চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে পৌছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউ জিল্যান্ডকে ১৩ রানের ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে দেশটির কিংবদন্তি ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে গেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার নিকোলাস পুরান।

 

 

ম্যাচে ১৭ রান করে আউট হয়েছেন পুরান। এই রান করার মধ্যে দিয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পুরান। তার রান এখন ১৪১৯। এতোদিন ১৮৯৯ রান নিয়ে শীর্ষে ছিলেন গেইল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ ম্যাচ খেলেছেন গেইল। ২৭.৯২ গড় এবং ১৩৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ১৮৯৯ রান করেছেন এই তারকা। ১৪টি হাফসেঞ্চুরি ও দুইটি সেঞ্চুরি করা এই তারকা এবারের বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং ও উসাইন বোল্টের সাথে পালন করছেন অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব।

 

অন্যদিকে গেইলকে টপকাতে ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে পুরানের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পুরান খেলেছেন ৯১ ম্যাচ। তাতে ২৫.৫২ গড় এবং ১৩৪.০৩ স্ট্রাইক রেটে এই বাঁহাতির রান এখন ১৯১৪। সেঞ্চুরি না থাকলেও ১১টি হাফসেঞ্চুরি আছে তার।

ম্যাচে শেরফান রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩৯ বলে ছয়টি ছক্কা ও দুইটি চারে অপরাজিত ৬৮ রান করেন রাদারফোর্ড। ম্যাচসেরাও হয়েছেন এই ব্যাটার। এই জয়ে সুপার এইটে উঠলো ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে টানা দুই হারে বিদায়ের পথে নিউ জিল্যান্ড।

ব্রেন টিউমারের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ হতে পারে। অনেক সময় সাধারণ লক্ষণগুলো সহজে চেনা যায় না। ফলে চিকিৎসা নিতে দেরি হয়ে যায়। তাই সাধারণ লক্ষন দেখা দিলেও অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। কারণ দেরি করলে তখন অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই আগেভাগে লক্ষণ জেনে নেওয়া জরুরি। এতে লক্ষণ চেনা এবং চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেন টিউমারের লক্ষণ-

অনবরত মাথাব্যথা

আপনার কি মাথাব্যথা লেগেই থাকে? তাহলে এটি সাধারণ সমস্যা মনে করে এড়িয়ে যাবেন না। বরং মারাত্মক কোনো সমস্যার কারণ হতে পারে এটি। তাই একটানা মাথাব্যথা থাকলে বিশেষ করে যা কাশির সঙ্গে কিংবা সকালে বাড়ে এমন মাথাব্যথা হলে হতে পারে তা টিউমারের লক্ষণ। তাই এ ধরনের সমস্যায় সতর্ক হোন।

ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন

আপনি হয়তো আগে অনেক হাসিখুশি ছিলেন কিন্তু ইদানিং অনেকটাই চুপচাপ হয়ে যাচ্ছেন। বিরক্তি, উদাসীনতা বা অনুপযুক্ত আচরণ, মানসিক নিয়ন্ত্রণ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী নির্দিষ্ট মস্তিষ্কের টিউমার হতে পারে। তাই আচরণে বড় ধরনের পরিবর্তন এলে সতর্ক হোন।

দৃষ্টিতে সমস্যা

ব্রেন টিউমারের কারণে দৃষ্টিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অপটিক স্নায়ু, পিটুইটারি গ্রন্থি বা ওসিপিটাল লোবকে প্রভাবিত করে এমন টিউমার ডাবল ভিশন, ঝাপসা দৃষ্টি অথবা এক বা উভয় চোখে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ দৃষ্টি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনার যদি দৃষ্টিতে সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

দুর্বলতা

দুর্বলতা নানা কারণেই হতে পারে। এই সমস্যা মানেই ব্রেন টিউমার নয়। তবে ব্রেন টিউমারের অন্যতম লক্ষণ হলো দুর্বলতা। তাই কোনো কারণ ছাড়াই দুর্বলতা লেগে থাকলে কিংবা শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসাড়তা অনুভব করলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। হতে পারে এটি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

পিটুইটারি বা হাইপোথ্যালামিক টিউমার হরমোনের সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে, যে কারণে অকারণেই অনেকটা ওজন বেড়ে কিংবা কমে যায়। সেইসঙ্গে তৃষ্ণা বা প্রস্রাবের ধরনেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখলে সতর্ক হোন এবং দ্রুত চিকিৎসা নিন।

আদা একটি উপকারী ভেষজ একথা সবারই জানা। কিন্তু এটি খালি পেটে খাওয়া কতটা উপকারী তা কি জানেন? জন্স হপকিন্স মেডিসিন অনুসারে, আদার উপকারিতা পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায় হলো আদার রস বা চা তৈরি করে খাওয়া। আদার রস একটি উপকারী পানীয়। এই পানীয় নিয়মিত পান করলে তা ভালো হজমে সহায়তা করে। আদার রসের সঙ্গে লেবু এবং মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে বেশি সুস্বাদু লাগবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে আদার রস খাওয়ার উপকারিতা-

হজম শক্তি বাড়ায়

আদা তার হজম উপকারিতার জন্য বিখ্যাত। খালি পেটে আদার রস পান করলে তা হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে, এটি হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এটি পেট ফাঁপা, বদহজম এবং অন্যান্য অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগে ভরপুর যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি আমাদের শরীরকে অসুস্থতার সাথে লড়াই করতে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

 

মর্নিং মেলোনেস

বমি বমি ভাব? আদার সুপরিচিত অ্যান্টি-বমিভাব বিরোধী বৈশিষ্ট্য সকালে বিশেষত সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি মোশন সিকনেস বা অস্থিরতা অনুভব করেন।

এন্টি-ইনফ্লেমেটরি অ্যাডভান্টেজ

বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয়ে থাকে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ প্রতিরোধ করতে কাজ করে এটি।

সার্কুলেশন বুস্টার

আদা রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে পারে। এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে উপকৃত করে এবং ভাস্কুলার জটিলতার ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত সকালে খালি পেটে আদার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।

প্রাকৃতিক ব্যথা উপশম

আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাসিকের ক্র্যাম্প এবং পেশী ব্যথা সহ ব্যথা উপশমেও সাহায্য করতে পারে। তাই আদাকে প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকেরই। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরপরই। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অনেকে ওষুধের দ্বারস্থ হন। তাতে সাময়িক আরাম মেলে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। এর বদলে খাবারের তালিকার দিকে খেয়াল রাখলে খুব সহজেই বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. চর্বিহীন প্রোটিন

মুরগির মাংস, মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো চর্বিযুক্ত প্রোটিন উচ্চ চর্বিযুক্ত মাংসের তুলনায় অ্যাসিডিটি বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। রান্নার কিছু পদ্ধতি যেমন গ্রিলিং, বেকিং বা স্টিমিং চর্বি কমাতে পারে, যা হজম সহজতর করে তোলে।

২. দানা শস্য

দানা শস্য যেমন বাদামি চাল, গমের রুটি এবং কুইনোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যকর হজম বাড়িয়ে দেয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলো রক্তে শর্করার বৃদ্ধি না করেই শক্তির একটি স্থির উৎস সরবরাহ করে।

৩. মাটির নিচের সবজি

মিষ্টি আলু, গাজর এবং বীটের মতো সবজি ক্ষারীয় এবং কম চর্বিযুক্ত, যা বুক জ্বালাপোড়ায় আক্রান্তদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে। এছাড়াও এ ধরনের সবজিতে থাকে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি। যেগুলো আপনার শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করবে।

৪. ভেষজ চা

কিছু ভেষজ চা বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ভেষজ চা প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং খাদ্যনালীর আস্তরণ রক্ষা করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে পেপারমিন্ট চা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মাঠে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ২২ গজে বড্ড অচেনা রূপে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুপারস্টার। ব্যাটে রান নেই। বলে নেই উইকেট। ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে এমন সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরল!

 

 

মাঠের সেই দ্যুতিহীন পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়েও। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন। অথচ এক সপ্তাহে সাকিব পিছিয়ে গেছেন চারধাপ। একেবারে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছেন। বাংলাদেশের তারকা বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারে এটি এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন র‍্যাঙ্কিং।

আজ বুধবার (১২ জুন, ২০২৪) আইসিসি পুরুষ ক্রিকেটারদের র‌্যাংকিংয়ে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের মধ্যে চারধাপ পিছিয়ে গেছেন সাকিব। তার বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ২০৮। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ রান করে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে সাকিবের। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন মাত্র ৩ রান। দুই ম্যাচেই শর্ট বলে শেষ তার ইনিংস।  ৪৭ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করা সাকিব এখনও পাননি কোনো উইকেট। প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স না করায় তার সমালোচনা হচ্ছে প্রবল।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নেদারর‌্যান্ডসের বিপক্ষে। কিন্তু ডাচদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সাকিব পেলেন দুঃসংবাদ। অবশ্য র‌্যাংকিং নিয়ে এখন তার চিন্তা করার সময় কই। সামনে দলকে সুপার এইটে তোলার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জিতে গেলে আপনা-আপনি আবার র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

বড় লাফ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস। টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে নবীর অবস্থান এক নম্বরে। ২৩১ রেটিং পয়েন্টে তার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ২২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেমেছেন তিন নম্বরে। তার রেটিং পয়েন্ট ২১৬। ২১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো চার নম্বরে আছেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।

 

এদিকে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাওহীদ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০ বলে ৪০ ও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন। ৩২ ধাপ এগিয়ে তাওহীদের অবস্থান ২৭ নম্বরে। এছাড়া ছন্দে ফেরা মোস্তাফিজ এগিয়েছেন ১০ ধাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে ১৩ নম্বরে অবস্থান করছেন।

এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ১৯ নম্বরে এবং রিশাদ হোসেন ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে উঠে এসেছেন।

১০ রানে বিদায় নেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। আনপ্রেডিক্টেবল নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবশ্য এই দুজনের উইকেট দ্রুত নেওয়া ছাড়া আর কোনো চমক দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ভারত।

 

 

তাতে অবশ্য কিছুটা সুবিধা হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের। ভারতের বড় জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট কমে পাকিস্তানের নিচে এসেছে। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান যদি জেতে আর যুক্তরাষ্ট্র যদি হারে তাহলে রানরেটের হিসেবেই যে দুই দলের সুপার এইটের অবস্থান পোক্ত করবে।

৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের রানরেট ১.১৩৭। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানরেট ০.১২৭ আর ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের রানরেট ০.১৯১। শেষ ম্যাচে দুই দলের প্রতিপক্ষই আয়ারল্যান্ড।

 

নিউ ইয়র্কে প্রথম বল থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১১০ রান করে। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নীতিশ। ২৪ রান আসে টেলরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ১৫ ও জোন্স ১১ রান করেন। শ্যালকউইক ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরশদীপ সিং। বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় বোলারের এটি সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে অশ্বিন ১১ রানে ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া হার্দিক ২ ও অক্ষর প্যাটেল ১ উইকেট নেন।

তাড়া করতে নেমে ভারতও সুবিধা করতে পারেনি। ১০ রানে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। বিরাট কোহলি ০ রোহিত শর্মা ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর হাল ধরা ঋষভ পান্ত আউট হলেও আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত।

 

সুরিয়া কুমার যাদব ও শিবাম দুবের ৬৫ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। সুরিয়া ৫০ ও দুবে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের জুটি ভাঙতে পারছিল না সঙ্গে জরিমানা গুণতে হয় ৫ রান। ওভার শুরু করতে ৩ বার নির্ধারিত ৬০ সেকেন্ডের বেশি পার করায় ভারতের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হয়।  যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ২ উইকেট নেন সৌরভ নেত্রাভালকার। ম্যাচ সেরা হন আরশদীপ।

যারা পার্কে হাঁটেন অথবা দলবেঁধে রাস্তায় হাঁটতে বের হন, তারা অনেকেই হাঁটার সময় একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন। আবার একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে একজনের সঙ্গে অন্যজনের অনেক সময় খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এদের ক্ষেত্রে দেখা যায় হাঁটার পরে গল্প করতে করতে অনেক রকম খাবার খেয়ে ফেলেন। দলগতভাবে যাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় তারা মাঝে মধ্যে হাঁটার পরে ওয়ান ডিস পার্টিতে অংশ নেন। এসব অভ্যাস থাকলে হেঁটে কাঙিক্ষত ক্যালরি কমাতে ব্যর্থ হতে পারেন।

 

 

এভারকেয়ার হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ— যারা দলগতভাবে হাঁটেন এবং হাঁটার সময় কথা বলেন তাদের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিত। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আপনি পরিমাণ মতো হাঁটলে কোলেস্টরেল কমে আসবে। কেননা নির্দিষ্ট রিদমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা অতিক্রম করতে পারলেই কিন্তু আপনি আপনার ক্যালরি বার্ন করতে পারবেন। অনেকে আছে হাঁটার সময় একটু স্লো হচ্ছেন, গতি একবার বাড়ছে, একবার কমছে; এগুলো আসলে সঠিক ব্যায়ামের মধ্যে পড়বে না।

একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে হাঁটতে বের হলে চুপচাপ হাঁটা শেষ করুন। এরপর একসঙ্গে বসে কিছু সময় গল্প করতে পারেন। হাঁটার উপকারিতা পেতে টানা ৩০ মিনিট হাঁটা শেষ হলে বসে পানি পান করতে পারেন। ডাবের পানিও খেতে পারেন। এ ছাড়াও খেতে পারেন বাদাম অথবা ঘরে তৈরি লাচ্ছি।

 

হাঁটতে যাওয়ার আগে মানসিকভাবে এসব প্রস্তুতি রাখা দরকার। সঙ্গে পানি রাখতে পারেন। তবে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। একটু কোথাও বসে পানি পান করবেন। সঙ্গে একটি সুতির টাওয়াল রাখতে পারেন। যেটা দিয়ে ঘাম মুছে ফেলতে পারেন। যাদের অ্যাজমা আছে বা ডাস্ট অ্যালার্জি আছে তারা অবশ্যই মাস্ক মুখে রাখবেন। হাঁটার মাঝে মাঝে একটু জগিং করলে অনেক বেশি ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব। হাঁটার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে হাত নাড়াবেন। এতে হাতেরও ব্যায়াম হবে।

মনে রাখতে হবে হাঁটার পরে ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো।

একজন খারাপ বস কর্মীর কাজের উৎসাহ নষ্ট করে দিতে পারেন। কিন্তু একজন ভালো বস  কর্মীর কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফার্স্ট কোম্পানির প্রতিবেদনে ভালো বসের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।

 

 

১. খারাপ বসদের সম্পর্কে একটি অভিযোগ পাওয়া যায় যে, তারা কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না। ভালো বসরা বিশ্বাস করেন। তারা কর্মী কেমন— সেই চিন্তায় সময় নষ্ট না করে তাদের কাজের ফলাফলের ওপর দৃষ্টি রাখেন।

২. ভালো বস কখনো একনায়ক হয়ে ওঠেন না। তারা কর্মীকে যুক্তিসঙ্গত কাজের চাপ দেন। প্রয়োজনের সময় সাহায্য করেন। একজন কর্মীকে দলের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন করেন।

 

৩. একজন ভালো বস কর্মীর অগ্রগতি উদযাপন করেন। প্রয়োজনে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দেন। একজন খারাপ বস কখনও কাজের স্বীকৃতি দেন না। তখন একজন কর্মীর মনে হয় যে প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার কোনো মানে নেই।

৪. একজন ভালো বসের কাছে একজন কর্মচারী প্রথমত একজন মানুষ। একজন ভালো বস একজন কর্মীকে সম্মান দিতে জানেন। প্রয়োজনে দয়া এবং নমনীয়তা দেখান। প্রয়োজনের সময় একজন কর্মীর ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।

 

৫. একজন ভালো বস তার কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন। তিনি কখনো অস্পষ্ট নির্দেশনা দেন না। কোনো বিষয়ে তার অজানা থাকলে স্বীকার করে নেন।

স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। দিনে দুই তিন বারও ব্যাটারি চার্জ দিতে হয়। ঘরের বাইরে গেলে মনে হয়— এই বুঝি চার্জ শেষ হয়ে গেল। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকে ঘরে একটি চার্জার আর অফিসে আরেকটি চার্জার রেখে দেন।ছয় উপায়ে স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

 

 

প্রয়োজন ছাড়াও অনেক সময় ওয়াই-ফাই ও মোবাইল ডেটা খোলা রাখা হয়। এতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। প্রয়োজনের সময় ওয়াই ফাই বা মোবাইল ডেটা খোলা রেখে কাজ শেষ করতে পারেন। বাকিটা সময় ওয়াই ফাই বন্ধ রাখুন। এভাবে ব্যাটারির চার্জ বাঁচানো সম্ভব।

অনেকেই ফোনে লোকেশন দিয়ে রাখেন। ফোনে এই সার্ভিস চালু থাকলে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রেখে স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানো সম্ভব। প্রয়োজন না থাকলে এই সার্ভিসটি বন্ধ রাখতে পারেন।

 

পর্দার বা স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে রাখলে ব্যাটারির চার্জ অল্প সময়ে অনেক বেশি খরচ হতে পারে। এজন্য ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সরিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য ফোনের সেটিংস অপশনে ক্লিক করে ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার অপশনে যেতে হবে। এখান থেকে দেখতে পারবেন কোন কোন অ্যাপ অধিক পরিমাণে ব্যাটারির চার্জ খরচ করছে। বেশি চার্জ খরচ করে এমন অ্যাপগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে পারেন।

 

গান শুনতে শুনতে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে এই অভ্যাস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন বন্ধ রাখতে পারেন।

অনেকে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। নিজে সচেতন ভাবে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করতে পারেন।  এতে আপনার দেহঘড়ি ভালো কাজ করবে। অন্যদিকে ফোনের অ্যালার্ম  সার্ভিস বন্ধ থাকলে চার্জও বাঁচবে।