নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের যুব সমাজ দিন দিন যোগ ব্যায়ামের প্রতি ব্যাপক আগ্রহী হচ্ছে। যোগ ব্যায়াম যেমন শরীর সুস্থ রাখে তেমন মনও ভালো রাখতে সহযোগিতা করে।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে বরিশাল নগরের নতুন বাজার এলাকার অমৃত অঙ্গণে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে কেন্দ্র করে এক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনায় ভারতের সহকারী হাইকমিশনার (খুলনা) সন্দীপ কুমার এসব কথা বলেন।

সন্দীপ কুমার বলেন, ইয়োগার মাধ্যমে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকে। এসব কারণে সাম্প্রতিক বছরে বাংলাদেশে যোগ ব্যায়ামের প্রতি মানুষের যে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা খুবই আশাব্যঞ্জক। মানুষের এমন উপস্থিতি তাই প্রমাণ করেন। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে সামনে রেখে ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে বরিশালে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুশীলন অনুষ্ঠিত হলো। আশা করি ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আরও করা হবে।

এবারের আয়োজনের স্লোগান ‘সম্প্রীতি ও শান্তির জন্য যোগ’। যোগ ব্যায়ামের এ আয়োজনে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১২০ জন নারী-পুরুষ অংশ নেন। আর ইয়োগার প্রশিক্ষণ দেন আইজিসিসির ইয়োগা প্রশিক্ষকরা।

যোগ ব্যায়ামে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুশি তারা। ভবিষ্যতে এমন আরও আয়োজন চান তারা।

খুলনার ইয়োগা ভাইব পক্ষে বেনজির জ্যোতি উপস্থিত নারী ও পুরুষদের যোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। এ প্রশিক্ষণে ২৩ প্রকার বিভিন্ন ধরনের যোগ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দেন।

মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের সরদার বাড়ির সামনে বরযাত্রীর মাইক্রোবাস ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে বরযাত্রী কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী নিহত ও ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে ২ ঘন্টা ছিল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ।

উজিরপুর নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন ও উজিপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাফর আহম্মেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করেন ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। ১৯ জুন বুধবার দুপুর ২ টার সময় সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।

নিহত ও আহতর পরিবার সূত্রে জানা যায় ঝালকাঠী জেলার কৃষ্ণ কাঠি গ্রামের মো: নুরুল হক হাওলাদারের পূত্র বর মো: রাসেল হাওলাদার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামে মো: লিটন ফকিরের বাড়ির উদ্দেশ্যে বরযাত্রী বহনকারী ১ টি প্রাইভেট ও ২ টি মাইক্রোবাস গাড়িবহর উজিরপুর থানাধীন আটিপাড়া সাকিনস্থ সরদার বাড়ির সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপর পৌছালে বৃষ্টি ও বাতাসের কারনে একটি রেইনট্রি গাছ ভেঙে পড়ে। গাড়িবহরে থাকা টয়োটা নোহা ঢাকা মেট্রো -চ- ১৩- ৩১০১ মাইক্রোবাস পাশ কাটিয়ে উঠতে গেলে ঢাকা থেকে বরিশালগামী গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহনের একটি বাস ( ঢাকা মেট্রো-ব, ১১-৭৯৬৭) তার নির্বাধিত সাইড থেকে ডানে সরে গিয়ে মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

মাইক্রোবাসে বরযাত্রী কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ঝালকাঠি জেলার কৃষ্ণ কাঠি গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা বৃষ্টি আক্তার ( ১৭) সহ ১০/১২ জন আহত হয়। মাইক্রোবাসটি ধুমরে মুছরে যায় এবং বরযাত্রীরা মাইক্রো বাসের মধ্যে আটকা পড়ে যায়।

মাইক্রো ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও উজিরপুর ও গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত হয়ে ধুমরে মুচরে যাওয়া মাইক্রো বাসের মধ্যে আটকে পড়া বরযাত্রী আহতদের উদ্ধার করেন।

মাইক্রোবাসের বরযাত্রী গুরুতর আহত বৃষ্টি আক্তার সহ আহত অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃষ্টিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এছাড়াও গুরুতর আহত হন বরযাত্রী জুয়েল (১৯), মাইক্রোবাস ড্রাইভার মো: আলিফ , বরযাত্রী নাদিম হাওলাদার (৩৫), নাজমুল হাওলাদার(২১), সাকিব (১৯), বাসের ড্রাইভার এরশাদ গুরুতর আহাত হন। আহতদের উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করেন। সামান্য আহত স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন।

নিহত বৃষ্টি বরের সম্পর্কে ভাগ্নি হয়। উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন ও উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদ বলেন দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। মাইক্রোবাস ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক ।

মহাসড়কে দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল আমরা তাৎক্ষণিক যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। দুর্ঘটনা ঘটনায় পরিবহনের ড্রাইভারকে আসামি করে নিহতের পরিবারের ভাই বাদী হয় উজিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং নিহতের মরাদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাইওয়ে পুলিশ।

মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু’র আয়োজনে বরিশাল -২,সংসদীয় আসনের ঊজিরপুর-বানারীপাড়ার মাননীয় সংসদ সদস্য কমরেড রাশেদ খান মেননের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১৮ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আয়োজক আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু’র বাড়ির আঙ্গিনায় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য কমরেড রাশেদ খান মেনন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ তালুকদার মোঃ ইউনুস। উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আঃ হাকিম সন্নামত, এ্যাডঃ সালাউদ্দিন শিবু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অপূর্ব কুমার বাইন রন্টু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মোঃ ফায়জুল হক বালী ফারাহীন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রানী শীল।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ হাজারো নেতাকর্মী। এসময় সংসদ সদস্য কমরেড রাশেদ খান মেনন, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ তালুকদার মোঃ ইউনুস বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন।

এছাড়া বক্তৃতাকালে আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা,সকলে আমাকে ভোট দিয়েছেন,আমি কৃতজ্ঞ,তবে যড়যন্ত্রের কাছে হেরে গিয়েছি।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমার কোন সমর্থক বা ভোটারদের উপর হামলা চালানো হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
নানা ধরনের খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো গ্রহণ করে। কিন্তু সেইসব উপকারী অনেক কিছুর সাথে সাথে আমরা ক্ষতিকর টক্সিন (ক্ষতিকর কোলেস্টরেল) গ্রহণ করি।

যার কারনে মাথাব্যথা, বদহজম, মুটিয়ে যাওয়া, বিষণ্নতাসহ ত্বকেরও বিভিন্ন ক্ষতি করে এটি।
এইসব খাবার খেলে শরীরে টক্সিন প্রবেশ করে:

• ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর টক্সিন থাকে। যা গ্যাস্ট্রিকসহ, পেটেব্যথা ও ত্বকের ক্ষতি করে

• রেড-মিটেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন রয়েছে।

• কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন নেওয়ার ফলে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যক্ষমতা কমে যায়

• সকালের নাস্তায় হোয়াইট ব্রেড থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যেও রয়েছে টক্সিন

• চিনি হজমে সমস্যা তৈরি করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কৃত্তিম সুইটনারও ক্ষতিকর
• যেকোনো ধরনের সফট ড্রিংকসেই টক্সিন থাকে। যা মাড়ি ও দাঁতের ক্ষতি করে

সুস্থ রাখতে আমাদের শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে হবে। মজার বিষয় হচ্ছে খাবারের মাধ্যমেই শরীরে টক্সিন প্রবেশ করে, আবার কিছু খাবারের মাধ্যমেই এই ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

টক্সিন দূর করতে যেগুলো খেতে হবে:

• পানি শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন খুব সহজেই বের করে দেয় ও বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে

• আঙুরে আছে প্রচুর ফাইবার যা টক্সিন দূর করে

• কমলা ও বিটের রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা উচ্চরক্তচাপ কমায়, শরীরের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

• পুদিনার চা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এটি হজমে সহায়তা করে ও স্নায়ুতন্ত্রকে শীতল রাখে

• ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ বেদানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, হৃদরোগ ও প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

কদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে এই খুশি ঈদ উৎসব উদযাপনে শহর ছেড়ে মানুষ ছুটছে গ্রামে।
কিছু বিষয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময়ে থাকতে হবে সতর্ক।
• ছুটিতে গিয়ে সুস্থ থাকা জরুরি। অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটির আনন্দ অনেকটাই কমে যায়
• সুস্থ থাকতে বেড়াতে গেলেও যতটা সম্ভব নিয়ম মেনে চলুন
• ব্যাগ গোছানোর সময় একটা ছোট তালিকা করে নিন। ব্যাগের গায়ে লিখে রাখুন ভেতরে যা রাখছেন। প্রয়োজনীয় কিছু খুঁজতে সময় ও মাথা নষ্ট হবে না
• বেরিয়ে যাওয়ার আগে বাড়ির নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখুন। তালা কেনার সময় অবশ্যই মান দেখে নিন।
• নিজের বাড়ি হোক বা অন্য কোথাও বেড়াতে গেলে নিয়ম করে খাওয়া হয় না। অনেক বেশি রিচ ফুড খাওয়া হয়। এদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে
• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলে, নিয়মিত ব্যায়াম করুন
• কোথাও যেতে হলে কিছুটা পথ হেঁটে গিয়ে গাড়িতে উঠুন
• জার্নির সময় হালকা মশলায় রান্না করা খাবার খান এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
• রাস্তার কাটা ফল, ফলের রস, কোমল পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। পানির বোতল সঙ্গে রাখুন
• বেড়াতে গিয়ে ঘোরার সময় স্বাস্থ্যকর খাবার সঙ্গে রাখুন যেমন, বাদাম, আপেল। খিদে পেলে এগুলোই খান
• কোনো ওষুধ খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিয়ে নিন
• রাস্তায় নিরাপত্তার জন্য জরুরি নাম্বারগুলো নিয়ে নিন। সব সময় অবশ্যই আইন মেনে চুলন। নিরাপদে ও ‍আনন্দে সবাইকে নিয়ে ঈদের ছুটি উপভোগ করুন।

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
বরিশাল নগরীর শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন ক‌মি‌টি ১৪৩১ ও ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এর নতুন ক‌মি‌টি গঠন করা হ‌য়ে‌ছে।

গত বুধবার ক‌মি‌টির অনু‌মোদন দেয় শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট এর সভাপ‌তি রাখাল চন্দ্র দে ও সাধারণ সম্পাদক বাসু‌দেব কর্মকার ভাষাই। শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন ক‌মি‌টি‌তে দুই বছর মেয়াদে পুনরায় সভাপ‌তি প‌দে লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু ও সাধারণ সম্পাদক প‌দে দা‌য়িত্ব প্রদান করা হ‌য়ে‌ছে তন্ময় দাস তপু‌কে।

এছাড়া ক‌মি‌টির “সমন্বয়ক” এর দা‌য়িত্ব দেওয়া হ‌য়ে‌ছে মিন্টু চন্দ্র রায়কে। অন‌্যদি‌কে ১নং সহ সভাপ‌তি রণ‌জিৎ দাস, ১নং সহ সম্পাদক আকাশ দাস ও সাংগঠ‌নিক সম্পাদক প‌দে সুভাষ দাস‌কে দা‌য়িত্ব প্রদান ক‌রে‌ছে শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট।

শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট এর এক নো‌টি‌শের মাধ‌্যমে জানা যায়, গত ৯ জুন সন্ধ্যায় উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহি শ্রীশ্রী শংকর মঠ এর যোগমায়া দে অফিস কক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ১ জিয়াউর রহমান বিপ্লব, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের সভাপতি ভানু লাল দে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা কে সংবর্ধনার আয়োজন করে শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটি।

অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বরিশালের এই তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সংবর্ধিত করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস তপু গত বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব ও বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খুব স্বচ্ছতার সাথে। উক্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে শারদীয় দুর্গোৎসব, শ্রীশ্রী কালী মাতার পূজা ও শিব চতুর্দ্দশী উৎসব উদযাপনের পর ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৮৯ টাকা উদ্বৃত্ত ছিলো বলে উল্লেখ করা হয়।

যা দিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে অন্যান্য উৎসব আয়োজন ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেছে উক্ত কমিটি। শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদ্যাপন কমিটি ১৪৩০ বাং গত বছর যেভাবে উৎসব উদযাপন করেছে তা শ্রীশ্রী শংকর মঠ এ দৃষ্টান্ত।

সারা বরিশালে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই কমিটি। সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি প্যানেল মেয়র ১ জিয়াউর রহমান বিপ্লব, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের সভাপতি ভানু লাল দে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযপপন কমিটি ১৪৩০ বাং এর বেশ প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও অনাড়ম্বর পরিবেশে পূজা উদ্যাপনের জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের সহ সভাপত সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, সহ সম্পাদক অপূর্ব দাস অপু, শুভ সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কর, কোষাধ্যক্ষ তন্ময় দে, প্রচার সম্পাদক অসিত রায়, দপ্তর সম্পাদক রনজিৎ সেনগুপ্ত ও মন্দির সংরক্ষণ বিষয় সম্পাদক সুব্রত সিকদার বিদ্যুৎ তাদের বক্তব্যে বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেন এবং শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটি ১৪৩০ বাং এর সভাপতি লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু ও সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দাস তপুসহ পূজা কমিটির সকল সদস্যর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এই কমিটি বহাল রাখার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা বিষয়টিকে সমর্থন জানান। উক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, যেহেতু গত বছর ব্যাপক সফলতার সাথে সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে এই কমিটি সেহেতু আগামী দুই বছর অর্থাৎ ১৪৩১ ও ১৪৩২ বঙ্গাব্দে শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটিতে লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু সভাপতি ও তন্ময় দাস তপু কে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

বিনোদন ডেস্ক :
আমি অনুভব করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ কাজটি করানোর জন্য ঐশ্বর আমাকে নির্বাচন করেছেন। সংগীতের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজও করছেন ভারতের শ্রোতাপ্রিয় গায়িকা পলক মুচ্ছাল। তার উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৩ হাজার শিশুর হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন।

কয়েক দিন আগে ভারতের ইন্দোরের বাসিন্দা অলোক সাহুর হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এটি ছিল ৩০০০ তম অস্ত্রোপচার। ৮ বছর বয়সি শিশুটির অস্ত্রোপচারের সময়ে অপারেশন থিয়েটারেও উপস্থিত ছিলেন পলক। তারই একটি ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এই সংগীতশিল্পী।

ভিডিওর ক্যাপশনে পলক লেখেন, ৩ হাজার জীবন রক্ষা পেয়েছে। অলোকের সুস্থতায় দোয়া করার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। তার অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে।

অনেক আগে থেকে পলক এই উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে পলক বলেন, আমি যখন এই মিশন শুরু করি, তখন এটি একটি ছোট উদ্যোগ ছিল। প্রথমবার ৭ বছরের একটি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছিলাম। এখন এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মিশনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ৪১৩ জন শিশু অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে।

পলক বলেন, যেসব শিশুর হার্টে সমস্যা। কিন্তু হার্ট সার্জারি করার মতো অর্থ তাদের বাবা-মায়ের নেই, আমি তাদের জন্য কনসার্ট করি। আমি অনুভব করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ কাজটি করানোর জন্য ঐশ্বর আমাকে নির্বাচন করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে হয়েছে এক বোনের সঙ্গে আর কাগজে কলমে তালাক দিলেন আরেক বোন। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের সিন্নিরচর গ্রামের জয়নাল খানের ছেলে শাকিল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কালাম ফরাজীর মেয়ে আয়েশা বেগমের বিয়ে হয় ১০ মাস আগে। কিন্তু বিয়ের ১১ মাস পর একটি তালাকের সংবাদ সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সুখের সংসারে হঠাৎ স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকনামা পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শাকিলের। আরও বড়সড় ধাক্কা খান যখন দেখেন তালাক স্ত্রী আয়েশা দেননি, দিয়েছেন তার বড় বোন সুরাইয়া।

তালাকনামায় আয়েশার জায়গায় কেন তার বোন সুরাইয়ার নাম? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, কাগজেকলমে সুরাইয়ার সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে শাকিলের। আর তার বোন তথা শ্যালিকাকে স্ত্রী ভেবে করেছেন ১১ মাস সংসার!

এ নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছেন শাকিল ও তার পরিবার। কারণ, আয়েশার বড় বোন সুরাইয়ার স্বামী ও ২ সন্তান রয়েছে। তাই ভুল শুধরে তাকেও ঘরে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। ওদিকে, সংসার করলেও আয়েশার সঙ্গে তো বিয়েই হয়নি শাকিলের। কাগজেকলমে শ্যালিকার সঙ্গে এতোদিন সংসার করেছেন তিনি।

এমন গোলমেলে পরিস্থিতিতে তালাকের কাগজ গ্রহণ করতে রাজি হননি শাকিল।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ শাকিল বলেন, বাস্তবে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে কাবিননামায় লেখা রয়েছে আয়েশা নয়; আমার বিয়ে হয়েছে সুরাইয়ার সঙ্গে। তিনি সম্পর্কে আমরা স্ত্রীর (আয়েশার) বড় বোন। বিয়ের পর আয়েশার সঙ্গে ঘর সংসারও করি। তবে দীর্ঘদিন পর আয়েশা আমার সংসার ছেড়ে চলে গেছে। আর সুরাইয়া আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতি করেছে। পরিবারসহ আমার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

শাকিলের বাবা জয়নাল খান বলেন, বিয়ের সময় কাজীকে যে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, উনি তা দেখেই লিখেছেন, আমরা তো আর বিষয়টি খতিয়ে দেখিনি। বউ ফিরতিতে বাবার বাড়ি নেওয়ার পর আর তারা দিতে চায়নি। আমি ছেলের বউকে তাদের বাড়ি থেকে কয়েকবার আনতে গেলেও তারা দেয়নি। পরে কাবিননামা তুলে দেখি ছেলের বউয়ের নাম সুরাইয়া লেখা। আর বিয়ের সময় শুনছি বউয়ের নাম আয়েশা।

এদিকে কনের মা বিবি হাজেরা বলেন, আয়েশার বিয়ের কাবিনের কাগজ ওঠানোর পর দেখি সেখানে সুরাইয়ার নাম লেখা। এ ঝামেলা যে কাবিননামা তৈরি করেছে তার কারণে হয়েছে।

আয়েশার বড় বোন সুরাইয়া বলেন, আমার সংসারে দুই সন্তান আছে। কাবিন আয়েশার নামে করার কথা থাকলেও তা আমার নামে করা হয়েছে। কাবিন ওঠানোর পর বিষয়টি আমরা দেখতে পাই। আর এ কাজ কাজী করেছে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ না হওয়ায় বড় মেয়ে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন দিয়ে ছোট মেয়ের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। আর বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানতো। এখন জানাজানি হওয়ায় তার নানান জনের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

এদিকে বিয়ে ও তালাকের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজী এ কে এম সিরাজুল ইসলাম।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফরাজী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার কাছে কিংবা গ্রাম আদালতে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ জানালে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।