নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসুন, স্মৃতির সরণি ধরে হারিয়ে যাই সেই দিনগুলোতে এমনই এক অনুভূতিকে অম্লান করে রাখতে আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জমকালো ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় এক আনন্দময় মুহূর্তের অবতারনা হয়। ১৯৬৮ সালের এই দিনে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রাক্তন, বর্তমান ও নতুনদের দের মিলন মেলার এই আয়োজন সকাল ৯টায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি ডা. এ কে এম আক্তার মোর্শেদ, বিশেষ অতিথি মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক ডা. কহিনুর বেগম, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির লাবু, বরিশাল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, সদস্য সচিব ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ঢাকা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর উপস্থিতিতে ৫৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এরপর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল বাশার পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ১০টায় ৫৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে বান্দরোড, চাঁদমারি প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ক্যাম্পাসে কেক কাটা, চা-চক্র শেষে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, জুলাই-আগস্টের শহীদদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রীতি ফুটবল খেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় কলেজ অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জা করা হয়। এছাড়া মিলন মেলার জন্য একাধিক দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল নির্মাণসহ লাল গালিচা বিছানো হয়।

এবারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহন করায় এ অনুষ্ঠান আনন্দময় ও স্মৃতিময় হয়ে উঠে। এবারের অনুষ্ঠানের সার্বজনীনতা সকলের জন্য আরও উপভোগ্য হয়।

 

বরিশালের খবর ডেস্ক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরীর উদ্যোগে দিনব্যাপী ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ই নভেম্বর শুক্রবার বরিশাল বিভাগীয় গ্রন্থগারে মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও বরিশাল অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাজি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও বরিশাল জেলার নায়েব আমীর ড. মহ্ফুজুল হক।

প্রধান অতিথি বলেন,পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন মানুষ নতুন ভাবে ভাবতে শুরু করেছেন। তারা এখন বলতে শুরু করছে সকল দলকে দেখা হয়েছে, এখন শুধু জামায়াতে ইসলামীকে দেখা বাকি আছে। আমাদের বেশি বেশি সামাজিক কাজ করতে হবে, যেকোনো বিপদে মানুষ যাতে জামায়াতে ইসলামীর কাছে আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মাহফুজুল হক বলেন,সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে চিন্তা চেতনা এক নয় নিজ নিজ চিন্তার মানুষকে যাতে কাজের ক্ষেত্রে পাশে পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে সকল শ্রেণীর মানুষের ভুমিকা আছে তাদের যোগ্যতার সর্বোচ্চটুকু যাতে কাজে লাগাতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আমির বলেন,আমাদের গঠনতন্ত্রে আমাদের ঈমান ও আকিদার ব্যাপারে স্পষ্ট করা হয়েছে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ড হবে কুরআন ও হাদিসের গন্ডির মধ্যে থেকে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ড হবে পরকালকে সামনে রেখে, দুনিয়াবি লোভ লালসা যাতে আমাদের পরকালীন জগৎকে ধ্বংস করে না দেয়া। আমাদের মহানগরীর সকল ওয়ার্ডকে সংগঠিত করতে হবে এবং আন্দোলন জনমানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন,অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন,মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম পণ্যবাহী কোনো জাহাজ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাহাজটি করাচি থেকে রওনা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে।

ঘটনাটিকে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত হয়েছে বলা হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের বিবৃতিতে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ ঘটনাকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে এ ধরনের সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার একটি সূত্র বলেছে, গত বছর মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনালের অপারেটিং অধিকার সুরক্ষিত করে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত জয়লাভ করেছিল ভারত। কিন্তু এখন, পাকিস্তান চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে। দুটি বন্দরের সমুদ্রপথে এখন পাকিস্তানি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেবে। বিষয়টি অবশ্যই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে কারণ, মিয়ানমার চট্টগ্রামের খুব কাছাকাছি ।

বুধবার করাচির ওই জাহাজটি তিনশর বেশি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে।

জাহাজ ভেড়ানো সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

এ সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই নতুন রুটটি পণ্য পরিবহনের চেইনকে স্ট্রিমলাইন করবে, ট্রানজিট সময় কমিয়ে দেবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ খুলে দেবে।

টেলিগ্রামকে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং উভয়ই পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাইরে রয়েছে। সিঙ্গাপুর বা কলম্বোতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হতো। এখন যেহেতু পাকিস্তানি জাহাজগুলি সরাসরি চট্টগ্রামে আসবে, ভারতের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির জন্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পণ্য পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারবেন না।

চট্টগ্রামে ২০০৪ সালের অস্ত্র উদ্ধারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা এখনও সবচেয়ে বড় ঘটনা সেটি।

এদিকে পাকিস্তানের জাহাজ বাংলাদেশে নোঙরের বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নতুন শাসনব্যবস্থা সরাসরি সমুদ্র সংযোগকে স্বাগত জানায়। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিরও আশা করে কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে বাণিজ্যের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল।

সূত্র: টেলিগ্রাম অনলাইন/ বাংলানিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিষিদ্ধ পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে বরিশালে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরের নতুন বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক।

এসময় মাছ বাজার, সবজি বাজার সহ অন্যান্য দোকানগুলোতে যে পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগ আছে কিনা তা দেখেন তারা। একই সাথে ব্যবসায়ীদের সতর্কও করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যদি কেউ পলিথিন ব্যবহার করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামীতেও এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানায় তিনি।

অভিযানে তিনি পরিবেশ রক্ষায় সকল ধরনের পলিথিন ব্যবহার বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, সহকারী কমিশনার মোঃ শহীদ উল্লাহ, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, মো: রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশালের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য কাঁচাবাজারে গত ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। সরকারের এই নির্দেশ যাঁরা অমান্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। এর আগে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে বরিশাল নগরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্‌যাপিত হবে।

রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নগর ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নগর ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর ইতোমধ্যেই ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভায় এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং একই ধারাবাহিকতায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এ এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৩০ টি ওয়ার্ডে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য ৩২০ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৮ দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আর বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতায় ২১ হাজার ৭০৩ জন কিশোরী রয়েছে যাদেরকে এ টিকা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ১৮ দিনের ক্যাম্পেইনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ দিন ৩২০ টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের এবং বাকি ৮ দিন ১০ থেকে১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার টিকা (এইচপিভি)টিকা দেওয়া হবে।

সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য বিভাগ, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প, বিভিন্ন বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি সহ এই বৃহৎ টিকা কার্যক্রমে মোট টিকাদান কর্মী ২৪০ জন। পাশাপাশি ভ্যাকসিন পোর্টার ৬০ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক ৭২০জন পর্যায়ক্রমে ১৮ দিন এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কাজ করবেন।

উল্লেখ্য বরিশাল সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ দিনই এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্র সকাল সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এই ক্যাম্পেইনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি-বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে না ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার এক ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত,নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে কিশোরীদের অভিভাবকবৃন্দ এইচপিভি টিকার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং কিশোরীদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা.সজল পান্ডেসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

কলাপাড়া প্রতিনিধি
জোয়ারের স্রােতে কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এলো তিনটি জীবিত মহিষ। স্থানীয় এক কৃষক মহিষ তিনটিকে উদ্ধার করেন। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পয়েছে। সেবা যত্ন নেয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছে।

শনিবার রাত ৩ টার দিকে কুয়াকাটা হুইচানপাড়া এলাকা মহিষ গুলো দেখতে পায় ওই কৃষক। স্থানীয়দের ধারনা পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে সাগারের উত্তাল ঢেউয়ের তোরে পার্শ্ববর্তী সোনারচর, চড় তুফানিয়া বা ফাতরার বন থেকে সাগরের ঢেউয়ে মহিষ তিনটি কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে।

তবে প্রকৃত পেলে মহিষ তিটিকে ফেরত দিবেন বলে আশ্বাস করেছেন কৃষক বাবুল আকন। তিনি বলেন, মহিষের শিংয়ে রঙ মাখা রয়েছে।এছাড়া চোখ দিয়ে পানি পরছে।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি এবং আমার দুইজন পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে বর্নানা রেকর্ড রেখেছি। বর্তমানে বাবুল আকন মহিষটি লালন পালন করার দ্বায়িত্ব দিয়েছি। প্রকৃত মালিক পেলে মহিষ তিনটি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শিশুদের সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় শতাধিক শিশু দশ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এ সাতার প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন করেছে।

রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার মম্বিপাড়া গ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এর আয়োজন করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ওইসব শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রজেক্টের সেইভ সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া, শিশু লামিয়া, সুয়াইয়, রিপা, রবিউল, আব্দুল্লাহ, হাসান সহ অনেকেই সাঁতার শিখে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।

তারা বলেন, আমরা সাঁতার জানতাম না, দশ দিন প্রশিক্ষণ শেষে সাঁতার শিখতে পেরেছি। প্রথমে পানি দেখে ভয় পেতাম। এখন সাঁতার কাটতে পারি। ভয় কেটে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা উপকূলের মানুষ। ঝড়,বন্যা,জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। তাই আমাদের বাচ্চাদের সাঁতার জানাটা খুবই জরুরী। যে প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুরা এখন পুরোদমে সাঁতার কাটতে পারে।
সিআইপিআরবি ভাসা প্রজেক্টের সেইভ সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন বলেন, কলাপাড়া উপজেলার সবকটা ইউনিয়নে শিশুদের এ সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। এ বছর এ উপজেলায় পাঁচ হাজার শিশুকে সাঁতার শেখানোর টার্গেট নেয়া হয়েছে।

বিনোদন ডেস্ক :
২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। তারপর নানা ঘটনায় অনেকবারই আলোচনায় এসেছেন জেসিয়া।

প্রেম থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এরমধ্যে অভিনয় মডেলিং ও করেছেন সমান তালে।

এবার সেই জেসিয়া লড়ছেন নতুন একটি প্রতিযোগিতায়। কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠেয় মিস গ্রান্ড ২০২৪ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে লড়ছেন তিনি। এরইমধ্যে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন নানা আয়োজনে। সেখান থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে ভোট চাইলেন সবার কাছে।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী পেজে ফলো বাটনে ক্লিক করে তারপর জেসিয়ার ছবিতে লাইক বা শেয়ার করতে হবে। লাইক করলে ১০ পয়েন্ট ও শেয়ার করলে ৫ পয়েন্ট যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেসিয়া।

তিনি সবার কাছে ভোট চেয়ে বলেন, ‘আমি সবার কাছে ভোট চাইছি। সবার সহযোগিতায় আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।

জানা গেছে আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে। সেখান থেকে নির্বাচিত হবে সেরা ১০।

উল্লেখ্য এই প্রতিযোগিতা চারটি বিষয় লক্ষ রাখা হয় বলে ওয়েব সাইট সূত্রে জানা গেছে।

তারা মূলত ফোর বি কে গুরুত্ব দেন। এই ফোর বি হলো, বডি, বিউটি, ব্রেন ও বিজসেন। এই চারটির সম্বনয়েই করা হবে চ্যাম্পিয়ন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
অসুস্থ অবস্থায় চিকিতসাধীন দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহমেদকে দেখতে হাসপাতালে যান মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।

রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে নগরীর বাজার রোড কেএমসি হাসপাতালে গিয়ে তিনি সাংবাদিক শামীম আহমেদের চিকিৎসার খোঁজ নেন এবং আর্থিক সহযোগিতা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের বরিশাল ব্যুরো চিফ আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আযাদ আলাউদ্দীন, সহ-সভাপতি এম. মোফাজ্জেল, সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, সদস্য বায়েজীদ বোস্তামী ও একরামুল কবির জামায়াত নেতা হাফেজ আব্দুল আলীম প্রমুখ।

পরে উপস্থিত সবাইকে সাথে নিয়ে সাংবাদিক শামীম আহমেদের সুস্থতা কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া- মোনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যাক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।