নিজস্ব প্রতিবেদক :
“নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বরিশালে আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ উপলক্ষে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও প্রচার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর কলোনি (৩ নং গলি) এলাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউনিসেফ সহযোগিতায় পিভিএইচপি প্রকল্প পরিচালিত কথাকলি শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি হাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি, আইন ও বিচার বিভাগের এসএআরসি প্রকল্পের কনসালটেন্ট জুলহাস মোল্লা, পিভিএইচপি প্রকল্পের শিশু অধিকার কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম, কোতোয়ালি মডেল থানার শিশু সুরক্ষা পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই রুমানা পারভীন, তথ্য আপা কর্মকর্তা, সিএসপিবি প্রকল্পের শিশু সুরক্ষা কর্মী আতিকুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কাউন্সিলর, ইমাম এবং সাধারণ নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
সভায় বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সাইবার বুলিংসহ ডিজিটাল হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, অনলাইন হয়রানি ও মানহানিকর আচরণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মসজিদের ইমাম ইসলামের আলোকে নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইসলাম নারীকে সম্মান, সুরক্ষা ও ন্যায়বিচারের অধিকার দিয়েছে। তিনি পরিবার ও সমাজে সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিশু সুরক্ষা পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই রুমানা পারভীন জানান, নারী ও শিশুর সুরক্ষায় পুলিশ বিশেষ সেল, ৯৯৯ হেল্পলাইন, নারী–শিশু সহায়তা ডেস্কসহ দ্রুত সেবা প্রদান করছে। ডিজিটাল অপরাধ ও অনলাইন হয়রানির ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
পিভিএইচপি প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিউনিটি পর্যায়ে নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সহায়তা সেবা প্রদানে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠান শেষে সহিংসতা প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।






