বরিশালের খবর ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদের বর্বরতা প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না। জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।

গতকাল সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেওয়া মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ এর আয়োজন করে।

সম্প্রতি কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নেওয়া হয়েছে, সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে। এর পেছনে কী ছিল? কোটা আন্দোলনে জঙ্গি ঢুকে হত্যাকান্ড চালাল, প্রাণহানি ঘটল। এ দেশের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। এর বিচার আমি জনগণের কাছে দিলাম।

সহিংসতায় নিহতদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস গেলে তা ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু জীবন গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। আর যারা আপনজন হারিয়েছে, যে মা তার সন্তান হারিয়েছে, যে সন্তান তার বাবা হারিয়েছে তার কষ্ট আর কেউ না বুঝুক, আমি বুঝি। তিনি বলেন, এই আগস্ট মাস… বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে সেই কষ্ট নিয়ে এই বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। নিজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে এ দেশের মানুষের জন্য ফিরে আসি। তিনি বলেন, আমাদের চলার পথ এত সহজ ছিল না। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে গিয়েছি বাধা পেয়েছি। কখনো সরাসরি গুলি, আক্রমণ, জনসভায় বড় বোমা পুঁতে রাখা-প্রতিনিয়ত এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের সময় চরম মিথ্যাচার করা হলো। সন্ত্রাসীরা বিটিভি ভবনের মধ্যে যখন আগুন দিয়েছে, তখন হেলিকপ্টার থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করল। অনেক জায়গায় পুলিশ আটকা পড়েছে। বাসার নিচে আগুন দিয়েছে। মানুষ আটকা পড়েছে। বিটিভি ভবনে আগুন দিয়ে সন্ত্রাসীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেয়নি। সব থেকে আধুনিক ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি যেতে পারল না। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ১০ তলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। মালিকসহ আটকে পড়া লোকজন যখন ফোন করল, আমরা হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করেছি। গাজীপুরের জাহাঙ্গীর (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম) মিছিল নিয়ে আসছিল, তার সহকর্মীকে গুলি করে মেরে উল্টো করে রাখল। জাহাঙ্গীরকেও এমনভাবে মারা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আমাকে ফোন করে বলল, আপা আমাকে মেরেছে, আমি বাঁচব না, আমাকে বাঁচান। হেলিকপ্টার দিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই দেশবাসীকে সাবধান করেছিলাম, আন্দোলন কেন্দ্র করে যারা জিঘাংসা চরিতার্থ করতে চায়, তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গি; তাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, র‌্যাব, পুলিশ, সাধারণ মানুষ, শিশু কেউ রেহাই পায়নি। আমরা যখন বিভিন্ন হাসপাতাল দেখতে গেলাম, তখন কয়েকজন ছাত্র ছিল। বাকি সাধারণ মানুষ, পথচারী, কিছু শিশু ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটাপ্রথা বাতিল করেছিল সরকার এবং এখন চাওয়ার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে, এর পরও তাদের দাবি থামে না। এর পেছনে কী ছিল? কোটা আন্দোলনে জঙ্গি ঢুকে একদিকে হত্যাকান্ড চালাল, অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান মানুষকে সেবা দেয়… দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন তো মানুষকে বাঁচানোর জন্য, সেবা দেওয়ার জন্য, সেখানে অগ্নিসংযোগ; বিটিভিতে অগ্নিসংযোগ। সারা দেশকে একটা নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছি, সেই সেতু ভবনে অগ্নিসংযোগ। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ডাটা সেন্টার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাল। সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার যে আধুনিক গাড়ি, সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হলো। ঢাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আগে ছিলই না, সেটি আমি করেছি, সেখানে আগুন। জনগণ একটু ভালো থাকবে, সুস্থভাবে চলবে, সেসবের সবকিছুতেই আগুন দিয়ে পোড়াল। এটা কোন ধরনের আন্দোলন?

সরকারপ্রধান বলেন, আজকে যে প্রাণহানিগুলো ঘটল, যেখানে দাবি শতভাগ মেনে নেওয়া হয়ে গেছে; সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে, কার স্বার্থে, কেন? পুলিশ হত্যা করা হয়েছে। শুধু হত্যা না, কি বীভৎস দৃশ্য দেখেন। তাকে হত্যা করে পা ওপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হলো। গাজীপুরে দলের কর্মীদের তো মেরেছেই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে, সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসে পা গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তাকে গুলি করা হয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ! পুলিশ, র‌্যাবের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, চারজন শিশু মারা গেছে। অনেকগুলোর মৃত্যুর খবর আপনারা পেয়েছেন। পঁচাত্তরের পর থেকে আমরা তো শুধু লাশের মিছিলই দেখছি। এবার দু’শর ওপর মানুষ মারা গেল। যে স্থাপনাগুলো ভেঙেছে, মানুষ সাময়িক কষ্ট পাচ্ছে। একটু দেরি হলেও সেসব গড়ে তোলা যাবে, কিন্তু যে জীবনগুলো ঝরে গেল, এটা কীভাবে পাব?

কিছুটা সময় নীরব থেকে তিনি বলেন, ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা গুলিবিদ্ধ, এ গুলিগুলো কীভাবে লাগল? তারপর মিথ্যাচার। দোতলা বাড়ির মধ্যে জানালার কাছে ছেলেটা, তার গুলি লেগেছে। আপনারা বলেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ঘরের মধ্যে ঢুকবে কীভাবে? তিনি বলেন, আমাদের জ্ঞানী-গুণীরা এ আন্দোলন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কীসের সমর্থন দিচ্ছে? দাবি যেটা ছিল, সেটা তো পূরণ হয়ে গেছে। তারপর আবার এভাবে নেমে… আসলে আঘাত পেয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী। কিন্তু, যারা এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি কর্মকান্ড চালায়, তাতে ভুক্তভোগী হয় সাধারণ মানুষ। আহতদের যে দেখতে গেলাম, তার প্রায় সবই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের জীবনজীবিকা কীভাবে চলবে। এভাবে একটা নাশকতা করা, এটা তো জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড।

আওয়ামী লীগের নেওয়া নানান উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে উঠবে এবং যে জাতি হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত জাতি। আমরা যখন সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি, পাশাপাশি আমরা কী দেখলাম? ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, ওগুলো এখনো ছাড়েনি। সেখানে ধর্মান্ধতা এবং কূপমন্ডূকতা দিয়ে একটা শ্রেণি কিন্তু ধীরে ধীরে সবার অজান্তেই গড়ে উঠেছে। যারা ওই যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ছিল। দেশে গণহত্যা, লুটপাট, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে দোসর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, আর সে আঘাতটা আপনারা দেখলেন। কোটা আন্দোলনের নামে যখন সব রাস্তায় বেরিয়ে এলো, আমরা তাদের বললাম, কোটা আন্দোলন হয়েছিল ২০১৮ সালে। আমরা এটা মেনে নিয়ে বাতিল করে দিয়েছিলাম কোটা পদ্ধতি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মামলা করল, সেখানে আমার করা প্রজ্ঞাপনটা বাতিল করে দিলেন হাই কোর্ট। আবার কোটা ফিরে এলো। সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাপিলেট ডিভিশনে আপিল করা হলো। আপিল করা হলে হাই কোর্টের রায়টা সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো। কাজেই আবার সেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল হয়ে গেল এবং পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখও দেওয়া হলো। ৫ জুন এ রায় হয়েছিল। পুরো জুন মাস চলে গেল। জুলাই মাসের ৭ তারিখ থেকে হঠাৎ দেখি, আবার কোটার জন্য আন্দোলন-যখন কোটা পদ্ধতি নাই।

জামায়াত-শিবিরকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে : নিষিদ্ধের পর জামায়াত-শিবিরকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা তো জঙ্গিবাদী হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। সে কারণে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদের মোকাবিলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে। কারণ বাংলার মাটিতে জঙ্গির ঠাঁই হবে না। সেভাবে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই এবং দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি বারবার আঘাত আসবে, আমি পরোয়া করি না। আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, একদিন নিয়েও যাবেন। কিন্তু যেখানে মানুষের জন্য কল্যাণের জন্য কাজ আমরা করেই যাব। তিনি বলেন, ১ আগস্ট রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যম আমরা শোকের মাস শুরু করেছি। সব সংগঠনের নেতাদের এ শোকের মাসে শুধু শোক পালন নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির পিতা তো এ জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। কাফনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে যাননি। শুধু দিয়েই গেছেন। তাঁর সে আদর্শ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জামায়াত-শিবির : কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জামায়াত-শিবির তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তেনিও অ্যালেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা (জামায়াত-শিবির) ছাত্রদের শিল্ড (ঢাল) হিসেবে ব্যবহার করেছে। জামায়াত-শিবির, বিএনপি আগুন দিয়ে পোড়ানো ও গণহত্যায় অভ্যস্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি ভবন ধ্বংসসহ সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন ইতালির রাষ্ট্রদূত তার প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক এ ঘটনার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ইতালি বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে চায়। পুলিশের প্রশিক্ষণ বিষয়ে ইতালির প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান উপ-প্রেস সচিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরিশালের খবর ডেস্ক :
নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিটি সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বাড়লেও দেশি মুরগির দাম কমেছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা ও শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আনাজি কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও কাঁচামরিচ একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা কমে ৫৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের পাঙাস মাছ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র : বাংলানিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা আন্দোলনকারীদের সমর্থনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। অগ্মিসংযোগ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবীতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালনকালে বিজিবি,র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিজিবি, পুলিশ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড টিয়ারসল ও সাউন্ড নিক্ষেপ সহ রাবার বুলেট ছোড়ে।

অন্যদিকে বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি সড়কে মহানগর বিএনপি আহবায়ক মিনরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার ও ১নং যুগ্ম আহবায়ক আফেরাজা খানম নাসিরেনর নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমর্থনে সড়কে লাইটপোস্ট ফেলে ও আগুন জালিয়ে সড়ক অবরোধের পক্ষে শ্লোগান দেয়।

এছাড়া শহরের জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮) জুলাই বেলা ১১টায় বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বরিশাল কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে।

পরবর্তীতে সেখানে বিজিবি,র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনী সমন্বয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে বাধা প্রদান করে বেলা সোয়া ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে একাধিক টিয়ারসেল,রাবার বুলেট ছোড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভংগ করে দেয়। পরবর্তীতে পুনরায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বলে বিশেষ এক গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর সিএন্ডবি সড়কের টিটিসির সম্মুখে লাইটপোস্ট ফেলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক,সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড,আবুল কালাম শাহিন,মহানগর বিএনপি ১ নং যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সহ যুবদল,ছাত্রদল ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা।

বেলা ১টার দিকে বরিশাল সাবেক সিটি মেয়র ও বরিশাল বরিশাল মহানগর অঅওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী ও মহানগর শ্রমিক লীগের সম্পাদক রইস আহমেদ মান্নার সমর্থক সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ও বিভিন্ন লাঠিসোঠা নিয়ে সড়ক অবরোধকারীদের ধাওয়া করে সড়িয়ে দেয়।

এছাড়া বিকালে নগরীর সদররোডে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বরিশাল কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

বরিশালের খবর বিনোদন ডেস্ক :
অভিনয়ে ব্যস্ততার বাইরে নিজেকে সময় দিতে ভীষণ পছন্দ করেন মেহজাবীন চৌধুরী। ফুরসত পেলেই দেশ-বিদেশে ঘুরতে ভালোবাসেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এই অভিনেত্রী।

মেহজাবীনের স্বপ্ন ছিল নায়াগ্রা জলপ্রপাতে ঘুরতে যাওয়ার। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। নায়াগ্রা জলপ্রপাতে তোলা কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে এ কথা জানান মেহজাবীন চৌধুরী।

ছবিতে তাকে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেছে। অভিনেত্রীর পরনে ছিল সাদা প্যান্ট। নীল লুরেক্স স্লিম নিট শার্টে পরিপাটি লাগছিল অভিনেত্রীকে। খোলা চুলে চোখে রোদচশমায় অভিনেত্রীর মিষ্টি হাসি দেখে অভিভূত তার ভক্ত-অনুরাগীরাও।

সর্বশেষ ‘তিথিডোর’ নাটকে দেখা গেছে মেহজাবীন চৌধুরীকে। এতে একজন অবিবাহিত মেয়ের জীবনের সংগ্রাম ও হতাশা যে কতখানি গভীর হতে পারে, সেটি পর্দায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তার অনবদ্য অভিনয় দিয়ে আবারও দর্শকহৃদয়ে নাড়া দিয়েছে।

বরগুনা:
বেতাগী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে যুবলীগের কমিটি অনুমোদন নিয়ে সংগঠনে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় অর্থ বাণিজ্য করে হোসনাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে বরগুনা-বেতাগী আঞ্চলিক সড়কের সোনার বাংলা এলাকায় তুলকালাম করেছেন পদবঞ্চিতরা।

সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একাংশের নেতাকর্মীরা।
গত শুক্রবার বেতাগী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক জহিরুল ইসলাম লিটন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জুয়েল রানা স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ সব কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। গত বছরের মার্চ মাসে এসব ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সদ্য ঘোষিত হোসনাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম সজিবসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।

বক্তারা টাকার বিনিময় বিএনপির লোক দিয়ে সদ্য ঘোষিত ইউনিয়ন যুবলীগের গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি করেন। সন্ধ্যায় তা প্রত্যাহার করলেও আগামীতেও কমিটি বাতিলের দাবিতে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।

উপজেলা যুবলীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫ ইউনিয়নে যুবলীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- বিবিচিনি ইউনিয়নে সৈয়দ নজরুল ইসলাম আজাদ ও মো. আবুল কালাম আজাদ, হোসনাবাদ ইউনিয়নে মো. সিদ্দিকুর রহমান ও মো. সফিকুল ইসলাম, মোকামিয়া ইউনিয়নে মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার ও মো. রিয়াজুল ইসলাম, বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে মো. সহিদুল ইসলাম নাসির ও মহিদুজ্জামান রণ এবং কাজিরাবাদ ইউনিয়নে এইচ.এম সজিব ও মো. তারেকুজ্জামান তারেক।

অভিযোগ অস্বীকার করে বেতাগী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন বলেন, ইউনিয়ন ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বরিশালের খবর ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। মাত্র ১৫ বছরে আমরা এই যে উন্নতি করতে পারলাম, পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’

আজ রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিচ্ছি এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিচ্ছি। ২০১০ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম, যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, এটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন।

এরপর ২৯ বছর এদেশের মানুষের জীবনে কোনো উন্নতি হয়নি, পরিবর্তন ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‌আমাদের দেশ বিশ্বের ৩৩ তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছে। আশা করছি, আরও এগোতে পারব।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের পাইকার বাজারে একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচামরিচসহ বেশ কিছু সবজির দাম। এর ফলে এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে।

বিক্রেতারা বলছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশের কৃষকরা পণ্য বাজারে নিয়ে আসতে না পারায় এবং শুক্রবার ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দুই একদিনের মধ্যে বাজার দর আবার আগের জায়গাতে চলে আসবে।

বরিশাল শহরের একমাত্র বৃহৎ কাঁচাপণ্যের পাইকার বাজার ‘সিটি মার্কেট’ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার যেখানে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি প্রতি দর ছিলা কাঁচা মরিচের সেখানে শনিবার কেজিপ্রতি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

এছাড়া একদিনের ব্যবধানে শনিবার ২৫ থেকে ৩০ টাকার পটল কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা, ৩৫ থেকে ৪০ টাকার শসা কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা, ১২০ থেকে ১৫০ টাকার গাজর কেজিপ্রতি ১৫০-১৮০ টাকা, ৪৫ টাকার লাউ ৫০-৬০ টাকা, ৩০ টাকার ঝিঙা কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকা, ৪০ টাকার বরবটি কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, ৮০ থেকে ৩০ টাকার করলা কেজিপ্রতি ৯০ টাকা, ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেগুন কেজিপ্রতি ৯০ টাকা, ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পোটল কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এ বাজারে। তবে মিষ্টি কুমড়া অপরিবর্তিত ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পাইকার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম শুভ জানান, মেহেরপুর, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া, যশোর ও ঈশ্বরদীতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে সবজি উত্তোলন করতে পারেনি, তাই বাজারে চাহিদার থেকে সবজি আমদানি কম হয়েছে। আবার শুক্র ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় মরিচও আমদানি হয়নি। আর এ কারণে পাইকার বাজারে মরিচসহ কিছু সবজির দর বেড়েছে।

তবে দুই একদিনের মধ্যে কাঁচা পণ্যের বাজারে দর আবার স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মার্কেটের পাইকার ব্যবসায়ী দুলাল বাণিজ্যালয়ের প্রোপাইটর সিরাজুল ইসলাম দুলাল।

তিনি জানান, মোকাম থেকে ব্যবসায়ীরা সবজি কিনে পাঠান পাইকার বাজারে। আর তারা যে দরে বিক্রি করতে বলেন চালান দেখে সেই দরেই বিক্রি হয়ে থাকে সিটি মার্কেটে। এখানে পাইকার বাজারের ব্যবসায়ীদের দর নিয়ন্ত্রণে কোন হাত থাকে না।

এদিকে পাইকার বাজারে দর বেশি হওয়ার প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে। নগরের বাংলাবাজার থেকে সবজি কিনে ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে সব সবজির দামই কেজি প্রতি ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মরিচের দর বেড়েছে অনেক বেশি। আজ কাঁচা মরিচ কিনলাম ৪০০ টাকা কেজি দরে।

এ বিষয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকার বাজারে দর বেড়ে গেলে তাদের কিছু করার থাকে না। আর মরিচসহ অন্যান্য সবজি যাদের কাছে গতকালের কেনা ছিল তারা ৪০০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করছেন, আর আজ যারা এনেছেন তাদের আরও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সূত্র : বাংলানিউজ