বরিশালের খবর ডেস্ক :
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেনকে যোগদান করতে দেননি শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) শিক্ষা বোর্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করায় সচিব ড. ফাতেমা হেরেন যোগদান করতে পারেননি। পরে বিকেলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ড. ফাতেমা হেরেন বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের চেষ্টা করলেও ছাত্রদের বাধায় তা বাতিল হয়ে যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিএম কলেজ শাখার সমন্বয়ক দাবি করে আকবর মুবিন সাংবা‌দিকদের বলেন, ড. ফাতেমা হেরেন ইসলামবিদ্বেষী এবং আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবেও যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। তখন আমরা তাকে প্রতিহত করেছি। বোর্ডে আবার সচিব হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা বোর্ড চেয়ারম্যানকে বলেছি, ড. হেরেনের আদেশ বাতিল করতে হবে।

তিনি জানান, বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের সামনে ফোন কল করে ড. হেরেনকে বলেছেন, তার নির্দেশনা ছাড়া যেন তিনি বোর্ডে না আসেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনারকেও জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, ছাত্র সমন্বয়করা তার কার্যালয়ে এসেছিলেন। তারা সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব ড. ফাতেমা হেরেনের আদেশ বাতিলের দাবি তুলেছেন। তিনি ছাত্রদের এ দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ড. ফাতেমা এখন পর্যন্ত যোগদান করতে আসেননি। তবে তাকে ফোন কল করেছিলেন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই হামলা-মামলায় জর্জরিত হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট-স্বজনরা। এরা গত সাড়ে ১৫ বছরে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র হওয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্যসহ সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছিলেন। এর মধ্যে মন্ত্রী ও সমপদমর্যাদায় ছিলেন চারজন। এমপি হয়েছেন অন্তত ১০ জন। দুই সিটিতে মেয়র হয়েছেন তিনজন। সহযোগী সংগঠনের প্রধান হয়েছেন একজন। বৈধ ও অবৈধভাবে সর্বোচ্চ সুবিধায় ছিলেন তারা। অথচ পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। একমাত্র শেখ পরিবারের সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ খোকা গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের অবস্থান কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না। ৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তারের চিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের তালিকা দিয়েছিলেন। তাঁর বোন ও তাঁদের ছেলেমেয়ে ছাড়া কোনো আত্মীয় নেই বলে দাবি করেছিলেন। পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাঁর নিকটাত্মীয় রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেছেন। শাসন ও শোষণ করেছেন। নিয়ন্ত্রণ করেছেন রাষ্ট্রক্ষমতার সবকিছু।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার কিছু আত্মীয়-স্বজন ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান। তখন তারা দেশ ছাড়েন। আবার সুসময় হলেই দেশে ফিরে এসে হাজির হন’। ওই বৈঠকে পাবর্ত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের (মন্ত্রীর পদমর্যাদায়) দায়িত্ব পাওয়া আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ শেখ হাসিনার ডান পাশে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকালে আবদুল্লাহকে চোখ-মুখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায় বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক এক মন্ত্রী।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম। শেখ পরিবারের প্রভাব খাটিয়ে শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে শেখ সেলিমের পরিবার আত্মগোপনে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার পতনের আগেই তারা দেশ ছাড়েন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুল হক মণির দুই সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস। শেখ পরশও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা যায়। এখন বিদেশে নিরাপদ জীবন-যাপন করছেন। শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ ক্যাসিনো বিতর্কের সময় আলোচনায় এসেছিলেন। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ভগনিপতি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীও আত্মগোপনে আছেন। শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ আসনের এমপি ছিলেন। তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় এই পরিবার ছিল বরিশাল অঞ্চলের হর্তাকর্তা। ৫ আগস্টের পরে হাসানাত আবদুল্লাহ ও ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তবে সাদিক আবদুল্লাহ কোথায় আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তিনি কোথায় আছেন জানা যাচ্ছে না। জানা গেছে, হাসানাত আবদুল্লাহ ভারতে আছেন তার মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহর কাছে। কান্তা একজন ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করেন।

শেখ হাসিনার ফুফাতো বোন শেখ ফাতেমা বেগমের এক ছেলে নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন। আরেক ছেলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসন থেকে টানা তিনবারের স্বতন্ত্র এমপি ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে এই দুই ভাইও আত্মগোপনে। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে। তবে সর্বশেষ তার অবস্থান নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা, তিনি কি দেশেই আছেন না বিদেশে গেছেন।

আওয়ামী সরকারের অন্যতম সুবিধাভোগীদের একজন ঢাকা ওয়াসার সাবেক বিতর্কিত এমডি তাকসিম এ খান। তিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর ভগনিপতি। সেদিক থেকে তিনি শেখ হাসিনার ফুপা হন। তিনি ৫ আগস্টের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে আলোচনা আছে। শেখ পরিবারের আরেক প্রভাবশালী সদস্য বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি ও বাংলাদেশ বিমা সমিতির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা কেউই বলতে পারছেন না। আরেক চাচাতো ভাই শেখ হাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব। ৫ আগস্টের পর তাদের কোথাও দেখা যায়নি। এ ছাড়া শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। গত চার মেয়াদে আওয়ামী লীগের অন্যতম ক্ষমতার বলয় গড়ে উঠেছিল তাকে কেন্দ্র করে। তিনি সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন ব্যবহার করে দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তারিক আহমেদ আত্মগোপনে আছেন।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর:

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা।

 

২২ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের নরসিংহা গ্রামের আদম আলী ফকিরের বাড়ী ও সোহেল বয়াতীর বাড়ীর সকলকে খাবারের সাথে নেশা জাতক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে চুরির চেষ্টা করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে।

 

এসময় গাজীরপাড় গ্রামের মৃত মতলেব বেপারীর ছেলে বড়াকোঠা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ আক্তার হোসেন বেপারী(৪৫)কে আটক করে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।চোরচক্রের বাকি ২ সদস্য পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মৃত আদম আলী ফকিরে স্ত্রী, নাতিসহ ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

 

এছাড়া সোহেল বয়াতীর পরিবারের ৭জনকে অচেতন করেছে চোরচক্ররা। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভেকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে। আগে নির্বাচন দিয়ে পরে সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। এসকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় বরিশাল নগরের সদর রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এতে বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মোনাজাতের পূর্বে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার আরও বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারেনি কিন্তু এখন মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী হয়ে আছে। আমরা চাই সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সুন্দর একটি নির্বাচন। বিএনপির মধ্যে যারা বিরোধ সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধ সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এসময় তিনি বিএনপিতে যারা চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অন্যায় করছে তাদের ছাড় দেয় হবেনা বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম আমাদের মনে রাখেতে হবে। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে খুব দ্রুত ফিরে আসেন সেজন্য সবাই দোআ করবেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে ৩১ দফা ঘোষনা দিয়েছে। এটা সময় উপযোগি। এখানে সবকিছুর কথাই বলা হয়েছে।

এসময় তিনি দলের মধ্যে বিভেদ না করে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

পরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

ওসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুর হক তারিন, সৈয়দ আকবর সহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালে সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগে গণহত্যার বিচার হোক। তারপর জনগণ রায় দেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির অধিকার আছে কিনা।

মঙ্গলবার বিকালে বরিশালের কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহে জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না, তারা ক্ষমতার রাক্ষস ছিল, গণহত্যাকারী দলের প্রত্যেকের বিচার হবে। এদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, যুদ্ধ এখন শুরু হয়েছে, কর্মীরা তৈরি থাকুন। আজ বাংলাদেশের মানুষ বৈষম্য চান না।

তিনি আরও বলেন, বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোকে যোগাযোগের আওতায় আনতে হবে। বরিশাল বিভাগকে উন্নত হিসেবে দেখতে চাই। আমরা ইনসাফ ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব উন্নয়ন কাজ করতে চাই।

মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দীন মুহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, আব্দুল হালিম, মুয়াজ্জিন হোসাইন হেলাল, জেলা আমির আব্দুল জব্বার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর বাবা প্রমুখ।

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার উদ্যোগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দীন।

২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় উজিরপুর মডেল থানা কম্পাউন্ডে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা,পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান,উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মাজেদ তালুকদার মান্নান মাষ্টার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উজিরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহে আলম,শিকারপুর সরকারি শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ আনিচুর রহমান,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উজিরপুর উপজেলা সমন্বয়ক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রাড়ী।

উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইকরামুল,উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মোঃ সোলায়মান হোসেন হাইয়ুম খান, প্রবীন বিএনপি নেতা মোঃ মামুন সিকদার, উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ শাহাদুজ্জামান কমরেডসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত অতিথি বৃন্দ, মাদক,সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ উপহার দেয়ার জন্য বিশদ আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ে চরমোনাই জামিয়া রশীদিয়া আহছানাবাদ মাদরাসা প্রাঙ্গণে যান।

এ সময় তিনি গোটা মাদরাসা কম্পাউন্ড ঘুরে দেখেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় তারুন্যের উৎসব- ২০২৫ উপলক্ষে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক(অনুর্ধ্ব১৭) এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত।

২০ জানুয়ারি সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে”এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উজিরপুর সরকারী ডাব্লিউবি ইউনিয়ন মডেল ইনস্টিটিউশন মাঠে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আসমা বেগমের সভাপতিত্বে, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ রিয়াদ খানের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথী ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা, বিশেষ অতিথী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও পৌর প্রশাসক হাসনাত জাহান খান, উজিরপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন সাহা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাখাল বিশ্বাস অপুর্ব, উজিরপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সরদার সিদ্দিকুর রহমান, উজিরপুর মডেল ডাব্লিউ বি ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহে আলম, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাওলানা মোঃ আঃ খালেক, উজিরপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, বরিশাল জেলা যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ডিএম আল-আমিন, উপজেলা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাকিব হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ত্রান ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ অনিক গাজী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ।

ফাইনাল খেলায় উজিরপুর পৌরসভা একাদশ ও শিকারপুর একাদশ অংশ গ্রহন করেন।

উজিরপুর পৌরসভা একাদশ, শিকারপুর একাদশকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন প্রধান অতিথী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশব্যাপী একযোগে শুরু হওয়া নতুন ভোটার এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কার্যক্রম বরিশালেও শুরু হয়েছে।

 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে বরিশালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

এজন্য নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীরা আজ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তথ্য সংগ্রহকারীগণ। এতে নতুন ভোটার যুক্ত করা ও যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। আর এই কার্যক্রম চলবে ৩রা ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।

 

এদিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নতুন ভোটার করায় খুশি নতুন প্রজন্ম। তারা বলছেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পাশাপাশি নিভূল ভোটার তালিকা প্রনয়নে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করায় সন্তুষ্ট নতুন ভোটার ও তাদের অভিভাবকেরা।

 

হালনাগাদ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছেন। এতে নতুন ভোটার সংগ্রহ করা হচ্ছে। নাম ও তথ্যে যাতে ভুল না হয় সেজন্য ব্যাক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ, নিকট আত্বিয়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পরিক্ষার সনদ পত্র যাচাই করা হচ্ছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী নিজ নিজ এলাকায় ছবি তুলতে পারবেন ভোটাররা।

 

জেলা নির্বচান কমিশন সুত্র জানিয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে ইতমধ্যে ১ হাজার ২২৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আর বরিশাল জেলায় বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লক্ষ ২২ হাজার।

 

অপরদিকে এবিষয়ে বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, এই কার্যক্রমে এ অঞ্চলে ৫ হাজার ৬শ৫২ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ১ হাজার ৮৬জন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। পহেলা জানুয়ারী ২০২৬ সালে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে মূলত তাদের নতুর ভোটার হিসেবে নাম নেয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
৬৯ গণঅভ্যুথানে শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে বরিশালে আসাদ পরিষদের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে নগরের সদররোডস্থ অশ্বিনী কুমার হল চত্ত্বরে অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের আয়াজন করে আসাদ পরিষদ। যেখানে শহীদ আসাদের পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।

 

পরে সেখানে শহীদ আসাদ পরিষদ বরিশাল শাখার সভাপতি ডাঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর চন্দ্র বালার সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় বক্তারা বলেন, ৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আসাদের মৃত্যু স্বৈরাচারী আইয়ূব খানের দ্রুত পতন ঘটিয়েছিল। আসাদ হয়ে ওঠেন পরবর্তী পর্যায়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামের উপমা। সে সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ চেয়েছিলেন স্বৈারাচার মুক্ত শোষনহীন সমাজ। আসাদের আদর্শ ধারন করে তরুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

 

সভায় বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক মহসীন উল ইসলাম হাবুল, বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, মোজাম্মেল ফিরোজ, গনসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু, ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান খোকন, আসমত আলী এ কে ইন্সটিটিউট এর প্রধান শিক্ষক এইচ এম জসীম উদ্দীন সহ অন্যরা।

 

উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের ব্রজমোহন কলেজ সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অনুপ রায় অর্নব, ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর নেতা সুজন আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সাধারণ সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব মো: নাহিদ ইসলাম, আসমত আলী এ কে ইন্সটিটিউট এর দশম শ্রেণির ছাত্র মাহমুদ আহমেদ প্রমুখ।