নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্লান অনুমোদনে জটিলতা ও হয়রানির প্রতিবাদে ও ১০ দফা বাস্তবায়নে মানববন্ধন করেছে বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন।

 

আজ বুধবার বেলা ১২ টায় নগরী সিটি কর্পোরেশনের সামনে এই মানববন্ধন করে তারা।

 

বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব প্রকৌশলী মোঃ আবু সালেহ্ ও যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান হীরা সহ অন্যান্যরা।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভবন নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে এলইউসি ও প্লান দেয়া বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাই ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ এর উপ-বিধি (৭) অনুসারে ৪৫ দিনের মধ্যে প্লান অনুমোদন দেয়া ও গেজেট বহির্ভূত ও অকার্যকর মাষ্টার প্লানের অযুহাত দার করানো বন্ধ করা,বরিশাল শহরের অধিকাংশ রাস্তার প্রশস্ততা কম তাই রাস্তার প্রশস্ততার ক্ষেত্রে গতানুগতিক ও প্রচলিত নিয়মে প্লানের অনুমোদন দেয়া, ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ বহির্ভূত ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র (LUC) প্রথা বাতিল করা, ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ এর তফসিল-২ অনুসারে প্লান অনুমোদনের ফি নির্ধারন করা, যে সমস্ত এলাকায় কিংবা বাড়িতে পানির সরবরাহ লাইন সংযোগ করা হয়নি সেই সব এলাকার জনগনকে পানির বিল হইতে অব্যহতি দেয়া, ভবনে বসবাস শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত হোল্ডিং ও পানির বিল নেয়া বন্ধ করা, প্লান অনুমোদন সহ সকল ধরনের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে “ওয়ান স্টপ সার্ভিস” ব্যবস্থা চালু করা, পূর্বে ভরাটকৃত ব্যক্তিগত রেকর্ডিয় জমির শ্রেনীতে পুকুর উল্লেখ থাকলে প্লান অনুমোদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না করা ও খালের পাড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের রেকর্ডিয় জমির ক্ষেত্রে ইমারত নির্মানে জমি ছাড়ের ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত ও বাস্তব ভিত্তিক সমাধান করার ১০ দফা বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়। আগামি ৭ দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

 

উল্লেখ্য এ দাবি বাস্তবায়নে গত ৭ ডিসেম্বর সচিব প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং নানা আয়োজনে বরিশালে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।

আজ সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, সিটি কপোরেশন, ডি আই জি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর শহীদ বেদীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় সেখানে মানুষের ঢল নামে।

দিবসটি উপলক্ষে নগরীর বেলর্সপার্ক মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া, বেলা ১১ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

দুপুরে কীর্ত্তণখোলা নদীতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ববিসাস) নবীন সহযোগী সদস্যদের বরণ, আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।

 

সংগঠনের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন।

 

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সমাজ পরিবর্তনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। সাংবাদিকতা থেকে অনেক যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ থাকে। অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকতার মত সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারে এগিয়ে রাখবে।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি, বিআরটিএ-এর বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান ও বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।

 

আয়োজনের প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি আশা রাখি আজকের আয়োজনে যারা নবীন সাংবাদিক রয়েছেন তারা ভবিষ্যতে একজন পরিপূর্ণ সাংবাদিক হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হবে।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল ইসলাম।

 

এছাড়াও আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ, এম জসীম উদ্দীন, অপূর্ব অপু, বিপ্লব রায়।

 

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ববিবাসের সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল রানা, সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন, দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কোশাধ্যক্ষ এনামুল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রানা ও মেহরাব হোসেন সহ ববিসাসের সদস্যবৃন্দ।

 

ববিসাসের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আজ ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পণ করেছে। এই সংগঠন গড়ার পিছনে অনেক সাবেক সিনিয়রদের পরিশ্রম রয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতায় আমরা জিরো টলারেন্স। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা কার্যকরী ভূমিকা রাখবো যেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়।

 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩রা অক্টোবর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, তারুণ্যের মূল প্রবাদ শ্লোগানকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠা হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে উঠে, তা অবশ্যই গণ-আকাঙ্ক্ষার বিরোধী— এমনটি বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চাইছে, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আর কত মাস কিংবা কত সময় প্রয়োজন, তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার জনগণের সামনে তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণা করলে এটি একদিকে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিই নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রমেও গতিশীলতা বাড়বে।

তারেক রহমান বলেন, আমি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, শত অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশ। সেই যাত্রায় আবারো বলছি, মন দিয়ে শুনবেন, দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী…আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী দেশের গণতন্ত্রকামী স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ। আপনারা জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।

রোডম্যাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে উঠে, তা হবে অবশ্যই গণ-আকাঙ্ক্ষার বিরোধী। সরকার তাদের সব কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের কাছে যত বেশি স্বচ্ছ থাকবে, জনগণও সরকারের প্রতি তত বেশি সমর্থনের হাত প্রসারিত রাখবে।

বক্তব্যের শুরুতে তারেক রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষা পেয়েছে। এই কারণে প্রায়ই আমি বলে থাকি, ১৯৭১ সাল ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্জনের আর ২০২৪ সাল দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।

তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস অবশ্যই বেশি আনন্দের গৌরবের এবং অনেক বেশি অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে প্রতিটি স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস হয়ে উঠবে জনগণের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায় কিংবা প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি অর্থবহ দিন।

‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ’

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণকে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী করতে হলে রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের লালন, বিকাশ এবং চর্চা অত্যন্ত জরুরি। আমরা মনে করি, রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চার অন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্র হলো জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ।

‘জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ যথাযথভাবে কার্যকর থাকলে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত থাকে। আমাদের মনে রাখা দরকার, জনগণ শক্তিশালী না থাকলে জাতীয় ঐক্যও শক্তিশালী হয় না। ’

‘জনদুর্ভোগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ যোগাতে অনেকের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দিশেহারা সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

‘জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তী সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার আগে এই প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠতে পারে। ’

তিনি বলেন, দুর্ভোগ বর্তমানে মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চ-বাচ্য করছে না। কারণ জনগণ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে আগেও বলেছি, আজও উল্লেখ করতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরা নিজেদের সফল দেখতে চায় কি না, তা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, লাখো মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে দেশের জনগণ আজ অভূতপূর্বে ঐক্যের মোহনায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঐক্য কাজে লাগিয়ে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এরইমধ্যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির লক্ষ্যই হলো শিশু-নারী-বৃদ্ধ অথবা দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রকে অবশ্যই প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হবে।

‘প্রত্যেক বাংলাদেশি এখন তারেক রহমানের নেতৃত্ব চায়’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এখন যেটা চাই, প্রত্যেক বাংলাদেশি এই মুহূর্তে যা চায়, তা হলো, তারেক রহমানের নেতৃত্ব চায়।

তিনি বলেন, আসুন আমাদের নেতা তারেক রহমানের যুগান্তকারী ৩১ দফা কর্মসূচিকে আমরা সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমি বার বার যে কথাটা বলছি, আবার বলতে চাই যে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য, তা হলো আমাদের অবশ্যই অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথটা আমাদের সুগম করতে হবে। সেটিই হলো একমাত্র যোগ্য কাজ, সেটিই হবে সবচেয়ে বড় দাবি।

দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য রাখেন।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনান্য বছররে ন্যায় এ বছরও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় সংগঠন কার্যালয়ে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিআরইউ সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক জিয়াউল করিম মিনার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য মহসিন সুজন, আবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম সোহাগ, রাজিব হোসেন টিটু, এন আমিন রাসেলসহ প্রমূখ।

এসময় বক্তারা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন।

বরিশালের খবর ডেস্ক :
রাজাকারের কোনেও তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

বুধবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “রাজাকারের তালিকার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আমি কোনও ফাইল পাইনি। এখনও আমার কাছে আসেনি। সচিব মহোদয় বলছেন এ মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজাকারের তালিকার কোনও কপি, কোনও নথি নেই।”

তিনি বলেন, “রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। যে রকম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা যাচ্ছে না। বাস্তবকে অস্বীকার করে তো আমরা কিছুই করতে পারব না। ৫০ বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা এখন কোথায় কে আছে না আছে কার কাছ থেকে কী নথি পেয়ে আমরা এগুলো করব, এটা তো আমার মনে হয় অনেক বেশি দুরূহ কাজ।”

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও যারা তালিকাভুক্ত হয়ে সুবিধা নিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার কথাও জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

তিনি বলেন, “বহু অভিযোগ আছে যে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, গেজেটভুক্ত হয়েছেন এবং সুবিধা গ্রহণ করছেন। আমার দৃষ্টিতে এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা। এটা ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় অপরাধ। যখন নির্ণিত হবে তাদের তো বাতিল করবই, প্রয়োজনীয় সাজার ব্যবস্থা করব।”

“অমুক্তিযোদ্ধা যারা এখানে তালিকাভুক্ত হয়েছে, আমরা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করলে তাদের ব্যাপারেও একই রকমের ব্যবস্থা হবে,” যোগ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আমরা একটা ইনডেমনিটিও হয়তো দেব যে, যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন তারা যেন স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। তাহলে হয়তো সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারেন।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা: সংস্কার ও সম্ভাবনায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) তে সাংবাদিকদের সাথে এই আয়োজন করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘দৃক’।

দৃকের পক্ষ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বরিশালের শহীদ, সারাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সকল খাতেই সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় সংস্কারের লক্ষ্যে এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

বরিশালের সাংবাদিকরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কঠিন ও প্রতিকূল পরিবেশের অভিজ্ঞতা স্মরণ করেছেন। সাংবাদিকরা জানান- মাঠে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন পক্ষের হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা। নানামুখী হামলার শিকার আহত হয়েছেন অনেকেই। টার্গেটেড আক্রমণ ঠেকাতে আইডি কার্ড, প্রতিষ্ঠানের লোগো এমনকি বুলেট প্রুফ জ্যাকেটও খুলে রাখতে হয়েছে।

সাংবাদিকরা বলেন, দেশে প্রকৃত অর্থেই জনস্বার্থে সাংবাদিকতার সংকট রয়েছে এবং এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সংস্কার জরুরী। তারা মনে করেন দেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে এবং এই আমলেই সাংবাদিকতার সংস্কার জরুরি।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ বলেন, সাংবাদিকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যম যদি মালিকপক্ষের মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হয়ে থাকে তাহলে সাংবাদিকতায় সংস্কার সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। একইসাথে নতুন গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে সারাদেশের সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তৃণমূল থেকে সংবাদমাধ্যমের সংস্কারের তাগিদ জানিয়েছেন সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ঢাকার বাইরে মফস্বলের সাংবাদিকতা এখনো পেশাগত স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি। সাংবাদিকতার মর্যাদা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা তৈরি না হলে প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকতার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে গণমানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে লেজুড়বৃত্তি ছেড়ে আদর্শ ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সাংবাদিকতার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান বরিশালের সাংবাদিকদের। একইসাথে গণঅভ্যুত্থানের ৪ মাস পরেও সাংবাদিকতা সংস্কারের লক্ষণ নেই জানিয়ে ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তারা। তারা জানান সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে খোদ সংবাদমাধ্যমগুলোতে কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।

মতবিনিময়ে অংশ নেয়া সাংবাদিকরা দেশের পত্রিকাগুলোর ভিত্তিহীন ও অবাস্তব সার্কুলেশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পরিশেষে সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।

সংবাদমাধ্যমের উন্নয়ন, সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিসত্ত্বর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ জানিয়েছেন তিনি। দৃকের পক্ষ থেকে এই আয়োজন সঞ্চালনা করেছেন সাংবাদিক সামিয়া রহমান প্রিমা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আলী খান জসিম, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাংবাদিক সাইদ মেমন, মঈনুল ইসলাম সবুজ, শাওন খান, পারভেজ রাসেল, মুশফিক সৌরভ, সৈয়দ মেহেদী হাসান, তন্ময় নাথ, তন্ময় তপু, মো. নুরুজ্জামান, জিয়াউল করিম মিনার, সুমাইয়া জিসান, নুশরাত মোনা, মনিকা, এন আমিন রাসেল, আর এম মাসুদ, সাইয়ান, আরিফুর রহমান, উজ্জল মুন্সী, আনিসুর রহমান, এন আমিন রাসেল, হেলাল উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম সোহাগ, অলিউল ইসলাম প্রমুখ।

এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর :

বরিশালের উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা’র সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি হাসনাত জাহান খান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: হুমায়ুন খান, উজিরপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, বরিশাল জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাব্বির আহম্মেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ এমদাদুল কাশেম সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন শরীফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ও আহত ১৩ জন শিক্ষার্থী।

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন উজিরপুরে উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের কেশবকাঠী গ্রামের মোঃ কামাল হোসেন মোল্লার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান(২৮),উওর বড়াকোঠা গ্রামের মৃত চান মিয়া বেপারীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম(২২)। আহত হন নাজির উদ্দিন সাব্বির(২৩),মোঃ মিরাজ সিকদার(২৯) মোঃ রিফাত হাওলাদার(১০),মোঃ আসলাম(৩৮), সুমন ঢালী(২৭), মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৬৫),মোঃ মনির খান(১৮), মোঃ সৈকত জামান(১৭), মেহেদী হাসান (২৫),মোঃ জসিম হাওলাদার(২৭),মোঃ রুহাইয়াদ মাহাবুব রুবাই(২২), মোঃ শাকিল হাওলাদার(২৮), মোঃ আল আমিন(২৮)।

স্মরণ সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজাসহ উপস্থিত অতিথি বৃন্দ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন।