TT Ads
Spread the love

বরিশালের খবর ডেস্ক :
দুদিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া বয়ে চলায় বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বন্ধের দিন হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। তবে শীতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পেশাজীবী মানুষ।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে গত দুদিন ধরে বরিশালে সূর্যের দেখা নেই। ফলে মেঘলা আকাশ ও ঘন কুয়াশায় শীতের তাপমাত্রাও বেড়েছে। আগামী ২-৩ দিনে বরিশাল অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বরিশালে তীব্র শীত অনুভূত। ছবিটি তুলেছেন এন আমিন রাসেল

গত বুধবার দুপুরের পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, গত দুদিন ধরেই বরিশালে সূর্যের দেখা নেই। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ রয়েছে। এ কারণে আকাশ মেঘলা। তার ওপর এখন শীতকাল হওয়ায় ঘন কুয়াশা রয়েছে। এসব কারণে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি মৌসুমে এখনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়নি বরিশালে। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রাকে শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তবে সূর্যের আলো না থাকায় দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

অপরদিকে বরিশাল নদীবন্দরে দেখা যায়, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ে নৌযান ছেড়ে গেলেও ঘন কুয়াশার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে এক থেকে দুই ঘণ্টা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথেও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

এদিকে শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শীতে মানুষ অ্যালার্জি ও সর্দি-কাশিসহ নানা ধরনের রোগাক্রান্ত হতে পারে। এজন্য সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মোটা পোশাক পড়তে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের যত্নের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুদের ভেজা জায়গায় যেমন রাখা যাবে না, তেমনি সব সময় মোটা কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে একই দৃষ্টি রাখা জরুরি। প্রয়োজনে তাদের ফুটানো পানি পান করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সূত্র :বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *