মো. এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি-২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজস্বখাতভুক্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (FWV), পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (EPI) ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা (FWA)।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী তারা গত নভেম্বর মাসের কার্যক্রমের রিপোর্ট জমা না দিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন—পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতির সভাপতি মাহামুদ হাসান সবুজ, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সমিতির সভাপতি আনিতা দাস ও পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতির সভাপতি মুক্তা খানম।

এসময় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুস সাগর, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নুপুর রানী সরকার, পরিবার কল্যাণ সহকারী সালমা খানমসহ অন্যান্য নেতারা।

বক্তারা বলেন,“দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে আমরা প্রস্তাবিত নিয়োগবিধির বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু এখনও তা কার্যকর হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।”

তারা আরও জানান, নিয়োগবিধি-২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন—হোসেন মো. ইমরান, বিরাজ চক্রবর্তী, বায়জিদ হোসেন, রমেন্দু শেখর হালদার, শিপ্রা রানী, লাকি আক্তার, মনি খানম, নমিতা রানী, ঝুমা রানী দাস, রুমা আক্তার, নাজমা খানম, লুবনা, আশালতা দাস, মুক্তা খানমসহ মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মচারী।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা :
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে ৩৪তম আন্তর্জাতিক ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে একটি র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হোটেল নীলাঞ্জনা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

সূর্যোদয় প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি আবু তাহের ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আ. আজিজ মুসুল্লী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র  সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন,ছাত্রদল সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন হাওলাদারসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা বঞ্চিত হলেও অনিয়মকারীরা সুবিধা পেয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হবে এবং প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা তাদের অধিকার পাবেন।

এসময় বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়া প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সুবিধা নিশ্চিত করেছিলেন। ভবিষ্যতে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধীদের অধিকার আরও সুদৃঢ় করা হবে বলেও জানান তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা দশম গ্রেড বাস্তবায়নের এক দফা দাবীতে সারাদেশের ন্যায়ে বরিশালেও কর্মবিরতি করেছেন।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এই কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করা হয়।

জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। অথেচ তারা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের করোনা, ডেঙ্গু, নিপাহ ভাইরাসসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে জীবন বাজি রেখে কাজ করলেও তারা ন্যায্য গ্রেড থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।

কর্মবিরতি কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল ফার্মাসিস্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তাওহিদুল হাসান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হাসান মাহমুদ, মেডিকেল ফার্মাসিস্ট নাহিদ ইসলাম ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফেরদৌসী।

কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। কর্মবিরতি থেকে জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা সচল রাখতে সরকারের প্রতি দ্রুত ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের জোর আহ্বান জানানো হয়। দাবি না মানা হলে কম্পিলিট শাটডাউন করা হুশিয়ারী দেন তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর তিন চিকিৎসক নেতার সদস্য স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। তারা হলেন—ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ডা. শাওন বিন রহমান ও ডা. মো. রাকিবুজ্জামান।

গত ২৯ জুলাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক আদেশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ড্যাবের আট চিকিৎসক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।

পরবর্তীতে ৬ নভেম্বর বহিষ্কৃতদের মধ্য থেকে তিনজন—ডা. সাজিদ, ডা. শাওন ও ডা. রাকিবুজ্জামান—স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে ড্যাব কার্যালয়ে চিঠি জমা দেন। তারা চিঠিতে কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করে ড্যাবের হয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন।

৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ড্যাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাদের আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনজনের কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক মূল্যায়ন শেষে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সুপারিশ গৃহীত হয়। পরবর্তীতে এ সুপারিশ ড্যাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হলে তিনি তাদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের ফলে তারা পুনরায় ড্যাবের সব কার্যক্রমে পূর্বের মতো অংশ নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর ডা. সাইয়েদ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ বলেন, “আমার প্রতি আস্থা রেখে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুমতি প্রদানের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ড্যাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”

তিনি বলেন, “ড্যাবের লাইফ মেম্বারদের সাক্ষাৎকারকালীন সময়ে দুইজন চিহ্নিত আওয়ামীপন্থী স্বাচিপ চিকিৎসক—ডা. সাইফুল ইসলাম ও ডা. জাকির হোসেনকে প্রতিহত করতে গিয়ে যে অনভিপ্রেত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল, তার ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হয়।”

ডা. সাজিদ আরও বলেন,“ড্যাব কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমার কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে ড্যাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের অনুগত কর্মী হয়ে বিএনপি ও ড্যাবের সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখবো।

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কুয়াকাটা পৌর শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কুয়াকাটার হোটেল গ্রেভার ইন-এর মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, মহিলা দল হচ্ছে দলের অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ। আপনাদের সংগঠিত শক্তি তৃণমূল বিএনপিকে আরও বেগবান করবে।

সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা ফারজানা ইয়াসমিন রুমা। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা আজ আমাদের সবার হৃদয়ের দাবি ও দোয়া। মহিলা দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা সীমা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, নারী নেতৃত্বকে সামনে এনে সংগঠনকে শক্তিশালী করাই আজকের চ্যালেঞ্জ।

কুয়াকাটার মহিলা দল ইতিমধ্যেই অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আঃ আজিজ মুসুল্লী। আঃ জলিল হাওলাদার এবং কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার,কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান হাওলাদার।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কুয়াকাটা পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন বাবুল ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন ঘরামী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক মোঃআবু বকর সিদ্দীক মোল্লা ,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলী হায়দার শেখ, শ্রমিক দলের সভাপতি মানিক ফকির, কৃষক দলের আহ্বায়ক আলী হোসেন খন্দকার, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবায়ের আহম্মেদ রিয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল শেখ ও ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন, হামিদা সাবেরসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, মহিলা দলকে শক্তিশালী করলে পুরো পৌর বিএনপি সংগঠিত হবে। এই সম্মেলন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে। তারা বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেন এবং সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান।

আলোচনা ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল নদীবন্দরের অপর পাড়ের চরকাউয়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিন অনাবাদী পড়ে থাকা আড়াই হাজার একর কৃষিজমি পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আনতে খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের পর উদ্যোগটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। এর আগে বিষয়টি আমলে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছিলেন সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন জলাবদ্ধতা নিরসন ও খালে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বিএডিসির খাল খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বিলের পোল এলাকা থেকে নাপিতবাড়ি পর্যন্ত কৃষিজমির মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া দুই কিলোমিটার ‘স্বনির্ভর খাল’ পুনঃখননের কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া কালভার্ট পুনর্র্নিমাণ কার্যক্রমও শুরু হয়।

প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র দুই মাসের মধ্যে খাল খনন ও কালভার্ট পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, সদর উপজেলার দিনার, নয়ানি, চর আইচা ও পূর্ব চরকাউয়াসহ চার-পাঁচটি গ্রামের দুই হাজারের বেশি কৃষক বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “মীরাবাড়ী সড়কের ভাঙা কালভার্টটি পুনর্র্নিমাণ ও খাল খননের ফলে সেচ সুবিধা বাড়বে। বাড়তি মাটি দিয়ে সড়ক সংস্কারও করা হবে; এতে কৃষকরা সরাসরি উপকৃত হবেন।”

কৃষক আজাহার বলেন, “১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খালটি খনন করেছিলেন। পুনঃখননের ফলে অনাবাদী জমি আবারও কৃষির আওতায় ফিরে আসবে।”

জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন বলেন, “বরিশাল অঞ্চলে ভরাট হয়ে যাওয়া সব খাল পর্যায়ক্রমে খনন করা হবে। খাল খননে জলাবদ্ধতা কমবে, সেচ সুবিধা বাড়বে এবং কৃষকরা উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভবান হবেন।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির পিডি ওয়াহিদ মুরাদ, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরান, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী রাশেদ খান, বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আতায়ে রাব্বি, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক ও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

বিএডিসির বরিশাল জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি ৩০ ফুট চওড়া ও ৯ ফুট গভীর করে খনন করা হবে। একইসঙ্গে সড়কে নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এর ফলে আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে পরোক্ষভাবে মুক্তি পাবে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে কৃষিজমিতে সেচ সুবিধা বাড়াতে ৬৫ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। চলতি বছর আরও ৩০ কিলোমিটার খাল খননের লক্ষ্য রয়েছে। এতে ৩০ হাজার হেক্টর জমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।
বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদ মুরাদ জানান, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ কিলোমিটার খাল খননের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বরিশাল অঞ্চলের খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন হলে শুধু চরকাউয়া ইউনিয়নেই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।#

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রি ধান১০৯ নিয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে আজ উপজেলার নন্দপাড়ায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) উদ্যোগে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসআরডিআইর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এফ এম মামুন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সানজিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উৎপল চন্দ্র দাস, প্রদর্শনীচাষি শামীম তালুকদার, কৃষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার, কিষাণী তহমিনা আক্তার প্রমুখ। মাঠ দিবসে ২৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসেবে সার দিতে হয়। তবে এর প্রকৃত পরিমাণ মাটি পরীক্ষা না করে জানা সম্ভব নয়। জমিতে সার কম দিলে গাছের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর বেশি দিলে ক্ষতি হয়। তাই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে সার দেওয়া জরুরি। এতে উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়। পাশাপাশি ফলনও পাওয়া যায় আশানুরূপ।

কৃষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার এবার এক বিঘা করে আলাদা আলাদা দুইটি প্লটে এই জাতের ধান চাষ করেছেন। একটিতে মাটির পরীক্ষার সুপারিশ কার্ড অনুযায়ী সার প্রয়োগ করেন। অপরটিতে তার মনমতো সার দিয়েছেন। শস্য কাটার পর দেখা গেছে হেক্টরপ্রতি ফলনের পার্থক্য হয়েছে ১.৮ টন।
উল্লেখ্য, ব্রি ধান১০৯ জলমগ্নসহনশীল আমনের একটি জাত। এর জীবনকাল ১৪৭ দিন। বন্যায় না ডুবলে হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ ফলন হতে পারে প্রায় ৬.৫ টন। আর বন্যায় প্লাবিত হলে ফলন হতে পারে ৫ টনের কাছাকাছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, “যারা বাংলাদেশের পরিবেশ অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে—তাদের জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, “আমরা এই দেশকে মুক্ত করার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করেছি। চাঁদাবাজি দেখার জন্য রাস্তায় নামিনি, কিংবা মানুষ খুন হওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য নেমিনি।”

মঙ্গলবার বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বেলস পার্ক মাঠে সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, “আপনারা বহু শাসন দেখেছেন। এবার ইসলামকে সুযোগ দিন। আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র উপহার দেব। ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি থাকবে না, অবিচার থাকবে না, খুনাখুনি থাকবে না এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে না।

ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা বিভিন্ন সময়ে মুখরোচক কথার মাধ্যমে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় বসে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে, যারা দেশের টাকা পাচার করেছে এবং বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে—তাদের জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না।

সমাবেশস্থলে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হন। দুপুরে বেলস পার্ক চত্বরে সমাবেশের পুরো এলাকা ভরে ওঠে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান বলেছেন, “আমরা আট দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আল্লাহতায়ালা কোরআনে দুটি দলের কথা বলেছেন—হিজবুল্লাহ ও হিজবুশ শয়তান। আমরা আল্লাহর দলে থাকতে চাই। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোরআনের আইন চালু করি।”
মঙ্গলবার বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বেলস পার্ক মাঠে সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনের পূর্বে গণভোটসহ পাঁচ দফা’ দাবিতে আন্দোলনরত আট দলের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবুর রহমান বলেন, “আমরা মানবরচিত আইনের সংবিধান দেখতে চাই না। মদিনার ইসলাম কায়েম করতে চাই। সংস্কারের মাধ্যমে সংবিধান থেকে ইসলামবিরোধী ধারা বাতিল করতে চাই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে; কিন্তু যারা তাদের সহযোগিতা করেছে—তাদেরকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।”
চরমোনাই পীর সম্পর্কে তিনি বলেন, “ছাত্রজীবনে পীর পছন্দ করতাম না। কিন্তু আজ তার পাশে বসে মনে হলো—তিনি শুধু পীর নন, এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মহাবীর।”

আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী সমমনা আট দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশের প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, “যারা বাংলাদেশের পরিবেশ অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে—তাদের জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে আমরা রাজপথে নেমেছি। চাঁদাবাজি দেখার জন্য নয়, মানুষ হত্যার ঘটনা দেখার জন্য নয়। আমাদের সুযোগ দিন—আমরা শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র গড়ে দেব। তখন চাঁদাবাজি থাকবে না, অবিচার থাকবে না, খুনাখুনি থাকবে না, দেশের টাকা বিদেশেও পাচার হবে না।”

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যারা মুখরোচক কথায় ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় বসে হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে—তাদের জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, সহকারী মহাসচিব সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ, খেলাফত মজলিসের আমির আব্দুল বাসির আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন ও মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।

দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশ শুরু হলেও বেলা ১১টা থেকেই বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও নৌপথে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। বেলস পার্ক মাঠ ও আশপাশের এলাকা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দুটি ছাগল সদকা করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার।

মঙ্গলবার সকালে বরিশাল নগরীর রুপাতলী দারুল সুন্নাহ কওমী মাদ্রাসার এতিম শিশুদের মাঝে সদকা হিসেবে ছাগল দুটি বিতরণ করেন তিনি। এ সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে মহানগর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সুস্থতার জন্য শুধু আমি নয়, সারাদেশের মানুষ দোয়া করছে। আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।”

অনুষ্ঠানে নেতারা দেশনেত্রীর সুস্থতা, দীর্ঘায়ু ও দেশের কল্যাণ কামনা করেন।