TT Ads
Spread the love

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা :
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মহিপুর থানা এলাকার ডালভুগঞ্জ ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত আবু বকর আইডিয়াল স্কুল শিক্ষার মানোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। শৃঙ্খলা ও অগ্রগতি এই মূলমন্ত্র ধারণ করে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত আস্থা অর্জন করেছে।

প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মোঃ মাহবুবুর রহমান (শাহীন) বলেন,গ্রামীণ এলাকার শিশুরাও যেন শহরের মানসম্পন্ন শিক্ষা লাভ করতে পারে এই স্বপ্ন থেকেই আবু বকর আইডিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের লক্ষ্য শুধু বইয়ের জ্ঞান নয় নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা।
বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, শৃঙ্খলা, ইংরেজি চর্চা, আইসিটি জ্ঞান ও সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন,
এ অঞ্চলটি যোগাযোগ ও শিক্ষায় অনেক অবহেলিত। ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা যাহাতে শিক্ষার সুযোগ পায় সেজন্য আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও শেখার আগ্রহ বাড়াতে আমরা আনন্দঘন পরিবেশে ক্লাস পরিচালনা করছি। লক্ষ্য হলো প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

এদিকে বিদ্যালয়ে সন্তানদের ভর্তি করে সন্তুষ্ট স্থানীয় অভিভাবক মিলকান হাওলাদার
জানান,নিকটবর্তী এলাকায় এমন একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল। আবু বকর আইডিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠার ফলে সেই শূন্যতা পূরণ হয়েছে।

স্থানীয় অভিভাবক শাহজালাল বলেন, স্কুলের পরিবেশ, শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিকতা ও নিয়মিত পাঠদান সবকিছু মিলিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হাতে আছে বলে মনে করি।
এলাকার কৃতি সন্তান পর্যটন ব্যবসায়ী রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, অত্র এলাকাবাসীর জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আশপাশে অন্তত তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। বিদ্যালয়টি শিক্ষা ক্ষেত্রে খুব ভালো ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছেন তারা সবাই শিক্ষিত ও মার্জিত ও অত্যান্ত বিনয়ী। আমরা আশা করছি আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকা শিক্ষার আলো জালিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

বিদ্যালয় সভাপতি  আঃ লতিফ মিয়া
জানায়, ভবিষ্যতে নতুন একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান ল্যাব, আইসিটি ল্যাব, লাইব্রেরি ও খেলাধুলার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কার্যক্রম আরও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মনসাতলীসহ পুরো মহিপুর অঞ্চলের শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমনটাই আশা করছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *