রেস্তোরাঁর মালিককে বেধড়ক মারধর করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়ক, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। শুক্রবার (৭ জুন) কলকাতার নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের অভিযোগ সোহম নিজেই স্বীকার করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিউটাউন সাপুরজি এলাকায় সোহমের শুটিং চলছিল। সেই সময়ে রেস্তোরাঁর বাইরে শুটিংয়ের অনেক গাড়ি রাখা ছিল। হোটেল মালিকের দাবি, তিনি হোটেলের সামনে থেকে অন্তত একটি গাড়ি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। তখন সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, বিধায়কের শুটিং চলছে, তাই আপাতত এখান থেকে কোনো গাড়ি সরবে না। তখনই কড়া ভাষায় গাড়ি সরানোর বিষয়ে রেস্তোরাঁর মালিক বলেন, ‘বিধায়ক বা যেই হোক না কেন, গেট থেকে গাড়ি সরাতে হবে। কারণ আমার গেস্ট আসবে।’ এই নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রথমে তর্ক শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
মারধর করার কারণ ব্যাখ্যা করে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘হোটেলের মালিক ঔদ্ধত্য দেখাতে শুরু করেন। আমি শুনতে পাই উনি বলেছেন, কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই। সবচেয়ে বড় কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাজে কথা বলেছেন। তখন আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়।’
ভুল স্বীকার করে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালিগালাজ করায় আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আমাকে এবং আমার দেহরক্ষীকেও কটূক্তি করা হয়। তবে জনপ্রিতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা আমার ঠিক হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।’
সোহম চক্রবর্তী প্রথমে ভুল স্বীকার করেন। কিন্তু পরে শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় নিউটাউন থানায় রেস্তোরাঁর মালিক এবং ম্যানেজারের নামে মামলা দায়ের করেন সোহম। কিন্তু সোহম কেন মামলা দায়ের করলেন?
এ বিষয়ে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি তো আর পাগল নই যে, এমনি এমনি মেরে দেব। উনি অর্ধেক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখাচ্ছেন। যেখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত, সেই বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ কেন প্রকাশ্যে আনছেন না?’
অন্যদিকে টেকনো সিটি থানায় রেস্তোরাঁ মালিকও সোহমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।