নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সফল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে পথসভায় উজিরপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আফম সামসুদ্দোহা আজাদ এর নের্তৃত্বে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়েছে।

২১ ডিসেম্বর বিকেলে উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী টোল প্লাজার সামনে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে পথসভায় ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করে উজিরপুর উপজেলা যুবদলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের শত শত নেতাকর্মী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা যুবদলের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আফম সামসুদ্দোহা আজাদ,সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম কাইউম,সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হোসেন মল্লিক,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো.ফজলুল হক বিশ্বাস,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রিয়াজ সিকদারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে নবনির্বাচিত উজিরপুর উপজেলা যুবদলের কমিটির পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা :
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রাখাইন লাচাউ (৮০) রাখাইন নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে রাখাইনরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়কের আলীপুর থ্রী-পয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন, রাখাইন সমাজ কল্যান সমিতি,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকার কালাচান পাড়া, আমখোলা পাড়া, কেরানী পাড়া, মিশ্রি পাড়া, নাইউরী পাড়া, গোড়া আমখোলা পাড়া সহ বিভিন্ন পাড়ার রাখাইন সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেনীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এবং তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মংলাচিং মং, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লাচাউ এর বোনের ছেলে অংচাচান তালুকদার, মিসেস উখ্যান চান, ভুক্তভোগী ইউনুস মাষ্টার প্রমুখ।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী রাখাইনরা বলেন, রাখাইন সম্প্রদায় এ অঞ্চলের আদি বাসিন্দা হলেও একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী দম্পতি বিক্রি জমি দ্বিতীয় বার বিক্রির পায়তারা সহ তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নানাভাবে হয়রানির মাধ্যমে তাদের বসতভিটা ও অধিকার থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাখাইনরা অভিযোগ করেন, প্রবাসে থাকা অবস্থায় কালাচাঁন পাড়ার নিবাসী পিতা মৃত: সংথুই এর কন্যা মিসেস: লাচাট (৮০) বিগত ০৮ আগস্ট ২০০০ খ্রিষ্টদ্ধে তার স্বামী মি: অংশাচিং (৮৩) কে তার নিজ রেকর্ডীয় ভূমি, ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ভূমি ও সাব-কবলামূলে ক্রয়কৃত ভূমির দেখাশুনা, মামলা পরিচালনা ও বিক্রির ক্ষমতা (পাওয়ার অফ এ্যার্টনি) প্রদান করেন যা মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার’স বাংলাদেশ কর্তৃক ১০ সেপ্টেম্বর ২০০০ খ্রিঃ সত্যায়িত করা হয়। পরবর্তীতে মিসেস: লাচাউর স্বামী মি: অংশাচিং অত্র পাওয়ার অফ এ্যার্টনি’র/আমোক্তার ক্ষমতার বলে জমি দেখাশুনা ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কর্তৃক ১৯৫০ সালের প্রজাসত্ব আইনের ৯৭ ধারা অনুসারে রাখাইনদের ভূমি বিক্রির অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন লোকের নিকট সাব-কবলা মূলে বিক্রি করেন। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত অবস্থায় এবং ভূমির প্রকৃত মালিক মিসেস: লাচাউ তার স্বামী সাথে ২০০২,২০০৩,২০০৫ ও ২০০৮ সালে অবস্থান করেন।

একই সাথে তার ভূমিগুলো বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করতে থাকেন। ২০১০ সালে ১৭ এপ্রিল রোজ শনিবার কালাচাঁন পাড়া ত্যাগ করেন এবং ২০১০ সালে ২০ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার মালেশিয়া এয়ারলাইন্স এর রাত্র ১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন অস্ট্রেলিয়া উদ্দেশ্যে। মিসেস: লাচাউ-এর স্বামী মি: অংশাচিং বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে ২০১০ সালে ১৬ এপ্রিল তারিখে মোকাম পটুয়াখালী নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের ২২৫ নং ক্ষমতা পত্র প্রদান করেন (১) মিঃ মংমিয়াচিং মাস্টার, পিতা-মৃত: পুষে কবিরাজ, (২) মোঃ ইউসুফ মুসুল্লী, পিতা: মো: কাদের মুসুল্লীর নিকট তার নিজ নামে ও এক স্ত্রী মিসেস: লাচাউ রাখাইন এবং তার দুই পুত্র মি: উওয়েনচিং ও মি: ম্যাওয়েনচিং এর নামে যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সকল সম্পত্তি দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ হতে মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা মোকদ্দমা উদ্ভব হলে তার দেখাশুনা ও পরিচালনা করা জন্য ক্ষমতা প্রদান করেন। যা পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সকল রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন অবগত ছিল। এবং মি: অংশাচিং বাংলাদেশে অবস্থানকালীন রাখাইন বুডিষ্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’বাংলাদেশ-এর পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে কুয়াকাটা রাখাইন কালচারাল একাডেমির ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১০ সালের স্বামী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ার দীর্ঘ ১১/১২ বছর পর মিসেস: লাচাউ প্রবাসে বসে স্বামীর নীল নকসার বাস্তবায়ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে একা ২০২২ সালে আবার বাংলাদেশে চলে আসেন। আসার পর ২০০০ সালে তার নিজ স্বামীকে দেওয়া ৪৩০ নং পাওয়ার অফ এ্যার্টনী (আমোক্তারনামা) কে তিনি অস্বীকার করে সাব-কবলামূলে ক্রয়কৃত জমি মালিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রদান করতে থাকেন। এবং মিসেস: লাচাউ রাখাইন জেলা পর্যায়, স্থানীয় পর্যায় বিভিন্ন ভূমিগ্রাসীদের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করেন যা এখনও অব্যহত রয়েছে। তারই অতিলোভে বেশি লাভের আশায় এ ধরনের সন্ত্রাসী ও চাদাবাজদের ন্যায় কর্মকান্ডে অত্র রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতি ক্রয়কৃত ভূমি মালিকদের বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। যা ভবিষ্যৎতে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে অত্র এলাকার রাখাইন সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব চরম হুমকির মধ্যে আছে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে বসবাস করে আসা রাখাইন আদিবাসীরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নারী ও শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হুমকি ও হয়রানি বন্ধ এবং রাখাইন আদিবাসীদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানানো হয়। দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

খবর ডেস্ক :
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান হাদির কবর জেয়ারত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

রবিবার বাদ আসর শহীদ ওসমান হাদির কবর জেয়ারত করেন তিনি। এসময় ওসমান হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তার রুহের মাগফিরাত এবং জান্নাতে উঁচু মাকাম কামনা করেন চরমোনাই পীর।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওসমান হাদির জানাজায় যেভাবে লাখো মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়েছে- তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ ছিনিমিন খেলতে পারবে না। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে।”

পীর চরমোনাই বলেন, “রাজধানী ঢাকায় হাদির মতো একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার পরে খুনি কীভাবে ঢাকা ত্যাগ করে দেশের সীমানা পাড় হয়ে গেল- তা আমাদের বুঝে আসে না। সরকারকে বলব, অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”

পরে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মাগরিবের নামাজ পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। নামাজ শেষে উপস্থিত ছাত্র ও মুসল্লিদের নিয়ে সমবেতভাবে শহীদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া করেন চরমোনাই পীর।

এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুর রহমান, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুনতাসির আহমেদ, সহ-সভাপতি খাইরুল আহসান মারাজান, ইমরান হোসাইন নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : দেশকাল নিউজ ডটকম

খবর ডেস্ক :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের গুঞ্জন ছিল অনেক দিন ধরেই। এবার তা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে বরিশালে। কেননা বরিশাল-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু।

গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা ও বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য টিপুর পক্ষে রবিবার বিকালে দুজন অনুসারী বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

গোলাম কিবরিয়া টিপুর পক্ষে শাওন নামে একজন যুবক মনোনয়নপত্র কিনেছেন বলে জানিয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনজুড়ে নির্বাচন নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা উল হুসনা জানান, দুজন লোক এসে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ওই সময় আমি কেন্দ্র পরিদর্শনে ছিলাম। যেহেতু জাতীয় পার্টি কোনো নিষিদ্ধ বা অনিবন্ধিত দল নয়, সে কারণে তাদের মনোনয়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন বরিশাল মহানগর আমির জহির উদ্দিন মুহা. বাবর। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হন বরিশাল-৩ আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। বর্তমানে তিনি বিএনপির অফিস পোড়ানো এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হিসেবে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

তিনি কারাগারে থাকায় বরিশাল-৩ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস ছিল। তবে আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় ভোটের হিসাবে নতুন সমীকরণ দেখা দিয়েছে।

এদিকে, গোলাম কিবরিয়া টিপু ছাড়াও বরিশাল জেলার ৬টি আসন থেকে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন এবং জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি নেতা আব্দুস সোবহান, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বাবুগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মনোনীত প্রার্থী তারিকুল ইসলাম।

বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সিরাজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা) আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মনোনীত প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী।

এছাড়া বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে এখন পর্যন্ত একটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। মুসলিম লীগ মনোনীত আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন মনোনয়ন পত্রটি সংগ্রহ করেছেন। তাছাড়া বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসন থেকে এখনো কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।

২৯ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
সূত্র : দেশকাল

খবর ডেস্ক :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বরিশালের ৬টি আসনেই তীব্র লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির মনোনয়নের পর থেকেই আসনগুলোতে নির্বাচনি আমেজ শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়ন পেয়েই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রাথীরা নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। রাজনীতির মাঠে শক্ত দল বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কৌশলে এগোচ্ছে অন্যান্য দল। মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী, জামায়াত ও চরমোনাই পীরের সহোদর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। খবর বাসস।

চরমোনাই দরবার শরীফ বরিশাল সদর উপজেলাধীন হওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর বেশ কর্মী-সমর্থক রয়েছে। এছাড়াও বিগত ইউপি, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এ দলটি। বিশেষ করে মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (সদর) আসনটিতে জয় পেতে সব দলের শীর্ষ নেতারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বরিশাল-৫ (সদর-সিটি করপোরেশন) এ আসনে নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৫ম বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। টানা ৩০ বছর বরিশাল বিএনপির রাজত্বে ছিলেন মজিবর রহমান সরোয়ার। দীর্ঘ এ সময়ে সরোয়ার বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি, মহানগর সভাপতি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম মহাসচিব ছাড়াও উপ-নির্বাচনসহ ৪ বার সংসদ সদস্য হয়ে বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, হুইপ এবং সিটি মেয়র পদেও নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিগত কয়েক বছর রাজনীতির মাঠে তিনি কিছুটা কোণঠাসা থাকলেও মনোনয়ন পাওয়ার পর সবাই একাট্টা হয়ে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন। বিশেষ করে মহানগর বিএনপির তিন গ্রুপ, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ পদবঞ্চিতরাও সরোয়ারকে ঘিরে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় সরব রয়েছেন। এ আসনে প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ধানের শীষ প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বাসসকে বলেন, ‘‘এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। ধানের শীষের সদর উপজেলা ও নগরীতে ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’’

নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বাসসকে বলেন, ‘‘দেশবাসী পরিবর্তন চায়। ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে তার প্রমাণ দেবে। এছাড়াও বাসদ নেত্রী বরিশালের সব পর্যায়ের শ্রমজীবী মানুষের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া ডা. মনিষা চক্রবর্তী প্রার্থী হয়েছেন সদর আসনে। মনিষা চক্রবর্তী ইতিপূর্বে সিটি, জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বরিশালে ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন।’’

বরিশাল সদর ও সিটি কপোরেশনের এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৭ জন।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) এ আসনে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা।

জহির উদ্দিন স্বপন বাসসকে বলেন, ‘‘গৌরনদী ও আগৈলঝড়া উপজেলায় দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আমার হয়ে কাজ করছেন। এজন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা আমাকে দলের প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু মান-অভিমানের ব্যাপার থাকলেও আমি যেহেতু দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী, ফলে আমার সব সহকর্মী মিলেই কথাবার্তা বলে সমাধান করে ফেলেছি।’’

এ আসনটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাসেল সরদার মেহেদী। এ আসনের রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ব্যানার, পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে এমপি প্রার্থী হিসেবে তাদের সমর্থকরা জনগণের দৃষ্টি আর্কষণে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ৯ জন।

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে তৃতীয়বার মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ (সান্টু)। এ আসনে সান্টু ইতিপূর্বে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন মাস্টার আবদুল মান্নান। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন। বাসদ নেতা তরিকুল ইসলাম তারেক এ ৪ জনই এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটিতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। আসনটিতে প্রথমবারে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেও দ্বিতীয়বার তাকেই মনোনয়ন দেয় দল। ইতোমধ্যে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা তার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নুল আবেদীন বাসসকে বলেন, ‘‘নির্বাচনি এ আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত। সব ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে জনগণের সঙ্গে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কাজ করবে।’’

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা এরই মধ্যে গণসংযোগ জোরদার করেছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ফুয়াদের নিজ বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন হওয়ায় তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদীতে ইতিপূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সরব রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই দলটির বরিশাল মহানগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরকে প্রার্থী ঘোষণা করে। জহির উদ্দিন দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল জেলার সভাপতির পদে রয়েছেন।

বাবুগঞ্জ-মুলাদীর এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩২ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।

বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। রাজীব মনোনয়ন পাওয়ায় বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলসহ ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জে হওয়ায় তাদের নেতৃত্বে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির একাংশের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব চরমোনাই পীরের ছোট ভাই মুফতি সৈয়দ এছহাক আবুল খায়ের নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন অনেক আগে থেকেই।

হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) এ আসনে তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুন্নবী প্রার্থী হয়েছেন।

এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার জন।

আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৪ জন।

বরিশালের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান ১১ জন: জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৬টি আসনের দুটিতে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও শাপলা কলি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এনসিপির মনোনয়ন কিনেছেন ১১ জন।

বরিশাল-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম নিপু। তবে বরিশাল-২ আসনে এখনো চূড়ান্ত না হলেও মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এনসিপির ঢাকা পল্টন শাখার সদস্য আলী আকবর তালুকদার ও একই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংগঠনের বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

এছাড়া বরিশাল-৩ আসনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোক্তার হোসেন, শিক্ষক তানজিল আলম দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। আর বরিশাল-৪ আসনে এনসিপির বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ মুসা চূরান্ত মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া বরিশাল-৫ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল হুদা চৌধুরী দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। বরিশাল-৬ আসনে একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম প্রিন্স মনোনয়ন পেয়েছেন।
সূত্র :দেশকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জুলাইযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে বরিশাল বিমানবন্দরের নামকরণের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র-জনতা।

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রবিবার সকালে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরকারের কাছে এই দাবি তুলে ধরেন তারা।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওসমান হাদি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা।

কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ধর্ষণকাণ্ডে বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সবুজ আকন।

কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রহমতপুরে জড়ো হন ছাত্র-জনতা। পরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বক্তারা বলেন, হাদি হত্যার মাস্টারমাইন্ডরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তারা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সবুজ আকন ছাত্র-জনতার পক্ষে দাবি তুলে ধরেন।

ওসমান হাদি যেহেতু বরিশালের সন্তান, তাই বরিশাল বিমানবন্দর শহীদ ওসমান হাদির নামে নামকরণের দাবি জানান তিনি।

টানা দুই ঘণ্টা অবরোধের কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দুই প্রান্তে অসংখ্য যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দুটি ড্রেজারসহ চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার গভীর রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে আটক চারজনকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে অবৈধ ড্রেজার ও বালু পরিবহনে ব্যবহৃত বাল্কহেড (বলগেট) জব্দ করা হয়।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হুজুরের জিম্মায় আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ড্রেজার ও বাল্কহেডের বৈধ কাগজপত্র যাচাই সাপেক্ষে প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে এসব যন্ত্রপাতি কোনো অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হবে না এ মর্মে মুচলেকা নিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, কীর্তনখোলা নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও নদী ভাঙন রোধে প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।

এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সদর-৫ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোঃ মজিবর রহমান সরোয়ারের সমর্থনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), বরিশাল শাখার উদ্যোগে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সারা দেশে ধারাবাহিক মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশাল সদর এলাকায় এ মানবিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়।

মেডিকেল ক্যাম্পে ড্যাব বরিশালের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ হারুন আল রশীদ, মহাসচিব ডাঃ জহিরুল ইসলাম শাকিল, সহসভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, পারভেজ রেজা কাকন, মজিবুল হক দোয়েল, ডাঃ নজরুল ইসলাম সেলিম, ডাঃ কবিরুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব ডাঃ ফারুক আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমতিয়াজ হোসেন সাজিদ, ডাঃ শাওন বিন রহমান, ডাঃ মাজহারুল রেজওয়ান রেজাসহ বরিশালের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বহু অভিজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।

ক্যাম্পে প্রায় অর্ধসহস্র অসহায় ও সাধারণ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধও ফ্রি বিতরণ করা হয়। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্কদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

ড্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ ধরনের মানবিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সাধারণ মানুষের জন্য এ ধরনের উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা:

আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ। আমি কে? তুমি কে? হাদী হাদী এই স্লোগানে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব চত্বরে কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্সের ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কুয়াকাটা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়ামোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

 

 আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্সের মুখপাত্র মো. মোজাহিদ সিফাত। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি ভিন্নমত দমনের ধারাবাহিকতা। আমরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

 

সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মহিন বলেন,এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীন কণ্ঠকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই এ ধরনের হামলা চালিয়ে জনগণের প্রতিবাদ থামানো যাবে না।

সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বলেন,“অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে হবে। দোষীদের আইনের আওতায় না আনলে দেশের মানুষ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামবে।

 

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মোঃএমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বরিশাল জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক,উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বরিশাল-২ আসন উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী,গনমানুষের নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু’র সাথে উজিরপুর উপজেলা যুবদলের নবনির্বাচিত আংশিক কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

১৯ ডিসেম্বর বিকেলে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় সংসদ সদস্য প্রার্থীর ভবনে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা যুবদলের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি আফম সামসুদ্দোহা আজাদ,সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম কাইউম,সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হোসেন মল্লিক,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.ফজলুল হক বিশ্বাস,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রিয়াজ সিকদার। উপস্থিত ছিলো উপজেলা যুবদলের একাধিক নেতাকর্মী।

 

নবনির্বাচিত উজিরপুর উপজেলা যুবদলের কমিটির পক্ষ থেকে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

 

এসময় বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু,বিএনপির হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে যুবদলের নেতাকর্মীরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি  সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

 

এছাড়া বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু নবনির্বাচিত উজিরপুর উপজেলা যুবদলের কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।