নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেম এর উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় বরিশাল ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় হল রুমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট) পরিচালক হাসান মোঃ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিএআরসি ক্রপ জোনিং প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আবিদ হোসেন চৌধুরী, জিআইএস এনালস্টি আবিদ কামাল, সয়েল এক্সপার্ট মোঃ ছাব্বির হোসেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর রঞ্জন ও বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলার উপ পরিচালক, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এই অ্যাপ ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে সার সাশ্রয় ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে পারবে বলে ধারণা দেন ভক্তরা ।

যা গত ২০২৩ সালে আমন ধানের ৩৪টি প্রদর্শনী ট্রায়ালের গড় ফলাফলে সারের খরচ ৩৩.৯৯% কম ও ৬.৮৩% ফলন বৃদ্ধি হয়েছে। খামারি অ্যাপের সুপারিশ দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা হলে আমন মৌসুমে প্রায় ৮৯৬৫ কোটি টাকা আর্থিক লাভ অর্জন করা সম্ভব ।

এদিকে ২০২৩-২৪ সালের রবি মৌসুমে বোরো ধানের ৬০টি প্রদর্শনী ট্রায়ালে ১৮.২১% কম সার খরচ ও ৫.৫৯% ফলন বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের ৫০.৫৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ প্রদত্ত সার সুপারিশ ব্যবহার করা হলে দেশব্যাপী প্রায় ৮২০৫ কোটি টাকা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভবনা রয়েছে।#

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের খামারিরা। অনেক খামারির পশু এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। আবার অনেকে হাট শুরুর অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো সংকট ছাড়াই স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।

 

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন হয়। তবে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানি ঈদ ঘিরে। তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশি গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিয়াল জাতের গরু রয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় বলছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ছোট-বড় ২৭ হাজারের মতো খামারি কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ পশু লালন পালন করেছেন। আর বিভাগে এবারের কোরবানিতে মোট পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি।

 

বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভি মিলিয়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ টি রয়েছে। আর এরমধ্যে ষাঁড় গরুই রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯৬১টি।এছাড়া ৯ হাজার ৪০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৭৪ টি কোরবানিযোগ্য ভেড়া রয়েছে।

 

ফলে সবমিলিয়ে চাহিদা পরেও উদ্বৃত্ত পশু থাকবে ৬৫ হাজার ২৯৬ টি।

 

এদিকে কোরবানির আগে যাতে হরমোন, অ্যান্টিবায়োটিক বা কৃত্রিম কোন উপায়ে পশুকে মোটা তাজা করা না হয় সেজন্য খামারে নিয়মিত নজরদারি করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খামারে একসাথে অনেক পশু পালনের পাশাপাশি বাড়িতে ছোট আকারে একটি দুটি গরু কিংবা ছাগল পালন করেন অনেকে। ফলে এ অঞ্চলে হিসেবের থেকেও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু থাকতে পারে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে না, যাতে বিদেশি গরুর প্রয়োজন হবে। এবারে এ অঞ্চলে স্থানীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

 

তিনি বলেন, এখন আর কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজা করা হয় না। তারপরও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার খামারগুলোতে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন, যাতে কেউ অনৈতিক কাজে না জড়িয়ে পরে।

 

তিনি বলেন, এর বাহিরে প্রতিটি পশুর হাটে পশু চিকিৎসকসহ মনিটরিং টিমও কাজ করবে।

 

এদিকে খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে কোরবানির পশুর দামে। তবে ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির বাজার স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে।

 

উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ শত টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড়শত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, মেগা প্রকল্পের নামে এতদিন দেশে লুটপাট হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। এখন সময় এসেছে প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করার।

শুক্রবার (৯ মে) সকালে বরিশালের হিজলা উপজেলার মৌলভীরহাট খেয়াঘাট সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় অপর প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তাই জনকল্যাণে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন উপদেষ্টা বরিশালের হিজলা উপজেলা সফরে এসেছেন। দুপুর পর্যন্ত তারা হিজলা উপজেলার পুরাতন লঞ্চঘাট, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত মৌলভীরহাট লঞ্চঘাট এলাকা এবং বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। বিকেল ৩টায় হিজলা উপজেলা থেকে বাবুগঞ্জ-মুলাদীর সংযোগ সেতুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন দুই উপদেষ্টা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষনার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের করা মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যনালে মামলার আবেদন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম।

২০২৩ সালের জুনের সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে তিনি দলটির প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন।

আজ সোমবার (৫মে) নির্ধারিত দিনে শুনানী শেষে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসিবুল হাসান এই আদেশ দেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আইনজীবী শেখ নাসির উদ্দিন ও মোহাম্মদ হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর বহুদিন অতিবাহিত হওয়ায় মামালাটি গ্রহণের পর্যায়ে না থাকাসহ বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আদালত আবেদনটি খারিজ করেছেন। তবে এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এরআগে গত ২৪ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানির তারিখ ৫ মে নির্ধারণ করেন বিচারক।