নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের খামারিরা। অনেক খামারির পশু এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। আবার অনেকে হাট শুরুর অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো সংকট ছাড়াই স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।

 

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন হয়। তবে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানি ঈদ ঘিরে। তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশি গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিয়াল জাতের গরু রয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় বলছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ছোট-বড় ২৭ হাজারের মতো খামারি কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ পশু লালন পালন করেছেন। আর বিভাগে এবারের কোরবানিতে মোট পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি।

 

বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভি মিলিয়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ টি রয়েছে। আর এরমধ্যে ষাঁড় গরুই রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯৬১টি।এছাড়া ৯ হাজার ৪০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৭৪ টি কোরবানিযোগ্য ভেড়া রয়েছে।

 

ফলে সবমিলিয়ে চাহিদা পরেও উদ্বৃত্ত পশু থাকবে ৬৫ হাজার ২৯৬ টি।

 

এদিকে কোরবানির আগে যাতে হরমোন, অ্যান্টিবায়োটিক বা কৃত্রিম কোন উপায়ে পশুকে মোটা তাজা করা না হয় সেজন্য খামারে নিয়মিত নজরদারি করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খামারে একসাথে অনেক পশু পালনের পাশাপাশি বাড়িতে ছোট আকারে একটি দুটি গরু কিংবা ছাগল পালন করেন অনেকে। ফলে এ অঞ্চলে হিসেবের থেকেও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু থাকতে পারে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে না, যাতে বিদেশি গরুর প্রয়োজন হবে। এবারে এ অঞ্চলে স্থানীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

 

তিনি বলেন, এখন আর কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজা করা হয় না। তারপরও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার খামারগুলোতে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন, যাতে কেউ অনৈতিক কাজে না জড়িয়ে পরে।

 

তিনি বলেন, এর বাহিরে প্রতিটি পশুর হাটে পশু চিকিৎসকসহ মনিটরিং টিমও কাজ করবে।

 

এদিকে খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে কোরবানির পশুর দামে। তবে ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির বাজার স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে।

 

উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ শত টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড়শত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষনার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের করা মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যনালে মামলার আবেদন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম।

২০২৩ সালের জুনের সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে তিনি দলটির প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন।

আজ সোমবার (৫মে) নির্ধারিত দিনে শুনানী শেষে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসিবুল হাসান এই আদেশ দেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আইনজীবী শেখ নাসির উদ্দিন ও মোহাম্মদ হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর বহুদিন অতিবাহিত হওয়ায় মামালাটি গ্রহণের পর্যায়ে না থাকাসহ বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আদালত আবেদনটি খারিজ করেছেন। তবে এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এরআগে গত ২৪ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানির তারিখ ৫ মে নির্ধারণ করেন বিচারক।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশাল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের সাথে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন ‍এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০.০০ টায় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা‍য় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম ।

বক্তাদের আলোচনায় বিচারবিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

এ সময় বক্তারা বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জন আশা-আকাঙ্ক্ষা, কাঙিক্ষত স্বপ্নপূরণ ও বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে কতিপয় কমিশন গঠন করেন। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনসহ প্রতিটি কমিশন ইতোমধ্যে নিজ নিজ সংস্কার ভাবনাসহ বিস্তারিত রিপোর্ট ও সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

বক্তারা ‍আরও বলেন, প্রতিটি সভ্য রাষ্ট্রে সরকারের তিনটি প্রধান অঙ্গ- আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ রয়েছে। প্রত্যেক অঙ্গের ভূমিকা ও কাজ আলাদা আলাদা হিসেবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। বিচার বিভাগ পৃথককরণ বিষয়টি ব্রিটিশ আমল থেকে আলোচিত ইস্যু হলেও পাকিস্তান ও পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশেও তা কার্যকর করার জন্য তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

অতি সম্প্রতি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলো প্রাপ্তির পর তা পর্যালোচনাপূর্বক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ থাকলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে যেসব সংস্কার প্রস্তাব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার তালিকা করেছেন তার মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার বিভাগ নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। বিগত সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকারও দায় এড়িয়ে যাবে না মর্মে এসোসিয়েশন দৃঢ় বিশ্বাস করে। এজন্য বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনকাল এক সুবর্ণ সুযোগ বলে বিচারকগণ মনে করেন।

বক্তারা বলেন, বিগত দিনে বিচার বিভাগকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যা অনভিপ্রেত এবং মোটেই কাম্য নয়। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম এবং প্রধান অনুষঙ্গ হলো স্বাধীন বিচার বিভাগ। নির্বাহী বলয় থেকে বের হতে না পারলে সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষা করা সুদূর পরাহত। সেক্ষেত্রে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। এজন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। জেলা আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও বাজেট সংক্রান্ত বিষয়গুলো একান্তই আলাদা সচিবালয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা গেলে বিচার বিভাগের পৃথককরণ সফলতার মুখ দেখবে উপস্থিত সকলে আশা প্রকাশ করেন। এতে করে জনগণের ক্ষমতায়ন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তি অনেকটা সহজতর হবে।

বক্তারা ‍আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি বিচার বিভাগের যথাযথ অবস্থান সমুন্নত করতে না পারে তাহলে অদূর ভবিষ্যতেও হীন স্বার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহারের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংস্কারও অত্যাধিক গুরুত্ব বহন করে। তাই স্বাধীন ও নির্বাহী হস্তক্ষেপমুক্ত বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এসোসিয়েশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানায়।

‍এদিকে সভায় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন ‍এর কাছে বিভিন্ন দাবিতে স্বারকলিপি দেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী ‍এসোসিয়েশন। সভায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার জেলা ও দায়রা জজ ‍আদালতের বিচারক সহ বিভিন্ন ‍আদালতের বিচারক ও বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন ‍এর নেতারা ‍উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষনার দাবিতে দায়ের করা মামলার তারিখ আগামী ৫ মে পুনঃ নির্ধারণ করেছে বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালত।

আজ (২৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক পরবর্তী তারিখের কথা জানান।

এসময় মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ নাসির জানান, ২০২৩ অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য গত ১৭ এপ্রিল মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আজ আদালতে শুনানী শেষে বিচারক আগামী ৫ মে তারিখ পুনঃ র্নিধারন করেছে।

এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষনার দাবিতে সকাল থেকে নগরীর সদর রোডের অশ্বনী কুমার হলের সামনে অবস্থান নেয় সর্বস্তরের মানুষ। পরে তারা মিছিল নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। পরবর্তী তারিখ র্নিধারনের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুদ্ধহন অনেকে। এসময় তার অনেকে আদালতের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. মাহমুদুর রহমানসহ পত্রিকাটির চারজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বরিশলে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

বুধবার সকাল ১০ টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আমার দেশ পাঠক মেলা বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচারী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নানান অপকর্ম তুলে ধরার অপরাধে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১৩৬ মামলা দায়ের করে হয়ছিলো। সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে প্রতিদিনই কোন না কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ছুটতে হয়েছে। মামলায় হাজিরা দেওয়ার প্রাক্কালে কেটের অভ্যন্তরেই তার উপরে নির্মমভাবে হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এর পরও আমার দেশ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। ৫ আগস্টের পরও স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

 

বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের দোসর মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের অপকর্মের ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরায় অকুতোভয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ফ্যাসিস্টরা এখনো চারিদিকে ঘাপটি মেরে বসে আছে। সময় হয়েছে এসব দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।

 

মানববন্ধন শেষে মেঘনা গ্রুপের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে নগরীতে একটি মিছিল বের করা হয। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিবির পুকুর পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।

 

বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিগন্তের ব্যুরো চিফ আজাদ আলাউদ্দীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ নুরুল আমীন, বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হীরা, সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান পিন্টু, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বরিশাল অফিসের স্টাফ রিপোর্টার নিকুঞ্জ বালা পলাশ, পাঠক মেলার জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব রাজু আহম্মেদ, বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক মো : শাহীন হাসান, দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল অফিস প্রধান শাহিন হফিজ, বরিশাল দক্ষিন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো : মাইনুল ইসলাম শিহাব, বরিশাল ফটোসাংবাদিক পরিষদের আহবায়ক খান মনিরুজ্জামান, ছাত্রদল নেতা  রেজাউল করিম রনি, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

 

মানববন্ধনে বরিশাল প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ সুখেন্দু এদবর, আমার দেশ পত্রিকার বানারীপাড়া প্রতিনিধি মো : সাইদুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি মো : আরিফ হোসেন, গৌরনদী প্রতিনিধি আমিনা আক্তার, উজিরপুর প্রতিনিধি নাছির উদ্দীন বালী অপু, হিজলা প্রতিনিধি মো : ইয়ামিন মোল্লাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে।

 

বরিশালের সর্বস্তরের ছাত্র ও যুবসমাজের ব্যানারে শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই সমাবেশ ও গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে ‘হাতপাখা’প্রতীকের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম প্রকৃত বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় এবং প্রশাসনের সরাসরি সহযোগিতায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করে তাকে জোরপূর্বক পরাজিত ঘোষণা করা হয়।

 

বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে নৌকা প্রতীকের পক্ষে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করেছে। ভোটের দিন শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ভীতি প্রদর্শন ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। জনতার পক্ষ থেকে দাবি উঠে, বরিশালের জনগণ প্রকৃত বিজয়ীকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। সেই দাবি থেকেই তারা নির্বাচন বাতিল করে মুফতি ফয়জুল করিমকে বৈধ মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন মুফতি ফয়জুল করিম। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করার আবেদন জানান। আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির তাঁর পক্ষে মামলাটি দাখিল করেন।

 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব নেতা রেজাউল করিম, আমান হোসেন রিয়াদ, ছাত্রনেতা গাজি রিদওয়ান, এফ এম সালাউদ্দিন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইব্রাহীম ও মেহেদী, বিএম কলেজের শিক্ষার্থী হান্নান উদ্দিন শাকিল ও হাসিবুল হাসান শান্ত, হাবিবুল্লাহ রনি এবং বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জহিরুল ইসলাম জিহাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মিডিয়া সেল সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর একমত পোষণ করে কিছু বিষয় সংযোজন করে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। যেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এর পরিবর্তে ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র করার প্রস্তাব দিয়েছে। এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কেউ বুঝে আবার কেউ না বুঝেই ইসলামী আন্দোলনকে নিয়ে সমালোচনায় মাঠে নেমেছে। আমরা বিষ্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও এ সমালোচনায় গা ভাসিয়ে দিয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।

আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৩টায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মুলাদী উপজেলার আওতাধীন সফিপুর ইউনিয়ন উত্তর শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

সংগঠনের ইউনিয়ন সভাপতি মাসুদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুলাদী উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম জিহাদী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মুলাদী উপজেলা সভাপতি হাফেজ ইয়াকুব সরদার, উপজেলা সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ জোনায়েদ সিদ্দিকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সফিপুর ইউনিয়ন সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল হক মাতুব্বর, সহ-সভাপতি মাওলানা ফয়সাল খান, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শাহিন আকন, সেক্রেটারি মাওলানা ফয়সাল আহমাদ চাকলাদার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সফিপুর ইউনিয়ন সভাপতি আলী আহমাদ সরদার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সফিপুর ইউনিয়ন সভাপতি মুহাম্মাদ রুহুল আমীন।

সম্মেলন শেষে ২০২৫-২৬ সেশনের ইসলামী যুব আন্দোলন সফিপুর ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন মাওলানা আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের একটি আদালতে সাক্ষী দিতে এসে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সাতক্ষীরার কাটাখালি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবাইর আহমেদ।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোডের আবাসিক হোটেল সামসে অবস্থানকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদেহ বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

পরিদর্শক জোবাইর আহমেদ সাতক্ষীরার কাটাখালী হাইওয়ে থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। ইতোপূর্বে বরিশালের হিজলা এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ছিলেন তিনি। জুবাইর আহমেদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম আহম্মেদ হোসেন।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, আদালতে সাক্ষী দিতে মঙ্গলবার বরিশালে এসেছিলেন জুবাইর আহমেদ। তিনি সদর রোডের হোটেল সামসে অবস্থানকালে বেলা ১২টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মো. আরাফাত জানান, জুবাইর স্যার ছুটিতে বরিশালে গিয়েছিলেন। আদালতে তাঁর কোনো সাক্ষী দেয়ার কথা ছিল বলে জানা নেই।

জানা গেছে, ২০১১ সালে ৩২তম আউট সাইট ক্যাডার উপ-পরিদর্শক পদে পুলিশে যোগদান করেন জুবাইর আহমেদ। বরিশালের দুটি থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। হিজলা থানায় দায়িত্ব পালনকালে আইজিপি পদ পান জুবাইর আহমেদ। বুধবার গ্রামের বাড়িতে তাঁর দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে এবং বিদেশে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, নদীতে এখন জাটকা আছে। এগুলো ধরা বন্ধ হলে ইলিশে পরিনত হবে। ইলিশের উৎপাদন বাড়লে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। জাটকা বড় হতে দিতে হবে, এর বিকল্প নেই। জাটকা ধরা বন্ধ করতে অবৈধ জাল উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এর জন্য আমরা ফ্যক্টরিতে পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করবো। জেলেদের খাদ্য সহায়তাও বাড়ানো হবে।

” জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে” স্লোগানকে সামনে রেখে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় নগরীর বেলস্ পার্ক মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জেলারা দাদনের জালে আটকে আছে। দাদনের কারনে যে কাজগুলো জেলেদের করতে হয় সেই কাজগুলো মহোজনের কাছে আটকে আছে। জেলেরা সহজ সর্তে ঋণ চাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি মৎস্য প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক করতে। আশা করি এই ব্যাংক হলে জেলেরা সহজ সর্তে ঋণ পাবে। এবিষয়ে অতি দ্রুত সুখবর দিতে পারবেন বলেও জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আমরা যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করছি তা শাস্তি ঘোষনার জন্য না, সচেতনতা বারানোর জন্য। তাই তিনি সকলকে এই সপ্তাহে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

পরে, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে নৌ রেলিতে অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার । ঢাক ঢোল বাজিয়ে নদীতে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার জেলেরা অংশ নেন।

জাটকা সংরক্ষন সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার সহ পুলিশ,কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা ও গণহত্যা বন্ধের প্রতিবাদে বরিশালে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এই প্রতিবাদে আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। মোমবাতি হাতে নিয়ে সমাবেশে অংশ গ্রহন করে নানা বয়সের মানুষ।

এ সময় তারা বলেন, অনতিবিলম্বে বোমা মেরে শিশুদের হত্যা সহ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা ও গণহত্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এবং দ্রুত বিচারের দাবিও জানান তারা। এ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতি উদ্যোগ নেয়ার দাবীও জানান আন্দোলনকারীরা।

পরে শহীদ মিনারের বেদীতে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন তারা। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ছাড়াও নানান শ্রেনী পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।