নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কলেজ শাটডাউন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রশাসন ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয়ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

বিশেষ করে মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি, ফিজিওলজি, সিসিইউ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডিপার্টমেন্টসহ ডেন্টাল ইউনিটেরও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এতে করে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যা ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি তুলে ধরে অনতিবিলম্বে মেডিক্যাল কলেজের সকল ডিপার্টমেন্টে শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক পদায়ন করার দাবি করা হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বদলিকৃত শিক্ষকদের তাদের স্ব-পদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক সংঘটিত কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকসমাজ প্রতিবাদলিপি দিয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য- এর সমীপে শিক্ষকদের দেয়া এ প্রতিবাদ লিপিতে ৫০ জনের সাক্ষর রয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে শিক্ষক সমাজ বলেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ হিসেবে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয় কতিপয় ঘটনার উদ্ভব হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা মনে করি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু- স্বাভাবিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে এমন কার্যক্রম বন্ধ হওয়া জরুরি।

ঘটনাসমূহের কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য আইন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যাবলির প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান করবেন মর্মে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও কোনো একাডেমিক নথিতে তাঁর মতামত বা অবজারভেশন গ্রহণ না করেই সকল একাডেমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, যা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। উপ-উপাচার্যকে পাশ কাটিয়ে গৃহীত এই সকল একাডেমিক সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ভবিষ্যতে কঠিন আইনি প্রশ্ন উত্থাপিত হবে এবং এই সকল অবৈধ সিদ্ধান্তের স্টেকহোল্ডার হিসেবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ মারাত্মকভাবে বিপদগ্রস্ত হবে বিধায় এই বে-আইনি চর্চা অনতিবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন ।

২। গত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে উপ-উপাচার্যের কার্যালয় থেকে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একাডেমিক অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি সভা আহ্বান করে চিঠি প্রদান করা হয়। উপ-উপাচার্যের এই পত্রকে বিধিবর্হিভূত বলে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি পাল্টা পত্র দেয়া হয়। যে বিধি ও যুক্তিতে এই চিঠিকে বিধিবহির্ভূত বলা হয়েছে তা এতই ঠুনকো এবং আইনের অপব্যাখ্যাপ্রসূত যে, উক্ত যুক্তি ও অপব্যাখ্যা অনুযায়ী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাবৎকালে অনুষ্ঠিত বিভাগসমূহের একাডেমিক কমিটির সভা, পরীক্ষা কমিটির সভা ও প্রাধ্যক্ষের হল প্রশাসনিক সভা ইত্যাদি অনেক কিছু অবৈধ হয়ে যায়। ফলে উক্ত পত্রের বলে বিশেষ করে পরীক্ষা কমিটির এযাবৎকালের সভাসমূহের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলি অবৈধ হয়ে যাওয়ায়রেজিস্ট্রারের উক্ত পত্র পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডের জন্য এক মহা বিপর্যয় হিসেবে আপতিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে উক্ত পত্রটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি।

৩। উপ-উপাচার্যের আহুত সভায় চেয়ারম্যানবৃন্দকে কেবল সভায় অংশগ্রহণ না করার অনুরোধেই কর্তৃপক্ষ ক্ষান্ত থাকেনি বরং উপ-উপাচার্যের সভায় অংশগ্রহণ চাকুরি-সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরিপন্থি বলে পুনরায় একটি চিঠি উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্ট্রার ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইস্যু করেন। উপ-উপাচার্যের আহুত সভায় চেয়ারম্যানদের যোগদানকে চাকুরি-সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরিপন্থি বলে অভিহিত করার ঘটনা এবং চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে উক্ত চিঠির ভীতিকর ও অপ/মানকর ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজকে অত্যন্ত ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে।

প্রতিবাদ লিপিতে শিক্ষকবৃন্দ উপরে বিবৃত এ জাতীয় সকল ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। যেখানে শিক্ষকরা বলেন- আমরা মনে করি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংকটের পরও শিক্ষকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এখন পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, মনন ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশে-বিদেশে সাফল্যের সাথে কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হতে পারছে। এ অবস্থায় আমরা প্রত্যাশা করি সকল রকম স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি পরিত্যাগ করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতির জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবেন।

এই প্রত্যাশায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজের পক্ষে নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ পত্রটি জমা দেন বলেও প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গৌরনদীর নাঠৈ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক বিএনপি নেতার ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, রোববার সকালে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত ৫ আগস্টের পর গৌরনদীর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপন করলেও সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী নাঠৈ গ্রামের নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

 

বরিশালের খবর ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ক্রমে জোরালো হচ্ছে। দলটি নিষিদ্ধে বর্তমানে জোরালো দাবি তুলছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সুর গণঅধিকার পরিষদ ও হেফাজতে ইসলামের মুখেও। কেউ কেউ নিবন্ধন বাতিলের দাবিও করছেন। দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশ পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা যদি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে এ নির্বাচনের আগেই সচেষ্ট না হই, তাহলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে। নিষিদ্ধ না করলে বাংলাদেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।’

ঢাবিতে কফিনমিছিলে ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’ স্লোগান : গতকাল বাদ জুমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত মো. হাসানের (১৯) লাশ নিয়ে কফিন মিছিল বের হয়। দীর্ঘ সাত মাস পর তার লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় তারা- ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। হাসানের বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে গত ৫ আগস্ট হারিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতাল, ক্লিনিক, কবরস্থান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামসহ সব জায়গায় খুঁজি, কিন্তু কোথাও পাই না। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যাই। কাপড়চোপড় দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করি।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘এখনো বিপ্লবীদের রক্ত ঝরছে, অনেকে শহীদ হচ্ছেন। আমরা চাই, আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ যদি অন্য কিছুর দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে তবে প্রয়োজনে আরও ২ হাজার জীবন দেব। তবুও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার লড়াই চালিয়ে যাব।’

গাজীপুরে কফিন মিছিল থেকে নিষিদ্ধের দাবি

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নিহত আবুল কাশেম হত্যার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে কফিন মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা। গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এর আগে শহীদ মিনার চত্বরে নিহত কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ৫ তারিখে আওয়ামী লীগ পালানোর পর থেকে আমার ভাইদের গুপ্তহত্যা চালানো হচ্ছে। আমরা এখনো ঘরে ফিরে যাইনি। স্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।

গণঅধিকার পরিষদের হুঁশিয়ারি

দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। গতকাল গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে অংশ নিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ছয় মাস হয়ে গেল এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

নিষিদ্ধ চায় হেফাজতে ইসলাম

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা। গতকাল বিকালে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম-খুনে ও নির্যাতনে নৃশংসতার সব সীমা ছাড়িয়েছে। তারা আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকা-, গুম-খুন, ৫ মে ও চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদারের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনিয়নবাসী।

১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৫ টায় হারতা বন্দরে হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে হারতা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীরা।

এসময় বক্তৃতা করেন হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফিরোজ হোসেন হাওলাদার,সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম তালুকদার,হারতা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শিরাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সিএনজি গাড়ি যোগে হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার ও হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার উজিরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে ওটরা ইউনিয়নের হাবিবপুর কালি মন্দিরের সামনে পৌঁছলে পরিকল্পিত তাদেরকে পথরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাঃ আহত তরিকুল ইসলাম তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত মহিউদ্দিন তালুকদারকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় আহত মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান মধ্য কেশবকাঠী গ্রামের মোঃ রফিক মল্লিক,মোঃ মিজানুর রহমান,মোঃ লিটন মৃধা,মোঃ পলাশ মৃধা,খোকন মৃধা,মেহেদী মৃধা,পনির মল্লিক,খলিল মল্লিক,জুয়েল মৃধা,সোহাগ মৃধাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়িপেটা করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয় এবং সিএনজি গাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে ওই সন্ত্রাসীরা।

হামলার ঘটনায় আহত মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফিরোজ হাওলাদার বলেন প্রথমে ওই সন্ত্রাসীরা হারতা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম তালুকদারের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এর কিছুক্ষন পরেই হারতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তালুকদার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদারকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালায়।

এছাড়া মারধর ফিরাতে গিয়ে হামলার শিকার হন হারতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শিরাজুল ইসলাম ফরাজি।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন হারতা ইউনিয়ন বাসী।

এছাড়াও হামলাকারীদের বিচার না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর:

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল এর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল এর স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উজিরপুর মেজর এম এ জলিল নূরানি ও হাফেজি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এসময় সাবেক সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বরিশাল ও মেজর এম এ জলিল এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডাঃ আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে ও মোঃ আলী হোসেন সিকদার রুপকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল এর সুযোগ্য জেষ্ঠ্য কন্যা ব্যারিস্টার সারাহ জলিল।

 

উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাজেদ তালুকদার (মান্নান মাষ্টার), উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান,পৌর বিএনপির আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম খান, সদস্য সচিব মোঃ রোকনুজ্জামান টুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন আকন,মোঃ হেমায়েত উদ্দিন খলিফা,সাবেক কাউন্সিলর আঃ হাকিম সিকদার,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম জাকারিয়া মাষ্টার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, মো: আয়নাল হক, মোঃ হাবিবুর রহমান, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিন জহির,বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা মোঃ মামুন সিকদার,উজিরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ সোহাগ হাওলাদার, মোঃ খলিলুর রহমান, মেজর এম এ জলিল মাদ্রাসার শিক্ষক আঃ হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

 

এসময় প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার সারাহ জলিল তার পিতার স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশদ আলোচনা কালীন সময়ে তিনি আবেগে আপ্লূত হয়ে পরেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার বলেন, নারীর মাধ্যমে কৃষির গোড়াপত্তন। পরে মুখ্য ভূমিকা চলে আসে পুরুষের হাতে। এভাবে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে কৃষি আরো এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ধাননির্ভর কৃষি না হয়ে এর পাশাপাশি সূর্যমুখী, বেগুনসহ বিভিন্ন্ ফসলের আবাদ বাড়ানো দরকার। তাহলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এতে কৃষকরাও লাভবান হবেন। বরিশালে বারি সূর্যমুখী-৩ এবং বারি বেগুন-১২’র উৎপাদন কৌশল বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় শহরতলীর রহমতপুরে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার, আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া এবং পার্টনার প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (বারি অংগ) ড. মো. ফারুক হোসেন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা স্মৃতি হাসনার সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনওয়ার মোনিম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, বিএসআরআইর ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রতন কুমার গণপতি, আরএআরএস’র ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান খান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, বরিশাল সদরের কৃষক মোবারক আলী শিকদার, বাবুগঞ্জের কিষাণী কাওছার পারভীন শেফালী প্রমুখ।

মাঠ দিবসে পার্টনার প্রকল্পের আওতাভুক্ত বরিশাল এবং ঝালকাঠির ৬ উপজেলার ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ২০২৪-২৫ সেশনের নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

এসময় উপস্থিত নবীন শিক্ষার্থীদের উপহার সামগ্রী প্রদান ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

 

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ।  প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এদেশের তরুণ ও যুবসমাজকে নৈতিকতা বিবর্জিত, মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী জাতিতে পরিণত করার জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে।

 

তিনি আরও বলেন বিগত কোন সরকারের আমলেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট রাখা হয়নি। এসময় তিনি নৈতিকতা সম্মৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার যথাযথ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহবান জানান। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উন্নত ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেকোনো প্রয়োজনে ছাত্রশিবির সাধারণত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সভাপতি সভাপতি মোঃ রায়হানের সভাপতিত্বে প্রোগ্রামে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বি এম কলেজ এর সাবেক নির্বাচিত এ.জি.এস ও সাবেক বরিশাল মহানগর সভাপতি শেখ নেয়ামুল করিম, সাবেক বরিশাল মহানগর সভাপতি সগীর বিন সাঈদ, বরিশাল মহানগরের সাবেক শিক্ষা সম্পাদক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ফারুক,  বরিশাল মহানগর সেক্রেটারি হাসান মাহমুদ নাঈম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও বরিশাল পলিটেকনিক এর সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।

 

আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহবায়ক জুবায়ের হোসেন জুয়েল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন বরিশাল মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক আইয়ুব নবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সভাপতি জহিরুল ইসলাম জিহাদ।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর ও পলিটেকনিক ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

 

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর:

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৩৫জন জেলের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে ।

 

৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা।

 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আসমা আক্তার।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের “দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন”শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা জেলেদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, জনগনের পাশে থাকার জন্য চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা রাখতে হবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রূপাতলী একটি লবস্টার কনভেনশন হলে মতবিনিময়ের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বরিশাল এর উদ্যোগে বিভাগীয় এ সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চিকিৎসক মনিটর ডা.পারভেজ রেজা কাকন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কৃষিবিদ মনিটর প্রফেসর ড. মো মামুন অর রশিদ, বি এম এ ও ড্যাব বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শাখা সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চিকিৎসক কো অর্ডিনেটর ডা, সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইঞ্জিনিয়ার কো অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার শাহীন হাওলাদার, ড্যাব বরিশাল জেলা শাখা সভাপতি ডা. কবিরুজ্জামান, ড্যাব বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শাখা সাধারণ সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম সেলিম সহ অন্যান্যরা।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা বৃত্তি দিতে হবে। বরিশালের প্রয়াত নেতা পারভেজ আকন বিপ্লবের অবহেলিত পরিবার কে সহ সকল নেতা কর্মীর কল্যানে কাজ করার কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় শুরুর আগে ২০২৪-২৫ সেশনে মেডিকেলে চান্স প্রাপ্ত পটুয়াখালীর মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি ও উপহার স্বরুপ বই তুলে দেওয়া হয়।