বরিশালের খবর ডেস্ক :
দুদিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া বয়ে চলায় বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বন্ধের দিন হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। তবে শীতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পেশাজীবী মানুষ।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে গত দুদিন ধরে বরিশালে সূর্যের দেখা নেই। ফলে মেঘলা আকাশ ও ঘন কুয়াশায় শীতের তাপমাত্রাও বেড়েছে। আগামী ২-৩ দিনে বরিশাল অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত। ছবিটি তুলেছেন এন আমিন রাসেল

গত বুধবার দুপুরের পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, গত দুদিন ধরেই বরিশালে সূর্যের দেখা নেই। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ রয়েছে। এ কারণে আকাশ মেঘলা। তার ওপর এখন শীতকাল হওয়ায় ঘন কুয়াশা রয়েছে। এসব কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি মৌসুমে এখনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়নি বরিশালে। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রাকে শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তবে সূর্যের আলো না থাকায় দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

অপরদিকে বরিশাল নদীবন্দরে দেখা যায়, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ে নৌযান ছেড়ে গেলেও ঘন কুয়াশার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে এক থেকে দুই ঘণ্টা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথেও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

এদিকে শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শীতে মানুষ অ্যালার্জি ও সর্দি-কাশিসহ নানা ধরনের রোগাক্রান্ত হতে পারে। এজন্য সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মোটা পোশাক পড়তে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের যত্নের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুদের ভেজা জায়গায় যেমন রাখা যাবে না, তেমনি সব সময় মোটা কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে একই দৃষ্টি রাখা জরুরি। প্রয়োজনে তাদের ফুটানো পানি পান করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সূত্র :বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বন্দর এলাকা থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ৯ হাজার ৯ সত ৩ পিচ ইয়াবাসহ এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।

সুত্রে জানা যায় ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই কাজী ওবায়দুল কবীর, এএসআই রাজিব চন্দ্র পাল, মোঃ ইখতিয়ার খান,মোঃ জিয়াউল,মোঃ রিয়াজ,ইমরানুল হক ও মোসাঃ ফারজানা আক্তার নিশি মিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বন্দরের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় নারী মাদক কারবারি শান্তনা আক্তার(২৫)কে তল্লাশি চালিয়ে প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ির ভিতর থেকে ৯ হাজার ৯সত ৩ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে ।

গ্রেফতারকৃত ইয়াবা কারবারি শান্তনা আক্তার বরিশাল জেলার কাউনিয়া উপজেলার কাকাশুরা গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মোঃ সুরুজ হাওলাদারের স্ত্রী ও মৃত হাচান সরদারের মেয়ে।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই কাজী ওবায়দুল কবির বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযুক্ত নারী মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং মাদক কারবারিকে বরিশাল ডিবি কার্যালয় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার লাখো শহীদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো। ’

নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে তিনি বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফরের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন ও ডাক্তরাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফর ৷

পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, কমর্কতা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। উক্ত সভায় মহাপরিচালক সকল পক্ষের কথা শোনেন এবং সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন সহ শিশু সার্জারী ও শিশু বিভাগ পরিদর্শন করেন। নির্মানাধীন ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু জাফর।

এদিকে দুপুরে পরিচালক স্বাস্থ্যের কার্যালয়ে বরিশাল বিভাগের সকল জেলার সিভিল সার্জনদের সাথে মত বিনিময় করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এই স্লোগান নিয়ে আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর আয়োজনে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও তারুণ্যের উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল লুসিকান্ত হাজং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল মোঃ আলাউল হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরাসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুধিজন প্রমূখ।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত উৎসব চলবে। শুভ উদ্বোধন শেষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বেলস পার্কে গিয়ে শেষ হয় পরে সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং মশক নিধন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

 

বিনোদন ডেস্ক :
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

একের পর এক সিনেমায় কাজ করে চলেছেন।
ঢালিউডের পর টলিউডে পা দিয়েও সুপারহিট ইধিকা। দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘খাদান’ সিনেমাও ব্লকবাস্টার এই নায়িকার।

ছোট পর্দা থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল ইধিকার। এরপর শাকিবের ‘প্রিয়তমা’, সবশেষ দেবের ‘কিশোরী’। দুই পরিচয়েই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জনপ্রিয়তা পেতেই তাকে নিয়েও ভক্তমহলে তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল।

শোনা যাচ্ছে, টলিপাড়ার খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষের সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছেন ইধিকা। সম্প্রতি তারা হিমাচলের ছিটকুলে একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিলেন। তবে একা নয়, তাদের সঙ্গী ছিলেন কিছু বন্ধু-বান্ধবও।

তাদের দু’জনের পাহাড়ের ওপর কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিগুলো দেখেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অধিকাংশ নেটিজেনেরই প্রশ্ন, কার সঙ্গে প্রেম করছেন ইধিকা?

এর আগে তথাগত ঘোষের সঙ্গে একাধিক অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। এবার নাম জড়ালো ইধিকার সঙ্গে। যদিও নিজের প্রেম নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশালের খবর অনলাইন ডেস্ক :আগামীকাল সোমবার থেকে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। ‘নতুন বিপিএল’, কথাটা গত কয়েকদিনে ঘুরেফিরে অনেকবারই শোনা গেছে বিসিবি কর্মকর্তাদের মুখে।

বিপিএলের গ্রাফিতি ও নতুন করে করা হয়েছে থিম সং। বিসিবির সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল তিন শহরে কনসার্ট করা। বিপিএলের তিন ভেন্যু- ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে হয়েছে কনসার্ট। ঢাকায় গেয়েছেন পাকিস্তানের তারকা শিল্পী রাহাত ফতেহ আলি খান।

বিপিএলের এসব নতুনত্ব নিয়ে কথা বলেছেন তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন করা ফরচুন বরিশালে এবারও আছেন তিনি। বিপিএলে নতুন কী দেখতে পান? টুর্নামেন্টের আগের দিন তার কাছে প্রশ্ন ছিল এমন।

উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমি সত্যি কথা বলতে অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের টুর্নামেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে, কনসার্ট বা অন্য কিছুতে না।’

‘ক্রিকেটে যদি বিনিয়োগ করি, টুর্নামেন্টে যদি বিনিয়োগ করি; তখন আমরা বলতে পারবো যে এটা নতুন করে বিপিএল। কনসার্ট আগেও হয়েছে, এখনও হয়েছে; দারুণ একটা অনুষ্ঠান হয়েছে যা দেখেছি, আমি ছিলাম না দেশে।’

বিপিএলে প্রতিবারই উইকেট নিয়ে প্রশ্ন থাকে। সম্প্রচারের মান নিয়েও সমালোচনা হয় প্রতিনিয়ত। এসব সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে মাঠে ক্রিকেটাররা ভালো খেলতে পারলেই টুর্নামেন্ট সফল হবে বলে মনে করেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘এখনও এটা কিছুটা দ্রুত হয়ে যায় মন্তব্য করা, কারণ আমি জানি না কালকে কী আছে আমাদের জন্য। এটাও ফেয়ার হবে না আমি একটা কমেন্ট করে দিলাম যেটা খারাপভাবে গেল। আমি এতটুকু বলতে পারি, কেউ যদি আমার কাছে পরামর্শ চায়, আমি এতটুকু বলবো যে যদি আপনি বিপিএল পরিবর্তন করতে চান; টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেটে বিনিয়োগ করুন।’

‘ক্রিকেটটা কেমন হবে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়রা কেমন খেলছে। এটা তো আসলে যারা আয়োজক তাদের হাতে কিছু থাকে না। তাদের হাতে কী থাকে, সেরা ফ্যাসিলিটিজ দেওয়া, সেরা উইকেট দেওয়া, নিশ্চিত করা সেরা ধারাভাষ্যকার, ক্যামেরা ও টেকনোলজি যেটা এভেইলেবল, তা পাওয়া। এটা হলো যারা দায়িত্বে বসে আছেন তাদের কাজ।’

‘কিন্তু উনারা কোনোদিন এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না আসলে। খেলা দুইশ রানের হবে নাকি ৬০ রান-৬০ রানের হবে, ওটার দায়িত্ব দল ও খেলোয়াড়দের নিতে হবে। এটার বাইরে যেগুলো, এগুলো উনাদের দায়িত্ব। উনারা যদি উনাদের কাজটা ভালো মতো করেন, আমরাও যদি আমাদের কাজ ভালো মতো করি তাহলে সফল টুর্নামেন্ট হবে।’
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরগুনা প্রতিনিধি :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে প্রেম হয় বরগুনা থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নিলয় এবং আনিকার।

এ যেন মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমানের ‘প্রেম ও বিদ্রোহের মিছিল’ কবিতার প্রথম দুই লাইনের মতো – ‘মিছিলেও প্রেম হোক, ভেঙে যাক মোহ।

তুমি সাজো ব্যারিকেড, আমি বিদ্রোহ’। কবিতার এই পংক্তির বাস্তব রূপটাই দিলেন নিলয়-আনিকা।

বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় (২২)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের বরগুনার সমন্বয়কারী। বরগুনা সদরের হাইস্কুল সড়কের মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তিনি। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন নিলয়।

অন্যদিকে, বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা (২০)। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগে পড়ছেন তিনি।

৫ মাসের প্রেম শেষে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এ প্রেমযুগল। এদিন আসর নামাজ শেষে দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদে কাবিন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বিপ্লবী দুই যোদ্ধার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফুল, স্নিগ্ধতা এবং গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান’। সেই আয়োজনটা অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশের মতো উত্তাল ছিল বরগুনাও। জেলার সব স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সে সময় আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে নিলয় অন্যতম।

জুলাই মাসের শেষের দিকের কথা, আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। ঠিক সে সময় একে অপরের প্রেমে পরে যান নিলয় ও আনিকা। কিন্তু এই ক্রান্তিলগ্নে সবার আগে দেশ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর দেখা যাবে – এই ভেবে দুজনের কেউ কাউকে মনে কথা জানায়নি।

কিন্তু মনের গহীনে জন্ম নেওয়া ভালোবাসা তো সব যুক্তি মানতে নারাজ। একে অপরের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার কথা প্রকাশ পেয়েই যায় এক সময়।

তবে বিয়েটা সেরেছেন কথামতোই। ফ্যাসিস্ট পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন গত ৫ মাস ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এলো তখনই বিয়ের আয়োজন করলেন এ তরুণ জুটি।

তাদের এই বন্ধনে খুশি স্থানীয়রাও। তারা বলছেন, আজকার এই ছাড়াছাড়ির যুগে বছরের পর বছর সম্পর্কে থাকার পরেও মানুষ একজন আরেকজনকে ছেড়ে যায়। সেখানে মাত্র পাঁচ মাসের সম্পর্কে একে অপরকে চিনেছেন, জেনেছেন, বুঝেছেন, ভালোবেসেছেন নিলয়-আনিকা।

এদিকে জীবনের নতুন অধ্যায়ে যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এ নবদম্পতি।

ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের পরিচয় হয়েছিল এবং আমরা দুজন দুজনকে পেয়ে সত্যি খুব খুশি, আলহামদুলিল্লাহ। এই পূর্ণতার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ পেয়েছি যে নিলয় কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।

মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এই প্রেম জীবনে এসেছিল বলেই আজ আমি সত্যি আনন্দিত এবং এই পূর্ণতা আমাদের ভালোবাসার সত্যতার এবং পবিত্রতার প্রমাণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কর্তৃক প্লান অনুমোদনে জটিলতা ও হয়রানির প্রতিবাদে ১১ টি দাবি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন ‘বরিশাল নাগরিক অধিকার অন্দোলন’। আগামী ৭ দিনের মধ্যে দাবিগুলো মেনে না নিলে পরবর্তীতে বিক্ষোভ সমাবেশ, সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও, অবস্থান ধর্মঘট, গণঅনশন সহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব প্রকৌঃ মো. আবু ছালেহ।

তিনি বলেন, বরিশাল নগরবাসী প্রায় দেড় বছর ধরে প্লান অনুমোদনে জটিলতা থাকায় হাজার হাজার নির্মাণ শ্রমিক, জমির মালিক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্ট বৃন্দ সহ নান পেশার মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘বরিশাল নাগরিক অধিকার অন্দোলন’ এর পক্ষ থেকে গত ২৪/১১/২০২৪ তারিখ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক বরাবর ১১ দফা দাবি উল্লেখ করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল-অদ্যাবধি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার আলোচনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।

তাই বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এসোসিয়েশন অব বিল্ডিং কনসালটেন্ট, বরিশালডেভেলপার এসোসিয়েশন, সিমেন্ট ও লৌহজাত প্রভা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, ইলেকট্রিশিয়ান শ্রমিক ইউনিয়ন, জমির মালিকগন সহ নানা পেশার লোকজন মিলে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সম্মুখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারাও এ অন্দোলনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

দাবিগুলো হল-
১. বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে জমা থাকা সকল প্লান অনতিবিলম্বে অনুমোদন দিতে হবে।
/
২. ইতোমধ্যে পাশকৃত সকল প্লান (যাহার চালান, হোল্ডিং এবং পানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে) অনতিবিলম্বে ডেলিভারি দিতে হবে।

৩. বরিশাল শহরের অধিকাংশ রাস্তার প্রশস্ততা কম তাই রাস্তার প্রশস্ততার ক্ষেত্রে গতানুগতিক ও প্রচলিত নিয়মে প্লানের অনুমোদন দিতে হবে।

৪. সিটি কর্পোরেশনের ৪র্থ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বরিশাল ইমারত নির্মান নীতিমালা-২০২০ পূর্ণবহাল করতে হবে।

৫. দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে প্লান অনুমোদন সহ সকল ধরনের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে “ওয়ান স্টপ সার্ভিস” ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৬. অতি পুরাতন অকার্যকর মাষ্টার প্লান (যাহা ২০২০ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হইয়াছে) -এর অযুহাত দিয়ৈ LUC দেয়ার ক্ষেত্রে রেড জোন, শিল্পাঞ্চল জোন, কৃষি জোন, ইকোপার্ক জোন দেখিয়ে জনগনকে যে হয়রানী করা হচ্ছে তা লাঘব করতঃ অকার্যকর ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরাতন মাষ্টার প্লান বাতিল করতে হবে।

৭. ইমারত নিমার্ণ বিধিমালা-১৯৯৬ এর আওতায় প্লান অনুমোদনের কথা বললেও কর্তৃপক্ষ কেবল মাত্র রাস্তার ক্ষেত্রে উক্ত বিধিমালা অনুসরণ করে কিন্তু প্লান পাশের ফিসহ অন্যান্য বিষয়ে মনগড়া আইন বাস্তবায়ন করছেন তাই স্ক-বিরোধী এ নিয়ম বাতিল করতে হবে।

৮. যে সমস্ত এলাকায় কিংবা বাড়িতে পানির সরবরাহ লাইন সংযোগ করা হয়নি, সেই সব এলাকার জনগনকে পানির বিল হইতে অব্যহতি দিতে হবে।

৯. ভবনে বসবাস শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল নেওয়া বন্ধ করতে হবে।

১০. পূর্বে ভরাটকৃত ব্যক্তিগত রেকর্ডিয় জমির শ্রেনীতে পুকুর উল্লেখ থাকলে প্লান অনুমোদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না করে সরজমিন তদন্ত পূর্বক প্লান অনুমোদন দিতে হবে।

১১. খালের পাড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের রেকর্ডিয় জমির ক্ষেত্রে ইমারত নির্মানে জমি ছাড়ের ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত ও বান্ধন ভিত্তিক সমাধান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ কমিটির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান তুইয়া।

তিনি বলেন, অরাজনৈতিক সংগঠনটি নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। নাগরিক সমস্যাগুলো সমাধান না করা হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাশিপুর প্লানিং হাউজ প্রকৌঃ এ,এফ,এম হারুন অর রশীদ, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নিয়াজ মাহমুদ বেগ, প্রকৌঃ মোঃ আকতার হোসেন ও আনোয়ার হোসোইন খান। যুগ্ম সদস্য সচিব ডিজাইনার রিয়াদুল আহসান, গোপাল চন্দ্র শাহা ও মো. সোহেল রানা। সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌঃ হুমায়ুন কবির, প্রকৌঃ মো. শাহ আলম সিকদার, প্রকৌঃ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও মো. আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তনখোলা -১০ এবং ঢাকা থেকে বরিশালগামী প্রিন্স আওলাদ -১০ লঞ্চের মধ্যে মাঝ নদীতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। দুই লঞ্চ ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হলেও নিহতের ঘটনা ঘটেনি।

 

রাত আনুমানিক সোয়া ২ টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনা  নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে।

বরিশালের বি আই ডব্লিউ টি এর বন্দর কর্মকর্তা, নৌ পুলিশ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘন কুয়াশার কারনে ঘটে এ ঘটনা।

গতকাল রাত ৯ টার দিকে বরিশাল থেকে প্রিন্স আওলাদ ১০ এবং ঢাকা থেকে কীর্তনখোলা ১০ পৃথক ভাবে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্যেশে ছেড়ে যায়। দুটি লঞ্চ চাঁদপুরের কুয়াশার কবলে পরে।

এ সময় হরিনা নামক স্থানে লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি লঞ্চেরই সম্মুখ ভাগ দুমড়ে মুছরে যায়।

এর মধ্যে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটি ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছে। তবে প্রিন্স আওলাদ ১০ দুর্ঘটনা স্থলেই রয়েছে।

প্রায় হাজার দেড়েক যাত্রী ছিলো এই লঞ্চে। এই যাত্রীদের শুভরাজ ১০ নামক অপর একটি লঞ্চ উদ্ধার করে সকাল সারে ৯ টার দিকে বরিশালের উদ্যেশে রওনা করেছে।

দুপুরের যেকোন সময়ের মধ্যে  তারা বরিশাল পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত দুই লঞ্চের কোন যাত্রী নিহত হন নি।

তবে বেশ কয়েকজন অল্পবিস্তর আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।