নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এক বৃদ্ধসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল।

 

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় আরো ১০৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

 

মৃতরা হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার  টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

 

এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরু থেকে বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে এগারজনের। এরমধ্যে বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত এগারজনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বরিশালের মুলাদীতে এইসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাং, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ

বরিশাল :
প্রতিনিয়ত বেপরো হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। এই গ্যাং ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলে। এমনই
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরিশালের মুলাদীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে কিশোর গ্যাং।

উপজেলার মুলাদী সরকারি কলেজের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী মুলাদি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ফরিদ খানের ছেলে রাহাত হোসেন (২০)। গুরুতর জখম হওয়া রাহাত কে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

রাহাতের বড় ভাই মো. রাজিব খান জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মসজিদ মার্কেট এলাকায় হঠাৎ কিশোর গ্যাং নকীব ও রিয়াজ বাহিনী রাহাত হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয় রাহাতের। তাৎক্ষণিক তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। শুক্রবার শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেছে।

রাহাতের ভাই আরও জানান, কিছুদিন পূর্বে উপজেলায় আয়োজন করা হয় ফুটবল খেলার সেই খেলায় নকীব ও রিয়াজের সাথে কথা কাটাকাটি হয় রাহাতের । সে সময় নকীব ও রিয়াজ হুমকি দিয়েছিল রাহাতকে। সে কারণেই রাহাতের উপর হামলা চালানো হয়।

তিনি বলেন, পুরো উপজেলা জুড়ে এই কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে অতিষ্ঠ মানুষ। মারধর সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। রাহাতের মা মোরর্শেদা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার (২৭জুন) মুলাদী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।

এই ঘটনায় মুলাদী থানা ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, রাহাত হোসেনের মা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতা নিয়ে আসা হবে। #

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ধানের বীজ, রাসায়নিক সার, হাইব্রিড মরিচ বীজ, লেবু ও নারিকেল চারা বিতরণ করা হয়েছে।

২৪ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলী সুজা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কপিল বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মাঈনুল ইসলাম খান, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কপিল বিশ্বাস, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সরদার সিদ্দিকুর রহমান, ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ মোল্লা,বড়াকোঠা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম খোকন শ্রমিকদল নেতা মোঃ হাইউম খানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, কৃষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

এ বছর কৃষি প্রণোদনার আওতায় মোট ৯০০ কৃষককে জনপ্রতি ৫ কেজি উফশী আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। হাইব্রিড মরিচ চাষে উৎসাহিত করতে ১০০ জন কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ১০ গ্রাম করে মরিচ বীজ ও ৫ গ্রাম করে ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়। ফল চাষে আগ্রহী কৃষকদের জন্য ৮০ জনকে জনপ্রতি ৫টি করে লেবু চারা ও ১০ কেজি করে জৈব সার প্রদান করা হয়।

এছাড়াও নারিকেল চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৫০০ জন কৃষককে জনপ্রতি ৫টি করে এবং ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠানপ্রতি ১০টি করে নারিকেল চারা সরবরাহ করা হয়। সুবিধাভোগী কৃষকেরা জানান, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সময়মতো এ ধরনের সহায়তা পাওয়ায় তারা চাষাবাদে আগ্রহী হয়েছেন।

বিশেষ করে ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ, লেবু ও নারিকেল চাষের উপকরণ পেয়ে আরো উৎসাহিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জোড়া লাগা শিশু রুহি আর জুহিকে আলাদা করার জটিল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এবার তারা আলাদাভাবে জীবনযাপন করতে পারবে বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বিরল জটিলতম ৩ঘন্টা সার্জারীর মাধ্যমে তাদের নতুন জীবনের সূচনা হয়।

৬ মাস বয়সী শিশু রুহি এবং জুহি। জন্মগত ভাবে জোড়া লাগা শিশু দুটি মা এর কোলে এসেছিল কান্নার রূপ হয়ে। আজ বাব মা এর কোল আলো করছে, হাসি ফুটেছে মা এর মুখে। জন্মের পর থেকে শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেল এর কেবিন এ রেখে সিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং সার্জারীর জন্য প্রস্তুত করা হয়।

অবশেষে শিশু সার্জারী, নিউরো সার্জারী এবং প্লাষ্টিক সার্জারী টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় এই জটিল অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। শিশু সার্জান অধ্যাপক ডা কানিজ হাসিনা, নিউরো সার্জন অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং প্লাষ্টিক সার্জন ডা নোয়াজেশ আলী খান এর নেতৃত্বে প্রায় ৩ ঘন্টার এ অপারেশন সম্পন্ন হয়।

টিম মেম্বার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল শেবাচিম এর সাবেক ছাত্র ডা. গাজী মাহমুদুল হাসান রুশো। তিনি জানান দুটি শিশুই সুস্থ আছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগ শাসনামলে হামলা মামলা শিকার হয়ে ১৩ বছর আগে বিদেশে নির্বাসিত হয়েছিলেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা জিয়া আমিন রাড়ী। দীর্ঘদিন পরে দেশে ফেরায় তাকে গণ সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

 

দীর্ঘদিন আফ্রিকায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন সাবেক উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিয়া আমিন রাড়ী। আজ রবিবার (২২জুন) দুপুরে নিজ এলাকায় এসে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে বরিশাল বিমানবন্দর থেকে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে এলাকায় নিয়ে আসেন। এর পরপরই বামরাইল অনাথ বন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তাকে গণ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন যগ্লুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান শাহিন সিকদারের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি,সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক ও সাবেক সহ-সভাপতি সরদার সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আফম সামসুদ্দোহা আজাদ,পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ শাহাবুদ্দিন আকন সাবু,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান লিখন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ ইউসুফ হোসেন,বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রভাষক আঃ হালিম হাওলাদার,বামরাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান ডিটু,অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোঃ জিয়া আমিন রাড়ী।বক্তৃতা করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহেল দেওয়ান,উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আলম রাড়ি,বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরে আলম জোমাদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রাড়ি, বামরাইল ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ মহসিন সরদার,বামরাইল ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মোঃ সবুজ সরদার,জিয়া আমিন রাড়ীর চাচা মিজানুর রহমান রাড়ী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি ও উজিরপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদুজ্জামান কমরেড,বামরাইল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সপন ফকির,বামরাইল ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির,বামরাইল ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ খলিল,কালিহাতা ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মাসুদ হাওলাদার,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিচ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহেব আলী মৃধাসহ বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা।

এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন বিএনপি নেতা মোঃ জিয়া আমিন রাড়ী।

এদিকে বিএনপি নেতা জিয়া আমিন রাড়ীর আগমনকে ঘিরে তাকে একনজর দেখার জন্য ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। এছাড়া বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে মেতে ওঠে। এদিকে বিএনপি নেতা মোঃ জিয়া আমিন রাড়ীকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা সমবেত হয় বামরাইলে।

তার আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বামরাইলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে জনসমুদ্রে পরিনত হয়। এককথায় দিনব্যাপী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে জিয়া আমিন রাড়ী,জিয়া আমিন রাড়ী,বামরাইল ইউনিয়নের মাটি বিএনপির ঘাটি এ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ছিলো।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর মাছ ধরতে সাগরে নেমে মাত্র দ্বিতীয় দিনেই জেলেদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত রূপালি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন তারা।

সেই মাছেই এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাটজুড়ে ছিল ইলিশ আর নানা সামুদ্রিক মাছের সরব উপস্থিতি, সেই সঙ্গে জেলে, শ্রমিক, আড়তদারদের ব্যস্ততা আর বাজারের গরম বাতাস।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে দ্বিতীয় দিনে ২০ হাজার ৮১৭ কেজি মাছ, যার মধ্যে ৯ হাজার ৩০৫ কেজিই ইলিশ। বাকি ১১ হাজার ৫১২ কেজি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ। মাছের ঢল দেখেই বোঝা যায়, এ বছর বঙ্গোপসাগরের মাছের ভাণ্ডার আবারও সমৃদ্ধ হয়েছে।

তবে ইলিশের বাজারমূল্য এবার যেন আকাশ ছুঁয়েছে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১ লাখ টাকায়, ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৮৯ থেকে ৯০ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ থেকে ৬৪ হাজার টাকা, আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৬ হাজার টাকায়। এত বেশি দামে ইলিশ বিক্রির চিত্র বহু বছরের পুরোনো।

বড় সাইজের ইলিশ থাকায় আড়তগুলোতে ক্রেতা ও পাইকারদের আগ্রহ তুঙ্গে। কিন্তু জেলেদের মুখে শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। সমুদ্রে মাছ পাওয়া গেলেও বেড়েছে খরচ। বরফ, ডিজেল এবং শ্রমিক সংকট জেলেদের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, লাভ তো হচ্ছে না, খরচ মেটানোই দায় হয়ে পড়ছে। বরফের সংকটে মাছের গুণগত মান ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

অবরোধ শেষে মাছের সরবরাহ বেড়েছে, তবে মাছকে ঘাট থেকে বাজার পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছে দিতে পর্যাপ্ত বরফ না থাকায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক মাছ। এতে বাজারে দাম পড়ে যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলেরা।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার জানান, একদিনের মাছের পরিমাণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সাগরে মাছের প্রাচুর্য ফিরে এসেছে। তবে এখন জরুরি হয়ে উঠেছে উপযুক্ত সংরক্ষণ, দ্রুত বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তা না হলে উৎপাদিত মাছের একটি বড় অংশই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহসীন জানিয়েছেন, চলতি বছর ভারতের সঙ্গে সমন্বয়ে সফলভাবে মৎস্য সংরক্ষণ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা পালন করা হয়েছে। তারই ফলাফল এখন দৃশ্যমান সাগরে মাছের উপস্থিতি বেড়েছে, বিশেষ করে ইলিশ।

তবে এই সফলতা টিকিয়ে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। জেলেদের জন্য সহজ শর্তে বরফ, জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে ভোক্তার জন্য সুলভ দামে ইলিশের বাজার নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বঙ্গোপসাগরে এখন চলছে ইলিশের মৌসুম। এই রূপালি সোনার প্রাচুর্যে খুশি জেলে, আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে বরফ, জ্বালানি সংকট এবং বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় এই সোনা যেন শেষ পর্যন্ত শুধুই কিছু হাতে গোনা ব্যবসায়ীর ঘরে আটকে না পড়ে এমনটাই প্রত্যাশা দেশের সাধারণ মানুষের।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল জেলা দক্ষিন কৃষকদলের এক জরুরী সাংগঠনিক সভায় ইউনিট সমূহের সাংগঠনিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত সভায় উজিরপুর উপজেলার সাংগঠনিক অবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী করা লক্ষ্যে ৩ (তিন) জন যুগ্ম-আহ্বাবায়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় মোঃ রুবেল সরদার, মোঃ কাওসার খান, আবু বকর অপু কে যুগ্ম-আহ্বাবায়ক করা হয়।

উক্ত সভায় রুবেল সরদারকে কে স্বাক্ষর প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

বরিশাল জেলার দক্ষিন কৃষকদলের আহ্ববায়ক এইচ.এম মোহসীন আলম এবং জেলা দক্ষিন কৃষকদলের সদস্য সচিব সফিউল আলম সফরুল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জেলা দক্ষিন কৃষকদলের সদস্য সচিব সফিউল আলম সফরুল জানায়, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে নতুন করে তিন জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। এতে করে কৃষক দলের কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে।

মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ওটরা চেরাগ আলী মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলটি ওটরা রাস্তার মাথায় শেষ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা”মাদক মুক্ত সমাজ করি,আগামীর দেশ গড়ি”এ শ্লোগান দেন। পুড়ো ওটরা ইউনিয়ন জুড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদক বিরোধী শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ছিলো। ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাকির খান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ মোল্লার নের্তৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ শামিম আহমেদ, উজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ কাইয়ুম খান,উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ সোলায়মান হোসেন,যুব নেতা মাইনুল মৃধা। ওটরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ মিজান ফকির,ওটরা ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি মোঃ রিয়াজ খান,২নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন মল্লিক, শ্রমিক দল নেতা হাজী মো: দেলোয়ার হোসেন, হাজী তাহের উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো: সানি আহমেদ, ওটরা ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান,তিতুমীর কলেজ শাখার ছাত্র দলের সহ-সভাপতি মোঃ কাওছার মাহমুদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা। পরিশেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মা ও ছেলের উপর মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি।

উল্টো আহতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। ওই মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন নেতাকর্মীরা। তা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যার সঙ্গে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দুইটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছয় সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর।

এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এরমধ্যে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইসরাত জাহান (২০)। বরগুনা হাসাতালে চিকিৎসাধীন চাঁন মিয়া (৭৫) ও গোশাই দাস (৮৫) নামের দুজন মারা গেছেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য মতে- চলতি মাসের শুরু থেকে বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪৮৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এরমধ্যে বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বরগুনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৪ জন। আর মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনই বরগুনার।

এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বৃষ্টি বাড়লেই আতংকিত হয়ে পড়ি। কারণ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়। তখন মশার বিস্তার বেড়ে যায়। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এবার বিষয়টি ভিন্ন। কারন বৃষ্টি ছাড়াও ডেঙ্গু তার প্রভাব বিস্তার করছে। এর বড় কারন আমাদের অসচেতনতা।

তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে যত রোগী ভর্তি হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে ভর্তি হওয়াসহ অনেক রোগী বাসা বাড়িতেও চিকিৎসা নেয়। সেই সংখ্যা আমাদের কাছে নেই। সেই সংখ্যা থাকলে সবাই বুঝতো ডেঙ্গু কত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমাদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে। সবাই মিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে সকলের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। সেই সাথে মশা জন্ম নিতে পারে এমন সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে সচেতনতার আহবান জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালে যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জানিয়েছের মুসুল্লীরা।

 

আজ সকাল সাড়ে ৭ টায় নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 

সকাল থেকেই ঈদ জামাতে অংশ গ্রহন করতে দলে দলে ঈদগা ময়দানে প্রবেশ করতে শুরু করেন মুসুল্লিরা।

 

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়ছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন সহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মুসুল্লীরা প্রধান জামাতে অংশগ্রহন করেন। পরে মোনাজাতে দেশ ও জতীর মঙ্গল কামনা করা হয়।

 

নামাজ শেষে পরস্পরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসুল্লীরা।

 

প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও নগরী ৫০০ মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।