বরিশালের খবর ডেস্ক :
বরিশালের সদর উপজেলার চারকাউয়া এলাকার খাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও গৃহবধূর স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়া‌রি) বিকেলে এ তথ্য জানান বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মো. ছগির হোসেন।

গ্রেপ্তার হত্যাকারী হলেন-ফিরোজ হাওলাদার (৩৫)। তিনি চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড খন্দকার বাড়ির বাসিন্দা ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চরকাউয়া খান বাড়ির পিছনের খাল থেকে তিন সন্তানের জননী হাসিনা বেগমের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি চরকাউয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চরকাউয়া মাঝি মাল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ওমর ফারুকের স্ত্রী।

ডিবির পরিদর্শক ছগির হোসেন বলেন, সুদের জন্য দেওয়া পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নারীকে হত্যা করেছে ফিরোজ। পরে মরদেহ গুম করতে খালে ফেলে দেয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে গৃহবধূর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, গলার স্বর্ণের চেইন দুইটি, আংটি দুইটি, এক জোড়া কানের দুল এবং হাতের বালা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ফিরোজ।

তার স্বীকারোক্তির বরাতে পরিদর্শক ছগির বলেন, হত্যাকারী ফিরোজের স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে দুই লাখ টাকা জমায়। করোনার সময় তার চাকরি চলে যায়। তখন স্ত্রীর পরামর্শে দুই লাখ টাকা গ্রামের সুদ ব্যবসায়ী হাসিনা বেগমকে দেওয়ার সিদ্বান্ত নেয়। স্ত্রীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয় ফিরোজ। কিন্তু মাসিক আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে হাসিনাকে দেয় দেড় লাখ টাকা। দুই মাস সুদ দেওয়ার পর হাসিনা টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। হাসিনা প্রভাবশালী হওয়ায় কোনোভাবে টাকা আদায় করতে পারেনি। তাই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী গত সোমবার বাসায় কেউ ছিলো না। তাই হাসিনাকে প্রলোভন দিয়ে বাসায় নেয় ফিরোজ। তিনি বাসায় গেলে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ মেশানো দুধ খেতে দেয়। ওই দুধ খেয়ে হাসিনা অচেতন হয়ে পড়ে। রাত একটার দিকে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে তার স্বর্ণালংকার খুলে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে খালে ফেলে দেয়।

হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ফারুক। বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন নাজমিন জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জিআরও মো. হারুন জানান।

এদিকে বেলা ১১টায় চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ডে হাসিনা হত্যাকারী গ্রেপ্তারে মানববন্ধন করা হয়। স্থানীয় জনগণের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হত্যাকারী গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানানো হয়।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদররোডে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখা।

গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল মহানগরের সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদারের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল।

গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি মো. শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন আকাশসহ নেতারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা তার প্রভু রাষ্ট্র ভারতে পালিয়ে গিয়েও অডিও রেকর্ড প্রকাশের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক উসকানি প্রদান করছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার

ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে গুপ্ত হামলা, ঝটিকা মিছিল ও কথিত গণসংযোগ করেছে। এমনকি গত ২ ফেব্রুয়ারি জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়েছে। ছাত্র-নাগরিক গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে উৎখাত করতে দেশব্যাপী নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে হরতাল-অবরোধের ঘোষণাও দিয়েছে।

বক্তারা বলেন, সরকারি প্রথম ধাপের তালিকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮২৬ জন শহীদ ও ১১৩০৬ জনের গুরুতর আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি বলে আন্দোলনকারী নেতারা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করেন। ছাত্র-জনতা-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েও অপরাধীরা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে, গ্রেপ্তাররা জামিনে মুক্ত হচ্ছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এরই মধ্যে ৫৭২ জন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। গত ৮ আগস্ট আপনার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার গণহত্যাকারী আওয়ামী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে যতটা কঠোর হওয়া দরকার ছিল, আমাদের কাছে তার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের ও শঙ্কার।

বক্তারা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সহস্রাধিক মানুষ হত্যা, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করা, রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে চালানো ইতিহাসের এ জঘন্যতম গণহত্যার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থাকে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের আপসহীন নেতৃত্ব ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন হিসেবে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েমে বিগত ১৬ বছরের সব শুম, খুন, উন্নয়নের নামে লুটপাট ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচার নিষ্পত্তি ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় তারা ৫ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-জুলাই -আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা। জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমে সংগঠিত গুম-খুন ও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। যা নগরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জানায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মুয়াযয্ম হোসাইন হেলাল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নতুন রাষ্ট্র চায় ,পুরাতন দিনের গান আর কেউ শুনতে চাই না। দেশ পরিচালনার জন্য দেশের মানুষ নতুন নেতৃত্ব দেখতে চাই। দেশের মানুষ এখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। তিনি আরো বলেন, ১৯৪১ সালে ৭৫ জনকে নিয়ে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয় আজকে বাংলাদেশে তিন থেকে চার কোটি মানুষ সরাসরি এ আন্দোলনের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির নেতৃবৃন্দের উপর গত ১৭ বছরে শত নির্যাতনের পরেও দেশের মানুষের পাশে আছে। অন্যদের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। এই জন্য দেশের মানুষের আস্থার জায়গায় জামায়াতে ইসলামি।

১ লা ফেব্রুয়ারী শনিবার বরিশাল নগরীর পাবলিক লাইব্রেরিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরীর কোতোয়ালি উত্তর থানার উদ্যোগে আয়োজিত ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মদিনার সনদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে, ইনশাআল্লাহ্। সেখানে থাকবে না মারামারি, হানাহানি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি। এই জন্য সাধারণ মানুষকে জনে জনে বুঝাতে হবে, দেশের কল্যানের জন্য ইসলামী সমাজের বিকল্প কিছু নেই। বাংলাদেশে সবার কাছে ডাক্তার শফিকুর রহমান এখন সব থেকে জনপ্রিয় নেতা। তার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে।

মহানগর শুরা সদস্য ও কোতোয়ালি উত্তর থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং তার উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর। মহনগরীর সহকারী সেক্রেটারী মাস্টার মিজানুর রহমান, থানা নায়েবে আমির অধ্যাপক গোলাম গোফরান, থানা সেক্রেটারি হাফেজ জাবের আল হাসানসহ ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারিসহ ইউনিট দায়িত্বশীল বৃন্দ।

গৌরনদী প্রতিনিধি :
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং টরকী-সাউদের খাল খনন কর্মসুচির অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ।

শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খান অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং টরকী-সাউদের খাল খনন কর্মসুচির অগ্রগতি পরিদর্শন কালে বলেন, টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী ও জনসাধারনের স্বার্থে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান অব্যহৃত থাকবে।

এ সময় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন, বিআরডিসির সহকারী প্রকৌশলী সাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী, সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান, টরকী বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি শরীফ সাহাবুব হাসান, সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান চঞ্চল সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, টরকী-সাউদের খাল ও টরকী বাশাইল খাল দুইটির মোহনা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা উত্তোলণ করে রেখেছিলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অবশেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল খনন করায় স্থানীয়দের মধ্যে স্তুতি ফিরে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের গণমিছিল বরিশালে গণমিছিল করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা

বরিশাল: ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ সব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বরিশালে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বরিশাল মহানগর শাখা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়া‌রি) জুমার পর নগরের গির্জা মহল্লা রোডের জামে কশাই মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ সব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আবার যেন কোন স্বৈরাচার মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এ দেশে আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান হবে না।