নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
বরিশাল নগরীর শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন ক‌মি‌টি ১৪৩১ ও ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এর নতুন ক‌মি‌টি গঠন করা হ‌য়ে‌ছে।

গত বুধবার ক‌মি‌টির অনু‌মোদন দেয় শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট এর সভাপ‌তি রাখাল চন্দ্র দে ও সাধারণ সম্পাদক বাসু‌দেব কর্মকার ভাষাই। শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন ক‌মি‌টি‌তে দুই বছর মেয়াদে পুনরায় সভাপ‌তি প‌দে লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু ও সাধারণ সম্পাদক প‌দে দা‌য়িত্ব প্রদান করা হ‌য়ে‌ছে তন্ময় দাস তপু‌কে।

এছাড়া ক‌মি‌টির “সমন্বয়ক” এর দা‌য়িত্ব দেওয়া হ‌য়ে‌ছে মিন্টু চন্দ্র রায়কে। অন‌্যদি‌কে ১নং সহ সভাপ‌তি রণ‌জিৎ দাস, ১নং সহ সম্পাদক আকাশ দাস ও সাংগঠ‌নিক সম্পাদক প‌দে সুভাষ দাস‌কে দা‌য়িত্ব প্রদান ক‌রে‌ছে শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট।

শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট এর এক নো‌টি‌শের মাধ‌্যমে জানা যায়, গত ৯ জুন সন্ধ্যায় উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহি শ্রীশ্রী শংকর মঠ এর যোগমায়া দে অফিস কক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ১ জিয়াউর রহমান বিপ্লব, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের সভাপতি ভানু লাল দে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা কে সংবর্ধনার আয়োজন করে শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটি।

অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বরিশালের এই তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সংবর্ধিত করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস তপু গত বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব ও বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খুব স্বচ্ছতার সাথে। উক্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে শারদীয় দুর্গোৎসব, শ্রীশ্রী কালী মাতার পূজা ও শিব চতুর্দ্দশী উৎসব উদযাপনের পর ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৮৯ টাকা উদ্বৃত্ত ছিলো বলে উল্লেখ করা হয়।

যা দিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে অন্যান্য উৎসব আয়োজন ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেছে উক্ত কমিটি। শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদ্যাপন কমিটি ১৪৩০ বাং গত বছর যেভাবে উৎসব উদযাপন করেছে তা শ্রীশ্রী শংকর মঠ এ দৃষ্টান্ত।

সারা বরিশালে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই কমিটি। সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি প্যানেল মেয়র ১ জিয়াউর রহমান বিপ্লব, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের সভাপতি ভানু লাল দে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযপপন কমিটি ১৪৩০ বাং এর বেশ প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও অনাড়ম্বর পরিবেশে পূজা উদ্যাপনের জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের সহ সভাপত সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, সহ সম্পাদক অপূর্ব দাস অপু, শুভ সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কর, কোষাধ্যক্ষ তন্ময় দে, প্রচার সম্পাদক অসিত রায়, দপ্তর সম্পাদক রনজিৎ সেনগুপ্ত ও মন্দির সংরক্ষণ বিষয় সম্পাদক সুব্রত সিকদার বিদ্যুৎ তাদের বক্তব্যে বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেন এবং শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটি ১৪৩০ বাং এর সভাপতি লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু ও সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস তপুসহ পূজা কমিটির সকল সদস্যর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এই কমিটি বহাল রাখার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা বিষয়টিকে সমর্থন জানান। উক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, যেহেতু গত বছর ব্যাপক সফলতার সাথে সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে এই কমিটি সেহেতু আগামী দুই বছর অর্থাৎ ১৪৩১ ও ১৪৩২ বঙ্গাব্দে শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটিতে লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু সভাপতি ও তন্ময় দাস তপু কে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

বিনোদন ডেস্ক :
আমি অনুভব করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ কাজটি করানোর জন্য ঐশ্বর আমাকে নির্বাচন করেছেন। সংগীতের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজও করছেন ভারতের শ্রোতাপ্রিয় গায়িকা পলক মুচ্ছাল। তার উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৩ হাজার শিশুর হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন।

কয়েক দিন আগে ভারতের ইন্দোরের বাসিন্দা অলোক সাহুর হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এটি ছিল ৩০০০ তম অস্ত্রোপচার। ৮ বছর বয়সি শিশুটির অস্ত্রোপচারের সময়ে অপারেশন থিয়েটারেও উপস্থিত ছিলেন পলক। তারই একটি ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এই সংগীতশিল্পী।

ভিডিওর ক্যাপশনে পলক লেখেন, ৩ হাজার জীবন রক্ষা পেয়েছে। অলোকের সুস্থতায় দোয়া করার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। তার অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে।

অনেক আগে থেকে পলক এই উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে পলক বলেন, আমি যখন এই মিশন শুরু করি, তখন এটি একটি ছোট উদ্যোগ ছিল। প্রথমবার ৭ বছরের একটি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছিলাম। এখন এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মিশনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ৪১৩ জন শিশু অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে।

পলক বলেন, যেসব শিশুর হার্টে সমস্যা। কিন্তু হার্ট সার্জারি করার মতো অর্থ তাদের বাবা-মায়ের নেই, আমি তাদের জন্য কনসার্ট করি। আমি অনুভব করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ কাজটি করানোর জন্য ঐশ্বর আমাকে নির্বাচন করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে হয়েছে এক বোনের সঙ্গে আর কাগজে কলমে তালাক দিলেন আরেক বোন। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের সিন্নিরচর গ্রামের জয়নাল খানের ছেলে শাকিল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কালাম ফরাজীর মেয়ে আয়েশা বেগমের বিয়ে হয় ১০ মাস আগে। কিন্তু বিয়ের ১১ মাস পর একটি তালাকের সংবাদ সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সুখের সংসারে হঠাৎ স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকনামা পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শাকিলের। আরও বড়সড় ধাক্কা খান যখন দেখেন তালাক স্ত্রী আয়েশা দেননি, দিয়েছেন তার বড় বোন সুরাইয়া।

তালাকনামায় আয়েশার জায়গায় কেন তার বোন সুরাইয়ার নাম? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, কাগজেকলমে সুরাইয়ার সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে শাকিলের। আর তার বোন তথা শ্যালিকাকে স্ত্রী ভেবে করেছেন ১১ মাস সংসার!

এ নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছেন শাকিল ও তার পরিবার। কারণ, আয়েশার বড় বোন সুরাইয়ার স্বামী ও ২ সন্তান রয়েছে। তাই ভুল শুধরে তাকেও ঘরে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। ওদিকে, সংসার করলেও আয়েশার সঙ্গে তো বিয়েই হয়নি শাকিলের। কাগজেকলমে শ্যালিকার সঙ্গে এতোদিন সংসার করেছেন তিনি।

এমন গোলমেলে পরিস্থিতিতে তালাকের কাগজ গ্রহণ করতে রাজি হননি শাকিল।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ শাকিল বলেন, বাস্তবে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে কাবিননামায় লেখা রয়েছে আয়েশা নয়; আমার বিয়ে হয়েছে সুরাইয়ার সঙ্গে। তিনি সম্পর্কে আমরা স্ত্রীর (আয়েশার) বড় বোন। বিয়ের পর আয়েশার সঙ্গে ঘর সংসারও করি। তবে দীর্ঘদিন পর আয়েশা আমার সংসার ছেড়ে চলে গেছে। আর সুরাইয়া আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতি করেছে। পরিবারসহ আমার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

শাকিলের বাবা জয়নাল খান বলেন, বিয়ের সময় কাজীকে যে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, উনি তা দেখেই লিখেছেন, আমরা তো আর বিষয়টি খতিয়ে দেখিনি। বউ ফিরতিতে বাবার বাড়ি নেওয়ার পর আর তারা দিতে চায়নি। আমি ছেলের বউকে তাদের বাড়ি থেকে কয়েকবার আনতে গেলেও তারা দেয়নি। পরে কাবিননামা তুলে দেখি ছেলের বউয়ের নাম সুরাইয়া লেখা। আর বিয়ের সময় শুনছি বউয়ের নাম আয়েশা।

এদিকে কনের মা বিবি হাজেরা বলেন, আয়েশার বিয়ের কাবিনের কাগজ ওঠানোর পর দেখি সেখানে সুরাইয়ার নাম লেখা। এ ঝামেলা যে কাবিননামা তৈরি করেছে তার কারণে হয়েছে।

আয়েশার বড় বোন সুরাইয়া বলেন, আমার সংসারে দুই সন্তান আছে। কাবিন আয়েশার নামে করার কথা থাকলেও তা আমার নামে করা হয়েছে। কাবিন ওঠানোর পর বিষয়টি আমরা দেখতে পাই। আর এ কাজ কাজী করেছে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ না হওয়ায় বড় মেয়ে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন দিয়ে ছোট মেয়ের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। আর বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানতো। এখন জানাজানি হওয়ায় তার নানান জনের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

এদিকে বিয়ে ও তালাকের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজী এ কে এম সিরাজুল ইসলাম।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফরাজী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার কাছে কিংবা গ্রাম আদালতে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ জানালে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।