প্রকাশ: ১৩ মে, ২০২২ ২:১৫ : অপরাহ্ণ
অনলাইন ডেস্ক : চাকতাই-খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের আড়তে পেঁয়াজের স্তূপ, এরপরও পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে।
দেশে পেঁয়াজের চাহিদার বড় অংশ স্থানীয় ফলনের মাধ্যমে মেটানো হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ২২ লাখ ৬৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, যা চাহিদার ৮০ শতাংশ। এছাড়া ২০ শতাংশ চাহিদা মেটানো হয় আমদানির মাধ্যমে।
কৃষকদের সুরক্ষা দিতে এখন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র। পাশাপাশি আমদানির অনুমোদন দেওয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। মূলত এই কারণেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৬ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকায়। খুচরা বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেটে দেখা গেছে পেঁয়াজের স্তূপ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে যেখানে দিনে ৪০-৫০টি ট্রাকে পেঁয়াজ আসতো, এখন আসছে ১৫-২০টি ট্রাকে।
হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিছ জানান, আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ মজুত করে রাখার সুযোগ নেই।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। আবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজও জমি থেকে তুলে বিক্রি করা হয়েছে। এতে দাম বেড়েছে। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানির কথা চলছে।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম