নিজস্ব প্রতিবেদক :
সৈয়দখালী সাওড়া মৌজার বালুমহাল বন্ধে এবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেছে। হাইকোর্টের রুলের পেক্ষিতে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বালু উত্তলন বন্ধে নোটিশ দিয়েছে হিজলা উপজেলা প্রশাসন।
হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ অঞ্চলের সৈয়দখালী সাওড়া মৌজার বালুমহাল ইজারা স্থগিত করে বালু উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের রুলের পেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। নোটিশটি বরিশাল পুলিশ সুপার , উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিজলা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিজলা কে ব্যবস্থাগ্রহনে বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ্য করা হয়েছে উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রস্থ স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের এর রীট পিটিশন নম্বর ১৮৪৪৮/২০২৫ এর আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস সিকদার জানিয়েছে, জেলা প্রশাসন থেকে নোটিশ পাওয়ার পরপরই হিজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ব্যবস্থা গ্রহনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বরিশাল কািশপুর গনপাড়া এলাকার আর বি এন্টারপ্রাইজের প্রাে: মো: আবুল বাছেদকে বালু উত্তলন বন্ধে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর পরও যদি বালু উত্তলন করা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই অবৈধ্য বালুমহাল বন্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় সেখানে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আতঙ্ক নদীভাঙন আবারও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনার চরাঞ্চলে নতুন করে বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় তিন ইউনিয়নের মানুষ ও অবকাঠামো চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। সরকারি বরাদ্দে নির্মিত প্রায় ৪২৪ কোটি টাকার রক্ষা বাঁধও হুমকির মুখে।
নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ হলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে হিজলার গৌরবদী ইউনিয়ন এবং মেহেন্দীগঞ্জের গবিন্দপুর ও উলানিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।
তবে এই আদেশ বাস্তবায়নে গত ২৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ প্রদান করা হলেও আজও বন্ধ হয়নী বালু উত্তলন কাজ।






