নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনান্য বছররে ন্যায় এ বছরও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় সংগঠন কার্যালয়ে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিআরইউ সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক জিয়াউল করিম মিনার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য মহসিন সুজন, আবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম সোহাগ, রাজিব হোসেন টিটু, এন আমিন রাসেলসহ প্রমূখ।

এসময় বক্তারা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
রাজাকারের কোনেও তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

বুধবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “রাজাকারের তালিকার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আমি কোনও ফাইল পাইনি। এখনও আমার কাছে আসেনি। সচিব মহোদয় বলছেন এ মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজাকারের তালিকার কোনও কপি, কোনও নথি নেই।”

তিনি বলেন, “রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। যে রকম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা যাচ্ছে না। বাস্তবকে অস্বীকার করে তো আমরা কিছুই করতে পারব না। ৫০ বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা এখন কোথায় কে আছে না আছে কার কাছ থেকে কী নথি পেয়ে আমরা এগুলো করব, এটা তো আমার মনে হয় অনেক বেশি দুরূহ কাজ।”

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও যারা তালিকাভুক্ত হয়ে সুবিধা নিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার কথাও জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

তিনি বলেন, “বহু অভিযোগ আছে যে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, গেজেটভুক্ত হয়েছেন এবং সুবিধা গ্রহণ করছেন। আমার দৃষ্টিতে এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা। এটা ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় অপরাধ। যখন নির্ণিত হবে তাদের তো বাতিল করবই, প্রয়োজনীয় সাজার ব্যবস্থা করব।”

“অমুক্তিযোদ্ধা যারা এখানে তালিকাভুক্ত হয়েছে, আমরা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করলে তাদের ব্যাপারেও একই রকমের ব্যবস্থা হবে,” যোগ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আমরা একটা ইনডেমনিটিও হয়তো দেব যে, যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন তারা যেন স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। তাহলে হয়তো সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারেন।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা: সংস্কার ও সম্ভাবনায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) তে সাংবাদিকদের সাথে এই আয়োজন করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘দৃক’।

দৃকের পক্ষ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বরিশালের শহীদ, সারাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সকল খাতেই সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় সংস্কারের লক্ষ্যে এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

বরিশালের সাংবাদিকরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কঠিন ও প্রতিকূল পরিবেশের অভিজ্ঞতা স্মরণ করেছেন। সাংবাদিকরা জানান- মাঠে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন পক্ষের হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা। নানামুখী হামলার শিকার আহত হয়েছেন অনেকেই। টার্গেটেড আক্রমণ ঠেকাতে আইডি কার্ড, প্রতিষ্ঠানের লোগো এমনকি বুলেট প্রুফ জ্যাকেটও খুলে রাখতে হয়েছে।

সাংবাদিকরা বলেন, দেশে প্রকৃত অর্থেই জনস্বার্থে সাংবাদিকতার সংকট রয়েছে এবং এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সংস্কার জরুরী। তারা মনে করেন দেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে এবং এই আমলেই সাংবাদিকতার সংস্কার জরুরি।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ বলেন, সাংবাদিকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যম যদি মালিকপক্ষের মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হয়ে থাকে তাহলে সাংবাদিকতায় সংস্কার সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। একইসাথে নতুন গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে সারাদেশের সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তৃণমূল থেকে সংবাদমাধ্যমের সংস্কারের তাগিদ জানিয়েছেন সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ঢাকার বাইরে মফস্বলের সাংবাদিকতা এখনো পেশাগত স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি। সাংবাদিকতার মর্যাদা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা তৈরি না হলে প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকতার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে গণমানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে লেজুড়বৃত্তি ছেড়ে আদর্শ ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সাংবাদিকতার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান বরিশালের সাংবাদিকদের। একইসাথে গণঅভ্যুত্থানের ৪ মাস পরেও সাংবাদিকতা সংস্কারের লক্ষণ নেই জানিয়ে ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তারা। তারা জানান সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে খোদ সংবাদমাধ্যমগুলোতে কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।

মতবিনিময়ে অংশ নেয়া সাংবাদিকরা দেশের পত্রিকাগুলোর ভিত্তিহীন ও অবাস্তব সার্কুলেশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পরিশেষে সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।

সংবাদমাধ্যমের উন্নয়ন, সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিসত্ত্বর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ জানিয়েছেন তিনি। দৃকের পক্ষ থেকে এই আয়োজন সঞ্চালনা করেছেন সাংবাদিক সামিয়া রহমান প্রিমা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আলী খান জসিম, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাংবাদিক সাইদ মেমন, মঈনুল ইসলাম সবুজ, শাওন খান, পারভেজ রাসেল, মুশফিক সৌরভ, সৈয়দ মেহেদী হাসান, তন্ময় নাথ, তন্ময় তপু, মো. নুরুজ্জামান, জিয়াউল করিম মিনার, সুমাইয়া জিসান, নুশরাত মোনা, মনিকা, এন আমিন রাসেল, আর এম মাসুদ, সাইয়ান, আরিফুর রহমান, উজ্জল মুন্সী, আনিসুর রহমান, এন আমিন রাসেল, হেলাল উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম সোহাগ, অলিউল ইসলাম প্রমুখ।

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

বরিশালের উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা’র সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি হাসনাত জাহান খান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: হুমায়ুন খান, উজিরপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, বরিশাল জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাব্বির আহম্মেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ এমদাদুল কাশেম সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন শরীফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ও আহত ১৩ জন শিক্ষার্থী।

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন উজিরপুরে উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের কেশবকাঠী গ্রামের মোঃ কামাল হোসেন মোল্লার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান(২৮),উওর বড়াকোঠা গ্রামের মৃত চান মিয়া বেপারীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম(২২)। আহত হন নাজির উদ্দিন সাব্বির(২৩),মোঃ মিরাজ সিকদার(২৯) মোঃ রিফাত হাওলাদার(১০),মোঃ আসলাম(৩৮), সুমন ঢালী(২৭), মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৬৫),মোঃ মনির খান(১৮), মোঃ সৈকত জামান(১৭), মেহেদী হাসান (২৫),মোঃ জসিম হাওলাদার(২৭),মোঃ রুহাইয়াদ মাহাবুব রুবাই(২২), মোঃ শাকিল হাওলাদার(২৮), মোঃ আল আমিন(২৮)।

স্মরণ সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজাসহ উপস্থিত অতিথি বৃন্দ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন।

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সাতলা ইউনিয়নে সাতলা আইডিয়াল কলেজে নবীন বরন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, দানবীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বরিশাল জেলা কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু।

২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সাতলা আইডিয়াল কলেজে মাঠে প্রাঙ্গনে ২০২৪-২৫ একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরন অনুষ্ঠান ও ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় A+প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল সরদারের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল নেতা মোঃ সুমন এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ কাজী হুমায়ুন কবির ,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এসএম আলাউদ্দিন, বানরীপাড়া উপজেলা যুগ্ম -আহবায়ক মো: মঞ্জু খান, উজিরপুর উপজেলা যুগ্ন- আহবায়ক সরদার সিদ্দিকুর রহমান, মো: আনোয়ার হোসেন মল্লিক, মোঃ শাহিন হাওলাদার,সাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, সম্পাদক মো: হালিম বিশ্বাস,শিক্ষক মশিউর রহমান,শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ,মোশাররফ হোসেন,স্থানীয় মোঃ আলমগীর হোসেন,কোরআন তেলোয়াত করেন শিক্ষার্থী রায়হান হাওলাদার,গীতা পাঠ করেন লতা বিশ্বাস।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সম্পাদিকা শিরিন বেগম, বানরীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: সুমন, উজিরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক এ্যাডঃ ফজলুল হক বিশ্বাস,যুবদল নেতা মো: ইয়াছিন,উজিরপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ এমদাদুল কাশেম সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন শরীফসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীন বরন অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। এদিকে অনুষ্ঠানে সুন্দর গান পরিবেশন করায় মুগ্ধ হয়ে শিল্পী শিক্ষার্থী দোলা বিশ্বাসকে পুরস্কৃত করেন অনেকে। এসময় প্রধান অতিথি মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেষ্ট বিতরণ ও বই বিতরণ করেন। কলেজের সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন তিনি।

এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কীর্তনখোলা নদীর তীরে মুসলমানদের আধ্যাত্মিক মহা মিলনমেলা ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল আগামীকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে।

এদিন বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ঐতিহাসিক এ মাহফিল।

মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় এ দিনে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে।

বুধবার বাদ জোহর শুরু হওয়া এ ঐতিহাসিক আধ্যাত্মিক মিলন মেলা ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে।

ঐতিহাসিক চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে ৭টি মূল বয়ানের মধ্যে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ৫ টি এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ২টি বয়ান করবেন।

এছাড়াও চরমোনাই কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় দরবার সমূহের হজরত পীর সাহেবগণ এবং শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কিরামগণ বয়ান পেশ করবেন।

মাহফিল উপলক্ষ্যে সারাদেশ থেকে মানুষ সড়ক ও নৌপথে আসতে শুরু করেছে। অগ্রহায়ণ মাহফিলের জন্য নির্ধারিত দুইটি মাঠেই শামিয়ানা টানানো শেষ। একইসাথে লাইট, মাইক ও মাহফিলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের টেলিফোন সংযোগ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। লাখো মুসল্লিদের শৃঙ্খলার জন্য হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিশাল টিম এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে হতে অসুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একশত শয্যাবিশিষ্ট চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল।

এখানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। প্রতি বছর বাংলা মাস হিসেব করে চরমোনাইতে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। তারমধ্যে অগ্রহায়ণ কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসে মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসুন, স্মৃতির সরণি ধরে হারিয়ে যাই সেই দিনগুলোতে এমনই এক অনুভূতিকে অম্লান করে রাখতে আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জমকালো ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় এক আনন্দময় মুহূর্তের অবতারনা হয়। ১৯৬৮ সালের এই দিনে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রাক্তন, বর্তমান ও নতুনদের দের মিলন মেলার এই আয়োজন সকাল ৯টায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি ডা. এ কে এম আক্তার মোর্শেদ, বিশেষ অতিথি মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক ডা. কহিনুর বেগম, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির লাবু, বরিশাল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, সদস্য সচিব ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ঢাকা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর উপস্থিতিতে ৫৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এরপর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল বাশার পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ১০টায় ৫৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে বান্দরোড, চাঁদমারি প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ক্যাম্পাসে কেক কাটা, চা-চক্র শেষে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, জুলাই-আগস্টের শহীদদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রীতি ফুটবল খেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় কলেজ অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জা করা হয়। এছাড়া মিলন মেলার জন্য একাধিক দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল নির্মাণসহ লাল গালিচা বিছানো হয়।

এবারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহন করায় এ অনুষ্ঠান আনন্দময় ও স্মৃতিময় হয়ে উঠে। এবারের অনুষ্ঠানের সার্বজনীনতা সকলের জন্য আরও উপভোগ্য হয়।

 

বরিশালের খবর ডেস্ক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরীর উদ্যোগে দিনব্যাপী ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ই নভেম্বর শুক্রবার বরিশাল বিভাগীয় গ্রন্থগারে মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও বরিশাল অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাজি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও বরিশাল জেলার নায়েব আমীর ড. মহ্ফুজুল হক।

প্রধান অতিথি বলেন,পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন মানুষ নতুন ভাবে ভাবতে শুরু করেছেন। তারা এখন বলতে শুরু করছে সকল দলকে দেখা হয়েছে, এখন শুধু জামায়াতে ইসলামীকে দেখা বাকি আছে। আমাদের বেশি বেশি সামাজিক কাজ করতে হবে, যেকোনো বিপদে মানুষ যাতে জামায়াতে ইসলামীর কাছে আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মাহফুজুল হক বলেন,সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে চিন্তা চেতনা এক নয় নিজ নিজ চিন্তার মানুষকে যাতে কাজের ক্ষেত্রে পাশে পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে সকল শ্রেণীর মানুষের ভুমিকা আছে তাদের যোগ্যতার সর্বোচ্চটুকু যাতে কাজে লাগাতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আমির বলেন,আমাদের গঠনতন্ত্রে আমাদের ঈমান ও আকিদার ব্যাপারে স্পষ্ট করা হয়েছে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ড হবে কুরআন ও হাদিসের গন্ডির মধ্যে থেকে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ড হবে পরকালকে সামনে রেখে, দুনিয়াবি লোভ লালসা যাতে আমাদের পরকালীন জগৎকে ধ্বংস করে না দেয়া। আমাদের মহানগরীর সকল ওয়ার্ডকে সংগঠিত করতে হবে এবং আন্দোলন জনমানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন,অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন,মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম পণ্যবাহী কোনো জাহাজ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাহাজটি করাচি থেকে রওনা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে।

ঘটনাটিকে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত হয়েছে বলা হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের বিবৃতিতে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ ঘটনাকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে এ ধরনের সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার একটি সূত্র বলেছে, গত বছর মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনালের অপারেটিং অধিকার সুরক্ষিত করে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত জয়লাভ করেছিল ভারত। কিন্তু এখন, পাকিস্তান চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে। দুটি বন্দরের সমুদ্রপথে এখন পাকিস্তানি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেবে। বিষয়টি অবশ্যই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে কারণ, মিয়ানমার চট্টগ্রামের খুব কাছাকাছি ।

বুধবার করাচির ওই জাহাজটি তিনশর বেশি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে।

জাহাজ ভেড়ানো সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

এ সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই নতুন রুটটি পণ্য পরিবহনের চেইনকে স্ট্রিমলাইন করবে, ট্রানজিট সময় কমিয়ে দেবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ খুলে দেবে।

টেলিগ্রামকে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং উভয়ই পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাইরে রয়েছে। সিঙ্গাপুর বা কলম্বোতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হতো। এখন যেহেতু পাকিস্তানি জাহাজগুলি সরাসরি চট্টগ্রামে আসবে, ভারতের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির জন্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পণ্য পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারবেন না।

চট্টগ্রামে ২০০৪ সালের অস্ত্র উদ্ধারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা এখনও সবচেয়ে বড় ঘটনা সেটি।

এদিকে পাকিস্তানের জাহাজ বাংলাদেশে নোঙরের বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নতুন শাসনব্যবস্থা সরাসরি সমুদ্র সংযোগকে স্বাগত জানায়। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিরও আশা করে কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে বাণিজ্যের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিল।

সূত্র: টেলিগ্রাম অনলাইন/ বাংলানিউজ