত্তরা ব্যাবসায়ী  ইদ্রিসের মূত্যু নিশ্চিত ভেবে তাকে ফেলে পালিয়ে ।

 

রাতেই স্থানীয় লোকজন আহত ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো  ভাই সাগর হাওলাদারকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য  বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বরিশাল শেরে- বাংলা মেডিকেল কলেজ যাবার পথে  রাতে  ইদ্রিস হাওলাদার মৃত্যু বরণ করেন । গুরত্বরও আহত সাগর হাওলাদার রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শেরে – বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ।

 

 নিহত ইদ্রিসের স্ত্রী  অভিযোগ করেন, গত কয়েক দিন ধরে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেড় ধরে ইদ্রিস হাওলাদারের দায়ের করা  মামলার আসামীরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল সে বিষয়টি তিনি পরিবারকে জানিয়ে ছিলেন।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো: জাফর অহম্মেদ বলেন, ঘটানার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের টিম মাঠে রয়েছে। নিহতদের পরিবার  লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে। নিহত ২ জনের  লাশ বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করা সহ দেশব্যাপি শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সকল সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তার জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের কঠোর দায়ীত্ব পালনের আহবান জানিয়ে ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হওয়ায় মসজিদে মসজিদে দোয়া মোনাজাতের অয়োজন করেছে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দ।

আজ শুক্রবার (৯) আগস্ট জুম্মাবাদ বরিশাল মহানগর বিএনপির আয়োজনে নগরীর পোর্টরোড জামে মসজিদে দোয়া মোনাজাতের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের সঞ্চলনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মহানগর বিএনপি আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুক।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকলকে সকল প্রতিহিংসা ভুলে শান্তিতে থেকে সকলের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করার জন্য দলের নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল সম্প্রদায়ের সম্পত্তি,জানমান রক্ষা করা সহ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

তাই আমরা মহানগর বিএনপি সকল দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলছি এখন থেকে প্রতি মুহুর্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল কিছুর নিরাপত্তার জন্য কঠোরভাবে দায়ীত্ব পালন করে তারেক রহমানের সম্মান অক্ষুন্ন রাখবেন।

এছাড়া দলের মধ্যে কেহ চাঁদাবাজী,লুঠপাটের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন এমন কোন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তাদের দায় দায়ীত্ব বিএনপি বহন করবে না।

দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, মহানগর বিএনপি শ্রমিকদল সভাপাতি ফয়েজ আহমেদ খান, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদল সভাপতি আব্দুল হক ফরাজি, ও শ্রমিকদল সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সহ সাবেক মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বৃন্দ ও বিভিন্ন বিএনপি ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশত নেতৃবৃন্দ দোয়া মোনাজাতে অংশ গ্রহন করে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নগরীর বিভিন্ন কয়েক শত মসজিদে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।