TT Ads
Spread the love

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালে মাথাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বরিশাল নগরীর  অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মাথাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

মিছিলটি অশ্বিনী কুমার হল চত্বর হয়ে, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজার,  লাইন রোড হয়ে পুনরায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন(জিএসএ) বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ও বরিশাল ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হোসেন মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক  সাকিবুল ইসলাম সাফিন ও রুবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

 

সভাপতির বক্তব্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বলে আসছেন বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই দেশের জন্য একটি নতুন ‘জাতীয় সনদ’ ও একটি প্রকৃত ‘গণতান্ত্রিক ক্ষমতা-কাঠামো’ প্রয়োজন।

 

তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে, এবং ছাত্র ফেডারেশনের শাকিলসহ বহু আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ এর প্রমাণ।

 

তিনি জানান, গত এক বছরে আমাদের দল ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি’ নিয়ে কাজ করছে, যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সংসদকে সংবিধান সংশোধনের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করা জরুরি। সামনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন হওয়া উচিত ‘সংবিধান সভার নির্বাচন’ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন—উভয়ই একসাথে।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শ্রমিক, কৃষক ও খেটে–খাওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানুষের সঠিক হিস্যা নিশ্চিত করতে হলে এমন প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাতে হবে, যারা সত্যিকারের জনগণের দাবি তুলে ধরবে। আমরা সবসময় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতি করি, দলীয় স্বার্থকে নয়।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ম, জাতীয়তা বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের মর্যাদা হানি করা যাবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমান মর্যাদা দিতে হবে। আগামী দিনের সরকার হতে হবে “জনমানুষের সরকার”।

 

‘বিগত শাসনামলগুলোর বঞ্চনা, বৈষম্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি আর দলবাজির অভিশাপ আমরা অনেক দেখেছি। এই দেশের মানুষ পরিশ্রম করে, ঘাম ঝরিয়ে সম্পদ সৃষ্টি করে, কিন্তু সেই সম্পদের মালিকানা, ন্যায্য অংশীদারিত্ব, নাগরিক অধিকার—এসব কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছায় না। জনগণ শুধু ভোট দেয়, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পায় না। আমরা এই কাঠামো ভাঙা রাষ্ট্রেকে জনগণের ক্ষমতার উৎসে পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আজ পর্যন্ত আমরা এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেখেছি যেখানে দল ক্ষমতায় এলে জনগণ দূরে সরে যায়, আর দলগুলো রাষ্ট্রকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। এই রাজনীতি আমরা ভাঙতে চাই। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধির জবাবদিহির কাঠামোর মধ্যে থাকবে এবং প্রতিনিধিরাও জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। গণতন্ত্র মানে শাসকের ইচ্ছা নয়—গণতন্ত্র মানে মানুষের মুক্ত সিদ্ধান্ত।’

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *